গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম/ উপকারিতা,পরিমান,সতর্কতা ও রেসিপি
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এই ব্লগে। আজকের এই ব্লগে চিয়া সিড কিভাবে মায়ের ও শিশুর পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে তা জানতে পারবেন সহজ ভাষায়। এই ব্লগে পাওয়া যাবে ওমেগা-৩ ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিশ্লেষণ। চিয়া সিড কোন মাসে খাওয়া নিরাপদ কিভাবে খেতে হবে এবং কতটুকু পরিমাণে খাওয়া উচিত সব তথ্য একসাথে জানতে পারবেন।
আরও রয়েছে চিয়া সিড রেসিপি যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য কার্যকর এবং সুস্বাদু এবং রয়েছে সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ সহ উপযোগী খাওয়ার নিয়ম নিয়ে গাইডলাইন। যারা প্রকৃতভাবে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে চান তাদের জন্য আজকের এই ব্লগটি একদম উপযোগী। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
পেজ সুচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড কি এবং গর্ভাবস্থায় এর গুরুত্ব ও ভুমিকা
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের অসাধারণ পাঁচটি উপকারিতা
- চিয়া সিড সঠিক পরিমাণ খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার ঝুঁকি ও সর্তকতা
- চিয়া সিড কিভাবে প্রস্তুত করবেন
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার রেসিপি
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে চললে যে সুফল পাবেন
- ভুলা এরাতে চিয়া সিড খাওয়ার সময় যা যা জরুরী
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড ব্যবহার
- চিয়া সিড ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য একত্রিত করার উপায়
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম শেষ কথা
- লেখকের শেষ কথা
চিয়া সিড কি এবং গর্ভাবস্থায় এর গুরুত্ব ও ভূমিকা
চিয়া সিড হচ্ছে এক ধরনের ক্ষুদ্র আকৃতির বীজ যা সালভিয়া উদ্ভিদ থেকে
সংগ্রহ করা হয়। এটি মূলত মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে
পরিচিত। তবে এখন বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ও সচেতন মানুষেরা এটি খাদ্য তালিকায়
অন্তর্ভুক্ত করেছেন। চিয়াসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ওমেগা-. ফ্যাটি
অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব
উপাদান গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক ও সহজ
উপায় পুষ্টির অভাব দূর করতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড আদর্শ সমাধান।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড এর গুরুত্ব বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে
এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি
অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়তা করে থাকে। যার জীবনের প্রথম দিনে ও
পরবর্তী মেধাগত উন্নতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফাইবার পারসেন্ট প্রক্রিয়াকে
সহজ করে যা গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে সাধারণত দেখা দেয় এমন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
কমাতে সাহায্য করে । চিয়া সিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোকে
ফ্রি মেডিকেল থেকে রক্ষা করে যেটা গর্ভাবস্থায় মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়।
এসব কারণে বলা যায় গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম পালন
করাটা শুধু পুষ্টির ব্যাপার নয় এটি মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য এক
অপরিহার্য পদক্ষেপ।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের অসাধারণ পাঁচটি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড গ্রহণের মাধ্যমে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায়
তা খুব গভীর ও বিস্তৃত ।
- চিয়া সিডে থাকা উচ্চমানের ফাইবার পাচন প্রক্রিয়া মসৃণ করে যা কোষ্ঠকাঠিন্য গ্যাস বা বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মায়েরই পাকস্থলী নিয়ে সমস্যা থাকে যা দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং অস্বস্তি বাড়ায় এ সমস্যা থেকে বাঁচানোর জন্য ফাইবার অত্যন্ত জরুরী।
- চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা- 3 ফ্যাটি এসিড থাকে যা শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় ওমেগা-৩ এর অভাবে শিশুর স্নায়ুতন্ত্র বিকাশ ঘটাতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে যা ভবিষ্যতের শিক্ষাগত মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
- প্রোটিন মায়ের দেহের কোষ মেরামত ও নবায়নের সাহায্য করে যা গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিয়া সিড হলো প্রোটিনের ভালো উৎস যা মাইয়ের শক্তি বাড়ায় ও শিশুর সুস্থ বিকাশের ভূমিকা রাখে।
- ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উপস্থিতি গর্ভাবস্থায় হার ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মা ও শিশুর জন্য বিপদজনক হতে পারে যা হার দুর্বলতা ও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। চিয়া সিডে এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে যা ঘাটতি পূরণে অনেক সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এসব উপকারিতা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মানা উচিত।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের সঠিক পরিমাণ ও খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিডের সঠিক পরিমাণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি বেশি
খাওয়া যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গলা আটকে যাওয়া ডায়রিয়া ও পেট ফাঁপা হতে
পারে। সাধারণত গর্ভাবস্থায়ী দিনে এক থেকে দুই টেবিল চামচ চিয়া সিড গ্রহণ করা
নিরাপদ। নতুন যারা শুরু করেছেন তাদের জন্য প্রথমে কম পরিমাণ দিয়ে শুরু করে
ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ানো ভালো । চিয়া সিড ভিজিয়ে খাওয়াই
সবচেয়ে নিরাপদ এবং হজম করতে সহজ হয়। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানি দুধ বা
ফলের রস ব্যবহার করা হয় এই সময় ব্রিজগুলো জেলের মত মূল্যায়ন হয়ে যায়।
চিয়া সিড খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে যাতে বীজগুলো
খাদ্যনালীতে আটকে না যায়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। চিকিৎসকদের
নির্দেশনা অনুযায়ী খেলে গর্ভাবস্থায় চিয়াসিডের সুফল সর্বাধিক পাওয়া যায় এবং
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না। এছাড়া চিয়াসিডের সঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর
খাবার যেমন ফল দুধ শাকসবজি ও বাদাম একসাথে খাওয়া পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে
অনেক সাহায্য করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার সময় ঝুঁকি ও সতর্কতা
চিয়া সিড যদিও স্বাভাবিক অবস্থায় নিরাপদ তবুও গর্ভাবস্থায় কিছু
বিষয়ে মাথায় রাখা খুবই জরুরী। প্রথমত চিয়া সিড খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ
করলে পেটে গ্যাস ফাঁপা ডায়রিয়া বা বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই দৈনিক
গ্রহণের সময় খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়।
দ্বিতীয়ত চিয়া সিড পানিতে বা অন্যান্য তরল জাতীয় জিনিসে ভিজিয়ে না খেলে গলা বা খাদ্যনালীতে
আটকে যেতে পারে যা পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যাথার কারণ হতে পারে।
অতএব চিয়া সিড খাওয়ার সময় সর্বদা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
যাদের রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণের ইতিহাস আছে বা যাদের অ্যালার্জি রয়েছে
তাদের অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিড ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি গর্ব অবস্থায় যেকোনো নতুন খাদ্য গ্রহণের
আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
এই সতর্কতা গুলো মেনে চললে গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম নিরাপদ ও কার্যকর হয় এবং আপনার স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে রক্ষা
মুক্ত হয়।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড কিভাবে প্রস্তুত করবেন
চিয়া সিড খাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি হলো বীজগুলোকে ভালো করে ভিজিয়ে
নেওয়া। সাধারণত এক টেবিল চামচ চিয়া সিড 10 থেকে 15 মিনিট পর্যন্ত পানি দুধ
