ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
আজকে আমার এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ও প্রতিদিন সাপ্তাহিক ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম-কানুন এর কথা বলবো।এগুলো নিয়ম করে ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকবে এবং ফর্সা ও উজ্জ্বল হবে।
আমরা সবাই আমাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে থাকি। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করি। ঘরোয়া উপায়ে আমরা ব্যবহার করে থাকি অনেক উপাদান সেগুলোর মধ্যে লেবুর রস, দুধ, হলুদ গুঁড়ো, মধু, চিনি, চালের গুড়ো, টমেটো রস ইত্যাদি। ত্বকে মুখে লাগানোর জন্য আরো বেশ কিছু উপাদানের কথা এই আর্টিকেল এর মধ্যে বলা হয়েছে তাই শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সম্পর্কে
- ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
- ত্বকের যত্ন ও তৈলাক্তের ঘরোয়া উপায়
- সাপ্তাহিক ও প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘরোয়া উপায়
- ঘুমানোর আগে ত্বক বা মুখের যত্ন
- ত্বকের যত্ন নেওয়ার টিপ সমূহ
- যেসব খাবার খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়
- গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ছয়টি ঘরোয়া উপায়
- কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া টিপস
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পাঠকের শেষ কথা
ত্বকের উজ্জ্বলাতা বৃদ্ধি সম্পর্কে
আমাদের সকলেরই ইচ্ছা থাকে যে আমাদের মুখ উজ্জ্বল ও ফর্সা থাকুক সেজন্য আমরা
বাড়িতে বিভিন্ন রকম ধরনের অপকরণ দিয়ে অনেক ফেসপ্যাক তৈরি করে আমাদের মুখে
ব্যবহার করে থাকি। এতে করে আমাদের মুখ ফর্সা হয় উজ্জ্বল হয়। মুখের কালো দাগ সব
দূর হয় মুখ নরম কমল হয়। মুখের অতিরিক্ত তেল ভাব থাকলে তা দূর হয়ে যায়। মুখের
মরা কোষ এবং লোমে জমে থাকা ময়লা দূর করার জন্য আমরা লেবুর রস
হলুদ গুরা শসার রস মধু টমেটো রস অ্যালোভেরা দুধের সর আরো কয়েকটি প্রাকৃতিক
উপাদান ব্যবহার করে থাকি। এগুলো আমরা পরিমাণ মতো নিয়ে পেস্ট করে
ত্বকের জন্য ক্রিম বানিয়ে থাকি যাতে করে এ সকল কিছু মুখে লাগানোর পর মুখের ত্বক
উজ্জ্বল হতে থাকে।
এগুলোর সাথে আমরা আরো কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে থাকি সেগুলো দিয়ে
আমরা পরিমাণ মত করে পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহের দুই দিন বা তিন দিন অনেক আবার
কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করা যায়। আমাদের
মধ্যে অনেকে আবার আছেন বিভিন্ন ধরনের লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করে ত্বককে উজ্জ্বল ও
ভালো রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও আমাদের তক ভালো রাখার জন্য ত্বকের
যত্ন নেয়া এবং ত্বককে মসৃণ রাখার জন্য বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে। অন্যদিকে
শারীরিক পরিশ্রমের ফলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় আবার রাতে ঘুম ভালো পরিমানে
হতে হবে এবং প্রায় নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকলে ত্বক ভালো থাকে।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করি তা কিভাবে ব্যবহার
করতে হবে কতটুকু ব্যবহার করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
লেবু ও মধুঃ আমাদের ত্বক ফর্সা এবং মসৃণ রাখার জন্য ভিটামিন সি
এর প্রয়োজন হয়। লেবু আমাদের ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে এবং মধু ত্বককে নরম
কোমল করতে সাহায্য করে। ত্বক ফর্সা ও মসৃণ রাখার জন্য লেবু ও মধু
দিয়ে একটি পেস্ট বানানো যায়। যেমন একটি কাপে মধু ৪ চামচ এবং দুটি লেবুর রস
ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি হলে এটা আপনার
ত্বকে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট পর্যন্ত রাখতে হবে এবং তারপরে হালকা কুসুম গরম
পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে যদি আপনি সপ্তাহে তিনবার লাগান তাহলে
আপনার ত্বক ফর্সা এবং নরম হতে থাকবে।
চালের গুড়াঃ চালের গুড়াতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং
এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই ও ফেরুলিক এসিড থাকে। যা আপনাদের ত্বকের আদ্রতা
ধরে রাখতে খুবই সাহায্য করবে। এই পেস্টি বানাতে হলে আপনাকে প্রথমে কাঁচা চাল
ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। বাটা হয়ে গেলে এটি ভালোভাবে শুকিয়ে পাউডার করে নিতে
হবে যাতে এর সাথে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। সকল কাজ শেষ হলে এই পেসটি
বানানোর পর আপনি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। লাগানোর পরে অন্তত 30 মিনিট রাখতে হবে
এরপর এটি যখন শুকিয়ে যাবে তারপরে ভালো পানি দিয়ে এটি ধুয়ে ফেলবেন এটা আমরা
