আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা খরচ ২০২৪

আপনি যদি আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে হয়তো বা কথাগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। হয়তো আপনাকে কেউ আগে এসব বিষয়গুলো নিয়ে এতটা খোলামেলা কথা বলেনি যা আজকে আমার এই পোস্টে আপনি জানতে পারবেন। আশা করছি ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি পুরোটা পড়বেন।

যা আপনার ভিসা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হিসেবে কাজ করবে। আর আপনি পেয়ে যেতে পারেন আমেরিকার ৫ বছর মেয়াদি মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি প্রয়োজন। সারা বিশ্বের আয়তনের দিক দিয়ে একটি দেশ হলো আমেরিকা। এই দেশটি বিশ্বের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ একটি বৃহত্তম দেশ গুলোর মধ্যে একটি। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে জানতে পারবেন আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন হয়।

আমেরিকা-টুরিস্ট-ভিসা-খরচ-২০২৪

তাছাড়া আরও থাকছে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করবেন, আমেরিকার ভিসা পেতে কতদিন লাগবে। আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য ইন্টারভিউ কিভাবে দিবেন। আমেরিকায় ভিজিট ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে । টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা লাগে এছাড়াও আরও আমেরিকার ভিসার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন।

সূচিপত্রঃ আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা খরচ

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান / ক্লিক করুন


আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার প্রসেসিং এর জন্য বেশ কিছু ধাপ রয়েছে এই ধাপগুলো ধীরে ধীরে সব পূরণ করতে হবে। প্রথম ধাপে আবেদনকারী কে ডি-এস ১৬০ নামক ফ্রম পূরণ করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনটি করতে হবে। আপনি আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টে অয়েবসাইটে আবেদন ফর্মটি পেয়ে যাবেন।

ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর সেখানে ভ্রমণের একটি ফরম পাবেন আপনাকে সেই ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে থাকবে আপনার ভ্রমের উদ্দেশ্য এবং আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দিতে হবে। এছাড়া আরো অন্যান্য কিছু তথ্য দিতে হয় সময় উপযোগী জন্য কারণ এটা আপনার ভ্রমণের উপর নির্ভর করে।

ফর্মটি পূরণ করার পরে জমা দিতে হবে বা সাবমিট করতে হবে। ফ্রমটি সাবমিট করার পরে আপনাকে বাধ্যতামূলক কিছু ফ্রি প্রদান করতে হবে। কারণ এটা ভিসা প্রসেসিং ক্ষেত্রে অত্যন্ত বাধ্যতামূলক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এরপর আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা অফিসে গিয়ে ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নিয়ে আসতে হবে। 

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের সময়ে আপনার কিছু উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া জরুরি। আপনি যদি কোন কাগজপত্র না নিয়ে যান তাহলে আপনাকে পরবর্তীতে আবার নতুন করে ফরম পূরণ করতে হবে। যার জন্য কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত।কি কি সঙ্গে নিবেন, যেমন..
  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট 
  • ডিএস-১৬০ ধর্মের কনফারমেশন কপি
  • আপনি যে ফি পরিশোধ করেছেন তার রশিদ
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যিনি সমর্থন করবেন তার অথোরাইজ দলিল পত্র
আপনি যখন ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকার করবেন তখন সে আপনাকে ভ্রমণ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন এবং আপনি কবে ফিরে আসবেন বা ফিরে আসা সম্পর্কে তারা জিজ্ঞেস করে থাকে। তার সাথে আপনার আর্থিক স্থিতি কেমন বা আপনি কেন যাবেন সেসব বিষয়ে তারা যাচাই বাছাই করে থাকেন।

আপনার সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার জন্য অনুমতি পাবেন। এই পুরো কাজটি শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ আপনার সময় লাগবে। সাধারণত সময়ে অল্প দিনের মধ্যেই এটি পেয়ে যায়। তবে আপনার ভিসা আপনার ভ্রমণের উপর সবকিছু নির্ভর করবে।

আমেরিকায় টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকা ভ্রমণ করার ইচ্ছা সবারই থাকে। বিশ্বের অন্যতম একটি সুন্দর রাষ্ট্র হল আমেরিকা। যেখানে পর্যটন রয়েছে অসাধারণ সব সুন্দর ও নামকরণের জায়গায় রয়েছে। আর সেই সুন্দর সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি টুরিস্ট ভিসা। টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে আপনার যে সকল কাগজপত্র লাগবে তাহলে...

