বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে - সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এই প্রশ্ন প্রায় সকলেই জানতে চান। বাহরাইন দেশটি হলো মধ্যপ্রাচ্যের একটি ছোট দেশ এবং উন্নত দেশ। বাংলাদেশিরা এখানে কাজের সুযোগ নিরাপত্তা এবং আধুনিক জীবন যাপনের কারণে আসে।
যারা ভাবছেন বাহারাইন যেতে কত টাকা লাগে তাদের জন্য খরচ ভিসা এবং চাকরির তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা সব বিষয়ে সহজভাবে বিস্তারিতভাবে জানাবো যাতে প্রবাসীরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃ বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে
- বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে
- বাহরাইন দেশটি কেমন
- বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে 2025
- বাহারাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে
- বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায়
- বর্তমানে বাহরাইন ভিসা খোলা না বন্ধ
- বাহরাইন ফ্যামিলি ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
- বাহরাইন এক টাকা বাংলাদেশের কত
- বাহরাইন ভিসা কি বাংলাদেশীদের জন্য চালু আছে
- বাহরাইন ড্রাইভার এর বেতন কত
- বাহরাইন যেতে কতদিন লাগে
- বাহরাইন দেশটিতে কোন কাজে চাহিদা বেশি
- বাহরাইন যাওয়ার প্রস্তুতি ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- বাহারাইন যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
- লেখকের শেষ মন্তব্য
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে
বাহরাইন একটি জনপ্রিয় নাম হল বাংলাদেশের শ্রম বাজারে এবং প্রবাসীদের কাছে। ছোট্ট
একটি দেশ হলেও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র বলে জানা যায়। অনেকেই কাজের
জন্য অনেকে আবার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সেখানে যেতে চান। তবে যে প্রশ্নটি সবথেকে বেশি
মাথায় ঘোরাফেরা করে তা হলো বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে। এ প্রশ্নের উত্তর এককভাবে
বলা সম্ভব নয়। কারণ খরচ নির্ভর করে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ভিসার ধরন, টিকিট,
মেডিকেল রিপোর্ট, এজেন্সি চার্জ ইত্যাদি এসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব বাহারাইন
দেশটি সম্পর্কে। সেখানে যেতে কত খরচ হয়, ভিসা পাওয়ার নিয়ম, বেতন, ফ্যামিলি
ভিসা এবং বাংলাদেশী মুদ্রার সাথে এর মান কেমন। পুরো লেখাটি পড়লে আশা করি আপনার
সব প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কারভাবে পেয়ে যাবেন।তাহলে চলুন প্রথমে আসা যাক আসল
প্রশ্নের উপর। সাধারণত বাহারাইন যেতে একজন বাংলাদেশের মোট খরচ হয় ৮০ হাজার থেকে
এক লক্ষ 50 হাজার টাকার মত।
এই টাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে ভিসা ফি, মেডিকেল টেস্টের খরচ, ট্রাভেল এজেন্সির
চার্জ, এয়ার টিকিট এবং কিছু অন্যান্য খরচ। যেমন ইন্সুরেন্স বা সার্ভিস চার্জ
খরচের পার্থক্য হয় আপনার ভিসা ধরনের ওপর এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তার
ওপর। নিজ উদ্যোগে গেলে খরচ তুলনামূলক বেশি হবে। তাই অনেকেই জানতে চান আসলে
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এবং কোন উপায় গেলে খরচ কমানো সম্ভব। সত্যি বলতে ভুয়া
এজেন্সি থেকে বিরত থেকে অনুমোদিত এজেন্সি বেছে নিলে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত টাকা
খরচ এড়ানো যায়।
বাহরাইন দেশটি কেমন
আমাদের মধ্যে অল্প কিছু মানুষ জানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে একটি ছোট রাষ্ট্র হল
বাহরাইন যা অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। এই দেশের আয়তন কম হলেও আধুনিক
অবকাঠামো কর্সংস্থান এবং নিরাপত্তার কারণে এটি প্রবাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ।