বা ফলের রসে ভিজিয়ে রাখতে হয়। ভিজিয়ে নিলে বীজগুলো জেলির মতো নরম মোলায়েম
হয়ে যায় যা হজম করতে সহজ হয়। আপনি চাইলে চিয়া সিড সরাসরি সালাডে দিতে পারেন অথবা স্মুদি ওটা মিল বা দইয়ের সঙ্গে মেশাতে
পারেন। বাজারে চিয়া সিট দিয়ে তৈরি নানা ধরনের পুষ্টিকর রেসিপি পাওয়া যায়
যা গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য।
সতর্কতা হিসেবে বলা যায় চিয়া সিড কখনো শুকনো অবস্থায় বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি গলা
ও খাদ্যনালীতে আটকে যেতে পারে। এর জন্য বীজগুলোকে ভিজিয়ে নেওয়া
বুদ্ধিমানের কাজ হবে। চিয়া সিডে রেসিপি যেমন ইসমুদী বা জেলি তৈরি করার সময় ভালো করে
ভিজিয়ে নেওয়ার জরুরী।
গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর চিয়া সিড রেসিপি
- চিয়া স্মুদিঃ দই কলা স্ট্রবেরি এবং এক টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া সিড ব্লেড করে পুষ্টিকর ও সুস্বাদ স্মুদি তৈরি করা যায়। এটি গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।
- চিয়া জেলিঃ এক কাপ ফলের রস বা জুসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ চিয়া সিড ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে এটা জেলির মত ঘন হয়ে যাবে এবং সহজে খাওয়া যাবে।
- স্যালাড টপিংঃ আপনার পছন্দের স্যালাডের উপরে চিয়া সিড ছড়িয়ে দিন তারপরে এটি খেলে পুষ্টি এবং স্বাদেও অনেক ভিন্নতা আসে।
-
ওটামিন ও দইয়ের সঙ্গেঃ প্রতিদিন সকালে ওটা মিল
বা দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে
পারেন যা আপনাকে শক্তি ও পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় এভাবে যদি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য খেতে পারেন তাহলে সকল
দিক থেকেই রক্ষা এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আশা করি আপনারা সকলে বুঝতে
পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে চললে যে সুফল পাবেন
সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিমাণে চিয়া সিড গ্রহণ করলে গর্ভাবস্থায়
অসংখ্য সুফল পাওয়া যায়। প্রথমত এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ওজনের সমস্যা কমায় যা
গর্ভাবস্থায় প্রায় দেখা যায়। শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে ওমেগা-৩
সরবরাহ করে যা মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের শরীর শক্তি ও বৃদ্ধি
পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। হৃদয়ের ডাইবেটিসের ঝুঁকি কমায়
এছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এসব কারণে
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে চলা মানে সুস্থ ও ঝড়ঝরে গর্ভাবস্থা নিশ্চিত
করা।
আপনি যদি সঠিক নিয়মে চিয়া সিড খেতে থাকেন তাহলে গর্ভাবস্থায় শিশুদের সাথে সাথে গর্ব অবস্থায়
মহিলাদের ও অনেক সুফল পাওয়া যায়। যার কারণে নিয়ম করে অতিরিক্ত না খেয়ে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে। তাহলে সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া
যাবে। এসব নিয়মগুলো মেনে চললে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শারীরিক সক্ষমতা ধরে
রাখতে অনেক সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার সময় ভুল এড়াতে যা যা জরুরী
চিয়া সিড খাওয়ার সময় কয়েকটি ভুল এড়ানো খুবই জরুরী। এই ভুলগুলো থেকে অনেক সচেতন
থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় ভুল হলো চিয়া সিড সরাসরি না খেয়ে অর্থাৎ শুকনো অবস্থায় বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না
যা আপনার গলায় আটকে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না
খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপা এবং বদ হজম এর সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় অনিয়মিত
বা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও ক্ষতি হতে পারে। সর্বোপরি গর্ভাবস্থায় কোন নতুন
খাবার গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিতে হবে। এসব ভুল এড়িয়ে
চললেই চিয়া সিড আপনার গর্ভ অবস্থায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করবে।
এ থেকে আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় অনেক নিয়ম মেনে চলতে
