মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক

ভূমিকা: 

মালয়েশিয়া ভ্রমণ করার আগে বা যাওয়ার আগে টুরিস্ট ভিসা অনুমোদিত হয়েছে কিনা তা জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। এখন অনলাইনে খুব সহজে ভিসা চেক করা যায়। আপনি জানতে পারবেন আপনার ভিসার স্ট্যাটাস সম্পর্কে। ভিসা এপ্রুভ হয়েছে কিনা এবং কবে পর্যন্ত এটা বৈধ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।  

 মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও গাইডলাইন 

মালয়েশিয়ার ভিসা হয় দুই ধরনের। একটি হল নরমাল ও কলিং ভিসা এবং আরেকটি হল ই -ভিসা। আজকের এই পোস্টে আমরা জানতে পারবো কিভাবে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এবং আমরা আরও জানবো যে নিচের ফর্ম থেকে খুব সহজেই মালোশিয়ার ভিসা চেক করতে পারব কিনা।



আপনি যদি আগে থেকেই মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন এবং আপনার ভিসার কাগজ আপনার কাছে থাকে অথবা আপনার মালোশিয়ার ভিসার আবেদনের স্ট্যাটাস সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি আপনার নিবন্ধিত পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক করতে পারবেন।

পেজ সূচি পত্রঃ মালয়েশিয়া ভিসা চেক ও গাইডলাইন 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়ার ভিসা চেক

এখন বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে । এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই অনেক ভুল করে যেমন অনেকেই দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যেতে চায় বা যায়। এর মধ্যে অনেক দালাল রয়েছে যারা আপনার ভিসাতে নকল ভিসা লাগিয়ে দেয়। এতে আপনি মালোশিয়া গেলে অনেক হয়রানি শিকার হবেন। মালোশিয়া যাওয়ার আগে  আপনার ভিসা চেক করে নেয়া উত্তম। ভিসা চেক করে দেখতে হবে আপনার ভিসা সঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। যাতে আপনি  পরবর্তীতে হয়রানির শিকার হতে বাঁচতে পারবেন।  

 ভিসা চেক

  • সর্বপ্রথম আপনাকে ভিজিট করতে হবে eserrvices imi gov my
  • no passport এর ঘরে আপনার নিজের পাসপোর্ট নাম্বার বসাতে হবে
  • আপনার জাতীয়তা বাংলাদেশী সিলেক্ট করে দিন
  • সবশেষে নিচে carian ক্লিক করলে আপনার মালয়েশিয়ার ভিসার সকল তথ্য পাওয়া যাবে
আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং জাতীয়তা বাংলাদেশী দেয়ার পর আপনি যখন সার্চ করবেন তখন যদি আপনার নিজের নাম এবং আপনার জন্ম তারিখ দেখতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনার ভিসাটি বৈধ আছে। ভিসাটি যদি বৈধ থাকে পরবর্তীতে আপনি কোন হয়রানি শিকার হবেন না নির্ভুল আপনি যেতে পারবেন।

মালোশিয়ার ই ভিসা চেক

আপনারা যদি মালয়েশিয়ার ই ভিসার জন্য আগে থেকে আবেদন করে থাকেন তাহলে তাদের ই ভিসার আবেদনের সর্বশেষ স্ট্যাটাস সম্পর্কে অনলাইনের মাধ্যমে তারা নিজেরাই চেক করতে পারবেন।মালোশিয়ার ই ভিসা চেক করতে আপনাদের যা করতে হবে
  • প্রথমে আপনাদের ভিজিট করতে হবে মালোশিয়া ই ভিসা স্ট্যাটাস পেজ
  • এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে
  • অনলাইন ভিসার জন্য আবেদন করার কপি থেকে আপনার স্টিকার নাম্বার দিতে হবে
  • আপনার পাসপোর্ট এর ছবির লেখাগুলো প্রদান করতে হবে
  • সবশেষে নিজের চেক বাটনে ক্লিক করলে আপনার ই ভিসার তথ্যগুলো পাওয়া যাবে
এতে করে খুব সহজে আপনি আপনার ই ভিসাটা চেক করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার সময় সমস্যার করণীয়

আপনি যদি মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন চেক করার সময় কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।


