২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময়
২০২৫ সালের বাংলাদেশ জুড়ে দুর্গাপূজা ও মহালয়ার সময় আবহ থাকবে এক অনন্য মাত্রায়। এই সময়টাতে দেশজুড়ে মন্দির পূজা মন্ডপ গুলো সেজে উঠবে আলোকসজ্জা ফুল আর ভক্তিমূলক আবহে। শুধু ধর্মীয় নয় পূজা এখন হয়ে উঠেছে সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব।
মহালায়া দিয়ে শুরু হয় দেবিপক্ষের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। ভোরবেলা চণ্ডীপাঠ মন্ত্র
উচ্চারণ ও ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান ভরে তোলে পরিবেশ। আর পূজার দিনগুলোতে প্রতিটি
মন্ডপে মানুষের ভিড় ধনুচি নাচ আরতি ও বিভিন্ন সংস্কৃতিক আয়োজন পূর্ণ উৎসবের
আনন্দকে করে তুলে বহু গুনে। চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময়
- ২০২৫ সালের বাংলাদেশের দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময়
- দূর্গা পূজার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
- মহালয়ার সময় ও সন্ধি পূজার বিস্তারিত
- মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজার সম্পর্ক
- 2025 সালের দেবীর আগমন ও গমন কাহিনী
- ভক্তদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পূজার নিয়ম বলি
- পূজার সময় বিশেষ খাবার ও নিশ্চিত প্রথা
- সন্ধিপূজা ও আরাধনার বিশেষ মুহূর্ত
- পরিবেশবান্ধব পূজা ও সামাজিক দায়িত্ব
- দূর্গা পূজা ২০২৫ কত দিন বাকি
- 2026 সালের দূর্গা পূজা কবে
- লেখকের শেষ কথা
২০২৫ সালের বাংলাদেশের দুর্গাপূজার ও মহালয়ার সময়
বাংলাদেশের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব হল
দুর্গাপূজা। ২০২৫ সালে এই উৎসব শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর {মহাষষ্ঠী} থেকে এবং শেষ
হবে দুই অক্টোবর বিজয় দশমীতে। সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঐচ্ছিক ছুটি এবং দুই অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর সরকারি
ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূজার প্রধান দিন গুলো হল
- ২৮ শে সেপ্টেম্বর - মহাষষ্ঠী: আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা শুরু হবে।
-
২৯ সেপ্টেম্বর - মহা সপ্তমী: দেবী দুর্গার পূজা পূর্ণমাত্রায় শুরু
হবে।
-
৩০ সেপ্টেম্বর - মহা অষ্টমী: পূজা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন কুমারী
পূজা অঞ্জলি ও বিশেষ আরাধনা পালিত হবে।
-
১ অক্টোবর - মহানবমী: দেবীকে বিদায়ের প্রস্তুতির
দিন।
- 2 অক্টোবর -বিজয় দশমী: দেবী দুর্গার বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার সমাপ্তি।
মহালয়া ও দেবিপক্ষে সূচনাঃ
অমাবস্যা তিথি অনুসারে মহালয়া শুরু হবে ২০ সেপ্টেম্বর রাত ১১ঃ৫৪ মিনিটে এবং শেষ
হবে ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২ঃ২৩ মিনিটে। অর্থাৎ" ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার মহালয়ার দিন।
এদিন থেকে সূচনা এবং দুর্গাপূজার আনন্দ ধরা শুরু হয়। ভোরবেলা চন্ডীপাঠ মন্ত্র
উচ্চারণ ও মহালয়ার মাহাত্ম্য বাঙ্গালী জীবনে বিশেষ আবেগ সৃষ্টি করে।
সন্ধি পূজা দুর্গাপূজার এক অন্যতম মুহূর্ত যা মহা অষ্টমীর সময় পালিত হয়। এই
সময় পূজা মন্ডপ গুলো আলো, ফুল, ভক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে ওঠে। হাজারো ভক্তরা
প্রার্থনা মন্ত্র উচ্চারণ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এই পূজা শুধু
ভক্তির জন্য নয় সামাজিক মিলন মেলারাও প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের দুর্গাপূজার শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় বরং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক
উৎসব। পরিবার - পরিজন বন্ধু- বান্ধব সবাই মিলে পূজা মন্ডপে যায় আনন্দ ভাগাভাগি
করে এবং ভক্তি ও উল্লাসে দিনগুলো স্মরণীয় করে তোলেন।
দুর্গাপূজার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
দূর্গা পূজা বাঙালির অন্যতম প্রাচীন এবং জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব যা দেবী দুর্গার
আরাধনার উদ্দেশ্যে পালন করা হয়। পুরানে বর্ণিত আছে মহিষাসুর নামে একজন শক্তিশালী
পশুর ছিলেন যিনি স্বর্গ ও পৃথিবীতে দাপট চালাতেন। দেবী-দুর্গা ব্রহ্মা-বিষ্ণু ও
শিবের শক্তি সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছিল যাতে তিনি মহিষাসুরকে পরাস্ত করতে পারেন।
দুর্গাপূজা মূলত এই বিজয়ের স্মৃতিতে পালন করা হয়।
বাংলাদেশ দুর্গাপূজার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পালিত হয়ে আসছে। এটি কেবল ধর্মীয়
উৎসব নয় বরং বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৮ শতকের আগে
দুর্গাপূজা মূলত পারিবারিক আচার ও বাড়ির অনুষ্ঠান হিসেবে পালন করা হতো।
পরবর্তীকালে শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে মন্ডপের মাধ্যমে উদযাপন বৃদ্ধি
পেয়েছে। বর্তমান সময়ে মন্ডপ শিল্প আলোকসজ্জা থিমভিত্তিক প্যান্ডেল আর্থ এবং
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজাকে আরো প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করা হয়।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে এই পূজা বড় আকারে গড়ে তোলে। দুর্গাপূজার সমাজে
ঐক্য ও সামাজিক বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই সময়
পরিবার বন্ধু ও সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে পূজা উদযাপন করে যা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক
ঐতিহ্যকে ধারাবাহিকভাবে রক্ষা করে। তাই দুর্গাপূজা কেবল দেবী দুর্গার আরাধনা নয়
এটি বাংলা ইতিহাস শিল্প ও সমাজের অঙ্গ এবং বাঙালি সংস্কৃতিক পরিচয়ের এক
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় খেয়াল রাখতে
হবে।
দূর্গা পূজার শিশুদের জন্য একটি শিক্ষনীয় সময়। তারা ঐতিহ্য শিল্প ও সাংস্কৃতির
সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ভক্তি ও
সহনশীলতা শেখে। দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় খাদ্য ও মিষ্টি প্রচলন রয়েছে যা
বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত রয়েছে। পিঠা, সন্দেশ, রসগোল্লা,
লাচ্ছা, কচুরি আরো অনেক কিছু মিষ্টি ও স্থানীয় খাবার দুর্গাপূজার আনন্দকে আরও
বিশেষ করে তোলে।
মহালয়ার সময় ও সন্ধি পূজার বিস্তারিত
মহালয়া হিন্দু বাঙালির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন যা দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক
সূচনা হিসেবে ধরা হয়। 2025 সালে বাংলাদেশে মহালয়া অনুষ্ঠিত হবে আশ্বিন মাসের
শেষ সপ্তাহে। এটি দেবী দুর্গার আগমন এবং পিতৃসম্মানের সঙ্গে সম্পর্কিত। মহালয়ার
সকালে ভক্তরা ফল জল পত্র পুষ্প এবং অন্যান্য প্রথাগত সামগ্রী দিয়ে প্রার্থনা করে
থাকেন।
সন্ধি পূজাহল দুর্গাপূজা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরাধনার মুহূর্ত। এটি সাধারণত
মহাষষ্ঠী থেকে মহা সপ্তমীর সন্ধ্যায় পালিত হয় এবং দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের
বিজয়কে স্মরণ করে তোলে। পূজা মন্ডপে বিশেষ মন্ত্রচারণ অর্ঘ্য প্রদানের অনুষ্ঠান
এবং দীপ প্রজননের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা করা হয়। ভক্তদের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস
অনুযায়ী সন্ধি পূজার সময় দেবীর শক্তি সর্বাধিক উপস্থিত থাকে।
বাংলাদেশের সন্ধিপূজার সময় মন্ডপ গুলো আলোকসজ্জা ফুল এবং ভক্তিমূলক পরিবেশে ভরে