হয়। অর্থাৎ নতুন কোন খাবার খাওয়ার আগেও ভালোভাবে পরামর্শ করে খেতে হবে যাতে
গর্ভে থাকা বাচ্চার কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। বাচ্চা সুস্থ এবং
সবল হতে পারে এজন্য আমাদের সকল গুরুত্বপূর্ণ ভুলগুলো জানা খুবই জরুরী।
আশা করি এই পোস্টে আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় যেকোনো সাপ্লিমেন্ট বা নতুন খাবার শুরু করার আগে ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরী। বিশেষ করে যাদের রক্তচাপ ডাইবেটিস বা বিশেষ করে
এলার্জির ইতিহাস আছে তাদের জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশনা ছাড়াচিয়া সিড ব্যবহার করলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থা
অনুযায়ী সঠিক পরিমাণ ও খাওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন তাই
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করার পর ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত
জরুরী।
আপনি যদি কোন রকম পরামর্শ না নিয়ে নানা রকম খাবার শুরু করেন তাহলে গর্ভে
থাকা শিশুর অনেক সমস্যা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি কোন সাপ্লিমেন্ট না
মেনে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে থাকেন এক পর্যায়ে আপনার নিজের এবং শিশুর
দুজনেরই অনেক সমস্যা হতে পারে। যার কারণে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার
খাওয়া এবং শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত। আশা করি সকল বিষয়গুলো আপনি ভালভাবে
বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য একত্রিত করার উপায়
শুধু চিয়া সিড নয়। গর্ভাবস্থায় পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে
অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন তাজা শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, দুধ, ডিম ও
সুষম প্রোটিন গ্রহণ খুবই জরুরী। চিয়া সিডের সঙ্গে এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে
শরীর পায় পূর্ণাঙ্গ পুষ্টি। জা মায়ের সাথে সাথে শিশুরও উন্নত বিকাশ নিশ্চিত
করতে সাহায্য করে। খাদ্যের বৈচিত্র রক্ষা করার জন্য দিনে দিনে নতুন রেসিপি
ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে পুষ্টি ও স্বাদ দুটোই বজায় থাকে। এই সময়
গর্ভাবস্থায় শরীরকে সবদিক থেকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টির জন্য অনেক রকম পুষ্টিকর খাদ্য রয়েছে যা নিয়ম করে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমাণ মতো খেতে হবে। যাতে করে মা এবং শিশু দুজনেই
স্বাস্থ্যসম্মত থাকে। সব দিকে খেয়াল রাখলে গর্ব অবস্থায় রোগীর অনেক
সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে থাকে। যার ফলে তাদের কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন
হতে হয় না।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি মেনে চলা এবং চিয়া সিডের মত সবার ফুট যুক্ত
করা মাতৃত্বের একটি অমূল্য সম্পদ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস ও নিয়মিত
চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিজেকে চিয়া সিড গ্রহণ গর্ভাবস্থা কে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যময় করে তোলে। পর্যাপ্ত পরিমাণ
পানি পান করা সঠিক পরিমাণে খাওয়া এবং সতর্কতার মাধ্যমে আপনি নিজেও আপনার
শিশুকে সুস্থ রাখতে পারেন। তাই গর্ব অবস্থায় চিয়া সিড খাবার নিয়ম মেনে চলা মানে সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য এক শক্ত ভিত্তি
স্থাপন করা।
লেখকের শেষ কথা
এই আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর গুরুত্ব এবং সঠিকভাবেচিয়া সিড গ্রহণ পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সর্বদা মনে রাখবেন নতুন
কোন খাদ্য বা সাপ্লিমেন্ট গর্ভাবস্থায় শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ
নেওয়া অনেক জরুরী। আপনারা যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় ছিয়াশিট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি এই
তথ্য আপনাকে নিরাপদ পুষ্টিকর গর্ভাবস্থায় অনেক সাহায্য করবে।
যদি আপনার এই লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের পরিচিতদের কাছে শেয়ার
করবেন ধন্যবাদ
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url