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
  • অনলাইনে আমেরিকার ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে
  • আমেরিকার যার কাছে যাবেন তার বিস্তারিত তথ্য যার নাম ঠিকানা ইত্যাদি ফর্মে উল্লেখ করতে হবে
  • আপনি অন্যান্য কোন কোন দেশে ভ্রমণ করেছেন তার রেকর্ড থাকতে হবে
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং তার সার্টিফিকেট
  • ভ্রমণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে হবে
  • আপনার পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট থাকতে হবে
টুরিস্ট ভিসার আবেদন ফ্রি প্রায় ২০ হাজার টাকা। আমেরিকার ভিজিট করার কমপক্ষে দুই মাস আগে অনলাইনে এপ্লিকেশন ফর্ম টি পূরণ করতে হবে।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে কত সময় লাগে

আমেরিকার ভিসা নিয়ে আমাদের মনে অনেক কৌতুহল থাকে। আবার আমাদের অনেকের ড্রিম কান্ট্রি হল আমেরিকা। সবার একবার হলেও আমেরিকায় ঘুরতে যাওয়া ইচ্ছা থাকে। তাই হয়তোবা আমাদের সবার চেষ্টা থাকে আমেরিকা কিভাবে যাব। আর সত্যি কথা হচ্ছে আমরা  চাইলেই খুব সহজে আমেরিকা যেতে পারি না। আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট বানাতে হয় ভিসা লাগাতে হয় অনেক ঝামেলার মধ্যে আর আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থাকে। শুধু পাসপোর্ট থাকলেই আমেরিকা যাওয়া হয় না কিছু দিকনির্দেশনা মেনে যেতে হয।


আমেরিকা-টুরিস্ট-ভিসা-খরচ-২০২৪


আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পেতে সময় লাগে কয়েক সপ্তাহ আবার অনেক সময় কয়েক সপ্তাহে হয় না কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে । কয়েক মাস লাগার কারণ হলো আপনার কাগজপত্র বা ডকুমেন্টের এবং আপনার সাক্ষাৎকারের উপর সকল কিছু নির্ভর করে। শুধু আপনার একার কাগজপত্র তার কাছে থাকে না সে সাক্ষাৎকারের কাছে অনেক কাগজপত্র আগে থেকেই থাকে যার কারণে আপনার সময়টা আসতে একটু বেশি লাগে। তবে কাজের চাপ বেশি থাকলেও তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ .৭ থেকে ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে আপনার পাসপোর্টে ভিসার স্টাম্প লাগিয়ে দেয় তারা।

আরো পড়তে পারেনঃ মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা  সম্পর্কে

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার ইন্টারভিউ

আপনার এটি প্রথম দেশের বাইরে যাওয়া। আপনার পাসপোর্টটি একেবারে সাদা কোন দেশে আপনি ট্রাভেল করেননি। আপনি আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এটি যদি হয় তাহলে আপনি অনেক বড় ভুল করছেন। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি এর আগেও অনেক দেশ ঘুরেছেন।

কারণ আমেরিকাইয় কাজের জন্য অনেকে যায়। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার নেন তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আপনি শুধু ঘুরতে যাচ্ছেন কাজের জন্য না। তারা ভাবে আপনি যদি ভাল কোন কাজ পেয়ে যান তাহলে আমেরিকা থেকে আর আসবেন না ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করার পরে আসবেন। যার ফলে তারা ভিসা দিতে চান না ভালোভাবে উপস্থাপনা করে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি কি কারনে টুরিস্ট ভিসায় যাচ্ছেন এবং কবে ফিরে আসবেন। 

অন্য দেশের মতো শুধু পাসপোর্ট থাকলে আপনি ভিসা পাবেন না। আমেরিকার ভিসার জন্য অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। অনেকজন আছেন আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার জন্য প্রথমে তাকে ইন্টারভিউ দিতে হয়। ইন্টারভিউতে যাওয়ার পূর্বে অনেক ঘাবড়ে যান। আবার অনেকে আছেন যারা জানেন না ইন্টারভিউ হলে কি কি প্রশ্ন করা হয় সেই বিষয়ে আমরা আপনাকে কিছু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