রাজধানি মানামা একটি আধুনিক শহর যেখানে রয়েছে সুউচ্চ ভবন, আন্তর্জাতিক মানের
হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমল। দেশের জনসংখ্যা মাত্র কয়েক মিলিয়ন আর
তার বেশির ভাগই প্রবাসী কর্মী।তাই এখানে বহুজাতিক সংস্কৃতির সমন্বয় লক্ষ্য করা
যায়। আবহাওয়ার দিক থেকে বাহরাইন সাধারণত গরম ও শুষ্ক।
মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তীব্র গরম পরে আর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
কিছুটা ঠান্ডা থাকে। বাংলাদেশ থেকে যারা যান তারা আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে
পারেন। তবে গ্রীষ্মকাল সময়ে এই দেশটিতে এয়ারকন্ডিশন ছাড়া থাকা খুবই কষ্টকর।
জীবনযাত্রার খরচটি তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও এখানকার আয়ের সাথে সমানভাবে মিলিয়ে
যায়। এখানে নিরাপত্তা খুব ভালো অপরাধের হার অনেক কম। ধর্মের দিক থেকে এটি মুসলিম
দেশ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাংস্কৃতিকভাবে খাপ খাওয়ানো সহজ হয়। সব মিলে
বাহারাইন একটি আধুনিক নিরাপদ এবং প্রবাসিবান্ধব দেশ হিসেবে বলা যায়।
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে 2025
২০২৫ সালে বাহরাইন যাওয়ার খরচ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক
বিমান ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ায় ভিসা প্রসেসিং ফি এবং এজেন্সি চার্জ বেশি হওয়ার কারণে
খরচ বেশি হচ্ছে। গরে একজন কর্মীর বাহারাইন যেতে মোটে খরচ দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ
থেকে ১ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এই খরচ নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন
অনুযায়ী এবং এজেন্সির চার্জ নিয়োগ করতে কোম্পানি কিছু খরচ বহন করছে কিনা তার
ওপর ভিত্তি করে। যদি আপনি কোন কোম্পানির কাজে যান তাহলে খরচ অনেকটা কমে
যাবে।
উদাহরণস্বরূপ কোম্পানি যদি বিমান টিকিট ও ভিসা খরচ বহন করে তাহলে আপনার নিজের খরচ
সীমাবদ্ধ থাকবে।শুধুমাত্র আপনার খরচ হবে মেডিকেল টেস্ট পাসপোর্ট ফি এবং এজেন্সি
সার্ভিসের জন্য যেটুকু খরচ বহন করা লাগে সেটুকু আপনাকে করতে হবে। এতে প্রায় ৫০
হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব। কিন্তু যদি আপনি
নিজ উদ্যোগে ভিসা কিনে যান তবে পুরো খরচ আপনাকে বহন করতে হবে যা সহজে ১ লক্ষ 30
হাজার টাকার বেশিও হতে পারে। এছাড়াও খরচের পরিমাণ এজেন্সি ভিত্তিতেও পরবর্তীতে
করা যায়।
কিছু এজেন্সি আছে তারা কম সার্ভিস চার্জ নিলেও অনেক এজেন্সি বেশি সার্ভিস চার্জ
নিয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় কম দামের লোভে দেখিয়ে পরে বাড়তি টাকা দাবি করে
দালালরা। তাই সর্বদা অনুমোদিত এবং অভিজ্ঞ এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নেওয়া
উচিত।আরেকটি বিষয় হলো আপনি কোন ধরনের ভিসায় যাচ্ছেন তার ওপর খরচ বেশি বা কম হতে
পারে। কারণ আপনি কোন ধরনের ভিসায় যাচ্ছেন তা দেখে আপনার খরচ নির্ভর করবে। আপনি
যদি ড্রাইভার শ্রমিক বা হোটেল করমির ভিসায় যান তাহলে খরচ সাধারণত অনেকটা কম
হয়।
কিন্তু টেকনিক্যাল বাইস্কেল ভিসার খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই খরচের
হিসাব নির্ভর করে কাজের ধরন ও ভিসার ক্যাটাগরির উপর। সবশেষে বলা যায় বাহরাইন
যেতে কত টাকা লাগে 2025 সালে তার উত্তর হল ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা
পর্যন্ত আপনার খরচ হতে পারে। তবে আপনি যদি কিছু সুবিধা পান অর্থাৎ নিয়োগকর্তা
সুবিধা পান তাহলে খরচ অর্ধেক কমে যেতে পারে। আর নিরাপদে যেতে হলে অনুমোদিত
এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে আমার জানামতে।
বাহরাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাহরাইন ভিসা পাওয়ার জন্য বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ ন্যূনতম বয়স ২১
