লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জানার আগ্রহ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। ইউরোপের জনপ্রিয় দেশগুলোর মধ্যে লিথুনিয়া একটি এটি সেনজেনভুক্ত বাল্টিক রাষ্ট্র। লাথভিয়া ও এস্তোনিয়ার পাশাপাশি লিথুনিয়াও বালটিক দেশগুলোর একটি। আর এই তিন দেশের মধ্যে আয়তনের সবচেয়ে বড় হলো লিথুনিয়া।
প্রতিবছর লিথুনিয়া বিভিন্ন খাতে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। এখানে কাজের প্রচুর
সুযোগ রয়েছে আপনি চাইলে নিজের দক্ষতা ও পছন্দ অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে
পারবেন। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করা খুব সহজ হয়ে গেছে। যদি কম
খরচে লিথুনিয়া যেতে চান তবে অবশ্যই সরকারিভাবে আবেদন করা উত্তম হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
- লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
- লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
- লিথুনিয়া কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে
- লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লিথুনিয়া কাজের বেতন কত
- লিথুনিয়া যেতে কতবছর বয়স লাগে
- লিথুনিয়া কোন দেশের পাশে অবস্থিত
- কাজের জন্য লিথুনিয়া দেশ কেমন
- লেখকের শেষ কথা
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া হচ্ছে ইউরোপের একটি সেনজেনভুক্ত দেশ এবং এটি উত্তর ইউরোপের বালটিক
অঞ্চলের অন্তর্গত। লাথভিয়া ও এস্তোনিয়ার সাথে লিথুনিয়াও একটি জনপ্রিয় বালটিক
রাষ্ট্র। প্রতিবছর অনেকেই কাজ পড়াশোনা বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লিথুনিয়ায় যেতে
চান। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল আসলে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা খরচ হয়। এক দেশ থেকে
অন্য দেশে যাওয়ার খরচ সব সময় নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরির উপর লিথুনিয়ার
ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন যেমন কাজের ভিসা
স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা এগুলো অনুযায়ী আপনার মোট খরচ নির্ধারিত হবে।
যদি সরকারিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে খরচ অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে থাকে।
সাধারণত সরকারিভাবে আবেদন করলে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে লিথুনিয়া
পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে চান তখন খরচ
কিছুটা বেড়ে যাবে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ
টাকা। অন্যদিকে কাজের ভিসা করতে চাইলে খরচ আরো বেশি হয় সাধারণত 7 থেকে 9 লক্ষ
টাকার মধ্যে। তবে এখানে বিষয়টি নির্ভর করে এজেন্সির সার্ভিস চার্জ এবং অন্যান্য
আনুষাঙ্গিক খরচের ওপর। টুরিস্ট ভিসা খরচ তুলনামূলকভাবে কম হলেও এর মেয়াদ সীমিত।
তাই যারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
খরচের পার্থক্য হয় মূলত ভিসার ধরন আবেদন প্রক্রিয়া এবং কোথা থেকে আবেদন করেছেন
তার ওপর। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুবিধা রয়েছে। আপনি চাইলে সরাসরি
অনলাইনে নিজের তথ্য পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। আবার অনেকেই এজেন্সির সাহায্য
নেন যাতে কাগজপত্র তৈরি ও প্রসেসিং ঝামেলা মুক্ত হয়। তবে এজেন্সির মাধ্যমে করলে
খরচ অবশ্যই কিছুটা বাড়বে। সব শেষে বলা যায় লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে তা
নির্ভর করেছে আপনার ভিসার ধরনের এবং আবেদন করার পদ্ধতির ওপর। সরকারিভাবে আবেদন
করলে খরচ তুলনামূলক কম হয় কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে খরচ কিছুটা বেশি
হয়। তাই আপনার জন্য কোনটা সুবিধা জনক হবে সেটা ভেবে সিদ্ধান্ত আপনার নিতে
হবে।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা বোঝার জন্য প্রথমে জানতে হবে ভিসার ধরন এবং আবেদন
প্রক্রিয়া সম্পর্কে। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে ইউরোপে কাজ করার বা বসবাস করার বিশেষ
করে লিথুনিয়ার মত দেশ হলে তো কথাই নেই। কাজের উদ্দেশ্যে লিথুনিয়া বর্তমানে অনেক
জনপ্রিয় গন্তব্য। কারণ এখানে কাজের সুযোগ তোলানামূলক ভাবে বেশি এবং অনেক
ক্ষেত্রে বেতন ভালো পাওয়া যায়। প্রতি বছর সরকারি ভাবে লিথুনিয়া বিভিন্ন ঘাটে
শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। তাই যদি সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী আপনি ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা পেয়ে যান তাহলে কম খরচে সহজেই লিথুনিয়া পৌঁছানো সম্ভব হবে। সরকারিভাবে
আবেদন করলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে আবার এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে খরচ
কিছুটা বেড়ে যায়।
আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে খরচ কত হয়?