সেখানে গিয়ে আপনার সমস্যাগুলি বলবেন এবং তার সমাধান তারা দিয়ে দিবে। কোন কারণবশত যদি আপনি এই সমস্যাগুলির সমাধান না করেন পরবর্তীতে আপনি অনেক হয়রানির শিকার হতে পারেন।


যার কারণে ভিসার আবেদন চেক করার সকল পদ্ধতি জেনে নেওয়া খুবই দরকারি এবং প্রয়োজনীয় কাজ যাতে আপনি পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন তার জন্য ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে আপনাকে সকল সমস্যার সমাধান করে নিতে হবে।

মালোশিয়া সম্পর্কে

আমরা জানি মালয়েশিয়া হল দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি দেশ। এটি দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বারা দুটি অংশে দ্বীপ এবং পূর্ব মালয়েশিয়ায় নামে পরিচিত। মালোশিয়ার রাজধানী হল কুয়ালালামপুর ইতিহাসের পরিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া হল অন্যতম একটি দেশ। মালোশিয়া হলো একটি বহু সংস্কৃতির দেশ কারণ এখানে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বাস করে। বেশির ভাগই মালয়েশিয়ান তবে উল্লেখযোগ্য হল চীনা এবং ভারতীয় অনেক রয়েছে।


মালয়েশিয়ার দেশের সরকারি ভাষা হল মালাই তবে এ দেশে ইংরেজি ভাষাও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। মালয়েশিয়া দেশটি হলো একটি উচ্চ আয়ের দেশ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। এদেশের অর্থনীতি নির্ভর করে উৎপাদিত কৃষি এবং পর্যটনের উপর। মালোশিয়ার ইলেকট্রনিক্স তেল ও গ্যাস এগুলোকে কেন্দ্র করে প্রধান রপ্তানিকারক দেশ  হিসেবে গঠিত হয়। 

আবার অন্যদিকে মালোশিয়া হলো একটি জনপ্রিয় পর্যটন জায়গা হিসেবেও মানুষ চিনে। এদেশে প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের দেখা মিলে। বাংলাদেশীদের মতে পছন্দের তালিকায় মালয়েশিয়া সর্বপ্রথম সারিতে রয়েছে।

এ বছরের চেয়ে গত বছরে প্রায় চার লক্ষ মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ার ট্রাভেল করেছে। দেশটি তার সৌন্দর্য সৈকত বৈচিত্র্যময় এবং বন্যপ্রাণী তাদের সংস্কৃতির জন্য পরিচিত পায়। আবার মালয়েশিয়া ব্যবসায়, বাণিজ্য্‌ চাকরি এবং ভ্রমণ কিছুদিনের অবসর যাপন এসব উদ্দেশ্যে জান না কেন প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো ভিসা। তাই মালয়েশিয়া ভিসা সম্পর্কে ধারণা এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের বিস্তারিত আলোচনা আজকের এই ব্লক পোস্টটিতে করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  1. প্রথমত আপনার পাসপোর্টটি ছয় মাসের মেয়াদ হিসেবে করতে হবে
  2. আপনার যদি আইডি কার্ড থাকে তাহলে আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে যদি আপনি আঠারো বছরের কম হন তাহলে আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি লাগবে
  3. আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড টি সাদা থাক
  4. আপনি মালোশিয়া কেন যাবেন বা জাচ্ছেন তার কারণ হিসেবে একটি ডকুমেন্ট আকারে শো করতে হবে
  5. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট শো করতে হবে
  6. হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি দিতে হবে ব্যবসায়ীদের জন্য আর্টিকেল মেমোএরন্ডারের ফটোকপি দিতে হবে
  7. ছাত্রদের জন্য স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দিতে হবে
  8. চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এনওসি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট এর মূল কপি দিতে হবে
  9. আপনার ভিজিটিং কার্ড দিতে হবে
  10. রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি জমা দিতে হবে
  11. পূর্বের ভিসা থাকলে ভিসার ফটোকপি দিতে হবে  {যদি থাকে}
বিঃদ্রঃ উপরের উল্লেখিত আপনার সকল ডকুমেন্ট ইংরেজিতে হতে হবে কোনটা যদি বাংলায় থাকে বা অন্য কোন ভাষায় থাকে তাহলে ইংরেজি করে নিতে হবে। 

