ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

 ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়   বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও গাইড

আজকের এই ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট মানুষের জীবনধারায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  এর মধ্যে আছে ব্লগিং বা অনলাইন লেখালেখি অন্যতম জনপ্রিয় এবং লাভজনক ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই ব্লগিংকে শুধু নিজের অভিজ্ঞতা ,মতামত, শখের কাজ মনে করেন। কিন্তু আসল কথা হলো ব্লগিং থেকে ভালো আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।



তবে প্রশ্ন হল  ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় ? এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করলে সফল হওয়া যায় ?

আমার আজকের এই লেখায় আমি ব্লগিং থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় , ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কত টাকা আয় করা সম্ভব , ব্লগিং শুরু করার ধাপ এবং সবগুলো সফলতার জন্য কি কি কাজ করতে হবে সকল  বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব।

পেজ সূচিপত্র ঃ 


ব্লগিং কি এবং ব্লগের গুরুত্ব

ব্লগিং বলতে বোঝানো হয় একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্লাটফর্মে ধারাবাহিকভাবে তথ্য, অভিজ্ঞতা, মতামত, শিক্ষা বা বিনোদনের জন্য লেখা প্রকাশ করা। ব্লগে লেখা হতে পারে নানা ধরনের প্রযুক্তি, ফ্যাশন, ভ্রমণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রান্না, জীবনধারা, ব্যবসা, রাজনীতি, কিংবা ব্যক্তিগত ডায়েরি।

ব্লগিংয়ের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে ,বাড়ার কারণ হলো এটিঃ

  • মানুষকে নিজের জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করা সুযোগ দেয়
  • যারা লেখালেখিতে পারদর্শি তারা অনলাইনে পরিচিত ও আয় করতে পারে
  • ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মার্কেটিং এর অন্যতম হাতিয়ার
  • স্বাধীনভাবে নিজের সময় ও জায়গা থেকে কাজ করার সুযোগ দেয়

ব্লগিং থেকে আয় করার প্রধান উপায় গুগল এডসেন্স।

গুগল এডসেন্স:

হলো সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। যেখানে আপনি আপনার ব্লগে গুগলের বিজ্ঞাপন বসান। যখন কেউ ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বা ভিউ করেন তখন আপনি কিছু টাকা পান। এই আই আপনার ব্লগের ভিজিটের সংখ্যা এবং বিজ্ঞাপনের ধরনের উপর নির্ভর করে। প্রতিনিয়ত মানুষ যে ধরনের পোস্ট বা বিজ্ঞাপন দেখতে চান সেসব ধরনের বিজ্ঞাপন বা পোস্ট আপনার ব্লগিংএ  যদি থাকে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।


অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং:

হলো অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর লিঙ্ক দিয়ে বিক্রি হলে বা লিংকে ক্লিক হলে কমিশন পাওয়া। এফিলিয়েট, ক্লিক ,ব্যাংক, রূপে, কিংবা বাংলাদেশ দারাজ এফিলিয়ান্ট প্রোগ্রাম এসব ধরনের লিংক যদি আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখেন তখন যদি আপনার ভিউয়ার্সরা  ওই লিংকে ক্লিক করে তাহলে তার থেকে আপনি কিছু উপার্জন করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এ আপনার নিজস্ব কিছু প্রোডাক্ট বাছাই করে বা বড় কোম্পানির কিছু প্রোডাক্টের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে দিয়ে রাখবেন যাতে ওই লিংকে আপনার ভিউয়ার্সরা ক্লিক করে।

স্পন্সারশিপপোস্টঃ

যখন কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড আপনাকে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে রিভিউ বা প্রচার করার জন্য অর্থ দেয়। এই ধরনের পোস্ট স্পন্সারশিপ নামে পরিচিত। হয় আর এগুলো আপনি যদি স্পন্সারশিপ করেন তাহলে তাদের থেকে আপনি কিছু টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রিঃ

নিজস্ব ই-বুক অনলাইন কোর্স ওয়েবিনার গ্রাফিক্স বা অন্য ডিজিটাল সার্ভিস তৈরি করে বিক্রি করা যায়। যেমন আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটার হন তাহলে আপনি অনলাইনে কোর্সের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে পোস্ট বিক্রি করে এবং আপনার সার্ভিস বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন।


সরাসরি বিজ্ঞাপন বিক্রিঃ

দেখবেন যে কিছু বড় ব্লগার নিজেই সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিজ্ঞাপন বিক্রি করেন এতে মাঝারি ব্যক্তি কমিশন কমে যায় এবং আয় বেশি হয়।


ফ্রিল্যান্সিং কনসাল্টেন্সিঃ

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা প্রমাণ হয়ে গেলে ফ্রিল্যান্সিং বা পরামর্শদাতা হিসেবে আয় করতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেক দক্ষতা হয়ে যান তাহলে আপনি অন্যদেরকে শিখিয়ে আপনার স্টুডেন্ট বা আপনার মাধ্যমে কাজ করা সুযোগ করে দিতে পারবেন এবং তাদের থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


ব্লগিং থেকে আয় কতটা সম্ভব?

