ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম - এবং গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম জানার আগে ইউরোপ সম্পর্কে জানতে হবে। ইউরোপ বিশ্বের
অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ মহাদেশ। প্রাচীন ইতিহাস আর আধুনিক সভ্যতার
মিলনস্থল হিসেবেই ইউরোপ কে চেনা যায়। এই মহাদেশে মোট প্রায় পঞ্চাশটির মতো দেশ
রয়েছে তবে আলোচনায় সাধারণত ২৬ টি দেশ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়।
এই দেশগুলোকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ১ সেনজেনভুক্ত দেশ ২ সেঞ্জেনভুক্ত
দেশ। ২০২৩ সালের ১ই জানুয়ারি থেকে ক্রোয়েশিয়া কে নতুন করে সিনজেন দেশের
তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে
পারবেন ইউরব সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়তে থাকুন।
পেজে সূচিপত্রঃ ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম
- ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম
- ইউরোপের ধনী দেশের তালিকা
- ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
- ইউরোপ মহাদেশের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র
- সেনজন দেশ বলতে কী বোঝায়
- ইউরোপের ননসেনজন ভুক্ত দেশের তালিকা
- ভিসার প্রয়োজনীয়তা
- রাশিয়া ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ
- ইউরোপের সাথে জড়িত কিছু সাংস্কৃতিক দিক
- লেখকের শেষ কথা
ইউরোপে ২৬ টি দেশের নাম
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম জানতে হলে প্রথমে ইউরোপ মহাদেশের সাধারণ তথ্য জানা
প্রয়োজন। ইউরোপ হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর এক মহাদেশ। যেখানে ইতিহাস ও
সভ্যতার নির্দেশনা রয়েছে। দেখা যায় ইউরোপের দেশগুলো বিভিন্ন আকারে ছোট বড় সব
ধরনের দেশই রয়েছে। এদের মধ্যে ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বহন
করে। ইউরোপের দেশগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
- সেনজেন ভুক্ত দেশ
- নন সেনজেন ভুক্ত দেশ
সেনজেন ভিসার একটি বড় সুবিধা হল এই দেশগুলোতে একবার ভিসা পেলে পর্যটক বা
ব্যবসায়ী বিনা বাধায় ভ্রমন করতে পারে। অর্থাৎ এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে
নতুন কোন ভিসা লাগবে না যা ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য আনন্দের বিষয়। ২০২২ সাল
পর্যন্ত সেনজেন ভুক্ত দেশ ছিল 26 টি কিন্তু ২০২৩ সালের ১ই জানুয়ারি
ক্রোয়েশিয়া সেনজেন ভুক্ত দেশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে সেনজেন ভুক্ত দেশ
সংখ্যার ২৭ টি। অর্থাৎ একজন পর্যটক বা ব্যবসায়ী এই 27 টি দেশ এক ভিসা ব্যবহার
করে ভ্রমন করতে পারবেন। ইউরোপে মোট 50 টি দেশ রয়েছে যাদের মধ্যে ২৭ টি দেশ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। ভ্যাটিকান সিটি ছাড়ার 49 টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য।
যারা ইউরোপে ভ্রমণ বা কাজের ইচ্ছে রাখেন তাদের জন্য এই মহাদেশগুলো এবং তাদের
রাজধানীর নাম জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে সেনজেন ভুক্ত ২৬ টি দেশের নাম
এবং রাজধানী এখানে উল্লেখযোগ্য।
ক্রমিক নং | দেশের নাম | রাজধানীর নাম |
---|---|---|
১ | ফ্রান্স | প্যারিস |
২ | জার্মানি | বার্লিন |
৩ | ইতালি | রোম |
৪ | স্পেন | মাদ্রিদ |
৫ | যুক্তরাজ্য | লন্ডন |
৬ | নেদারল্যান্ডস | অ্যামস্টারডাম |
৭ | বেলজিয়াম | ব্রাসেলস |
৮ | গ্রিস | এথেন্স |
৯ | পর্তুগাল | লিসবন |
১০ | অষ্ট্রিয়া | ভিয়েনা |
১১ | সুইডেন | স্টকহোম |
১২ | নরওয়ে | অসলো |
১৩ | ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন |
১৪ | ফিনল্যান্ড | হেলসিস্কি |
১৫ | পোল্যান্ড | ওয়ারসা |
১৬ | হাঙ্গেরি | বুদাপেস্ট |
১৭ | চেকপ্রজাতন্ত্র | প্রাগ |
১৮ | সুইজারল্যান্ড | বার্ন |