সপ্তাহের দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারব ।
অ্যালোভেরাঃ ত্বক ফর্সা করার জন্য বাজারে এলোভেরা পাওয়া যায় অথবা
এলোভেরা জেল বা ক্রিম পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করতে পারি। অ্যালোভেরা জেল আমরা
পুরো গায়ে লাগাতে পারি এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখার পরে এটা যদি আমরা পরিষ্কার
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি তাহলে দেখতে পাবো আগের তুলনায় এখন ত্বক অনেকটা ফর্সা হয়ে
গেছে। এটা যদি আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারি তাহলে ত্বক অনেকটা ফর্সা হয়ে
যাবে। ত্বকের সাথে সাথে যদি আমরা এলোভেরা অর্থাৎ এলোভেরা জেল পুরো শরীরে লাগাই
তাহলে এটা পুরো শরীরে ভালোভাবে ফর্সা এবং মসৃণ করে তুলবে।
বেসনঃ বেসন আমাদের প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা ভাব আনতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।
এটা আমাদের ত্বকের কালো দাগ থাকলে সেটা দূর করতে সাহায্য করে। বেসন ইটোর মত
কাজ করতে থাকে এই পেসটি যদি আমরা বানাতে চায় তাহলে আমাদেরকে নিতে হবে ভেসন
পাঁচ চামচ এবং এর সাথে গুরু হলুদ এক চামচ ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে।
এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই
পেসটি আমরা প্রতিদিন গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারি।
লেবুঃ আমাদের নগুলো আমাদের ভেতর থেকে ফর্সা করতে সাহায্য করে। ত্বকে
লেবুর রস লাগানোর পরে সূর্যের আলো থেকেত্বককে ফর্সা রাখার জন্য আমরা লেবুর রস
ব্যবহার করতে পারি কারণ লেবুর রস এ থাকা ব্লিচিং উপাদা দূরে থাকতে হবে অর্থাৎ
লেবু রস ত্বকে লাগানোর পর ঘরের মধ্যেই থাকা উচিত। লেবুর রস তকে লাগানোর পর অল্প
কিছু সময় অপেক্ষা করে তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে আমাদের
ত্বক পরিষ্কার এবং আগের তুলনায় ফর্সা দেখাবে। ত্বকে যতরকম মৃত কোষ রয়েছে তা দূর
হয়ে যাবে।
ওটমিল এবং টমেটোঃ টমেটো এবং ওট মিল এই দুটিকে একসাথে করে একটি পেস্ট
বানিয়ে নিতে হবে। পেস্ট বানানো হয়ে গেলে এটা ত্বকের ওপর লাগাতে হবে এবং এটা
অল্প কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দেখা যাবে আমাদের
ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ত্বকের মৃত কোষগুলো মরে যাবে। টমেটো এবং ওট মিল পেসটি
বানিয়ে রোদে গেলেও কোন সমস্যা হবে না আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
হলুদঃ হলুদের গুঁড়া এবং এর সাথে লেবুর রস দিয়ে আমরা ঘরে বসেই একটি
পেস্ট বানিয়ে ফেলতে পারি। তবে এই পেসটি বানানোর পর ত্বকের উপর ১৫ মিনিট লাগিয়ে
রাখতে হবে এতে ত্বকের বিভিন্ন রকম রোগ অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য। করে ১৫
মিনিট পর একটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারবেন।
গোলাপজলঃ আমরা আমাদের ত্বককে ফর্সা করার জন্য এবং ত্বকের ডার্কনেস
দূর করার জন্য মধুর রস ব্যবহারও করতে পারি। এটা আমরা রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন
লাগিয়ে রাখতে পারি এবং সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবো তখন হালকা গরম পানি দিয়ে এটা
ধুয়ে ফেলবো। এটা যদি আমরা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নিয়ম করে করতে পারি তাহলে
ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কমলালেবুঃ একটি কমলা লেবুর রসের সাথে অল্প কিছু হলুদের গুঁড়া
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আমাদের ত্বকে লাগাতে হবে। এটাও আমরা রাতে ব্যবহার করতে
পারি তারপর সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে আমরা যদি প্রতিদিন
করতে পারি তাহলে ত্বকের জন্য আমরা অনেক উপকার পাবো।
এছাড়াও আমরা ঘরোয়া উপায়ে আরো বিভিন্ন রকম উপাদান দিয়ে আমাদের ত্বকে যন্ত নিতে
পারি। যেমন বাড়িতে থাকা আলোর খোসা পাকা কলা আখরোট এবং পালং শাক এগুলো দিয়েও
পেস্ট বানিয়ে তকের চর্চা করতে পারবো। আবার বাজারে থাকা বিভিন্ন রকম ক্রিম
ব্যবহার করেও ত্বক ফর্সা করতে পারব।
ত্বকের যত্ন ও তৈলাক্তের ঘরোয়া উপায়
ত্বকে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে অতি সহজে ত্বক নষ্ট হয়ে যায় তখন ত্বককে কালো
এবং অমসৃণ দেখা যায়। আপনার মুখে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে প্রতিদিন ভালোভাবে
সাবান দিয়ে দুইবার মুখ ধুতে হবে। যেসব সাবান গুলো বেশি ক্ষারণীয় সেগুলো আর
ব্যবহার করা যাবে না। সেসব সাবানগুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের মৃদু
ক্ষারীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে যার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন মিম যুক্ত
সাবান ।
লেবু ও ডিমের সাদা অংশঃ যে সকল ফলে সাইদ্রাস ফল থাকে সেগুলো খেতে হবে যেমন