ব্লগিংয়ে আয় করা বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। এবং বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে থাকে।
 নিচে কিছু বর্ণনা দেয়া হলো বিভিন্ন পর্যায়ে ব্লগার থেকে আয় করা সম্ভব কিভাবে।

নতুন ব্লগার (০-৬মাস )

নতুন ব্লগাররা প্রথম কয়েক মাস খুব সামান্য বা কোন আয় করতে পারবেনা কারণঃ তাদের
  • ট্রাফিক (পরিদর্শক) কম থাকে
  • SEO ও মার্কেটিং কোসল শিখছেন
  • নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করা হয়
এই পর্যায়ে মাসিক সাধারণত জিরো থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে অনেক সময় একেবারেই নাও হতে পারে।


মধ্যম পর্যায়ের ব্লগার (৬মাস থেকে ২ বছর)

এ সময় ব্লগাররা নিয়মিত লেখা শুরু করেন এবং কিছুটা ভিজিটর পেতে শুরু করেন। গুগল এডসেন্স এফিলেট মার্কেটিং ও স্পন্সরশিপ থেকে আয় শুরু হয়। তখন তাদের মাসিক আয় ১০ হাজার থেকে ৫০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং তারও বেশি হয়ে থাকতে পারে।


সফল প্রতিষ্ঠিত ব্লগার (২ বছর থেকে ৫+ বছর)

বড় পর্যায়ের ব্লগাররা বা যাদের ব্লগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে তারা উচ্চমানের স্পনসরশীল বিজ্ঞাপন বিক্রি করে এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে এবং এ থেকে তারা মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন মাসিক  আয় তাদের ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বা তারও বেশি আয় করে থাকেন।

আন্তর্জাতিক ব্লগাররা:

এরা হলো ইংরেজিতে লেখে এবং গ্লোবাল মার্কেট টার্গেট করে। তাদের আয় অনেক বেশি হতে পারে আন্তর্জাতিক ব্লগারদের মাসিক আয় লক্ষাধিক থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে ।কারণ তারা গ্লোবাল মার্কেট টার্গেট করে লেখেন এবং ইংরেজি ভাষায় লিখতে থাকেন। গ্লোবাল মার্কেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় মার্কেট যেখানে খুব কম সংখ্যক ফ্রিল্যান্সিং রা যেতে পেরেছে।

ব্লগিংয়ে আই নির্ভর করে কোন কোন ফ্যাক্টরের ওপর ?

ট্রাফিক ব্লগে যত বেশি থাকবে বিজ্ঞাপন ক্লিক ও বিক্রি সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে ।

বিষয়বস্তুঃ

কিছু বিষয়ে যেমন প্রযুক্তি ফাইন্যান্স স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো আই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রাখে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ডায়েরি বা সাধারণ খবরের ব্লগে আয় তুলনামূলক কম থাকে

কনটেন্টের মান ও নিয়মঃ

আকর্ষণীয় তথ্যবহুল ও নিয়মিত লেখা ব্লগে ভিজিটর বেশি থাকে এবং আরো বাড়তে থাকে। কনটেন্ট এর মান যেমন প্রযুক্তি ফাইন্যান্স স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে যে কোন লেখাকে আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং গুগল তা যেন সকল কন্টেন্টের ওপর থেকে বেশি প্রাধান্য দেয় এবং যেকোনো কিছু সার্চ করলে এই কন্টেন্টকে আগে দেখা যায় তাহলে এই কন্টেন্টের ভিউয়ার বা ভিজিটর বেশি থাকবে এবং আরো বেশি ইনকাম  হবে। 


আয় করার পদ্ধতিঃ

শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স নির্ভর করলে আইকম হতে পারে। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং স্পন্সারশিপ ও প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে আই অনেক গুণ বাড়ানো সম্ভব হয়ে থাকে। শুধু গুগল এডসেন্সের উপর নির্ভর করলে হবে না  সবগুলোর ওপরে সমানভাবে নির্ভর করতে হবে।


