মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

আজকের আলোচনার বিষয় হলো মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। মরিঙ্গা পাউডার মানুষের শরীরের জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল ভান্ডার যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ। এই কারণে এটি নিয়মিত সঠিকভাবে খেলে শরীরে সুস্থতা ও শক্তি বাড়ায়। তবে ভুল ভাবে খেলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। 

মরিঙ্গা-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম

সাধারণত একে সজনে পাতার পাউডার বলা হয়। যদিও ভিন্ন অঞ্চলে এটি অন্য নামে পরিচিত। সঠিক নিয়মে মরিঙ্গা পাউডার সেবন করলে শরীর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দৈনন্দিন শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই আজ আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে ও সঠিক ভাবে খাওয়া উচিত।

পেজ সূচিপত্রঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানলে আপনি যতই এটি সেবন করুন না কেন শরীরের জন্য এর পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সঠিক নিয়মে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে মরিঙ্গা পাউডার খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ খালি পেটে মরিঙ্গা পাউডার খেলে পাকস্থলির সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য এটি আরো ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সকালে হালকা কিছু খাবারের পরই মরিঙ্গা পাউডার সেবন করা সবচেয়ে নিরাপদ।

পরিমাণ অনুসারে মরিঙ্গা পাউডার সেবন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত গ্রহণ করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণ নিয়ম হলো প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ চামোচের বেশি মরিঙ্গা পাউডার নেওয়া উচিত নয়। যদি আপনি এটি নিজের বাড়িতে প্রস্তুত করেন তবে সর্বোচ্চ চার চামচ গ্রহণ করা নিরাপদ। কিন্তু যদি বাজার থেকে বা অনলাইনে কেনেন তবে দিনে এক থেকে দুই চামচের বেশি গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ বাজারের বা অনলাইনে বিকৃত মরিঙ্গা পাউডারের দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল এবং প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাণ যাচাই করা জরুরী।

যদিও মরিঙ্গা পাউডার পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে স্বাদ তুলনামূলকভাবে তেমন ভালো নয়। তাই সাদ বাড়ানোর জন্য প্রতি ২৫০ মিলিগ্রামের মরিঙ্গা পাউডারের এক থেকে দুই চামচ মধু অথবা এক থেকে দুই ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে একসাথে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আরো ভালো ফলাফল পেতে চাইলে গরম পানির পরিবর্তে গরম দুধের সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যেতে পারে।

যখন আপনি এটা প্রথমবার মরিঙ্গা পাউডার খেতে শুরু করবেন তখন অল্প পরিমাণ দিয়ে শুরু করা ভালো হবে। নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো ফলাফল পেতে হলে সকালে হালকা খাবারের পর বা রাতে ঘুমানোর আগে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া উচিত। নিয়মিত দুই থেকে আড়াই চামচ খেলে শরীরের উপকারিতা স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়।

মরিঙ্গা পাউডার কখন খেতে হয়

আমরা আগের অংশে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। কিন্তু ভালো ফলাফল পেতে হলে এটি কখন খাওয়া উচিত সেটিও জানা জরুরী। কারণ কোন উপাদানে যত বেশি পুষ্টিগুণ থাকুক না কেন যদি সঠিক সময় মত সেবন না করা হয় তাহলে এর কার্যকারিতা প্রায় হারিয়ে যায়। সাধারণভাবে বলা যায় মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সেরা সময় হলো সকালে। এই সময় শরীর সব থেকে বেশি সংক্রীয় থাকে এবং সমস্ত পুষ্টি উপাদানকে সহজে শোষণ করতে পারে।

সকালে হালকা খাবারের পর মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। কারণ সকালের সময় শরীর সচল থাকায় মরিঙ্গা সমস্ত পুষ্টিগুণ দ্রুত শোষিত হয় এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। এতে দিনের শুরুতে শরীর সতেজ থাকে এবং শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মরিঙ্গা-পাউডার-কখন-খেতে-হয়
দুপুর বা রাতের খাবারের পরও মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি ভাব থাকে খাবারের পর খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর উপর চাপ কম থাকে এবং মরিঙ্গার পুষ্টিগণ ধীরে ধীরে শোষিত হয়। ফলে কোন অস্বস্তি বা সমস্যা দেখা দেয় না।

ব্যায়াম করার আগে বা পরে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়াও কার্যকর। এতে থাকা প্রোটিন এবং মিনারেল শরীরকে অতিরিক্ত শক্তি দেয় এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে। ব্যায়ামের আগে খেলে শরীরের এনার্জি বাড়ায়। আর ব্যায়ামের পরে খেলে পেশি পূর্ণ গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরকে দ্রুত জীবিত করে।