বছর হতে হবে তাহলে আপনি যেতে পারবেন এই দেশটিতে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বয়স কম
হলেও চলে যেমন হাউসকিপার ওয়েটার বা হোটেল কর্মী হিসেবে আবেদন করলে ন্যূনতম
বয়স 18 বছর হলেই চলে। ১৮ বছর থাকলে আপনি বাহরাইনের ভিসা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে
ড্রাইভার বা টেকনিক্যাল কাজের জন্য বয়সসীমা সাধারণত ২৩ থেকে ২৫ বছর লাগে।
বেশিরভাগ সময় আপনার বয়সের ওপরেই ভিসার অনুমোদন নির্ভর করবে। যদি বয়স কম হয়
তবে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হবে।
আবার বয়স বেশি হলে বিশেষ কিছু পদ ছাড়া ভিসা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যাবে। অনেক
কোম্পানি তরুণ এবং কর্মক্ষম ব্যক্তিকে বেশি পছন্দ করে। তাই যারা দীর্ঘসময়ের
জন্য বাহরাইন যেতে চান তাদের জন্য বয়সীমা মেনে আবেদন করা খুবই জরুরী।এছাড়া
বয়স শুধু ভিসা অনুমদনের জন্যই নয় বরং কাজের ধরন ও কোম্পানির চাহিদার সঙ্গে
মিলিয়ে হিসাব করা হয়। এই দেশটিতে কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা থাকলেও বয়স সীমার
বাইরে হলে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া খুবই
জরুরী।
আপনার বয়স কোম্পানি নির্ধারিত সীমার মধ্যে আছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিয়ে
আবেদন করতে হবে। অন্যদিকে ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রেও বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যামিলি নিয়ে যেতে গেলে প্রার্থীর বয়স কাজের ধরনের এবং মাসিক আয়ের প্রমাণ
দেখাতে হয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাহরাইনে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।সব
মিলিয়ে বলা যায় যারা ভাবছেন বাহরাইন যেতে কত বছর বয়স লাগে তাদের জন্য সাধারণ
নিয়ম হলো 21 বছর থেকে শুরু করে যেতে পারবে। তবে কাজের ধরন এবং ভিসার ধরন
অনুযায়ী এটি পরিবর্তন হতে পারে। তাই সকল কিছু করার আগে অবশ্যই পরামর্শ নিয়ে
করা উচিত।
বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায়
বাহরাইন ভিসা পাওয়ার জন্য সঠিক প্রক্রিয়া জানা সবচেয়ে জরুরী। বাংলাদেশ থেকে
সরাসরি বাহরাইন যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে অনুমোদিত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে
হবে। কারণ সরকারিভাবে অনুমোদন ছাড়া কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে প্রতারণা শিকার
হতে পারেন। প্রতারণার শিকার এর ঝুঁকি অনেকটা বেশি থাকে। সর্বপ্রথম আপনি যদি
ভিসা পেতে চান তাহলে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। সেই পাসপোর্ট এর
মেয়াদ অন্তত ছয় মাসের বেশি থাকা লাগবে। এরপর এজেন্সি বা কোম্পানির মাধ্যমে
আপনাকে চাকরির অফার লেটার জমা দিতে হবে।
সেই অফার লেটারের ভিত্তিতে বাহরাইন ভিসা প্রসেস করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়
মেডিকেল টেস্ট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং BMET{বিউর আব ম্যান পাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট
এন্ড ট্রেনিং} এটি থেকে আপনার প্লেয়ারেন্সটি নেওয়া খুবই জরুরী। চাকরির ভিসা
ছাড়াও বাহারাইনের ভ্রমণ ভিসার ফ্যামিলি ভিসা বা বিজনেস ভিসা অনেক সুযোগ
রয়েছে। তবে কাজের উদ্দেশ্যে গেলে অবশ্যই ওয়ার্ক ভিসা নিতে হবে। সাধারণত
কোম্পানি চাহিদা অনুযায়ী ড্রাইভার, শ্রমিক, হোটেল কর্মী, ইলেকট্রিশিয়ান,
প্লাম্বার বা টেকনিক্যাল পদের জন্য ভিসা ইস্যু করা হয়।
আবেদন করার সময় সব কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট কপি ছবি মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে
হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সব সময় ভিসার সত্যতা যাচাই করতে হবে।
বাহরাইন সরকারের অনলাইন প্লাটফর্মে ভিসার স্ট্যাটাস চেক করার সুযোগ রয়েছে। এতে
আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ভিসা আসল নাকি নকল। সব মিলিইয়ে বলা যায় যারা