লেবু। লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের মুখের তৈলাক্ত ভাব শোষণ করে নিতে পারে। লেবুর রস
এক চামচ পরিমাণ এবং তার সাথে যদি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগাতে
পারেন তাহলে মুখের মসৃণ ভাব গড়ে তোলে এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করে ফেলে। এই পেসটি
লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে যদি
আপনি কিছুদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে এবং অনেক উপকার
পাবেন।
মধুঃ মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে আমাদের মুখে মধু ব্যবহার করতে পারি। মুখে
মধু লাগানোর পরে মুখ কমল এবং নরম হয়। মুখে মধু লাগানোর 20 মিনিট পরে কুসুম গরম
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে অন্তত তিন দিন করার পর রেজাল্ট আপনি পেয়ে
যাবেন আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পারছেন।
অ্যালোভেরাঃ এলোভেরা লাগানোর পরে বোঝা যায় যে এটি কি কাজ করে। এলোভেরা
লাগানোর কারণ হলো মুখ তেলতেলে ভাব এনে দেয় মুখে মসৃণ ভাব এনে দেয়। আমরা যদি
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরার রস বা জেল ব্যবহার করে সারারাত মুখে
লাগিয়ে রাখতে পারি তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলার পরে ত্বকের যত তৈলাক্ত
ভাব আছে দূর হয়ে যাবে এবং আপনাকে আগের তুলনায় অনেকটা ফর্সা দেখাবে।
কাজুবাদামঃ কাজু বাদামের নাম অনেকেই হয়তো শুনেছেন অনেকে হয়তো বা
চেনেন। এই কাজুবাদাম বেটে নেয়ার পরে এর সাথে দুই চামচ কাঁচা মধু এবং গুড়োবাদাম
একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এর কিছুক্ষণ পরে যখন এটা শুকিয়ে যাবে তখন এটি
উষ্ণ পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা যদি আপনি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ত্বকের
মরা কোষ যতগুলো থাকবে আস্তে আস্তে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আশা করি এ সকল
বিষয়গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
টমেটোঃ আপনি যদি একটি টমেটো ভালোভাবে রস করে তার সাথে এক চামচ চিনি
মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগাতে পারেন অর্থাৎ মুখে ভালোভাবে মেসেজ করতে পারেন। এই
টমেটোর রস লাগানোর পরে পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে দিতে হবে। এটি পাঁচ থেকে সাত
মিনিটের মধ্যে শুকিয়ে যাবে তখন কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে
হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আমাদের মুখের তেল ভাব দূর হয়ে যাবে এবং জমে
থাকা সকল ময়লা গুলো কেটে যাবে।
এছাড়াও আমাদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য কাদামাটি এবং রুটিন
পেপার ব্যবহার করতে পারি। এতে করে মুখের যত অতিরিক্ত তেল ভাব রয়েছে তা দূর হয়ে
যাবে এবং আমাদের মুখে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলবে। মুখে যদি কোন রকম রং থাকে
সেগুলো দূর হয়ে যাবে।
সাপ্তাহিক ও প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন
আমরা যদি প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নিতে চাই তাহলে আমাদের কে কয়েকটি ধাপে ধাপে কাজ
করতে হবে। এসব কাজগুলো করলে আমাদের ত্বকের যত্ন প্রতিদিন নিতে পারব। প্রতিদিন
সকালবেলা আমরা যখন ঘুম থেকে উঠি তখন ভালোভাবে ফেসওয়াশ দ্বারা মুখ ধুয়ে ফেলতে
হবে। যদি ঘুম থেকে ওঠার পরে কোন কারনে বাহিরে যেতে হয় তাহলে বাহির থেকে আসার পরে
ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ফেসওয়াশ যদি না থাকে তাহলে সাধারণ সাবান দিয়েও
ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলা যায়। এটা যদি আমরা নিয়ম ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের
মুখের ময়লা দূর হয়ে যাবে। সাবান ছাড়া এখন আমরা অনেক ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার
করে থাকি যেমন পন্ডস ফেসওয়াস হিমালয় ফেসওয়াস নিম ফেসওয়াশ। এছাড়াও আরো অনেক
ধরনের ফেসওয়াশ রয়েছে যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে পারি।
আরো অনেক কোম্পানির ফেসওয়াশ আছে সেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। এতে করে আমাদের
মুখে যদি ব্রণ থাকে তা দূর হয়ে যাবে এবং মুখের আদ্রতা ফিরে আসবে। আমাদের মধ্যে
কারো মুখে যদি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে বারবার সাবান ব্যবহার করা যাবে না তখন
দিনে একবার ব্যবহার করতে হবে। দিনে আমরা যতবারই মুখ সাবান দিয়ে মুখ ধুই না কেন
তা তোয়ালে দ্বারা মুখ চিপে মুছে ফেলতে হবে। এরপর যদি আমরা কোন রকম টোনার ব্যবহার
করে থাকি তাহলে ভালো হয়। এটা ব্যবহার করলে আমাদের মুখের যতই তৈলাক্ত ভাব থাকে তা