কিভাবে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করবেন

মালোশিয়ার ভিসা আবেদন করার আগে ভিসা অফিসারের থেকে একটি রিকোয়েস্ট লেটার লিখে নিতে হবে। লেটারে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট নাম্বার আপনি কোথায় যাচ্ছেন স্পন্সর ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। ভিসার আবেদন করার সময় আপনি মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের ওয়েবসাইট থেকে ভিসার আবেদন করতে পারেন কিংবা ভিসার ফ্রম ডাউনলোড করে নিতে পারেন। 

ফর্মটি ব্লক লেটার দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং ভিসা আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিতে হবে। মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা দুই কপি ছবি লাগবে। ছবিটি অবশ্যই ম্যাট পেপারে প্রিন্ট হতে হবে এবং স্টুডিও প্রিন্ট হতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ

মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন করার আগে সমস্ত তথ্য ভালোভাবে পড়ে সঠিক নিয়মে পূরণ করতে হবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ যেন ছয় মাসের বেশি থাকে তা ভালোভাবে দেখে নিশ্চিত করুন। আপনার ভিসা অনুমোদন পত্র এবং তা প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখুন। ভ্রমণের সময় ফ্লাইট বুকিং হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আপনার সাথে রাখুন। 

অনলাইনে মালয়েশিয়ার ভিসার আবেদন

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আপনি আপনার হাতের স্মার্টফোন দিয়েই ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে আমি প্রবাসী নামক একটি অ্যাপের প্রয়োজন হবে।

  1. সর্বপ্রথম আপনাকে আমি প্রবাসী এই অ্যাপটি গুগল অথবা প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে আপনার ফোনে এটি ইন্সটল হওয়ার পর একটি ওপেন করবেন।
  2. অ্যাপ টি ওপেন করার পরে আপনার পাসপোর্ট স্ক্যান করে সকল তথ্য ভালোভাবে প্রদান করতে হবে এর পরে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে।
  3. পরবর্তী ধাপে যাচাইয়ের জন্য ৭২ ঘন্টা সময় নেয়া হবে আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকলে দ্রুত ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে
  4. তারপর আপনাকে বিকাশের মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফ্রি পরিশোধ করতে হবে ফ্রী পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে
  5. তারপর আপনার মোবাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপ লগইন করতে হবে লগইন করার পর রেজিস্ট্রেশনের পাশে চাকরি খোঁজার অপশন পাবেন সেখানে আপনি বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনার পছন্দের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন
 আপনার সাবমিট করার চাকরির আবেদন মঞ্জুর হলে প্রবাসী অ্যাপ থেকে আপনার ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়ে দিবে। 

ভিসার খরচ 

মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা মূল্য সাধারণ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যারা অনলাইনে আবেদন করে থাকে অর্থাৎ যারা নিজেরাই আবেদন করে ভিসা প্রসেসিং করে তাদের খরচের পরিমাণটা একটু কম আসে। পাশাপাশি যারা এজেন্সির সাহায্যে ভিসা প্রসেসিং করায় তাদের খরচের পরিমাণটা আরেকটু বেশি হতে পারে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার টুরিস্ট সিঙ্গেল এন্টি ভিসা ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা আনুমানিক পর্যন্ত লাগতে পারে। তবে মাল্টিপল এন্টি ভিসা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আনুমানিক খরচ হতে পারে। 

বর্তমান সময়ে যারা সরকারিভাবে মালয়েশিয়া কাজের জন্য যাচ্ছে তাদের ভিসার মূল্য হচ্ছে ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা এবং প্রসেসিং ফি এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লাগে। এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট খরচ হবে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা এর থেকে কমও হতে পারে বেশিও হতে পারে।

মালয়েশিয়ার ভিজিট ভিসা প্রসেসিং ফি ৫৮৮০০ টাকা অন্যদিকে আনুষাঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে তিন মাসে মালয়েশিয়ার ভিজিট ভিসায় ৬০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

মালোশিয়ার ভিসার ধরন

মালোশিয়ার ভিসার অনেক ধরনের রয়েছে আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন নির্ভর করে আপনি মালোশিয়ায় কেন ভ্রমণ করতে চান তার ওপর। যেমনঃ

টুরিস্ট ভিসাঃ

এই বিষয়ে মালয়েশিয়ায় পর্যটন সাংস্কৃতিক ভ্রমণ বা আপনার পারিবারিক অনুষ্ঠান করা বা যোগদানের জন্য দেওয়া হয়। এই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ সাধারণত 30 দিন থেকে 40 দিন পর্যন্ত দেয়া হয়।