ভাবছেন বাহরাইন ভিসা পাওয়ার উপায় কি তাদের জন্য সহজ উত্তর হল বৈধ পাসপোর্ট
মেডিকেল টেস্ট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এজেন্সির মাধ্যমে অফার লেটার এবং সরকারি
নিয়ম মেনে আবেদন করা। সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চললে বাহরাইন ভিসা পাওয়া কঠিন
কিছু নাই অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।
বাহরাইন ভিসা খোলা না বন্ধ
অনেকে জানতে চান বর্তমান সময়ে বাহরাইনের ভিসা খোলা আছে নাকি বন্ধ আছে। আসলে
বাহারাইন সরকার ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে
থাকে। কখনো শ্রম বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ভিসা খোলা থাকে আবার কখনো অতিরিক্ত
শ্রমিক প্রবেশ করলে কিছু সময়ের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে
নির্মাণ কাজ বা সাধারণ শ্রমিক ভিসার সবচেয়ে চাহিদার উপর নির্ভর করে। ২০২৫
সালের শুরুতে বাহরাইন ভিসা বাংলাদেশদের জন্য আংশিক ভাবে খোলা রয়েছে। অর্থাৎ সব
ধরনের ভিসা একসাথে খোলা নেই তবে শ্রমিক ড্রাইভার এবং টেকনিশিয়ান ভিসা পাওয়া
যাচ্ছে।
অন্যদিকে কিছু সেক্টরে যেমন ডোমেস্টিক হেলপার বা হাউসকিপার ভিসা অল্প
রয়েছে। বাহরাইন সরকার নিয়মিত তাদের নীতি আপডেট করে থাকে। তাই আজ যে ভিসা খোলা
আছে আগামী মাসের সেটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা সীমিত হয়ে যেতে পারে। আবার
অন্য কোনো সেক্টরের নতুন করে ভিসা চালু হতে পারে। এজন্য ভিসা নেওয়ার আগে
সর্বশেষ সরকারি ঘোষণা যাচাই করে ভিসার আবেদন করা অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশ
সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বি এম ই টি ওয়েবসাইট থেকেও নিয়মিত
খবর জানা যায়।
অনেক সময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যায় ভিসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলে
ভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা তখন খোলা থাকে। যারা জানতে চান বাহারাইনের ভিসা খোলা না
বন্ধ তাদের জন্য উত্তর হলো বর্তমান বাহরাইনের ভিসার খোলা আছে। তবে সব সেক্টরের
সমানভাবে খোলা নেই কিছু সেক্টরে শ্রমিক ও ড্রাইভার এর চাহিদা বেশি থাকার জন্য
এইগুলো ভিসা খোলা আছে। তবে সব ক্যাটাগরির ভিসা তুলনামূলক সহজে পাওয়া যাচ্ছে।
বাহারাইন ফ্যামিলি ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
বাহরাইনে কাজ করা অনেক প্রবাসী আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে তাদের পরিবারকে সঙ্গে
নিয়ে যেতে চান।এজন্য ফ্যামিলি ভিসা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তবে সবসময় ফ্যামিলি ভিসা খোলা থাকে না। কারণ বাহরাইন সরকার তাদের নীতি
অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে পরপর এটি চালু বা সীমিত করে রাখে। ২০২৫ সালের হিসেবে
ফ্যামিলি ভিসা আংশিক ভাবে খোলা আছে। মানে হল যাদের বৈধ রেসিডেন্স পারমিট আছে
এবং যাদের মাসিক আয় সেই দেশের নির্দিষ্ট সিমার বেশি আছে তারা তাদের স্ত্রী ও
সন্তানকে নিয়ে যেতে পারবেন।
সাধারণত ন্যূনতম মাসিক ২৫০ থেকে ৩০০ বাহরাইনি দিনার bd হলে তারা তাদের
ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে বাহরাইন দেশটিতে ফ্যামিলি ভিসার
ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি নিয়ম মেনে চলতে হয়। আবেদন করার সময় বৈধ বাসার
চুক্তিপত্র কর্মস্থলে প্রমাণপত্র এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্ত্রী সন্তানের
পাসপোর্ট কপি এবং মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে হয়। অনেক সময় কোম্পানি থেকেও
কনফার্মেশন লেটার দিতে হয় যাতে উল্লেখ থাকে যে কর্মের চাকরি স্থায়ী এবং বেতন
নির্দিষ্ট সীমার উপরে। যারা জানতে চান বাহারাইন ফ্যামিলি ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
সালে তাদের জন্য সুখবর হলো বছরের প্রথম দিক থেকে এটি ধীরে ধীরে খোলা শুরু