দূর হয়ে যায় এবং মুখের লোমের গোড়ায় ময়লা জমে থাকলে তা পরিষ্কার হয়ে
যায়।
তারপর আমরা বিভিন্ন ধরনের মশ্চারাইস ক্রিম ব্যবহার করতে পারি। আমরা ফেস মার্ক ও
ব্যবহার করতে পারি বাজারে এরকম বিভিন্ন ধরনের ফেসমাক্স পাওয়া যায় এগুলোও
আমরা ব্যবহার করতে পারি। এখন বর্তমানে রাত্রে ঘুমানোর আগে বিভিন্ন রকম নাইট ক্রিম
পাওয়া যায় এগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। এগুলো ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বক
উজ্জ্বল হবে নরম হবে মুখের আদ্রতা আসবে ব্রন দূর হবে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে
যাবে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং ত্বককে ফর্সা করে। এটা যদি আমরা ৭ দিন
ব্যবহার করতে পারি তাহলে ত্বক আগে তুলনায় অনেকটা মসৃণ হয়ে যাবে। এগুলো ব্যবহার
করার জন্য আমাদেরকে একটি নিয়মমাফিক তালিকা তৈরি করে নিতে হবে।
আপনি কোন দিন কি কাজ করবেন তার একটি তালিকা করে নিবেন অর্থাৎ এগুলো তালিকা করা
যায় না তারপরেও আনুমানিকভাবে তালিকা করে নিবেন। তাহলে একদিন পরপর আপনি আপনার
ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। শনিবারের দিন যদি আপনি ত্বকের যত্ম নেয়ার জন্য আলুর
খোসা বেটে নেন তাহলে রবিবারের জন্য লেবুর রস ও মধু লাগাতে পারেন। সোমবার দিন
হলুদের গুঁড়ো বেসন দিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এভাবে আপনি যদি সপ্তাহের একটি
রুটিন করে নেন তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। এতে করে আপনার
তক সুন্দর উজ্জ্বল হবে ব্রণের সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে তক ফর্সা হবে।
তারপরেও এগুলো নিয়মিত ভাবে আপনার ত্বকের উপর প্রভাব ফেলবে যার ফলে আপনার ত্বক
আগের তুলনায় আরো সুন্দর হয়ে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য ঘরোয়া উপায়
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য নিচের কাজগুলো করতে
পারেন।
লেবুর রসঃ আমাদের ত্বকে যদি অতিরিক্ত তেলের ভাব থাকে তা দূর করার জন্য
এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা অনেকেই লেবুর রস ব্যবহার করে থাকি।
লেবুর রস ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতার সাথে সাথে ত্বকের আর্দ্রতা
ও বৃদ্ধি পায়। লেবুর রস এক চামচ এবং তার সাথে যদি এক চামচ চিনি মিশিয়ে মুখে
ভালোভাবে মেসেজ করতে পারি তাহলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এটা লাগানোর পর
শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে।
মসুর ডালঃ মসুর ডাল ভিজিয়ে রেখে তারপর এটাকে বেটে মুখে লাগাতে হবে এটা
মুখে লাগানোর ফলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে আমার মতে
এটা মুখে লাগানো উচিত নয় কারণ এটা মুখে লাগানোর পরে যখন সুখাই যায় তখন মুখে
টান বা চাপা লাগতে পারে যাতে তখন আপনার মুখের অনেকটা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যার
কারণে মসুর ডাল ব্যবহার না করা ভালো।
কলাঃ মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা পাকা কলা ব্যবহার করতে পারি।
পাকা কলা প্রথমে চটকিয়ে নিতে হবে আমাদের তার সাথে সামান্য পরিমাণ দুধ মিশিয়ে
মাখোমাখো করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এটা ভালোভাবে মেশানোর পরে পেস্ট
আকার হয়ে যাবে তখন এটা আমরা মুখে লাগাতে পারবো। মুখে লাগানোর অল্প সময়ের
মধ্যে এটা তক্কে উজ্জ্বল করতে থাকবে।
মধুঃ আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়ার সময় অনেক খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে
ভুল কোন জিনিস তকে লাগিয়ে না ফেলি। ত্বকের জন্য মধুর সাথে আমরা দ ই পাকা
পেঁপে পাকা কলা লেবুর রস এবং দুধ ব্যবহার করতে পারি। এতে করে আমাদের ত্বকের সকল
আদ্রতা এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসতে শুরু করবে। আর এই সবগুলো একসাথে যখন মিশিয়ে
পেস্ট আকারে তৈরি করে মুখে লাগানো হয় তখন মুখের বিভিন্ন রকম আদ্রতার কাজ করে
ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতেও সাহায্য করে।
শসাঃ মুখের আর্দ্রতার জন্য আমরা শসার ব্যবহার করতে পারি। শসা
ব্যবহারের নিয়ম হলো শসা প্রথমে রস করে নিতে হবে শসার রস তিন চামচ এবং তার সাথে
লেবুর রস এক চামচ মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তাহলে আমাদের মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে
আসবে এবং তক কমল এবং মস্রিন হবে।
ঘুমানোর আগে তক বা মুখের যত্ন
প্রতিদিন আমরা রাতে ঘুমানোর আগে কিছুটা সময় বের করে নেব আমাদের ত্বকের যত্ন
নেওয়ার জন্য এতে করে আমাদের মুখের ধুলো ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার হবে মুখের
ত্বক ভালো রাখার জন্য ও উজ্জ্বল রাখার জন্য আরও অনেক সমস্যা থেকে আমরা দূরে
থাকতে পারবো প্রথমে রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে ফেসওয়াশ