- সরকারিভাবে আবেদন করলে লিথুমিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে মোট খরচ প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
- স্টুডেন্ট ভিসা করতে খরচ হয় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা।
-
আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে খরচ হয় প্রায় সাত থেকে ৯ লক্ষ টাকা।
যদি সব কাগজপত্র সঠিকভাবে অনলাইনে জমা দেওয়া যায় তাহলে ভিসা পাওয়ার
তুলনামূলকভাবে দ্রুত সম্ভব হয়। তবে এজেন্সি মারফত করলে তারা প্রসেসিং কাগজপত্র
তৈরি ও অন্যান্য ফি যোগ করায় খরচ কিছুটা বেশি হয়।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্যাটাগরিঃ লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সাধারণত চারটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়। যেমন
- সাধারণ কর্মীদের জন্যঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যারা সাধারণ শ্রমিক বা স্কিল্ড না হয়েও বিভিন্ন খাতে কাজ করতে চান তাদের জন্য এই ভিসা।
-
অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্যঃ EU BLUE CARD যারা উচ্চ শিক্ষিত বা
অভিজ্ঞ কর্মী বিশেষ করে প্রফেশনাল কাজের জন্য আবেদন করতে চান তাদের জন্য এই
ভিসা।
-
সিজনাল কাজের জন্যঃ সিজনাল ভিসা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মৌসুমি কাজ যেমন কৃষিকাজ বা
সিজনাল ইন্ডাস্ট্রির কাজে অংশ নিতে চাইলে এই ভিসা প্রযোজ্য।
-
ইন্দ্রা কোম্পানির ভিসাঃ কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কর্মী
স্থানান্তর যারা কোন কোম্পানির অধীনে কাজ করছেন এবং কোম্পানি থেকে অন্য
দেশে পোস্টিং দেয়া হয় তাদের জন্য এই ভিসার প্রয়োজন হয়।
ইউরোপ মহাদেশে যাওয়া অনেকের স্বপ্ন হলেও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি লিথুনিয়া
এখনো তেমন বেশি মানুষ যাননি। মূল কারণ হলো তথ্যের অভাব এবং ভিসার শর্ত
সম্পর্কে ভালোভাবে না জানা। তবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশী কর্মীদের ও সুযোগ তৈরি
হচ্ছে। সবশেষে বলা যায় লিথুনিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে আগে নির্ভরযোগ্য
সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা জরুরী। সরকারিভাবে আবেদন করলে খরচ কম এবং নিরাপদ
হয় তবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ বাড়লেও কাগজপত্রের ঝামেলা কম হয়।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বর্তমান সময়ে অনলাইনের কারণে লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা অনেক
সহজ হয়ে গেছে। এখন ঘরে বসেই মোবাইল অথবা কম্পিউটার ব্যবহার করে আবেদন
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। লিথুনিয়াতে প্রতিবছর বিভিন্ন খাতের শ্রমিক নিয়োগ
দেওয়া হয় তাই কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। আবেদন
করার ধাপসমূহ
- গুগলে প্রবেশ করুনঃ প্রথমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দ্বারা গুগল ক্রোম ওপেন করে সার্চ বক্সে লিখুন লিথুনিয়া ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সার্চ রেজাল্ট দেখে লিথুনিয়া অফিশিয়াল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ওয়েবসাইটের প্রবেশ করুন। সেখানে আপনি ভিসার আবেদন ফরম পাবেন।
-
আবেদন ফরম পূরণ করুনঃ ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড বা
অনলাইনে পূরণ করে নিন। ফর্মে অবশ্যই আপনার সব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
-