১৯ | আয়ারল্যান্ড | ডাবলিন |
২০ | আইসল্যান্ড | রেইকজাভিক |
২১ | এস্টোনিয়া | তালিন |
২২ | বুলগেরিয়া | সোফিয়া |
২৩ | রোমানিয়া | বুখারেস্ট |
২৪ | সার্বিয়া | বেল্গ্রেড |
২৫ | স্লোভাকিয়া | ত্রাতিস্লাভা |
২৬ | স্লোভেনিয়া | লিউব্লিয়ান |
২৭ | ক্রোয়েশিয়া | জাগরেব |
ইউরোপের ধনী দেশের তালিকা
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম মানে পুরো মহাদেশের পরিচয়। ইউরোপে যে দেশগুলো ধনী
অর্থনৈতিকভাবে তারা অনেক সমৃদ্ধ। এই দেশগুলোতে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত এবং
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মানুষ এখানে ভ্রমণ শিক্ষা এবং ব্যবসার জন্য আকৃষ্ট
হয়। ইউরোপের ধনী দেশগুলো শুধুমাত্র অর্থনীতিতে নয় শিল্পশিক্ষা এবং প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য দিক থেকেও এগিয়ে।
ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশগুলো হলোঃ
- মোনাকো
- লোক্সেমবার্গ
- নরওয়ে
- সুইজারল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড
- আইসল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- নেদারল্যান্ড
- সুইডেন
- জার্মানি
এই দেশগুলোতে উন্নত জীবন যাত্রার মান এবং সুযোগ-সুবিধা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের
কাছে খুবই আকর্ষণীয়। ইউরোপ ভ্রমণ করতে গেলে এই ধনী দেশগুলোর নাম এবং রাজধানী
জানা থাকলে সুবিধা হয়। সেনজেন ভিসা থাকলে অনেক ধনী দেশ একবার ভিসা নিয়ে সহজে
ভ্রমণ করা যায়। তাই আপনি চাইলে এই দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারেন। শুধু নতুন জায়গা
দেখবেন না বরং তাদের সংস্কৃতি জীবনযাত্রা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে
নিজেকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবেন।
ইউরোপের সেনজন ভুক্ত দেশের তালিকা
পৃথিবীতে মোট সাতটি মহাদেশ আছে। এদের মধ্যে ইউরোপ মহাদেশ বিশেষভাবে
জনপ্রিয়। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ইউরোপের কোন এক দেশে ভ্রমণ করার বা কিছুদিন
থাকার হয়তো পড়াশোনা করতে বা কাজের উদ্দেশ্যে অথবা শুধু ঘুরতে যাওয়ার জন্য।
যেকোন দেশে যেতে চাইলে প্রথম সেই দেশের সম্পর্কে জানতে হবে। মানচিত্র ইতিহাস এবং
শহরগুলোর অবস্থান জানা প্রয়োজন। ইউরোপের প্রতিটি শহর প্রতিটা রাস্তায় এবং
প্রতিটি মানুষ যেন ইতিহাসের সাক্ষী। ঘুরতে গেলে মনে হয় প্রতিটি রাস্তা কোন না
কোন ঘটনার সাক্ষ্য বহন করছে। ইতিহাস সংস্কৃত এবং স্থাপত্যের কারণে ইউরোপের ভ্রমণ
এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ভৌগলিকভাবে ইউরোপের উত্তরা আর্থিক মহাসাগর
পূর্বে এশিয়া দক্ষিণ ব
ভূমধ্যসাগর এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত।
আরো পড়ুনঃ
বাহরাইন জেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম হলো
- অস্ট্রিয়া
- বেলজিয়াম
- চেক প্রজাতন্ত্র
- ডেনমার্ক
- এস্তোনিয়া
- ফিনল্যান্ড
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- গ্রীস
- হাঙ্গেরি
- আইসল্যান্ড
- ইটালি
- লাটভিয়া
- লিচেন স্টাইন
- লিথুয়া নিয়া
- লুক্সেমবার্গ
- মালটা
- নেদারল্যান্ডস
- নরওয়ে
- পোল্যান্ড
- পর্তুগাল
- স্লোভেনিয়া
- স্লোভাকিয়া
- স্পেন
- সুইডেন
- সুইজারল্যান্ড
২০২২ সালে এই ২৬ টি দেশ সেনজেন ভুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালের
১ই জানুয়ারি ক্রোয়েশিয়াও নতুনভাবে সেঞ্জেন যুক্ত দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়। ফলে বর্তমানে সেনজেনভুক্ত দেশ সংখ্যা 27 টি।
ইউরোপ মহাদেশের ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র
ইউরোপ মহাদেশের আয়তন প্রায় ১,০১,৮০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। এখানে প্রায় ৭৫০
মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। ইউরোপ মূলত বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশের পশ্চিমাংশে
অবস্থিত একটি উপদ্বীপ নিয়ে গঠিত। সাধারণভাবে বলা যায় ইওরাল এবং ককেশাস
পর্বতমালা। ইউরাল নদী কম্পিয়ান সাগরে এবং কৃষ্ণ সাগরের জল বিভাজিকা ইউরোপ কে
এশিয়া মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হিসেবে কাজ করছে।
ভৌগলিক দিক থেকে ইউরোপ উত্তরে মহাসাগর পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর দক্ষিণের
ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ পূর্বে কৃষ্ণসাগর ও সংযুক্ত জলপথ দ্বারা ঘেরা।
এই অবস্থান ইউরোপকে করে তুলেছে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয়। ইউরোপ তার প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য মনোরম দৃশ্য এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। মহাদেশ টি
বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া আঞ্চলিক সাংস্কৃতি এবং ভাষার দিক থেকেও সমৃদ্ধ রয়েছে।
শুরু হয় অর্থাৎ প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে তখন দক্ষিণ ইউরোপ তুলনামূলকভাবে গরম থাকে।
এই বৈচিত্র ভমনকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা
প্রদান করে।
সেনজেন দেশ বলতে কী বোঝায়
সেনজেন দেশ বলতে বোঝায় সেই দেশগুলো যা সেনজেন অঞ্চলে অংশ। ইউরোপের ২৬ টি দেশের
নাম জানলে আপনি সবকিছু জেনে নিতে পারবেন। এই অঞ্চলে মোট 17 টি ইউরোপীয় দেশ
রয়েছে যারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত সরিয়ে দিয়ে মানুষের যাতায়াতকে
সীমাহীন করে তুলেছে। মূল উদ্দেশ্য হলো নাগরিকদের মধ্যে সম্পৃক্ত বৃদ্ধি করা।
সাধারণ বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং বাইরের সীমানা নিয়ন্ত্রণে রাখা। দেখা
যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশী সেনজন অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত।এই অঞ্চলের
দেশগুলোতে আপনি বড় বড় নিয়ম কানুন ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে ভিসার ধরন
অনুযায়ী একজন ভ্রমণকারী কতদিন থাকা যাবে তা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ যদি
আপনি ভারত থেকে ভ্রমণ করেন তাহলে আপনার সেনজেন ভিসা সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য
থাকার অনুমতি দেবে।
সেনজেন অঞ্চলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলোঃ
- কোনরকম চেকিং ছাড়াই এই অঞ্চলের যেকোনো দেশের নাগরিকরা অভ্যন্তরীণ সীমান্ত অতিক্রম করতে পারে।
- বিচার বিভাগ এবং পুলিশ একসাথে কাজ করে যাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সেনজেন দেশগুলো পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক। কারণ একবার
ভিসা থাকলে একাধিক দেশে সহজেই ভ্রমণ করা যায়।
ইউরোপে নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য শুধুমাত্র একটি ভিসায় যথেষ্ট। এই এক ভিসা
থাকলে আপনি ২৭ টি দেশের সহজে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু ননসেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে
ভ্রমণের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা নিতে হয়। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ ইউরোপ মহাদেশভুক্ত
দেশগুলোতে ভিসা পাওয়ার তুলনামূলকভাবে কঠিন। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ পড়াশোনা
চাকরি বা ভ্রমণের জন্য ইউরোপে যায়। ইউরোপের অনেকের স্বপ্ন এই মহাদেশে পাড়ি
দেওয়া ঘুরে বেড়ানো বা বসবাস করা। তবে ননসেন ভুক্ত দেশে গেলে এক দেশ থেকে অন্য
দেশে যাওয়া সহজ হয় না। কারণ এখানে একটি ভিসা দিয়ে শুধু একটি দেশে যাওয়া
সম্ভব। এই কারণে এই দেশগুলোতে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সময় ভুক্ত
দেশগুলোর তুলনায় জটিল এবং কঠিন হয়।
আরো পড়ুনঃ
ইউরোপের নন সেনজেনভুক্ত দেশ গুলো হলোঃ