ওঠে। ভক্তরা প্রার্থনা করেন মন্ত্র উচ্চারণ এবং আরাধনার মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদ
লাভ করেন। সন্ধিপূজা কেবল ধর্মীয় নয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে
গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় মানুষ একত্রিত হয়ে উৎসব উদযাপন করে যা সামাজিক বন্ধন কেউ
আরো শক্তিশালী করে তোলে।
মহালয়ার সাথে দূর্গা পূজার সম্পর্ক
মহালয়া হলো দুর্গা পূজার মূল ভিত্তি যা দেবীর আগমন বার্তা বহন করে এবং পূজা
পার্বণের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। এই দিনে ভক্তরা দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের
কাহিনী শ্রবণ ও আরাধনার মাধ্যমে নিজেদের পূজা আনন্দে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত
করেন। আমরা জানি বাংলা সংস্কৃতিতে মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজার সম্পর্ক গভীরভাবে
জড়িত। কারণ মহালয়া হল দুর্গাপূজার মূল ভিত্তি যা দেবীর আগমন বাদ্রা বহন করে এবং
পূজা পার্বণের উৎসব মুখের পরিবেশ তৈরি করে।
২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় অনুযায়ী মহালয়ার মধ্য দিয়ে
দেবিপক্ষের সূচনা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় মহাষষ্ঠী থেকে মহা দশমী পর্যন্ত চলবে
দুর্গা উৎসবের মহাধুমধাম। মহালয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে গণ্য হয় কারণ
এটি মূলত পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা নির্দেশ করে। মহালয়া সকালে
ভক্তরা পিতৃপণ্য ও শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্ব পুরুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন।
এরপর থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ যা সরাসরি শারদীয়া দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা
হিসেবে ধরা হয়। মহালয়ার দিন থেকে দেবী দুর্গার আগমনের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।
ভোরবেলা রেডিও বা টেলিভিশনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুর মর্দিনী
পাঠশোনা যায় প্রায় সব বাঙালির কাছে এক অবিচ্ছেদ্য ঐতিহ্য। এর মাধ্যমে মানুষ
বুঝতে পারে যে দুর্গাপূজা দারে এসে পৌঁছেছে। এই দিনটি ভক্তরা দেবী দুর্গার
মহিষাসুর বধ এর কাহিনী শ্রবণ ও আরাধনার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করেন। যাতে
পূজার আনন্দে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তাই বলা যায় মহালয়া হলো দুর্গাপূজার মূল ভিত্তি যার শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক দিক
থেকে নয় বরং পূজা উদযাপনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটেও নির্ধারণ করে।
২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় নির্ধারণ অনুযায়ী বাঙালি
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব হলো দুর্গাপূজা।
২০২৫ সালের দেবীর আগমন ও গমন কাহিনী
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছর দুর্গাপূজায় দেবীর আগমন ও গমন ভিন্ন ভিন্ন
বাহনে হয়। এই বাহন নির্বাচনে মানব সমাজের জন্য বিশেষ ইঙ্গিত বহন করে। ২০২৫ সালে
দেবীর আগমন হবে হাতি বাহনে যা স্বাস্থ্য মতে অত্যন্ত শুভ লক্ষণ হিসেবে গণ্য হয়।
হাতি" শান্তি সমৃদ্ধি বৃষ্টি এবং শস্যবৃদ্ধির প্রতীক। ফলে এই বছরে দেবীর আগমনে
মত্তলোক ভোরে উঠবে সুখ শান্তি ও উন্নতি এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। আগমনকালীন পূজা
আরাধনা এবং সামাজিক আনন্দের মাধ্যমে মানুষ দেবীর আশীর্বাদ লাভ করে। তাই ২০২৫
সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় জানা জরুরি।