মার্কেটিং ও প্রচারণাঃ

সোশ্যাল মিডিয়া ইমেইল মার্কেটিং ও এসিও ইত্যাদি কৌশল সফলভাবে করলে আয় বৃদ্ধি পায়। কোনোটা কম বা কোনটা বেশি কৌশল প্রয়োগ করলে আই কম হবে। সকল ক্ষেত্রে কৌশল সফলভাবে প্রয়োগ করতে হবে তাতে আয় করা বেড়ে যাবে।


বাংলাদেশ থেকে ব্লগিং করে আয় করার বাস্তবতা

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ায় ব্লগিংও বেড়েছে তবে আই সীমাবদ্ধ কিছু বিষয় হল
  • বাংলা ভাষার ব্লগে গুগল এডসেন্সের CPM (প্রতি হাজার ভিউ )তুলনামূলক কম
  • স্থানীয় বিজ্ঞাপন ও স্পনসারশীপ পাওয়া খুবই কঠিন
  • ইংরেজি ব্লক ও গ্লোবাল মার্কেটে সুযোগ বেশি
তবে যদি সঠিক মার্কেটিং জানা থাকে ও ধৈর্যের মাধ্যমে বাংলাদেশেও বসে থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের ব্লগারের সংখ্যা বাড়লেও সবকিছুতেই পারদর্শী ব্লগারের সংখ্যা খুবই কম। আপনাকে মনে করতে হবে সকল ক্ষেত্রে সকল বিষয় নিয়ে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে । তাহলে আপনি গ্লবার মার্কেটে দিকে সীমাবদ্ধ হতে পারবেন এবং সাজার থেকে এক লক্ষ টাকার অধিক আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপসমূহ

বিষয় নির্বাচনঃ

আপনার আগ্রহ দক্ষতা ও বাজার অনুসারে বিষয় নির্বাচন করুন জনপ্রিয় বিষয় প্রযুক্তি, ফিটনেস, খাদ্য, ভ্রমণ ,শিক্ষা ,ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে আপনি লেখা শুরু করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনি ব্লগিংয়ের সব কিছুই বুঝতে পারবেন। কিভাবে আপনাকে দক্ষতা অনুযায়ী ব্লগিংয়ের লিখা লিখতে হবে তা বুঝতে পারবেন ।ব্লগিং  শুরু করার প্রয়োজনীয় কিছু সম্পর্কে আমরা এখন জানব।

ডোমেন ও হোস্টিং কেনাঃ

নিজস্ব ওয়েবসাইট চালানোর জন্য ডোমেইন ও হোস্টিং সার্ভিস নিতে হবে । ডোমেইন বা হোস্টিং মানে হলো যেমন  www.apnarblog.com শেষে  ডট কম থাকতে হবে। নিজের নামটি বা যে কোন অন্য একটি নাম সুন্দর দেখে বাছাই করে নিতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরিঃ

ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার,  উইক্সইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বানান। তবে এগুলোর মধ্যে ব্লগার সবচেয়ে ভালো হবে ।কারণ এতে আলাদাভাবে আপনাকে ডোমেনের সাথে হোস্টিং কিনতে হবে না ব্লগারে হোস্টিং গুগলের জন্য ফ্রি চাইলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

কনটেন্ট তৈরিও প্রকাশ করাঃ

নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখতে হবে।লেখার আগে আপনাকে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে বেশি সার্চ করে গুগলে সেই বিষয়ে আপনাকে কন্টেন্ট লিখতে হবে।


 এসইও মার্কেটিংঃ

গুগল সহজে ভালোভাবে র‍্যাঙ্ক পেতে এসিও শিখুন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার করুন । আপনার কনটেন্ট লেখার আগে গুগলে রেংক পেতে সহজ কিওয়ার্ড বেছে নিতে হবে তাহলে খুব সহজে গুগলে রেংক পাবেন।


আয় করার উপায়ঃ

গুগল এডসেন্স অ্যাফিলিয়েটমার্কেটিং স্পন্সারশিপ ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এগুলো ব্যবহার করলে অতি সহজে আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম শুরু হতে পারে।