ডকুমেন্ট সংযুক্তি আবেদন করার আগে নিশ্চিত করুন যে আপনার কাছে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র রয়েছে যেমন বৈধ পাসপোর্ট অফার লেটার ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন পত্র
শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট ছবি ও স্বাস্থ্য সনদপত্র।
-
এজেন্সির সাহায্য নিলে সুবিধাঃ অনেকেই সরাসরি আবেদন করার
পরিবর্তে এজেন্সির সাহায্য নেন তারা পুরো প্রসেসিং দ্রুত শেষ করে দেয়।
এমনকি আপনার জন্য অফার লেটার ও ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে দেয় তবে অবশ্যই
নির্ভরযোগ্য এজেন্সি বেছে নিতে হবে।
লিথুনিয়ার কাজের ভিসা প্রসেসিং করার আগে আপনার কাছে অবশ্যই বৈধ অফার লেটার
থাকতে হবে। কোন কোম্পানি যখন আপনাকে নির্বাচন করবে তখন তারা অফার লেটার এবং
ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করবে। এই দুটি ছাড়া আপনার ভিসা আবেদন গ্রহণ
যোগ্য হবে না। আপনি চাইলে এজেন্সির মাধ্যমে বা সরাসরি আন্তর্জাতিক জব পোর্টাল
সাইট থেকে চাকরির অফার সংগ্রহ করতে পারেন। যেমন লিংক দেন ইউরেস ইউরোপিয়ান জব
মবিলিটি পোর্টাল। কোম্পানি আপনাকে অফার লেটার পাঠালে তখন আপনি নিজেও ভিসার
প্রসেসিং করতে পারবেন।
সবশেষে বলা যায় লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চাইলে সঠিক কাগজপত্র ও
নির্ভরযোগ্য জব অফার অন্তত জরুরী। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হলেও মনোযোগ
সহকারে সম্পন্ন করতে হবে।
লিথুনিয়া যাওয়ার উপায়
লিথুনিয়া ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি সুন্দর দেশ। বাংলাদেশ থেকে যখন কেউ
লিথুনিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করে তখন প্রথমেই ভাবতে হয় লিথুনিয়া যেতে কত
টাকা লাগে এবং কোন ভিসা দরকার হয়। পাসপোর্ট তৈরি সঙ্গে সঙ্গে ভিসার প্রয়োজন
হয় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সার ক্যাটাগরি রয়েছে এবং প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা
রকমের রিকোয়ারমেন্ট রয়েছে।
যদি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লিথুনিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে
তবে আপনাকে প্রথমে লিথুনিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অফার দেখাতে
হবে। এর সঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে যাতে দেখানো যায় আপনি
দেশের খরচ চালাতে সক্ষম। যদি লিথুনিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া হয় তবে
আপনাকে কাজের অফার লেটার এবং ওয়ার্ক পারমিট দেখাতে হবে। সরকারিভাবে এই ধরনের
ভিসা প্রক্রিয়া করলে খরচ তুলনামূলক কম হয় এবং নিরাপদে লিথুনিয়ায় পৌঁছানো
সম্ভব হয়।
লিথুনিয়ায় ভ্রমণ বা স্বল্প সময়ের জন্য যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিজিট ভিসা নেওয়া
যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ট্রাভেল রেকর্ড এবং ফাইনান্সিয়াল সক্ষমতা
দেখাতে হবে। নিজেরাই অনলাইনে বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করলে
হিসাব প্রসেসিং সহজ হয়। আবার কিছু ব্যক্তি বা পরিবার বেসরকারি এজেন্সি বা
দালালের মাধ্যমে লিথুনিয়ায় ভিসা প্রক্রিয়ার সুবিধা নেন। এজেন্সি গুলো
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তবে সাবধান থাকা
অত্যন্ত জরুরী। কখনোই অগ্রিম টাকা পরিশোধ করবেন না কারণ কিছু ক্ষেত্রে
অর্থনৈতিক প্রতারণায় ঝুঁকি থাকে।
লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
লিথুনিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে জানতে হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং
অন্যান্য ভিসার দাম কত। তার সাথে জানতে হবে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
লিথুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে আর ভিসার খরচ নির্ভর করে কোন ক্যাটাগরির
ভিসা নেওয়া হচ্ছে তার ওপর। অর্থাৎ আপনি যে ধরনের ভিসায় যেতে চান তার ওপর
আপনার খরচ নির্ভর করবে।
নিচে বিভিন্ন ভিসার দাম সংক্ষেপে দেখানো হলো
- কোম্পানি ভিসাঃ এই বিষয়ে লিথুনিয়া যেতে খরচ হবে প্রায় চার লাখ থেকে 6 লাখ টাকা।
-
স্টুডেন্ট ভিসাঃ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে স্টুডেন্ট ভিসা
নিলে খরচ পড়বে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত।
-
টুরিস্ট বা ভিজিট ভিসাঃ স্বল্প সময়ের জন্য ভ্রমণের
উদ্দেশ্যে ভিসা নিলে খরচ হবে প্রায় দুই লাখ থেকে চার লাখ টাকা।
-
ফ্যামিলি ভিসাঃ পরিবার নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিসার খরচ
পরবে ২ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা।
-
ড্রাইভিং বা ট্রান্সপোর্ট ভিসাঃ এই বিষয়ে খরচ হবে প্রায় .৪
লাখ থেকে 5 লাখ টাকা।
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসা করতে কি কি লাগে
লিথুনিয়া একসময় একটি বড় দেশ ছিল। বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের অনেক অঞ্চলের
অধীনে ছিল। বর্তমানে এটি বালটিক সমুদ্রের তীরে অবস্থিত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে
পরিচিত। যখন আমরা ভাবি লিথুনিয়ায় যেতে কত টাকা লাগে তখন স্বাভাবিকভাবে
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে চিন্তা আসে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হলো কাজের
উদ্দেশ্যে লিথুনিয়ায় যাওয়ার বৈধ ভিসা। খুশির খবর হল সরকারিভাবে কম খরচে
লিথুনিয়ায় যাওয়ার সুযোগ এখন রয়েছে। সাধারণত প্রায় .৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ
টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত এজেন্সি
গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিসার ক্যাটাগরি
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা আলাদা হতে পারে। নিচে সাধারণভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেয়া হলোঃ
- পাসপোর্ট
- ভোটার আইডি কার্ড
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জব অফার লেটার কাজের ভিসার জন্য
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফার লেটার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট স্টুডেন্ট ও টুরিস্ট ভিসার জন্য দরকার হয়
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট স্টুডেন্ট ভিসার জন্য দরকার হয়
-
কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট এটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়
- কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- রিকমেন্ডেশন লেটার সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসার জন্য দরকার হয়
- আই এল টি এস স্কোর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়
এই কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত করে আবেদন করলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ হয়ে যায়।
লিথুনিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
লিথুনিয়া উত্তর ইউরোপের একটি রাষ্ট্র যা অরণ্য হৃদ ও নদীতে সমৃদ্ধ। এর রাজধানী
হল ভিলনিয়াস। লিথুনিয়া সেনজেনভক্ত বালটিক দেশের মধ্যে একটি এবং বর্তমানের
সরকারিভাবে কম খরচে সেখানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা নিয়ে যাওয়া এখন সহজ। লিথুনিয়ার জনসংখ্যা কম হওয়ায় দেশটি বিভিন্ন