- আলবেনিয়া
- মলদোভা
- আজারবাইজান
- বেলারুশ
- বসনিয়া এবং হারজেগোভিনা
- ইউক্রেন
- জর্জিয়া
- সার্বিয়া
- মেসিডোনিয়া
- আর্মেনিয়া
- মান্টি নিগ্রো
- রাশিয়া
- তুরস্ক
- যুক্তরাজ্য
- কসোভো
এ দেশগুলোতে ভ্রমণ করার আগে আলাদা ভিসার নিয়ম এবং প্রয়োজন নথি ভালোভাবে জানা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ননসেনজেন দেশে যাওয়া একজন পর্যটক বা ছাত্রের জন্য কিছুটা
চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে ঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে ভ্রমণটি সহজ ও সুরক্ষিত হয়ে
ওঠে।
ভিসার প্রয়োজনীয়তা
ইউরোপে ২৬ টি দেশের নাম জানা থাকলেও ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
মূলত আপনার নাগরিকত্ব এবং আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। কিছু দেশ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন এরাইভাল সুবিধা প্রদান করে যা ভ্রমণকারীদের
জন্য একটি বড় সুযোগ। এই সুবিধা থাকলে ভ্রমণ অনেক সহজ এবং সুবিধার জনক হয়। তবে
কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে হলে আগেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় নাহলে সেখানে
প্রবেশ করার কঠিন হয়ে যায়। তাই ইউরোপে যাওয়ার আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা
অত্যন্ত জরুরী। আপনি যদি পড়াশোনা কাজ বা ঘুরতে যাওয়ার জন্য ইউরোপের কোন দেশ
নির্বাচন করেন তবে ভ্রমণের আগেই অবশ্যই সেই দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এই যোগাযোগ আপনাকে ভিসার প্রয়োজনীয়তা প্রক্রিয়া এবং শর্তাবলী সঠিকভাবে বোঝাতে
সাহায্য করবে। তাহলে আপনার ভ্রমণ নিরাপদ হবে।
রাশিয়া ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ
পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশের মধ্যে ইউরোপ মহাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি দেশ। আর এই
মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় দেশ হল রাশিয়া। রাশিয়ার নাম এসেছে মধ্যযুগীয় রুশ
নামে পরিচিত একটি রাষ্ট্র থেকে। এই শব্দটির উৎস হল পুরনো ল্যাটিন ভাষা থেকে
নেওয়া। রাশিয়ার বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড ও শুধু আয়তনের দিক দিয়ে নয় বরং প্রাকৃতিক
বৈচিত্রের দিক থেকেও চমক করে দেওয়া। রাশিয়ার মোট আয়তন প্রায় ১৭,০৭৪,০০০
কিলোমিটার। দেশের মোট জমির প্রায় ১টা মাংস মানুষ বসবাসের উপযোগী। দেশের বিস্তৃত
ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ দেখা যায় যা উত্তর ও সাইবেরিয়া বরফে ঢেকে থাকা
এলাকা। দক্ষিণের উর্বর ভূমি এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের সমতল ভূমি সবই একত্রিত হয়ে
রাশিয়ার প্রাকৃতির বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছে।
কারণ দেশের বড় অংশ এশিয়া মহাদেশেও বিস্তৃত। রাশিয়া আবহাওয়া অত্যন্ত শীতল। এই
দেশটির অনেক অংশে প্রচন্ড শীত পড়ে এবং বছরের প্রায় দশ মাস হিমশীতল অবস্থায়
থাকে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও সাইবেরিয়া কিছু অংশে ৮ মাস বরফআচ্ছন্ন থাকে। সারা বছর
শীত প্রবাহ চলতে থাকে যা দেশটিকে পৃথিবীর শীতলতম দেশের মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিত
করেছে। এই কারণে রাশিয়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো ভ্রমণকারীদের কাছে আলাদা আকর্ষণ
তৈরি করেন। রাশিয়াতে প্রচুর খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। দেশটি বিশ্বের
প্রধান এবং খনিজ উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম জানলে সবকিছুই বোঝা যাবে। এই সম্পদের কারণে রাশিয়া
অর্থনীতি শক্তিশালী এবং দেশের শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে বড় অবদান রয়েছে। এছাড়াও