ব্লগিং থেকে বেশি আয় করার কৌশল

গুণগত মানসম্পন্ন কনটেন্ট লিখতে হবে পাঠক কেন আপনার ব্লগে আসবে তা নির্ভর করে কনটেন্ট এর মানের ওপর। গভীর গবেষণা ও তথ্যবহুল লেখা দিন যাতে পাঠক পরে বুঝতে পারে । আপনার কনটেন্টে এসিও এর গুরুত্ব রাখুন। সঠিক কিওয়ারড   নির্বাচন করে  এসিও করুন এর মাধ্যমে গুগল সার্চ থেকে বেশি ভিজিটর আসবে। আপনার কনটেন্টটি খুব সহজে খুঁজে পেতে বা আপনার ওয়েবসাইটটি খুব সহজে গুগল যেন খুঁজে পায়। আপনার ব্লগিং একাউন্টে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে হবে। যেমন facebook, youtube,instagra, linkdown এ আপনার পেজের লিঙ্ক  শেয়ার করুন । তাহলে অনেক ভিজিটর আপনার পেইজে বা পেজটি দেখতে আসবে। আপনি ব্লগিং এর সাথে সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মার্কেটিং এর দক্ষতা থাকলে ভালো প্রোডাক্ট বাসায় ও আকর্ষণীয় রিভিউ দিতে পারবেন।  এতে আয়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আপনি শুধু একটির ওপর আয় করবেন না বিভিন্ন আয়ের উৎস রাখতে হবে। শুধু এক ধরনের আয়না করে একাধিক উপায় আয়ের পথ তৈরি করতে হবে।

ব্লগিংয়ের চ্যালেঞ্জ  ও কাটিয়ে ওঠার উপায়ঃ 

 (চ্যালেঞ্জ)

  • প্রথমে আয় কম হওয়া
  • নিয়মিত এর লেখালেখির চাপ
  • প্রযুক্তিগত জটিলতা ওয়েবসাইট হ্যাক স্লো স্পিড
  • শেখার কষ্ট
সমাধান
  • ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করুন
  • ভালো হোস্টিং নিন
  • অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে শিখুন
  • কমিউনিটি ও ফোরামে অংশগ্রহণ করুন

সফল ব্লগারদের কিছু উদাহরণ ও অভিজ্ঞতা

বিশ্বজুড়ে বা আমাদের দেশে অনেক সফল ব্লগার আছেন যারা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন যেমন
  • {অর্ডিনারি আইটি রাজশাহী} কোর্স এবং ব্লগিং ডিজিটাল মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি শেখানো এবং নিজেরা করে থাকেন । তারা একজন সফল ব্লগার
  • পেট ফিল্ম{ pat flynn} smart passive income  ব্লগ থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করে  
তাদের মতো আমরা যদি সফল হতে চাই তাহলে আমাদের সকল কিছু ধৈর্য ধরে শিখতে হবে । ভালো হোস্টিং খুঁজে নিতে হবে। ভালো কোর্সও খুঁজে নিতে হবে তাহলে আমরাও এক সময় ব্লগিং থেকে ভালোভাবে ইনকাম করতে পারব।

ব্লগিং এর ভবিষ্যৎ এবং নতুন দিক

বর্তমানে ভিডিও পট কাস্ট ও ইন্টারেক্টিভ কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাই ব্লগারদের উচিত ভিডিও ব্লগিং পডকাস্টিং ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সঙ্গে নিজেকে আপডেট রাখা। বর্তমানের ভিডিওতে দেখা যায় অনেকেই অনেক রকম ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব মার্কেটিং শিখেছে। তবে কিভাবে ইয়টিউবে মার্কেটিং করতে হয় ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় ইত্যাদি প্লাটফর্মে কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় এইসব ভিডিও বানিয়ে ব্লগিং করতে পারেন। যাতে ভবিষ্যতে একটির ওপর নির্ভর করেন না থাকতে হয়। যে কোন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা উচিত আস্তে আস্তে সকল দিকেই তুলনামূলকভাবে সফল হতে দেখা যাবে। একেবারে না হয়েও অল্প কিছু হবে ধৈর্য ধরে তা করতে পারেন। সকল কাজে ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ ধৈর্য থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব।


বাস্তবতা

ব্লগিং থেকে আয় করা সম্পূর্ণ সম্ভব এবং লাভজনক তবে এটি সহজ নয়। সফল হওয়ার জন্য আপনাকে সময় ,শ্রম, ও ধৈর্য দিতে হবে। নিয়মিত লেখা ভালো কনটেন্ট তৈরি করা সঠিক মার্কেটিং কৌশল এবং আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারে করলেই ব্লগিং থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়ের সুযোগ তৈরি করা যায় ।

আজি শুরু করুন নিজের আগ্রহের বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখুন এবং ধীরে ধীরে ব্লগিংকে নিজের ক্যারিয়ারে পরিমিত করুন।

ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ উপরোক্ত লেখাটি কেমন হয়েছে তা কমেন্ট করে জানাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url