দ্বারা মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে বিশেষ করে মেয়েরা যদি মেকআপ করে থাকে
তাহলে তা ধুয়ে ফেলতে হবে কারণ এটা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে
পারে
প্রতিনিয়ত ঘুমের আগে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করলে সারাদিনের যত মুখের ময়লা
আসে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং মুখ নরম ও কোমল হবে তারপরে আমরা যদি
কোনরকম মশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি তা লাগিয়ে ঘুমাইতে যেতে
পারি বর্তমান সময়ে বাজারে অনেক নাইট ক্রিম আছে এগুলো ঘুমের আগে ব্যবহার
করে ঘুমাতে পারি এগুলো যদি আমরা প্রতিনিয়ত করতে পারি তাহলে আমাদের মুখের ব্রণ
থাকলে তা দূর হয়ে যাবে এবং মুখের নরম ভাব এবং আর্দ্রতা ফিরে আসবে
তবে আরেকটি বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বিছানা চাদর এবং বালিশের কাভারটা
যেন পরিষ্কার থাকে যদি সেটা পরিষ্কার না থাকে তাহলে সেগুলোর ময়লা আমাদের মুখের
ত্বক নষ্ট করতে পারে এটা থেকে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হতে পারে তাহলে আমাদের
বিছানার চাদর বালিশের কাভার সহ আরো অন্যান্য কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
রাখতে হবে
এভাবে যদি আমরা রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের মুখের যত্ন নিতে পারি তাহলে আমাদের
ত্বকের আর্দ্রতা এবং ত্বককে সুন্দর মসৃণ করতে সাহায্য করবে
ত্বকের যত্ন নেওয়ার টিপস সমূহ
আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের ঘরে থাকা সামান্য কয়েকটি উপকরণ
দিয়েই বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারি। সেগুলো নিয়মাফিক ব্যবহার
করলে আমাদের ত্বক ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।
যেমন আমরা ব্যবহার করতে পারি লেবুর রস তার সাথে আমরা ব্যবহার করতে পারি মধু,
চিনি, টমেটো রস, বেসন এর সাথে হলুদ গুঁড়ো, দুধের সর , আখরোট, শসার রস,
এলোভেরা, মাটি, পাকা কলা ও পাকা পেঁপে এসব জিনিস আমরা ঘরোয়া ভাবেই ব্যবহার করে
থাকি। এসব জিনিস ব্যবহার করার ফলে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে এছাড়াও
আরো কয়েকটি জিনিস আমরা ঘরোয়া ভাবেই ব্যবহার করতে পারি তকের যত্ন নেওয়ার
জন্য।
এগুলো বিভিন্ন মাত্রায় এবং পরিমাণের ব্যবহার করতে হলে আমাদের ত্বকের
উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এছাড়া মুখের অতিরিক্ত তেলের ভাব থাকলেও দূর হয়ে যাবে
মুখে যদি আগে থেকে ব্রণ বের হয়ে থাকে তাও আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। এছাড়া
আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ এবং কালো ছোপ যদি থাকে তাও দূর হয়ে যাবে মুখে লেগে
থাকা ময়লা দূর করতেও সাহায্য করে। এসব ব্যবহারের ফলে মুখ নরম ও কোমল হয় এবং
অবশেষে ফর্সা হয়। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭
থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে
এবং নিয়োমাফিক ব্যায়াম করতে হবে হাঁটতে হবে ভালো খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার
খেতে হবে। এছাড়া আমাদের নিয়ম করে প্রতিদিন শরীর এবং ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
প্রতিদিন মুখ ভালোভাবে ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে ধুতে হবে। সাবান
ব্যবহারকারীদের ক্ষারনিয় সাবান ব্যবহার করা যাবে না। মশ্চারাইজার ক্রিম বা নাইট
ক্রিম রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধুয়ে ভালোভাবে লাগাতে হবে। এভাবে যদি আমরা নিয়ম
করে প্রতিদিন এক একটি কাজ করে থাকি তাহলে আমাদের ত্বকের যত্ন নেয়া হবে এবং
আমাদের ত্বক সুন্দর ও ভালো থাকবে।
যেসব খাবার খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়
ত্বকে উজ্জ্বল চকচকে ভাব এবং নিখুঁত ত্বক কে চায় না। তকের বিষয়ে সচেতন হলে
সু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তবেই নিজের আসল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা যায়।
নিজের আসল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে নিজেকে সু অভ্যাসে গড়ে তুলতে হবে ভেতর
থেকে। নিজের আসল সুন্দর্য হল সুস্থ ও সুন্দর ত্বক সুন্দর ও সুস্থ ত্বক এবং
আপনার মুখে যদি চমৎকার ভাবে হাসি থাকে ব্যাস তাহলেই ফুটে উঠবে আপনার নিজের আসল
সৌন্দর্য।
স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের নিজের ত্বকের পরিবর্তন অতি সহজেই
করতে পারবেন। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাবার আপনাদের তকে একজিমা অর্থাৎ এক ধরনের
সমস্যাও সৃষ্টি করে। তাহলে কেমন খাবার খাওয়া উচিত চলুন জেনে নেই
- স্বাস্থ্যকর তেল অলিভ অয়েল তেল নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে।
-
টমেটোতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট কোষ এই কোস্টি ত্বক ভালো ও নিরাময় রাখতে
সাহায্য করে। টমেটোতে অনেক উপাদান রয়েছে অর্থাৎ টমেটো স্ট্রবেরি তে থাকা
ভিটামিন গুলো ত্বক সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে।
-
নিয়মিত পানি খেলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে দেহের মধ্যে থাকা দূষিত
পদার্থগুলো খুব সহজেই পানি খাওয়ার ফলে প্রভাবিত হয়। অন্তত দিনে দুই থেকে
তিন লিটার পানি খাওয়া উচিত।
-
লেবু জাতীয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। কারণ
এতে আছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন কে হাই
রেটেড রাখে আর ন্যাচারালি স্কিন সুন্দর করে তোলে।
-
আপনি যদি তকের যত্ন নিতে চান শসার কথা কল্পনা করলে চোখে ভাসে। শসার স্লাইস
আর মুখে ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক ভালো ও মসৃণ থাকে কেননা এতে আসে কলিং
ইফেক্ট যা তকে এক প্রশান্তি এনে দেয়। শুধুমাত্র ফেসপ্যাক নয় আপনি যদি
প্রতিনিয়ত শসা খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন কারণ শসাতে প্রচুর পরিমাণ
ভিটামিন সি রয়েছে।
-
তকে যদি আপনি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চান তাহলে আপনার প্রতিদিনের
খাবারে মাছ রাখতে হবে এবং ত্রিপাঠি এসিড সমৃদ্ধ মাছ ত্বকের আদ্রতা
প্রাকৃতিকভাবে ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং তক সুন্দর রাখতে সাহায্য
করে।
-
ফল হিসাবে কলা তক ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। কলা
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এর পাশাপাশি তকের মলিন ভাবো দূর করতে সাহায্য করে।
কারণ কলাতে ভিটামিনএ রয়েছে এতে স্ক্রিনকে গ্লো করে ধরে রাখতে সাহায্য
করে।
-
টক দই স্কিনের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করে দেয়। যেমন স্কিনকে গড়ে
তোলে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় টক দই কম চোরবি থাকে এবং এটা ভিটামিন এর চাহিদা
পূরণ করে এটা দেহের সুষম ও পুষ্টির বন্টন নিশ্চিত করে।
-
শরীরকে নিঃসন্দেহে একটি দারুণ ডিটক্স করার জন্য গ্রিন টি একটি ন্যাচারাল
উপাদান। কারণ এতে রয়েছে ন্যাচারাল এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ইসকীনকে ক্ষতিকারক
রেডিকেল থেকে সুরক্ষা দেয় এছাড়া স্কিনের উপর ডার্ক স্পট কমাতে সাহায্য
করে।
-
গাজরে আছে অনেক পরিমাণ ভিটামিন ক্যারোটিন যা স্কিনের উপরের লেয়ার কোষের
বৃদ্ধি করে এবং স্কিন সেলস কে প্রমোট করতে সাহায্য করে এই গাজর। কারণ গাজরে
আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেটা ড্যামেজ রিস্টোর করতে সাহায্য করে
-
স্কিনের জন্য দারুন উপকারী হল বাদাম কারণ বাদামে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন ই যা স্কিনের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং গুরুত্ব পূর্ণ বাদাম
খেলে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে অর্থাৎ প্রয়োজনীয় শুষ্কভাবে কমিয়ে
ফেলে।
-
পালং শাক যা একটি সবুজ সবজি যার উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না
স্কিনের জন্য খুবই বেনিফিট একটি সবজি। কারণ এতে আছে ভিটামিন এ ই
স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং পুষ্টি উপাদানগুলো স্টিলের
তরুণত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ছয়টি ঘরোয়া উপায়
গরমকাল মানে হলো রোদের তীব্রতা এই তীব্রতায় আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে
হারিয়ে যায় এবং ত্বককে শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ করে তোলে। তাই এই সময় আমাদের
বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অন্যান্য সময় ত্বকের যেমন
যত্ন নেই তার থেকেও বেশি গরমকালে নিতে হয়। গরমকালে বেশি ঘামের
কারণে ্ ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা জমে যায় এবং ধুলোবালি আটকে যাওয়ার ফলে
নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে
গরমের সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কি কি করা প্রয়োজন।
গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ঘরোয়া উপায়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারেন যেমন
হলুদ ও অ্যালোভেরাঃ হলুদ ও অ্যালোভেরা জেল এর ফেসপ্যাক বানাতে যা যা
প্রয়োজন হয় এলোভেরা জেল এক চামচ হলদের গোড়া দুই চামচ দুধের সর বা দুধ এগুলো
একত্রে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি আপনার মুখের উপর লাগাতে হবে ২০
থেকে ৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে আপনার ত্বকের
ভালো কাজ করবে।
এলোভেরাতে ৯৮% পানি হওয়ায় গরমের সময় খুব ভালো কাজ করে। কারণ এতে আছে এন্টি
ব্যাকটেরিয়া এই মাক্সটি ব্যবহার করলে চোখের চারপাশের কালো দাগ ব্রনের দাগ বয়সের