অন্যদিকে ২০২৫ সালে দেবীর গমন হবে দোলা বাহনে যা তুলনামূলকভাবে অশুভ লক্ষণ হিসেবে
ধরা হয়। দোলাবাহনে গমন মানে অনিশ্চয়তা অশান্তি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের
সম্ভাবনা থাকে। তবে ভক্তরা বিশ্বাস করেন পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে এই অশুভ শক্তিকে
প্রশমিত করা সম্ভব।
দেবীর আগমন ও গমন কাহিনী কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয় বরং মানুষের জীবনে আশা ভরসা
এবং সামাজিক ঐক্যের বার্তা নিয়ে আসে। তাই ২০২৫ সালের দুর্গোৎসবের বিশেষ তাৎপর্য
হলো শুভ আগমনে আনন্দে ভরে ওঠা এবং গমনের সময় ভক্তির মাধ্যমে সব অসহায় কে পরাজিত
করা।
ভক্তদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পূজার নিয়মাবলী
দুর্গা পূজা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়। এটি ভক্তদের অদ্ধান্তিক অভিজ্ঞতা এবং
সামাজিক ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভক্তদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পূর্ণাঙ্গ
নিয়মবালি ও পরামর্শ রয়েছে যা অনুসরণ করলে পূজা আরো ফলপ্রসূ ও শুভ হয়। যেমন
- সুচি ও পবিত্রতা বজায় রাখা। পূজার সময় ব্যক্তি পোশাক এবং স্থান সবই পবিত্র রাখতে হবে। পূজা মন্ডপে প্রবেশের আগে হাত ও মুখ ধোয়া এবং শুদ্ধ জামা পরিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভক্তিকে আধ্যাত্মিক ও শারীরিকভাবে পূজার জন্য প্রস্তুত করে।
-
মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনা করা। দূর্গা পূজার প্রতিটি দিন ভক্তরা দেবী দুর্গার
বিশেষ মন্ত্র পাঠ করেন। মহাষষ্ঠী থেকে বিজয় দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন নির্দিষ্ট
পূজা মন্ত্র পড়া এবং প্রার্থনাই অংশ নেয়া শুভ ও ফলপ্রসু বলে ধরা হয়।
-
অর্ঘ্য প্রদান করা ও প্রসাদ বিতরণ করতে হবে। দেবীকে অর্ঘ্য প্রদান অর্থাৎ
ফুল, জল, দুধ, ফল, দেওয়া এবং পূজার শেষে প্রসাদ বিতরণ করলে তা ভক্তদের জন্য
ধন্য ও কল্যাণ বৃদ্ধি করে। এটি আধ্যাত্মিক উপহার হিসেবে গণ্য হয় এবং
সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যবোধকে আরো শক্তিশালী করে।
-
সংগীত পূর্ণ আচরণ করা পূজা মন্ডপে শান্তিপূর্ণ আচরণ করা উচ্চস্বরে কথা না বলা
এবং ভক্তি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পূজার পরিবেশকে মনোরম ও
ভক্তিমূলক রাখে।
-
ভক্তি ও ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করতে হবে। পূজা উদযাপনের সময় শাস্ত্র অনুযায়ী
নিয়ম পালন এবং দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখা আবশ্যক। এটি ভক্তকে
আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে এবং পূজা কে আরো শুভ করে।
দুর্গাপূজার এই নিয়মবালি পালন করলে ভক্তরা কেবল ধর্মীয়ভাবে সমৃদ্ধ হন না বরং
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে থেকেও পূজা সমৃদ্ধ হয়। এটি আধ্যাত্মিক শান্তি
আনন্দ এবং ঐতিহ্যবাহী ভক্তি বৃদ্ধি সহায়ক বলে ভক্তরা বিশ্বাস করেন।
তাই ২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় সম্পর্কে জেনে নিতে
হবে।
দুর্গাপূজার সময় বিশেষ খাবার ও মিষ্টি প্রথা
দুর্গাপূজা কেবল একটি আধ্যাত্মিক উৎসব নয়, এটি বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির একটি
গুরুত্বপূর্ণ সময়ও বটে। দুর্গাপূজার সময় বিশেষ খাবার ও মিষ্টি প্রথা দীর্ঘদিন
ধরে বাঙালির মধ্যে প্রচলিত রয়েছে। এই সময় পরিবার এবং মণ্ডপে ভক্তদের জন্য বিশেষ
ভোজন এর ব্যবস্থা করা হয়। প্রচলিত খাবার পূজার সময় সাধারণ পরিবেশন করা হয়।
যেমন
- খিচুড়ি হলো মূল খাবারের অংশ
-
লাবরা তরকারি বিভিন্ন সবজি ও মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়
- দই আচার বা খাবারের সঙ্গে