ইতিপূর্বে আপনি যে আমেরিকার অনলাইন ফর্ম পূরণ করেছেন ds-160 ইন্টারভিউ দেয়ার আগে ভিসা অফিসারের সামনে আপনাকে খুব ভালোভাবে প্রেজেন্ট করতে হবে।

এমন কোন প্রশ্ন করবে না কারণ অনেকে অভিজ্ঞ অনেকের অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পারলাম আপনাকে প্রশ্ন করার আগে আপনাকে বলবে আপনি কোন ভাষায় ইন্টারভিউ দেবেন বাংলা না ইংলিশ। যদি আপনি ইংলিশে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইংলিশে ইন্টারভিউ দিতে পারেন আর যদি ইংলিশ না পারেন তাহলে বাংলায় দিতে পারবেন।

প্রথম কথা হল আপনি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ইন্টারভিউ হলে ঘাবড়ে যাবেন না কারণ তারা আপনার উপস্থিত লক্ষ্য করবে। আপনি ঘাবড়ে যাচ্ছেন কিনা তারপরে আপনাকে চেক করবে। আপনার পোশাক আশাক এবং স্মার্টনেসকে চেক করবে। এসব বিষয়ে দেখে আপনি ঘাবড়ে গেলে সমস্যা হতে পারে। আপনাকে তারা প্রশ্ন করতে পারে আপনি কেন যাচ্ছেন কি কাজ আছে বা চাকরির উদ্দেশ্যে বা কাজের উদ্দেশ্যে আপনি তা সঠিক তথ্য দিয়ে দিবেন। ছোট্ট এই ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন।

যা যা প্রশ্ন করতে পারে


  • আপনি কেন আমেরিকায় যাবেন
  • এর আগে আপনি কখনো আমেরিকায় গিয়েছেন কিনা
  • আপনার আমেরিকায় যাওয়ার খরচ কে দিবে
  • আপনার আমেরিকায় যাওয়ার স্পন্সর কে তিনি কি করেন ইনকাম কত তার
  • আপনি আমেরিকায় গিয়ে কোথায় থাকবেন হোটেলে না অন্য কোথায়
  • আপনার সাথে কে কে যাবে
  • আপনি কখন বা কবে ফিরে আসবেন
  • আপনি আমেরিকাতে কতদিন থাকবেন
  • আপনি আমেরিকা যাওয়ার পরে ফিরে আসবেন তার গ্যারান্টি কি


এসব ধরনের প্রশ্ন সাধারণত করে থাকে না গিয়ে সঠিকভাবে উত্তর দিতে হবে

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা লাগে

সাধারণত আমেরিকা যেতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আপনার ভিসার উপরে আপনি  কোন ভিসার ওপরে আমেরিকায় যাবেন । শুধুমাত্র আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার পর থেকে বাংলাদেশী টাকায় আপনার খরচ পড়বে ১৯ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা আমেরিকার ১৬০ ডলার পর্যন্ত হবে। তবে এটি শুধু আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন পর্যন্ত এরপরে প্লেন বা টিকিটের খরচ আলাদা। 

বর্তমানে এখন ২০২৫ সাল ভিসার ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয় ও পারিবারিক টুরিস্ট ভিসার জন্য নূন্যতম। অনলাইনে আবেদন ফি ৩২৫ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৮ হাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আপনি যদি কাজের ভিসায় আবেদন করেন তাহলে তার ফ্রি পড়বে ৩৪৫ ডলার যা বাংলাদেশ 40000 থেকে 47 হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও আমেরিকার বেশ কিছু ভিসার গঠন রয়েছে যা আপনার ভিসার ওপর নির্ভর করে খরচ হবে।

 আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আমেরিকায় কাজের ভিসার জন্য অনেকে  খুঁজছেন। আমেরিকা ও কাজের ভিসা অতটা সহজ না যতটা টুরিস্ট ভিসা আবেদন ক্ষেত্রে সহজ ২০২৪ সালে।

আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে আগে আমেরিকার কোন কোম্পানি থেকে কাজের অফার আসতে হবে। সেই অফার গুলো তাদের কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে গণ্য পূরণের জন্য সার্কুলার দিয়ে থাকেন। সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি যদি কোন ফর্ম পূরণ করে থাকেন তাহলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার পেতে পারেন।