হয়েছে।
তবে সবার জন্য একসাথে খোলা নেই বরং ধাপে ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আপনি
যদি ফ্যামিলি ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অনেক আগে থেকেই কাগজপত্র প্রস্তুত
রাখতে হবে। বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে সকল কিছুই জানতে পারবেন। সব মিলিয়ে
ধারণা করা যায় এবং বলা যায় ২০২৫ সালে বাহরাইনের ফ্যামিলি ভিসা পুরোপুরি বন্ধ
নয় বরং যারা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে পারবে তাদের জন্য খোলা আছে। তাই
প্রবাসীরা চাইলে এখনি পরিবারের জন্য আবেদন করতে পারেন।
বাহারাইনের ১ টাকা বাংলাদেশের কত
বিদেশে কাজ করতে যাওয়া বা টাকা পাঠানোর আগে সবার মাথায় প্রথম যে প্রশ্ন আসে
তা হল সেই দেশের মুদ্রার মান বাংলাদেশী টাকার সাথে কেমন। বাহরাইনের মুদ্রা হলো
বাহরাইনী দিনার। এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে একটি। এজন্য
বাংলাদেশে থেকে যারা বাহরাইন যান তারা সাধারণত ভালো রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন।
2025 সালের হিসেবে এক বাহরাইনি দিনার সমান প্রায় ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে প্রতিদিনই এই রেট কিছুটা পরিবর্তন হয়। কারণ এটি আন্তর্জাতিক ডলার রেটের
উপর নির্ভর করে থাকে। তাই প্রবাসী টাকা পাঠানোর সময় মানি এক্সচেঞ্জ বা
ব্যাংকের রেট দেখে পাঠানো উচিত।
অনেকেই এক টাকা কথাটা ভুল করে বলেন। আসলে বাহরাইনের মুদ্রা হল দিনার যা ছোট
এককে ফিল্ড নামে ভাগ করা হয়। এক দিনার সমান ১০০০ফিলস। বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাব
করলে ১ ফিলস প্রায় ৩০ পয়সার সমান হয়। তাই বোঝা যায় বাহ্রাইনের টাকা
বাংলাদেশের টাকার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে যারা
বাহরাইন যেতে চান তারা মূলত উচ্চ আয়ের আশাতেই যান। কারণ সেখানে কাজ করে একজন
শ্রমিক মাসে যদি ১০০ থেকে ১৫০ দিরাম আয় করে তাহলে সেটি বাংলাদেশি টাকায় ৩০
হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত হয়।
আবার যারা প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ দিরাম ইনকাম করতে পারেন তারা বাংলাদেশি
টাকায় ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় করেন প্রতি মাসে। যারা জানতে চান
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে তারা অবশ্যই জেনে গেছেন। সব শেষে এটি বলা যায় যারা
জানতে চান বাহরাইন এক টাকা বাংলাদেশের কত তাদের জন্য উত্তর হল এক দিনার প্রায়
২৯০ থেকে ৩০০ টাকা সমান। তবে রেট প্রতিটা দিন কিছুটা উঠানামা করে। তাই হালনাগাদ
রেট জেনে টাকা লেনদেন করা সবচেয়ে ভালো হবে।
বাহরাইনের ভিসা কি বাংলাদেশীদের জন্য চালু আছে
অনেকেই ভাবেন যে বাহরাইনের ভিসা হয়তো বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ আছে। আসলে
বিষয়টা এমন নয়। বাহরাইন সরকার সবসময় শ্রমিক বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী
বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের ভিসা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশীরা দীর্ঘদিন ধরে বাহারাইনের
কাজ করছে এবং দেশটির উন্নয়নে অবদান রাখছে। এ কারণে বাহারাইন বাংলাদেশীদের জন্য
একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে বলা যায়।.২০২৫ সালের হিসেবে বাহরাইনের ভিসা
বাংলাদেশিদের জন্য চালু আছে। তবে সব ক্যাটাগরির ভিসা একসাথে চালু থাকে না। যেমন
শ্রমিক ভিসা ও ড্রাইভার ভিসার তুলনামূলক সহজে পাওয়া যায়।
অন্যদিকে ফ্যামিলি ভিসা ও কিছু বিশেষ ক্যাটাগরির ভিসায় কড়াকড়ি রয়েছে। যারা
জানতে চান বাহারাইন যেতে কত টাকা লাগে তারা এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পরতে থাকুন।
যারা এই বাহরাইন দেশটিতে যেতে চান তাদের জন্য অবশ্যই অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে
আবেদন করতে হবে। কারণ ভুয়া এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে
প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাংলাদেশ সরকার এবং বাহরাইন সরকার
উভয় নিয়মিত তাদের ওয়েবসাইটে ভিসা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। তাই
আপনি যদি বাহারাইন দেশটিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্টটি
যাচাই করে যাওয়া খুবই জরুরী।
বাহরাইন ভিসাটি বর্তমানে চালু থাকলে শ্রমিকদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মানা
বাধ্যতামূলক। যেমন সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং কোম্পানির অফার
লেটার এগুলো ছাড়া ভিসা অনুমোদন পাওয়া যায় না। সব মিলিয়ে বলা যায় যারা
বাহরাইন যেতে চান এবং বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এমনকি যারা বাহরাইনের
ভিসা কি বাংলাদেশীদের জন্য চালু আছে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উত্তর হল হ্যাঁ
বাংলাদেশীদের জন্য এই ভিসাটি চালু আছে। তবে এই ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু
ক্যাটাগরি ভেদে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই ভিসার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই
সর্বশেষ নিয়মকানুন জেনে নেওয়া খুবই জরুরী।
বাহারাইন ড্রাইভার এর বেতন কত
বাহরাইন শহরটিতে ড্রাইভার এর কাজের জন্য অনেক জনপ্রিয়। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই
ড্রাইভার পদে আবেদন করেন থাকে। কারন এটি তুলনামুলক সহজ এবং বেতন ভালো।
সাধারণভাবে একজন ড্রাইভার মাসে ১৫০ থেকে ২৫০ বাহরাইন দিনার আয় করতে পারেন।
বাংলাদেশী মুদ্রায় এটি দ্বারা প্রায় ৪০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত। বেতন
নির্ভর করে কোম্পানি অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরনের উপর। নতুন বা অল্প অভিজ্ঞ
ড্রাইভার মাসে ১৫০ দিরাম থেকে শুরু করতে পারে। অভিজ্ঞ এবং স্কিল ড্রাইভার যারা
আছেন তাদের বেতন ২০০ থেকে ২৫০ দিনারের মত হতে পারে। কিছু কোম্পানি বাসা বা
খাবারের সুবিধাও দিয়ে থাকে। এতে খরচ কম সঞ্চয় করার সুযোগ বেশি হয়।
ড্রাইভার দের মধ্যে ওভার টাইম বা অতিরিক্ত কাজের সুযোগ থাকলে আরও বাড়তি আয়
করা সম্ভব। এছাড়া যারা বড় কোম্পানি বা ব্যক্তিগত গাড়ি চালান তাদের বেতন আরো
বেশি হতে পারে। বাহরাইনে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করলে নিয়মিত বেতন এবং নিরাপদ
পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশের মধ্যে কমিউনিটি সমর্থন
থাকার কারণে নতুন যারা যান তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে বলা যায়
যারা জানতে চান বাহারাইন ড্রাইভার এর বেতন কত তাদের জন্য সহজ উত্তর হল করে ১৫০
থেকে ২৫০ দিনার পর্যন্ত। এবং যারা যান্তে চান বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে তারা
অবশ্যয় জেনে গেছেন। অভিজ্ঞতা ও কোম্পানির উপর নির্ভর করে আরো বেশি বেতন হতে
পারে।
বাহারাইন যেতে কতদিন লাগে
বাংলাদেশ থেকে বাহরাইন যাওয়ার সময় সবার প্রথমে মাথায় আসে ফ্লাইট কতক্ষণ লাগে
এবং পুরো প্রক্রিয়া কত দিনে শেষ হয়। সরাসরি বিমান হলে ফ্লাইটের সময় সাধারণত
৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে। তবে শুধু ফ্লাইটের সময় হিসাব করলে মোট সময় আসলে কম
দেখা যাবে। কারন ভিসা প্রসেসিং মেডিকেল টেস্ট এজেন্সির কাগজপত্র এবং টিকিট
বুকিং মিলিয়ে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে প্রায় .১ মাস থেকে দেড়
মাস। যদি কোম্পানি বা এজেন্সি স্পন্সার শিপ করে থাকে তাহলে প্রক্রিয়া অনেক
দ্রুত হয়ে যায়। সাধারণত মেডিকেল টেস্ট ও ডকুমেন্ট শেষ করলে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের
মধ্যে বাহরাইন পৌঁছানো সম্ভব হয়। তবে ভিসা প্রক্রিয়া নিজে থেকে করলে এবং
কাগজপত্র সম্পূর্ণ না থাকলে সময় আরো বেড়ে যেতে পারে।
টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে সময় তুলনামূলক কম লাগে। সে ক্ষেত্রে আবেদন থেকে টিকিট
পর্যন্ত প্রক্রিয়া প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তবে কাজের
ভিসা ও ফ্যামিলি ভিসার ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। কারণ সরকারি অনুমোদন কোম্পানি
লেটার এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট যাচাই করতে কিছুটা সময় লাগে। শেষে বলা যায় যারা
জানতে চেয়েছেন বাহারাইন যেতে কতদিন লাগে তাদের জন্য হলো ফ্ইলাটের সময় মাত্র
কয়েক ঘন্টা হলো পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজন হয় এক মাস থেকে দেড়
মাস। প্রস্তুত থাকলে এবং ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকলে সময় আরো কমে যেতে পারে।
বাহারাইন দেশটিতে কোন কাজে চাহিদা বেশি
বাহারাইন দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কিছু কাজের চাহিদা
বিশেষভাবে অনেক বেশি হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ড্রাইভার, নির্মাণ
শ্রমিক, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এর কর্মী, হাউস কিপার, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান ও
টেকনিক্যাল স্টাফ। বাংলাদেশি প্রবাসীরা এই সেক্টরের সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়ে
থাকেন। ড্রাইভার পদে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে কারণ ব্যক্তিগত গাড়ি ট্যাক্সি ও
কোম্পানির গাড়ি চালানোর জন্য অভিজ্ঞ ড্রাইভার দরকার হয়। নতুন অভিজ্ঞতা থাকলেও
কোম্পানির প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ দিয়ে থাকেন তারা।
নির্মাণ সেক্টর অন্তত চাহিদা সম্পন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কাঠামো ফিটিং মিস্ত্রি ও
সাধারণ শ্রমিক নিয়োগ খুব বেশি হয়। এই সেক্টরটিতে এখানে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের
শ্রমিক প্রয়োজন হয়। হোটেল রেস্টুরেন্ট ও হাউসকিপিং সেক্টরেও বাংলাদেশের জন্য
একটি বড় সুযোগ। রিসেপশনিস্ট ওয়েটার বুক হাউসকিপার ও হেলপার পদে প্রায়ই লোক
নিয়োগ দেওয়া হয়। ইলেকট্রিশিয়ান প্লাম্বার মেকারনিক টেকনিশিয়ান এগুলো চাহিদা
অনেক অনেক বেশি। কারণ বাহারাইনে আধুনিক নগরায়নের দেশ তাই এসব দক্ষতা তাদের জন্য
খুবই জরুরী।
যারা ভাবছেন বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এবং সেখানে কোন চাকরি পেতে পারেন তাদের
জন্য বোঝা দরকার ড্রাইভার নির্মাণ শ্রমিক ও হোটেল হাউসকিপিং সেক্টরের কাজের
চাহিদার সব থেকে বেশি থাকে। এই সেক্টরে প্রাথমিক যোগ্যতা থাকলে সহজে চাকরি পাওয়া
যায়। তাই আপনি যদি বাহারাইন দেশটিতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই বাহরাইন যেতে কত টাকা
লাগে সকল কিছু এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিলাম। আশা করি উপরোক্ত
বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন।
বাহারাইন যাওয়ার প্রস্তুতি ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস
বাহারাইন যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা খুবই জরুরী। প্রথমে আপনার
পাসপোর্ট বৈধ কিনা নিশ্চিত করতে হবে এবং মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের বেশি আছে কিনা
তা যাচাই করে নিতে হবে। এরপর ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করুন। চাকরির ভিসা ফ্যামিলি
ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা যেটি প্রযোজ্য অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে
প্রতারণার হাত থেকে নিরাপদে থাকা যায়। মেডিকেল পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে।
সাধারণত রক্তের পরীক্ষা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় । মেডিকেল
রিপোর্ট সঠিক না থাকলে সমস্যা হতে পারে।