ছাপ দূর হয়ে যাবে এবং সাথে সাথে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
মাটির ফেসপ্যাকঃ মুলটানি মাটির ফেসপ্যাক বানাতে যা যা লাগবে মুলতানি মাটির
সঙ্গে দুই চামচ টমেটো রস এক চামচ চন্দনের গোড়া এক চামচ হলুদের গুড়া ভালোভাবে
মিশিয়ে নিতে হবে। এটি বানানো হয়ে গেলে আপনি এটা মুখের ওপর লাগিয়ে দিতে
পারেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরে শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে
হবে। এটি ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর হতে সাহায্য করে হলুদের
গোড়া এবং চন্দনের গুড়া ত্বকের যত কালো দাগ আছে দূর করে ফেলে এবং ত্বককে উজ্জ্বল
করে তোলে।
টমেটো ও ব্রাইটিং মাক্সঃ টমেটো ও ব্রাইটিং মার্কস ফেসপ্যাক বানাতে আপনার
লাগবে একটি টমেটো এক চামচ স্কিন রাইটিং মার্কস দুই ফোঁটা লেবুর রস সবগুলো দিয়ে
ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করতে হবে। এটি বানানোর পরে আপনি আপনার মুখে লাগাতে পারেন
১০ থেকে ১২ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে এটি ঠান্ডা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। গরমে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আপনি এই প্যাকটি সাপ্তাহে দুই দিন লাগাতে
পারেন।
ব্রাইটিং মাক্সঃ গরমে উজ্জ্বলতা বারানোর জন্য ব্রাইটিং মার্কস বানাতে
আপনার হলুদ ও বেসনের দরকার পড়বে। এতে এক থেকে দুই চামচ হলুদের গুড়া চার চামচ
বেসন দুধ অথবা পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করতে হবে। এটি মুখে লাগানোর 10
থেকে 15 মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে গরমে এটি লাগানোর ফলে রেডিক্যাল থেকে রক্ষা
করে। কারণ হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা ক্ষতিকারক রৌদ্রের
রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
শশা ও টক দইঃ শসা ও টক দই দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায় এটি বানানোর জন্য এক
পিস ছোট শসা ভালোভাবে কুচি করে নিতে হবে তিন চামচ টক দই দিয়ে ভালোভাবে মিশে মুখে
লাগাতে হবে। গরমের সময় ত্বককে এই জিনিসটি ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
লাগানোর পর ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই ধুয়ে ফেলতে পারবেন এই ফর্মুলাটি তকে লাগানোর
ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিস্পান দ্বারা রোদে পোড়া দাগ দূর করে এবং ত্বকে নরম ও
কমল করে তোলে।
দুধ ও বেসন ফেসপ্যাকঃ দুধ ও বেসন দিয়ে ফেসপ্যাক বানালে দুই চামচ দুধ এক
চামচ মধু ও এক চামচ বেসন দিয়ে সবগুলো একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। পেক
তৈরি করার পর মুখে লাগানোর পরে ২০ মিনিট পড়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি
ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি দরকার হবে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার ফলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা পাশাপাশি ত্বকের যে সকল
কালো দাগ রয়েছে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে। এটি আপনি চাইলে সপ্তাহে দুই থেকে
তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া টিপস
প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে সুন্দর রাখতে চায়। কারন বেশিরভাগ মানুষই সৌন্দর্যকে
ভালোবাসে। কেউই এর ব্যতিক্রম হয় না ঠিক তেমনি মানুষের ক্ষেত্রেও সৌন্দর্যের
বিষয়টি বেশি প্রযোজ্য। আমরা সবচাইতে বেশি সুন্দর চেহারার মানুষকেই প্রাধান্য
দিয়ে থাকি এবং পছন্দ করে থাকে। তাই আজকে আমরা জানবো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে নিজেকে
কালো থেকে ফর্সা করতে পারবেন।
আলু নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না সবজি হিসেবে সব বাড়িতে আলু খাওয়া হয়।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে এই আলুর মধ্যে মানুষকে ফর্সা করার জন্য কতটুকু গুণ
রয়েছে। সাধারণত এই আলুর মধ্যে ত্বক ফর্সা করার জন্য নানারকম গুনাগুন রয়েছে।
প্রথমে আপনাকে কয়েকটি আলো ভালো দেখে বেছে নিতে হবে তারপর সে আলো গুলোকে ভালোভাবে
পানি দিয়ে পরিষ্কার করে বটি দ্বারা ছোট ছোট পিস করে নিতে হবে। তারপর সে
আলুগুলোকে মিহি করে পেস্ট করে নিতে হবে। আলুর পেস্ত তৈরি করার সাথে সাথে তার
মধ্যে এক চামচ চিনি দুই চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই তিনটি জিনিস
একত্রে ভালোভাবে মেশানোর ফলে একটি প্যাক তৈরি হবে। এখন এই প্যাকটি আপনি আপনার
ত্বকে ব্যবহার করুন এভাবে দুইদিন পর পর এই আলুর প্যাকটি আপনার শরীরে ব্যবহার করলে
আপনার পুরো শরীরকে ফর্সা করে তুলবে।
কমলালেবু চিনে না এমন কোন মানুষ নেই। আমরা সবাই কমলালেবুর সাথে অনেক আগে থেকেই
পরিচিত হয়ে রয়েছি। আমাদের মধ্যে তেমন কেউই জানে না যে এই কমলা লেবুতে ত্বক