ভিজিট ভিসাঃ

এই ভিসায় মালোশিয়ার ব্যবসায়িক, মিটিং, চিকিৎসা,পর্যটন বা অন্যান্য ব্যক্তিগত কারণে ভ্রমণের জন্য প্রদান করে থাকে। ভিজিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত 30 দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত হয়।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ

এই ভিসা মালয়েশিয়ার শিক্ষার জন্য প্রদান করে থাকে। স্টুডেন্ট ভিসায়  অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শুধুমাত্র বেশি হয়ে থাকে এই ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসাঃ

এই ভিসাটি মালয়েশিয়ায় সাধারণত স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রদান করা হয়। ইমিগ্রেশন পারমিট ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত হয়। তিন বছর পর পর ভিসাটি আবার লাগানো লাগে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ

এই ভিসাটি মালয়েশিয়ায় যারা কাজের জন্য যায় তাদের জন্য প্রদান করা হয়। আর পারমিট ভিসার মেয়াদ থাকে সাধারণত এক বছর থেকে তিন বছর যা প্রতিদিন বছর পর পর ভিসার মেয়াদ আবার নতুনভাবে লাগাতে হয়।

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার আবেদন পদ্ধতি

মালশিয়ার কলিং ভিসা হচ্ছে একটি শ্রম ভিসা যা বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য।যেকোণো দেশের মানুষের কাজের সুযোগ করে দেয় এই ভিসার মাধ্যমে। বাংলাদেশীরা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পেশায় কাজ করার সুযোগ পায় এই ভিসাই মালোসিয়া এসে।

আবেদন পদ্ধতি

  1. প্রথমে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ চেক করতে হবে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস হতে হবে
  2. মালোশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে
  3. ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করে রাখতে হবে
  4. ফর্মটি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসের জমা দিতে হবে
সাধারণত মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কিছু পরিমাণ ফি পরিশোধ করতে হয়। জনসাধারণের জন্য 500 মার্কিন ডলার লাগে বয়স্কদের জন্য ৪০০ মার্কিন ডলার এবং ছাত্রদের জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার লাগে মালোশিয়া কলিং ভিসার জন্য ।

আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত এক থেকে দুই মাস সময় নেয়। আপনাদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করার জন্য আপনি একটি মালোশিয়ান ভিসার প্রসেসিং এজেন্সির সাথে কাজ করতে পারেন।

মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসার মেয়াদঃ

প্রথমবারের জন্য ভিসা এক বছর পরবর্তী ভিসা তিন বছর করুন। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার মাধ্যমে মানুষের কাজ করার অনেক সুবিধা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় একটি ভাল বেতনে কাজ করা এবং সুযোগ সুবিধা অনেকটা ভালো পাওয়া যায়। কাজ করার মাধ্যমে আপনি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার কাজ করার মাধ্যমে আপনি মানুষের সঙ্গে এবং এদের জীবনযাত্রার সাথে অনেকটাই পরিচিত হতে পারবেন। প্রথম অবস্থার জন্য যেমন ভিসা এক বছর মেয়াদী করতে হবে পরের বার তিন বছর কিংবা আরো বেশি আপনি করতে পারেন তবে মেয়াদটা বেশি রাখাই ভালো। 

শেষ কথা

মালয়েশিয়ায় ভিসার জন্য সঠিক ভাবে আবেদন করা খুবই জরুরী। উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করলে মালয়েশিয়ায় ভিসা পাওয়ার সহজ হয়ে যাবে। যেকোনো ধরনের জটিলতার জন্য নির্ভরযোগ্য ট্রাভেল এজেন্সির পরামর্শ নেয়া উচিত। এই বিষয়ে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন অবশ্যই আপনি নির্দিষ্ট কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন।

আশা করি এই ব্লগটি আপনার জন্য উপযোগী হবে। মালয়েশিয়ায় ভিসার জন্য সঠিকভাবে আবেদন করার জন্য ওপর উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন। আপনি  যে বিষয়ে ভিসা বানাতে চান না কেন নির্দিষ্ট এজেন্সির কিছু পরামর্শ আপনার নেয়া উচিত। আশা করি এই ব্লগ টি আপনার কাজে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url