- চপ ও অন্যান্য তরকারি ও ডাল
-
এই খাবারগুলো ভক্তির সঙ্গে পবিত্রতা বজায় রেখে প্রস্তুত করা হয়
অন্যদিকে পূজার প্রসাদের জন্য যে মিষ্টি গুলো ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ দেবী
দুর্গাকে অর্ঘ্য হিসেবে দেওয়া হয় সেগুলো হলঃ
- নারকেলের নাড়ু
- দুধের ক্ষীর
- মিষ্টি ও ফল
- পিঠা
এর মধ্যে মিষ্টির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো
- রসগোল্লা
- সন্দেশ
- পায়েস
- মোদক
- নারিকেলের পিঠা
এই প্রথা শুধুমাত্র ভক্তির অংশ নয় এটি সামাজিক মিলনমেলা কেউ আরো গভীর করে
তোলে। শিশু ও বৃদ্ধদের শিক্ষনীয় দিক হল দুর্গাপূজার সময় শিশু ও বৃদ্ধ সকলেই
বিশেষ খাবারের মাধ্যমে ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত হন। অনেক
মন্ডপে এই খাবার ও মিষ্টি ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। যা সামাজিক বন্ধন ও
সম্প্রদায়ের ঐক্যকে শক্তিশালী করে। পূজার সময় খাবার ও মিষ্টি প্রথা কেবল
ভক্তি ও আধ্যাত্মিকভাবে প্রকাশ নয় এটি বাঙালির ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং সামাজিক
বন্ধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জানা যায়। ২০২৫ সালের বাংলাদেশে
দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় ভলতরা আগুলো করবে।
সন্ধিপূজা ও আরাধনার বিশেষ মুহূর্ত
সন্ধি পূজা হল দুর্গাপূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী
সময়। এটি সাধারণত মহাষষ্ঠী থেকে মহা সপ্তমীর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধি
পূজায় দেবী দুর্গার মহিষাসুর রোধের স্মরণে বিশেষ পূজা আরাধনা করা হয়। এই
সময়ে পূজা মন্ডপ গুলো অলকসজ্জা ফুল ও ধুপ বাতি দ্বারা পূর্ণ হয় এবং ভক্তরা
মন্ত্র পাঠ প্রার্থনা ও অর্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদ লাভের চেষ্টা
করেন।
সন্দীপূজার বিশেষ মুহূর্তগুলো হলো
- প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করাঃ দেবীর প্রতিমার কাছে প্রতি প্রজনন করা হয় বিশ্বাস করা হয় এই সময় দেবীর শক্তি সর্বাধিক উপস্থিত থাকে তাই এটি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মন্ত্র উচ্চারণ ও অর্ঘ্য প্রদানঃ অনেক মন্ডপে সন্ধিপূজার সময় ঢাকের তাল শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটি ভক্তি ও উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে এবং পূজার
আনন্দ কে সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।
-
শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঃ অনেক মন্ডপে সন্ধি পূজার সময় ঢাকের তাল শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটি ভক্তি ও উৎসবকে আরও প্রাণ বন্ধু করে তোলে এবং
পূজার আনন্দ কে সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।
-
অধ্যান্তিক ও সামাজিক গুরুত্বঃ ভক্তদের জন্য সন্ধিপূজা একটি আধ্যাত্মিক শান্তি সাফল্য এবং সমৃদ্ধির
প্রতীক। এছাড়াও সন্ধিপূজা কেবল ধর্মীয় নয় বরং সামাজিক ও সংস্কৃতির দিক
থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পরিবার বন্ধু এবং সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে পূজা
উদযাপন করে যা সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে তোলে।
২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় বলা যায় যে সন্ধিপূজা এবং
আরাধনার এই বিশেষ মুহূর্তগুলো দূর্গা পূজার প্রাণ ও কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে
বিবেচিত করা যায়। যা পূজার সমস্ত আচরণ ও আনন্দকে সমৃদ্ধ করে।
পরিবেশ বান্ধব পূজা ও সামাজিক দায়িত্ব
দুর্গাপূজার শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয় এটি পরিবেশ ও সামাজিক দায়িত্ব