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে আগে কাজের জন্য অফার নিয়ে আসতে হবে। সেই অফার তারা গ্রহণ করলে বা পারমিশন করে তারপর আমেরিকার প্রাথমিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি এখন আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে যুক্তরাজ্যের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সাধারণত ৫ থেকে ৬ বছরের জন্য হয়ে থাকে। এরপর চাইলে আপনি তিন বছরের জন্য বাড়াতে পারেন। পারমিট ভিসা এক কোম্পানি জব সার্কুলার দিয়ে থাকেন সেখান থেকে আপনাকে জব সার্কুলারের ফ্রম পূরণ করে ভিসা লাগাতে হবে।

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যতটুকু সম্ভব মনে হয় ততটুকুও না। কারণ এসব সার্কুলার ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের যতজন লোক লাগে তার থেকে বেশি এপ্লাই করে থাকে।  যার কারণে সম্ভাবনা খুব কম হয়ে যায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে এই নিয়মগুলো মেনে নেবেন অন্যথায় আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন না। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ভিসার দাম কত

আপনি যদি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন বা স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করেন এগুলোর ভিসার একেক রকম দাম হয়ে থাকে। আমরা নিচে এক এক ভিসার ধরন এবং দাম সম্পর্কে বলার চেষ্টা করছি।

মেডিকেল ভিসা

মেডিকেল ভিসাকে সাধারণত যে ওয়ান ভিসা বলে থাকে এর দাম হচ্ছে ১৯০ ডলার যা বাংলাদেশে ২৩৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কে এফ ওয়ান ভিসা বলে থাকে সাধারণত আমেরিকায় এর দাম হচ্ছে ১৬০ ডলার যা বাংলা টাকায় ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হবে।

 স্টুডেন্ট ভিসা

স্টুডেন্ট ভিসাকে এফ ওয়ান ভিসা বলে থাকে ডলারে এর দাম আসে ১৬০ ডলার বাংলাদেশি টাকায় এর দাম হচ্ছে ১৯ হাজার টাকা।

টুরিস্ট ভিসা

টুরিস্ট ভিসাকে বিওয়ান বা বি টু ভিসা বলে থাকে এর দাম হচ্ছে আমেরিকার ১৬০ ডলার যা বাংলায় উনিশ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।

আমেরিকা ভিসা পারস্পারিক ফি

আমেরিকা পারস্পারিক ভিসা হলো নির্দিষ্ট কোন দেশের নাগরিকদের তাদের অনুমোদিত পাওয়ার আগে ফ্রি দিতে হয় এবং ভিসা জারি করার আগে এটার পরিশোধ করতে হয়। যখন অন্য কোন দেশ একই বিষয়  বা অনুরোধ করি কিছু পরিমানে ফি  দিতে হয়। সমস্ত ভিসা পারস্পরিক ভিসা থেকে নাই পারস্পরিক ফি হলো সরকারি নীতির উপর ভিত্তি করে।

অর্থাৎ যদি কোন বিদেশি সরকার নাগরিকদের কাছ থেকে কোন নির্দিষ্ট ধরনের ভিসার জন্য আবেদন  করে এই দেশের নাগরিকদের জন্য অর্থাৎ আমেরিকার নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট একটি একই ধরনের ভিসার চার্জ করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ যদি একজন আমেরিকান নাগরিক তিন থেকে ভিজিটর ভিসা পেতে অতিরিক্ত তবে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান ভিসা চাওয়া হীন নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করে।

আপনি যদি এপয়েন্টমেন্ট এর মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন তাহলে মার্কিন ভিসার অফিসার আপনাকে একটি ইস্যু ফি প্রয়োজনীয় কিনা তা পরামর্শ দেবে। আপনি যদি এটা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন  আপনার আবেদন মার্কিন অফিসার আপনাকে মেইলের মাধ্যমে জানাবে। যে আপনাকে একটি সুখী প্রদান করতে হবে আমেরিকার পাসপোর্ট কারীদের জন্য শুধুমাত্র একটি পারস্পরিক ইস্যুতি আছে এটি হলো    এল- টু অথবা ই - টু।