কাজের জন্য বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করে। তাই যারা লিথুনিয়ায় যেতে চান তাদের
জন্য অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।
ভিসা প্রসেসিং বা যাত্রা শুরু করার আগে জানা ভালো যে লিথুনিয়ায় কোন ধরনের
কাজে চাহিদা বেশি এবং লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে। সব চেয়ে ভালো হবে
স্থানীয় প্রবাসী বা অভিজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করা। তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে
পারবেন যাতে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে সঠিক কাজের জন্য
ওয়ার্ক ভিসার আবেদন করতে পারেন। স্থানীয় প্রবাসীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা
যায় লিথুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে নিম্নে লিখিত কাজগুলোতে।
- কন্সট্রাকশন
- ইলেকট্রিক্যাল
- ড্রাইভিং
- ওয়েল্ডার
- ফ্যাক্টরি
- রেস্টুরেন্ট
- ক্লিনার
এই তথ্যগুলো জানা থাকলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং
পরিকল্পিত হবে।
লিথুনিয়া কাজের বেতন কত
লিথুনিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ যে কোন নতুন কাজ
শুরু করার আগে মানুষ সাধারণত জানতে চাই কাজে চাহিদা এবং বেতন কত হবে। লিথিনায়ায়
কাজের জন্য অনেকেই যাচ্ছেন কিন্তু অনেকেই জানেন না ঠিক কত টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। এই কারণে সচেতনতা বাড়াতে অনলাইনের মাধ্যমে লিথুনি্যা কাজের বেতনের তথ্য
সংগ্রহ করা হচ্ছে। লিথুনিয়ায় কাজের বেতন সাধারণত ঘন্টা ভিত্তিক নির্ধারিত হয়
এবং মূলত আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। নতুন কর্মী হিসেবে যদি কোন
কাজ শুরু করেন যেখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই সে ক্ষেত্রে সাধারণত মাসিক বেতন হয়
প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা
পর্যন্ত।
আর যদি কারো পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে মানে তিনি ইতিমধ্যেই দক্ষ এবং পরিচিত কোন
কাজের জন্য নিয়োগ পাচ্ছেন তাহলে তার বেতন অনেক বেশি হতে পারে। অভিজ্ঞ কর্মীরা
প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মাসিক ইনকাম করতে পারেন। লিথুনিয়ায়
যে কাজগুলোতে বেতন তুলনামূলকভাবে ভালো সেগুলো হল কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক্যাল,
ড্রাইভিং, ওয়েল্ডিং, ফ্যাক্টরি, রেস্টুরেন্ট, এবং ক্লিনার সংক্রান্ত কাজ।
এছাড়া কোন কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নিয়োগ বা বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন এমন ক্ষেত্রে
বেতন আরো বেশি হতে পারে।
সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো লিথুনিয়ায় কাজের জন্য পেমেন্ট সরাসরি ইউরোতে
দেওয়া হয়। তাই অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের ধরন এবং সময়ের উপর ভিত্তি
করে বেতন বৃদ্ধি পায়। নতুন বা অভিজ্ঞ যেকোনো কর্মীর জন্যই লিখুনিয়ায় ঘরে বসে
কাজ করার সুযোগ উপযুক্ত বেতন পাওয়া সম্ভব যা বাংলাদেশী মুদ্রায় খুবই
লাভজনক।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
লিথুনিয়া যাওয়ার আগে শুধু খরচ নয় বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ কাজের
উদ্দেশ্যে ভিসা পেতে নির্দিষ্ট বয়স শর্ত থাকে। লিথুনিয়া ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত
একটি দেশ তাই সেখানে ভিসা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি পোল্যান্ড লাটভিয়া বা
বেলারুশের মত অন্যান্য দেশের যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এটি ভিসার সুবিধা হিসেবে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বাংলাদেশে লিথুনিয়ার কোন এম্বাসি নেই তাই সাধারণত