সচেতনতা আর জাগ্রত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ভক্ত ও মণ্ডপ উদ্যোক্তাদের
জন্য পরিবেশ বান্ধব পূজা পালনের কিছু নির্দেশিকা রয়েছে যা অনুসরণ করলে উৎসবটি
নিরাপদ স্বাস্থ্যকর এবং সবার জন্য আনন্দময় হয়।
পরিবেশবান্ধব পূজা নির্দেশিকা গুলো হলঃ
- প্রাকৃতিক মূর্তি ব্যবহার করা অর্থাৎ পলিথিন বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক মাটির মূর্তি ব্যবহারে জল দূষণ ও পরিবেশীয় ক্ষতি কমে।
-
জলের সংরক্ষণ করা মানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা ও বিসর্জনের সময় অতিরিক্ত জল
ব্যবহার না করে সীমিত জল ব্যবহার ও পুণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
প্রাকৃতিক আলো ও এলইডি ব্যবহার অর্থাৎ কৃত্রিম রাসায়নিক রং ও আলো কমিয়ে
প্রাকৃতিক রং ও এলইডি আলো ব্যবহার করা উচিত যা পরিবেশবান্ধব এবং শক্তিশালী
হয়।
-
বর্জ্য ও প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে হবে। প্লাস্টিক ও বর্জ্য কমিয়ে পূর্ণ
ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত এবং সঠিক বর্জ্য নিষ্পত্তি নিশ্চিত
করা।
-
স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা অনুযায়ী সচেতন থাকা জরুরী। পূজার সময়
জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
প্রয়োজন।
-
দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা। আপনার আশেপাশে যদি দরিদ্র অসহায়দের জন্য
প্রসাদ খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা উচিত যা সামাজিক সংহত বাড়ায়।
-
শিশুদের অংশগ্রহণ করানো উচিত। শিশুদের পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ
করানো তাদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করা উচিত।
২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় পরিবেশবান্ধব পূজা কেবল
প্রাকৃতিক রক্ষার মাধ্যম নয় এটি সামাজিক ঐক্য এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে
দায়িত্বশীল আচরণের শিক্ষা প্রদান করে। এইভাবে ভক্তরা অধ্যান্তিক এবং সামাজিক
দায়িত্ব একসাথে পালন করতে পারে। দুর্গাপূজা ও মহালয়া তাই কেবল ভক্তি ও
আনন্দের উৎসব নয় বরং ঐতিহ্য সামাজিক বন্ধন এবং পরিবেশ সচেতনতার এক অনন্য
মিশ্রণ।
দূর্গা পূজা ২০২৫ কত দিন বাকি
দূর্গা পূজা ২০২৫ আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, বাংলার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও
সাংস্কৃতিক উৎসব দুর্গাপূজা এবার ২০২৫ সালে মহা ধুমধামে পালিত হতে যাচ্ছে।
ভক্তদের প্রাণের উৎসব এই পূজা শুরু হচ্ছে মহালয়ার মাধ্যমে আর দেবিপক্ষের সূচনা
হবে ভোরের চন্ডী পাঠে। আজকের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মহালয়া পালিত হবে 21
সেপ্টেম্বর ২০২৫ অর্থাৎ আর মাত্র উনিশ দিন পর। দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠী শুরু হবে ৩০
সেপ্টেম্বর ২০২৫ অর্থাৎ আর মাত্র ২৮ দিন পর।
এখন থেকেই সব জায়গাতে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। বাজারে নতুন পোশাকের
কেনাকাটা প্যান্ডেল নির্মাণ আলো শয্যার ঢাকের তাল সবকিছু মিলে বাঙালির জীবনের
শুরু হয়েছে আনন্দের ঢেউ। দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নই এটি সামাজিক মিলন
মেলা ঐক্য ও সংস্কৃতির প্রতীক। মহালয়া থেকে বিজয় দশমী পর্যন্ত প্রতিটি দিন
ভক্তরা দেবী দুর্গার আরাধনায় মগ্ন থাকেন।
- মহাষষ্ঠীঃ দেবীর বোধন ও আমন্ত্রণ
- মহা সপ্তমীঃ নবরাত্রির পূর্ণ সূচনা
- মহাষ্টমীঃ অষ্টমী পুষ্পাঞ্জলী ও কুমারী পূজা
- নবমীঃ মহিষাসুর বদের স্মরণ
- বিজয়া দশমীঃ প্রতিমা বিসর্জন ও আনন্দের বিদায়
এভাবে কাউন্ট ডাউন যতই এগিয়ে আসছে ততই ভক্তদের হৃদয়ে আনন্দ ও ভক্তির আবহ
আরো গভীর হচ্ছে।
