ছায়া সরকারের খেলা ঃ
গ্রামটির নাম হোলো চন্ডিপুর। এইগ্রামটি একসময় ছিলো খুবি শান্তিপূর্ণ গ্রাম। কিন্তু ধীরে ধীরে এই গ্রামটিতে রাজনৈতিক ছায়া ঢুকে পরে । আর এই ছায়া থেকে শুরু হই নতুন খেলা জার নাম ক্ষমতার খেলা।
চন্ডিপুর গ্রামের মানুষজন আগে কেমল মাত্র ধান কাটতো।গরু চরাত আর হাটবাজার করতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গ্রামের শান্তি ওঠে গেছে । কারণ সেই গ্রামে দুইটি দল তইরি হয়েছে। একটা দল হলো নবজাগরণ আরেকটি হলো গ্রাম উন্নয়ন সংঘ
নব্জাগরন দলের নেতা ছিলো ফিরোজ মাস্টার। তিনি ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক কিন্তু গ্রামের মানুষ তাকে নেতা হিসেবে বেশি চিনতো। আমরা গ্রামের ছেলে কিন্তু আমাদের স্বপ্নটা হই অনেক বর। তার পাশে ছিল কিছু তরুণ যুবক তারা দেশের বদল আনতে চাই।
অন্নদিকে গ্রাম উন্নয়ন সঙ্ঘের নেতা ছিল আলী চেয়ারম্যান। তিনি ছিলেন এই গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান। আর তার সাথে বা তার দলে যারা ছিলো তারা শুধু বলত ( আমরা উন্নয়ন করছি ,তাই আমরাই থাকবো)
দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে চাই চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে।
হটাত এক রাতে গ্রামের লোকের মুখে সোনা গেলো ফিরোজ মাস্টারের বারিতে আগুন লেগেছে।সকলে মিলে আগুন নিভানোর পরে দেখা গেলো তার অনেক গুরুত্তপুরনো কাগজ সব পুরে গেছে। এলাকার সকলে বুজতে পারলো যে এতাব কোন দুর্ঘটনা নই । ইচ্ছা করে কেউ আগুন লাগিয়েছে। শুরু হয়ে গেলো গ্রামে রাজনৈতিক এক কুৎসিত খেলা।
ফিরোজ মাস্টারটার সেই ঘটনার পরেও হাল ছারেনি। তিনিটার জোত পোলাপান ছিল সকলকে নিয়ে আর শক্ত ভাবে মাঠে নাম্লেন। এলাকার শিক্ষিত ছেলেরা টাড় পাছে দাঁড়ালেন এবং গ্রামেই শকল মেয়েরাও বোলও আমড়াও পরিবর্তন চাই।
২৭/০৯/২০২১ তারিখ ভোটের দ্বীন সকালবেলা ভোটকেন্দ্র চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে একদল লোক।গ্রামের লোক যখন তাদের ভোট দিতে যাই তাদেরকে আটকাতে থাকে।কিন্তু গ্রামের লোকেরা তা মানতে চাই না । হটাত করে বৃষ্টি চলে আসে তবুও বৃষ্টিতে ভিজে গ্রামের লোকেরা ভোট দেই। ঠেকাতে পারেনি কেউ তাদের। শেষ খবর আশে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে ফিরোজ মাস্টার।
তিনি ক্ষমতাই আসার পরে তার দেয়া কথামতো গ্রামের স্কুলটি মেরামত করেন। গ্রামে সাস্থকেন্র চালু করে এবং প্রতিটি কাজের হিসাব গ্রামের সকলকে দিয়ে থাকে।
রাজনীতি মানে কুচক্রী বা খারাপ কাজে লিপ্ত থাকা নই। যদি সাধারণ জনগণ ও সৎ মানুষ রাজনীতিতে আসে তাহলে পরিবর্তন আসবেই। চন্ডিপুর গ্রাম তার একমাত্র প্রমাণ।
إرسال تعليق