রাশিয়া বিশ্বের দর্শন বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গুরুতর
ভূমিকা পালন করে। শুধু অর্থনীতি ও প্রাকৃতিকই নয় রাশিয়ান সাংস্কৃতি বৈচিত্র
বিশাল। এখানকার বিভিন্ন ভাষা ঐতিহ্যবাহী উৎসব সংগীত ও নির্মিত সংগীত বিশ্বের কাছে
পরিচিত। তাই রাশিয়া শুধু ইউরোপের বৃহত্তম দেশী নয় বরং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও
প্রাকৃতিক ধন সম্পদের দেশ বলে জানা যায়।
ইউরোপের সাথে জড়িত কিছু সংস্কৃতিক দিক
ইউরোপের প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ভূগোলের সঙ্গে মিল রেখে
অন্যান্যভাবে বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এই মহাদেশে পরিচিতি দেশ
ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতাই দেয়। উদাহরণস্বরুপ ভিএনআর মিউজিক হলগুলোতে প্রতিনিয়তানের
সুরধ্বনিত হয়। আর শহরের প্রাণবন্ত রাস্তাগুলো সেই সুরে ছন্দে প্রতিবন্ধিত হয়
ফিনিশ কার্নিভাল এবং অন্যান্য উৎসবের মাধ্যমে ইউরোপের সাংস্কৃতিক জীবন পুরো বছর
ধরে উদযাপিত হয়। এই ধরনের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম গুলো পর্যটক এবং ভ্রমণকারীদের
জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আর তাই আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখে
ইউরোপের যে কোন দেশে ভ্রমণ বা বসবাস করার। ইউরোপ অনেকের কাছে একটি স্বপ্নের
ঠিকানা।
ইউরোপের শহর প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রাকৃতিক প্রেমীদের মুগ্ধ করে। প্রতিটি শহর নদী
পাহাড় এবং সমুদ্র পথ যেন এক অপার সৌন্দর্য ছড়িয়েছে। ইউরোপীয় সাংস্কৃতিতে
সংজ্ঞায়িত করলে বলা যায় এটি শ্রাবণ প্রানবন্ত ঐতিহ্য এবং স্থানীয় জনগণের উৎসব
ও জীবনধারার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। স্থানীয়রা তাদের উৎসবে অংশগ্রহণ করে যা
পর্যটক বা অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীকে ইউরোপের সাংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করে।
এই ধরনের অংশগ্রহণমূলক সাংস্কৃতিক পর্যটক এবং নতুন ব্যবসায়ীর কে ইউরোপের চেতনাকে
অনুভব করতে সাহায্য করে। এটি এক মুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে যা মানুষের মনে
দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি এবং সংযোগ স্থাপন করে তোলে। ইউরোপের প্রতিটি দেশ প্রতিটি শহর
এবং প্রতিটি উৎসবই এক এই মহাদেশকে সমৃদ্ধ এবং মনোমুগ্ধকর করে তোলে।
উপসংহার ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম
ইউরোপের ২৬ টি দেশের নাম এর সঙ্গে সম্পদের দিক ও গভীরভাবে জড়িত। ইউরোপাকে
বলা হয় মাটি বন সমুদ্র এবং খনিজ পদার্থের বিশেষ করে কয়লার একটি উল্লেখযোগ্য
সম্পদের বাহার। ইউরোপের মানুষ সাধারণত সুশিক্ষিত দক্ষ এবং পরিশ্রমে। এই
বৈশিষ্ট্যের কারণে নগর ও শিল্পাঞ্চলগুলোতে উৎপাদন এবং কৃষিক্ষেত্রে তারা অসাধারণ
ভূমিকা পালন করেছে। ইউরোপের অর্থনৈতিক সাফল্য উন্নত জীবন যাত্রার মান এবং
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির তারিখ সুস্পষ্ট প্রমাণ ।
ইউরোপের মধ্যে সেনজেন দেশগুলো পর্যটন ব্যবসা এবং কাজের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান
করে। এছাড়া নন-সৃজন দেশগুলোও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এবং আকর্ষণ নিয়ে ভরপুর। ২০২৩
সালে একে জানুয়ারি ক্রোয়েশিয়া ও নতুনভাবে সেনজেন দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে। ফলে বর্তমানে ইউরোপের সেনজেন দেশ সংখ্যা 27 টি। প্রত্যেক দেশ নিজস্ব
সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমৃদ্ধ। আপনি চাইলে এই পোস্টটি পরিচিত
দের কাছে শেয়ার করতে পারেন। যাতে তারা ইউরোপে ২৬ টি দেশের নাম সংস্কৃতি
বৈশিষ্ট্য এবং ভ্রমণের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারে।
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url