২০২৬ সালের দূর্গা পূজা কবে
২০২৬ সালের দূর্গা পূজা কবে? পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী ও বিস্তারিত তথ্য। দুর্গাপূজা
কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয় এটি বাঙালি হৃদয় আধ্যাত্মিকতা সংস্কৃতি ও সামাজিক
ঐক্যের প্রতীক। প্রতিবছরের মতো ২০২৬ সালেও হিন্দু সম্প্রদায় উৎসব মুখর ভাবে
এই পূজা উদযাপন করবে। আসুন দেখেনি 2026 সালের দূর্গা পূজার দিন দিনক্ষণ
এবং বিশেষ দিনগুলো।
২০২৬ সালের দূর্গা পূজার দিনক্ষণ বাংলাদেশ টাইম
তারিখ | সাল | দিন |
---|---|---|
মহালয়া ১০ | অক্টবর ২০২৬ | শনিবার |
মহাষষ্ঠী ১৭ | অক্টবর ২০২৬ | শনিবার |
মহাসপ্তমী ১৮ | অক্টবর ২০২৬ | রবিবার |
মহাষ্টমী ১৯ | অক্টবর ২০২৬ | সোমবার |
নবমী ২০ | অক্টবর ২০২৬ | মঙ্গল্বার |
বিজয় দশমী ২১ | অক্টবর ২০২৬ | বুধবা |
এই সময়সূচি অনুযায়ী পূজার প্রধান দিনগুলো মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়ী দশমী পর্যন্ত
পাঁচ দিনব্যাপী উদযাপিত হবে।
মহালয়া ১০ অক্টোবর শনিবার মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত
হয়। মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা প্রবেশ বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ ও অর্ঘ্য প্রদান হয়।
মহা অষ্টমী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ভক্তরা অঞ্জলি দেন ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত
হয়। নবমিতে ভোগ আরতি ও দেবির মহিশাশুর বধে স্মরণে বিশেষ করে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজয় দশমী ২১ শে অক্টোবর বুধবার বিজয় দশমী হলো বিদায়ের দিন বিসর্জন দেওয়া
হয়। ভক্তরা সিঁদুর খেলা প্রণাম ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ দুঃখ মিলিয়ে
দিনটি উদযাপন করে।
পরিবেশ বান্ধব পূজা ও সামাজিক উপকরণ ব্যবহার প্লাস্টিক ও রাসায়নিক বর্জন এবং
দরিদ্রের মাঝে খাবার বিতরণের উপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলে আশা করা যায়। এর
মাধ্যমে পূজা হবে আরো সচেতন ও সবার জন্য আনন্দদায়ক।
২০২৬ সালের দূর্গা পূজা বাঙালির আধ্যাত্মিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনের নতুন
আবহ আনবে। দেবী দুর্গার পূজা শুধু ধর্মীয় আচরণ নয় এটি একতার আনন্দে এবং
ঐতিহ্যের মিলনক্ষেত্র। তাই এখন থেকেই পরিবার ও সমাজ মিলে পূজার প্রস্তুতি শুরু
করার সময়।
লেখকের শেষ কথা
২০২৫ সালের বাংলাদেশের দুর্গাপূজার ও মহালয়ার সময় বাঙালির অধ্যান্তিক ও
সাংস্কৃতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মহালয়া ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার
পালিত হবে যা দেবিপক্ষের শুভ সূচনা হিসেবে গণ্য হয়। এর সঙ্গে সন্ধিপূজা এবং
পূজার অন্যান্য দিনগুলো মহাষষ্ঠী মহা সপ্তমী মহা অষ্টমী মহা নবমী ও বিজয় দশমী
ধারাবাহিকভাবে পালিত হবে।
পূজা মন্ডপে ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণ অর্ঘ্য প্রদান প্রসাদ গ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও পরিবেশবান্ধব পূজা এবং সামাজিক দায়িত্ব
পালনের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে পারি এবং সবার মাঝে সচেতনতা
সৃষ্টি করতে পারি। দুর্গা পূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয় এটি হিন্দু বাঙালির
সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং সামাজিক ঐক্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ এই সময় প্রত্যেক
ভক্তের অংশগ্রহণই পূজাকে পূর্ণতা দেয়।
২০২৫ সালের বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ও মহালয়ার সময় সকলে ভালো থাকুন
ধন্যবাদ😐
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url