ভিসার সমস্ত প্রসেসিং প্রতিবেশী দেশ ভারতের মাধ্যমে করা হয়। যারা কাজের ভিসা
নিতে চান তাদের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
তবে প্রায়শই লিথুনিয়ায় কাজের জন্য ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধা জনক
বয়স হলো ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এই বয়সের মধ্যে আবেদন করলে ভিসা পাওয়ার
সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং কাজের ভিসা দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ হয়। অপরদিকে যারা
স্টুডেন্ট হিসেবে ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে
হবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় ভর্তি প্রক্রিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত অনুযায়ী
বয়স সামান্য ভিন্ন হতে পারে।
সারসংক্ষেপে বলা যায় লিথুনিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে বয়স ২১ থেকে ৩০
বছরের মধ্যে হলে সবচেয়ে সুবিধা জনক। আর স্টুডেন্ট বা ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে
বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। এই বয়সের শর্ত মেনে চললে কাজের ভিসা বা স্টুডেন্ট
ভিসা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।
লিথুনিয়া কোন দেশের পাশে অবস্থিত
লিথুনিয়া উত্তর ইউরোপের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং এটি সেনজেনভুক্ত বালটিক
দেশের অংশ। বালটিক তিন ভুজের মধ্যে লাটভিয়া এস্তোনিয়া ও লিথুনিয়ার মধ্যে
লিথুনিয়ায় বৃহত্তম। এই দেশের অবস্থান খুবই ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি
বালটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। যেখানে সাগরের অন্য পাশে সুইডেন
লিথুনিয়ার সীমান্তগুলো অন্যান্য উত্তর লাটভিয়া পূর্বে বেলারুশ দক্ষিণ-পশ্চিমে
পোল্যান্ড এবং বলাস্ত রাশিয়ার একটি ছিট মহল অবস্থিত। একসময় লিথুনিয়া অনেক
বড় অঞ্চল দখল করেছিল। বর্তমানে বেলারুশ ও ইউক্রেনের অনেক এলাকা এক সময়
লিথুনিয়ায় অংশ ছিল। এই ইতিহাসের কারণে লিথুনিয়ার সাংস্কৃতি স্থাপত্য এবং
সমাজে ইউরোপীয় প্রভাবস্পষ্টভাবে দেখা যায়।
ভূ প্রাকৃতিক বেশ বৈচিত্র্যময় লিথুনিয়ায় বিস্তীর্ণ অরণ্য নদী এবং উন্মুক্ত
প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। দেশটি বনাঞ্চল এবং রিদ সমৃদ্ধ হওয়ায় প্রাকৃতিক
প্রেমীদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় দেশ। এছাড়া ভিড় নিয়ে আসে হলো দেশের
রাজধানী এবং এখানকার শহরগুলো পরিষ্কার সু সংঘাতিত ও শান্তিপূর্ণ। জনসংখ্যার দিক
থেকে একটি কম জনবসতি বিশিষ্ট দেশ। দেশের বেশিরভাগ মানুষ লিথওয়ান যারা রোমান
ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। তাই এখানে জীবনযাত্রা অনেক শান্তিপূর্ণ এবং সামাজিক
পরিবেশ খুবই নিরাপদ। দেশের নাগরিকদের জীবনমান উন্নত এবং বেসরকারি ও সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ কার্যকর ভাবে পরিচালিত।
বর্তমানে লিথুনিয়া ইউরোপীয় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত এবং প্রবাসীদের
জন্য এটি কাজ ও বসবাসের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। দৃষ্টির জীবনযাত্রার মান
উন্নত পরিকাঠামো নিরাপদ পরিবেশ এবং জনসংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় প্রবাসীরা
এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী। এছাড়াও লিথুনিয়ার চাকরির সুযোগ
অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বেশি এবং কাজের বেতন ও যুক্তিসঙ্গত। সবশেষে
বলা যায় লিথুনিয়ের ভৌগোলিক অবস্থান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ
এবং ইউরোপীয় জীবন যাত্রার সুবিধা এই দেশটিকে প্রবাসী এবং শ্রমিকদের কাছে
আকর্ষণীয় করে তোলে।
কাজের জন্য লিথুনিয়া দেশ কেমন
লিথুনিয়া যেতে চাইলে শুধু খরচ বা ভিসার বিষয়েই নয় দেশের কাজের সুযোগ কেমন
হবে তাও জানতে হবে। লিথুনিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে জনসংখ্যা
তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেশি। তাই সরকার নিয়মিত বিভিন্ন
ক্যাটাগরিতে শ্রমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই বিজ্ঞপ্তি দেখে বিভিন্ন
দেশ থেকে আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমে কাজের জন্য আবেদন করতে পারে। লিথুনিয়ার
কাজের বাজারের বৈশিষ্ট্য হলো অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন
নির্ধারণ করা হয়। নতুন যারা কাজ শুরু করেন তাদের বেতন কিছুটা কম হতে পারে
কিন্তু ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে দক্ষতা অনুযায়ী বেতন বাড়তে থাকে।
এছাড়াও লিথুনিয়ায় কাজের সময় প্রায়শই ঘন্টা ভিত্তিক বেতন পাওয়া যায় যা
কাজের মান ও সময় অনুযায়ী ঠিক করা হয়। দেশের জীবন মানেও বেশ উন্নত
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিরাপদ বসবাস সংঘটিত শহর ও পরিষ্কার পরিবেশ প্রবাসীদের জন্য
এটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখানে কাজ করে রেমিটেন্স
পাঠিয়ে নিজের দেশে অর্থনীতিতে অবদান রাখে। পাশাপাশি লিথুনিয়ায় কাজ করার
মাধ্যমে নিজের দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং পেশাদারিত্ব বাড়ানোর সুযোগ পায়।
সব শেষে বলা যায় কাজের জন্য একটি সম্ভাবনায় দেশ। এখানে নতুনদের জন্য কাজের
সুযোগ আছে অভিজ্ঞদের জন্য ভালো বেতন পাওয়া যায় এবং প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নের
পাশাপাশি নিজের জীবন মানে উন্নত করতে পারে। এই কারণে লিথুনিয়ায় কাজের জন্য
যাওয়া বাংলাদেশীদের কাছে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় একটি দেশ।
শেষ কথা লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যদি সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঠিকভাবে
প্রস্তুত করা হয় তাহলে মাত্র ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসা তৈরি করা সম্ভব। তবে
এই প্রক্রিয়ায় খুব সতর্ক থাকতে হবে কখনোই অসাধু কোন এজেন্সির মাধ্যমে কাজ
করবেন না। সব সময় দেখে শুনে বিশ্বাসযোগ্য ও প্রতিষ্ঠিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার
জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়াই ভালো। এছাড়াও কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগে
এজেন্সির ফি পরিশোধ না করাই সবচেয়ে নিরাপদ। অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা বা হয়রানি কম
হয়।
লিথুনিয়া একটি উন্নত ইউরোপীয় দেশ। এ দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করলে বিশেষ কিছু
পেশায় যেমন বিচারক, সফটওয়্যার ডেভলপার, পাইলট, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, ফাইন্যান্স
ও ইন্সুরেন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার প্রভৃতি
বেসজীবীর বেতন সবচেয়ে বেশি হয়। বাংলাদেশি প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সাধারণত কাজের
বেতন বেশি হয় এমন পেশায় যেমন ড্রাইভিং, প্লাম্বিং, ইলেকট্রনিক, ফুড ডেলিভারি
এবং কনস্ট্রাকশন।
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url