যে কোন প্রকার কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট কপি ছবি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র সব ঠিকঠাক রাখতে হবে। বাহরাইনের নিয়ম কঠোর তাই কোন ভুল
তথ্য ভিশা বাতিলের কারণ হতে পারে। আর্থিক প্রস্তুতিও গুরুত্বপূর্ণ। বাগানে প্রথম
মাসে ভাড়া খাবার যাতায়াত খরচ ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা সঙ্গে রাখতে
হবে। এছাড়া বাংলাদেশের পরিবারের জন্য কিছু রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধা এবং ব্যাংক
একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া আগে থেকে জেনে রাখা উচিত। সাথে সাথে বাহরাইন যেতে কত
টাকা লাগে সে সম্পর্কেও জানা উচিৎ।
শেষে বাহরাইনের মানিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের আবহাওয়া সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা
বিষয়ে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম থাকে তাই হালকা কাপড়
সঙ্গে রাখা খুবই দরকার। ইসলামিক রীতিনীতি মেনে চলা হলে স্থানীয়দের সঙ্গে মানিয়ে
নেওয়া সহজ হয়। সবমিলিয়ে বলা যায় যারা ভাবছেন বাহারাইন যেতে কত টাকা লাগে এবং
সেখানে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায় তাদের জন্য সঠিক প্রস্তুতি হলো বৈধ কাগজপত্র
এবং আর্থিক পরিকল্পনা নেওয়া।
বাহারাইন যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র
বাহারাইন যাওয়ার আগে সব ধরনের কাগজপত্র ঠিকঠাক রাখা জরুরী। সবচেয়ে প্রথমে হলো
পাসপোর্ট নিশ্চিত করতে হবে। পাসপোর্ট মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের বেশি রাখতে হবে।
পাসপোর্ট সাইজ কপি ছবি এবং প্রয়োজনীয় সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। ভিসা আবেদন করার
সময় দরকার হয় কোম্পানির অফার লেটার বা এজেন্সি চিঠি মেডিকেল রিপোর্টও হাতে
রাখতে হবে। চিকিৎসকদের স্বাক্ষর ও স্ট্যান্ড থাকা খুবই জরুরী। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। অনেক সময় বাহরাইন সরকার আপনি অপরাধমুক্ত আছেন কিনা
তা যাচাই করে থাকেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
থাকলে চাকরির ভিসা পেতে সুবিধা হয়।
যদি ফ্যামিলি ভিসা নিতে চান তাহলে স্ত্রী ও সন্তানদের পাসপোর্ট জন্ম সনদ এবং
বিবাহ সনদপত্র জমা দিতে হয়। এছাড়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও মাসিক আয়ের প্রমাণ জমা
দিতে হবে। সব শেষে বলা যায় যারা ভাবছেন বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে এবং নিরাপদ
ভাবে কিভাবে যাবেন তাদের জন্য এই সমস্ত কাগজ ঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা সবচেয়ে
জরুরী। প্রস্তুতি থাকলে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজে হয়ে যায় এবং কোন ঝামেলা থাকে
না।
বাহরাইন যেতে কত টাকা লাগে লেখকের শেষ কথা
বাহারাইন যেতে চাইলে আগে সব প্রক্রিয়া এবং খরচ ভালোভাবে জানাটা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা খরচ বেতন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলে সমস্যার
মুখামুখি হতে পারেন। বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য বাহরাইন একটি নিরাপদ এবং
সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ দেশ। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নিলে সহজে এবং
নিরাপদে সেখানে যাওয়া সম্ভব হবে। সঠিক তথ্য বৈধ এজেন্সি এবং যথাযথ প্রস্তুতি
ছাড়া যাত্রা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যারা এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তাদের
জন্য সহজ এবং কার্যকর গাইড হিসেবে এটি কাজে লাগবে আশা করি।
আজকের এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার কোন উপকার হয় তাহলে পরিচিতদের কাছে শেয়ার
করবেন যাতে তারা পড়ে উপকারে আসে। আজকের এই আর্টিকেলে যদি কোন রকম ভুল থাকে তাহলে
শোধরানোর জন্য অবশ্যই অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url