ফর্সা করার কতগুলো গুনাগুন রয়েছে। কমলালেবু প্রাকৃতিকভাবে অবিশ্বাস্যকারী ফর্সা
করার গুণ রয়েছে। কমলালেবু নিয়মিত খেলেও আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে পাশাপাশি আপনি
যদি কমলার খোসা যেটা আমরা ফেলে দেই সেই খোসা ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে তার পেস্ট তৈরি
করে ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের কালো দাগ আস্তে আস্তে উঠে গিয়ে ফরসাই
পরিণত হবে।
তক এবং শরীর ফর্সা করার সবচেয়ে বেশি কার্যকারী হলো মূলদানি মাটি। আপনি
চাইলে মুলদানি মাটি সংগ্রহ করে তার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মাখতে
পারেন। মূলদানি মাটি এবং গোলাপজল আপনার ত্বকে মাখলে ত্বক ভেতর থেকে
স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে এবং আপনার ত্বকের কালো দাগ ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও ফর্সা
হয়ে উঠবে।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনি যদি প্রতিনিয়ত ফলো করতে থাকেন তাহলে একসময় শুধু তক
নয় পুরো শরির ফর্সা করতে পারবেন। তবে একেবারে ফর্সা হবে তা না ন্যাচারাল ফর্সা
তে পরিণত হবে। আপনি চাইলে এগুলো প্রতিনিয়ত নিয়মমাফিক ব্যবহার করতে পারেন আশা
করি বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে পুরো শরীর ফর্সা করার উপায়
কমল ও মসৃণ তক আমাদের কারনা ভালো লাগে। সকলের উজ্জ্বল দাগ মুক্ত ত্বক ভালো লাগে।
অনিয়মিত জীবন যাপন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার জন্য আমাদের ত্বকে নানা রকমের
সমস্যা দেখা দিতে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেকে কাজের চাপে অথবা সময়ের অভাবে
আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারি না তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব ঘরোয়া
উপায়ে পুরো শরীরকে কিভাবে ফর্সা করবেন।
- আপনি যদি অল্প সময়ে তক উজ্জ্বল করতে চান তাহলে কলা আপনার জন্য বেস্ট একটি প্যাকেজ হবে। কলার সাথে চার চামচ দুধ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে পেস্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায় তাহলে অনেক ভাল কাজ করবে।
-
মধু হলো প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং
উজ্জ্বলতাকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মধু ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে এবং
স্কিনকে ভালো রাখে। তবে সবার স্ক্রিনে মধু শুট করে না যাদের অয়েলি স্কিন আছে
তারা মধু থেকে বিরত থাকবেন।
-
পাতিলেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিসিং হিসেবে অনেকে ব্যবহার করেন। এই পাতি লেবু
ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কে বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে। কিন্তু সরাসরি লেবুর রস তকে লাগাবেন না। সরাসরি তকে
লাগানোর ফলে তীব্র জ্বালা ভাব ও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি সরাসরি
লেবুর রস না লাগিয়ে লেবুর রসের সাথে দুই চামচ চিনি মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে
পারেন। চিনিগুলো গলে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন লেবুর রস লাগানোর ফলে ভালো কোন
ক্রিম দিয়ে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
পুরো শরীরকে ফর্সা রাখার জন্য আপনাকে প্রথম অবস্থায় পুরো শরীরের যত্ন নিতে
হবে। সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে মানুষ অনেক কাজের মধ্যে থাকে যার ফলে তাদের শরীরের
পরিচর্যা করতে পারে না এতে শরীরের শুষ্কতা নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীরক উজ্জ্বলতার
বৃদ্ধি হারিয়ে ফেলে।
আপনি যদি এই প্রক্রিয়াগুলো ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে আপনার পুরো শরীর ফর্সা
হয়ে যাবে। একেবারে ফর্সা হবে তা কিন্তু না আগের তুলনায় অনেকটা ব্যতিক্রম দেখা
যাবে। নিয়মিত শরীরের পরিচর্যা করলে শরীর স্বাস্থ্য সবকিছুই ভালো থাকে।
ঘরোয়া ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলাতে বাড়াতে পাঠকের শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আমার মতে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন যে ঘরোয়া
ভাবে ত্বক উজ্জ্বল করতে কি কি প্রয়োজন বা কিভাবে করতে হয়। আশা করছি উপরের সকল
বিষয়গুলো নিয়ম ভাবে মেনে চললে আপনার উপকার হবে। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ পুরো
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে নিশ্চয়ই আপনাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার
করতে পারেন যাতে তারাও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। এরকম
বিষয়ে আরো ভালো এবং শিক্ষনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url