এই ফি গুলো যদি নিম্নলিখিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে তাহলে এই ফি নেওয়া হয় না যেমন....
  • জাতিসংঘের কর্মীদের সদস্য এবং তাদের পরিবার
  • জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হচ্ছে
  • মার্কিন সরকার এবং তাদের স্ত্রী এবং তাদের কোন সন্তান দ্বারা স্পন্সর করা হয়েছে একটি প্রোগ্রামের অংশ
  • দাতব্য ভ্রমণ উদ্দেশ্য
এসব বিষয়ে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন আইনজীবীর সাথে কথা বলেন এবং একটি পারস্পরিক ফি দিতে হবে কিনা তা খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে আপনার মার্কিন কনসিলেন্ট ক্রেডিট কার্ড বা নগদ অর্থ প্রদান করতে পারেন। এসব বিষয়ে আপনি ভিসা অফিসে গিয়ে কথা বলতে পারেন।

আমেরিকান স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

কোন সন্দেহ ছাড়াই পড়াশোনা করার জন্য আমেরিকার বিশ্বের সেরা দেশ বলে জানা যায়। কারণ বিশ্বের টপ ইউনিভার্সিটি গুলো বেশির ভাগই আমেরিকায় অবস্থিত। তাই প্রতিবছর বহু মেধাবী  শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে থাকেন।

আমেরিকা-টুরিস্ট-ভিসা-খরচ-২০২৪


 আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে তা জানা উচিত যেমন..

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা অবশ্যই জরুরী
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • আমেরিকায় যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে যাবেন সেই বিদ্যালয়ের ভর্তির লেটার
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট থাকা লাগবে
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ
  • আমেরিকায় থাকা খাওয়া-দাওয়া টিউশন কি এবং অন্যান্য খরচ বহন করার মত আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণ দিতে হবে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা স্কলারশিপ
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • স্টুডেন্টদের নিজস্ব চরিত্র চারিত্রিক সনদপত্র
উপরে উল্লেখিত যতগুলো ডকুমেন্টের নাম বলা হয়েছে সমস্ত কিছু ভিসা এজেন্সিতে জমা দিতে হবে। তবে প্রয়োজনের সাপেক্ষে অন্যান্য আরো ডকুমেন্টস ও লাগতে পারে। তাই আমেরিকার এম্বাসিতে আগে থেকেই যোগাযোগ করে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। অথবা বাংলাদেশ এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

ভিশা প্রত্যাখান হলে কি করবেন

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার আবেদন করার জন্য আপনি যে ফর্ম পূরণ করবেন সেই ফর্মে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি  ভুল মুক্ত ফর্ম। আবেদনপত্র পূরণ করার সময় কোনো ভুল হওয়ার কারণে আপনি যদি আপনার আমেরিকার ভিসা প্রত্যাখান রশিদ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি সহজেই ১০ দিনের মধ্যে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন। 

আবেদন ফর্মটি পূরণ করার সময় ভালোভাবে পড়ে পূরণ করতে হবে। যাতে কোন ভুল না হয় কোন কারণবশত যদি ভুল হয়ে যায় নির্দিষ্ট কোন ভিসা অফিসে গিয়ে কথা বলতে হবে।


আমেরিকার ভিসা অনলাইনের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করার কারণটি অন্য কোন নির্দিষ্ট কারণে অস্বীকার করে থাকে তাহলে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহ্য ভিসার জন্য নতুনভাবে আবেদন করতে হবে।

তাহলে পুনরায় দশ দিনের মধ্যে আপনি নতুন করে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।


আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার শেষ কথা

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার খরচ এর কথা বলতে গিয়ে আমরা অনেক কিছুই তুলে ধরেছি। যেমন টুরিস্ট ভিসার দাম কত আমেরিকা যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে আরও বিভিন্ন দিক আমরা এই আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। আমার মতে আর্টিকেল যদি আপনি পুরোটা পড়েন তাহলে আমেরিকার ভিসার সম্পর্কে আপনার আর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। তারপরও যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে আমার এই আর্টিকেলের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন যাতে আপনাকে আরো ভালোভাবে বলতে পারি।

ভালো থাকবেন ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে এতক্ষণ থাকার জন্য। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url