সবশেষে বলা যায় মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সঠিক সময় নির্ধারণে শরীরের সচলতা পাকস্থলীর স্বাচ্ছন্দ এবং ব্যায়ামের ধরন সব বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে খাওয়া জরুরী। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খেলে মরিঙ্গা পাউডারের সমস্ত পুষ্টিগণ শরীরকে সর্বোচ্চ উপকার প্রদান করে।

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা

মরিঙ্গা পাউডার যা সজনে গাছের পাতার গুড়ো হিসেবে পরিচিত এক ধরনের প্রাকৃতিক সুপারফোড। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সি ই ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম এবং প্রোটিন থাকে যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইসব পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া হলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয় রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের নতুন শক্তি ফিরে আসে।

এটি শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে না বরং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা যেমন হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মরিঙ্গা পাউডার অত্যন্ত কার্যকর। কারণ এটি শক্তির  শরক্রার মাত্র নিয়ন্ত্রণের রাখতে সাহায্য করে। মরিঙ্গা পাউডারের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষভাবে কাজ করে।

এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কামায় যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর থাকে। এটি চুল পড়া কমাতে চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার হজম শক্তি উন্নত করে গ্যাস্টিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এটি কার্যকর কারণ মরিঙ্গা পাউডার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বিত আমার প্রক্রিয়াকেও বাধা দেয়।

সব মিলিয়ে বলা যায় নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভেতর এবং বাইরে দুদিকের স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন অনুভূত হয়। এই কারণে মরিঙ্গা পাউডারকে অনেকেই সুপার ফুড হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটি শুধু খাদ্য নয় বরং স্বাস্থ্য রক্ষার এক প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটি খাবার প্রাকৃতিক উপাদানের যেমন উপকারিতা থাকে ঠিক তেমনি কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা থাকতে পারে। মরিঙ্গা পাউডারও এর ব্যতিক্রম নয়। নিয়মিত এবং পরিমাণমতো সেবন করলে শরীরের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। তবে অতিরিক্ত বা ভুল ভাবে খেলে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও কিছু মানুষের শারীরিক অবস্থার কারণে মরিঙ্গা পাউডার ক্ষতিকর হতে পারে। সংক্ষেপে বলতে গেলে অতিরিক্ত বা ভুল পদ্ধতিতে মরিঙ্গা পাউডার গ্রহণ করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

যেমন মরিঙ্গা পাউডারে থাকা ভিটামিন মিনারেল এবং সক্রিয় উপাদানগুলো অতিরিক্ত হলে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। হজমের সমস্যার মধ্যে সাধারণত দেখা যায় গ্যাস পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার মত রোগ। এছাড়াও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা হালকা মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে। আমরা আগেও জেনেছি যে মরিঙ্গা পাউডার রক্তচাপ এবং রক্তের শুকা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তচাপ বা রক্তের সুগার ইতিমধ্যে কম তাদের ক্ষেত্রে মরিঙ্গা পাওডার খাওয়া বিপদজনক হতে পারে।

এছাড়াও গর্ভবতী নারী বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য মরিঙ্গা পাউডার ঝুকিপূর্ণ হতে পারে। এই যদি এই সমস্ত ক্ষেত্রে কেউ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর সেবন করা উচিত। এতে শরীরের ক্ষতি এড়ানো যায় এবং মরিঙ্গা উপকারী প্রভাব সর্বোচ্চ কাজে লাগে।

মরিঙ্গা ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

আমরা প্রায় আগে থেকে জানি যে মরিঙ্গা পাউডার সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও উপকারী উপাদান থাকে। তবে সত্যি কথা হলো মরিঙ্গা পাউডারের স্বাদ অনেকের জন্য তেমন উপযোগ্য নয়। বিশেষ করে যারা খাওয়ার আগে স্বাদকে বেশি গুরুত্ব দেন তাদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে মরিঙ্গা পাউডারের পরিবর্তে মরিঙ্গা ক্যাপসুল গ্রহণ করা একটি কার্যকর উপায়। সাধারণভাবে মরিঙ্গা পাউডার এবং মরিঙ্গা ক্যাপসুল এর পুষ্টিগণ প্রায় একই। তাই ক্যাপসুল সেবন করেও আপনি সহজেই মরিঙ্গার সমস্ত উপকার পেতে পারেন।

সাধারণ মরিঙ্গা ক্যাপসুল প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া যায়। একদিনের সর্বোচ্চ গ্রহণ মাত্রা হলো এক থেকে দুইটি ক্যাপসুল। এই পরিমাণে গ্রহণ করলে সাধারণত কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না এবং শরীর ভালোভাবে উপকার পায়। তবে এই পরিমাণের বেশি ক্যাপসুল সেবন করলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এটি সঠিকভাবে মাপ অনুযায়ী খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
মরিঙ্গা-ক্যাপসুল-খাওয়ার-নিয়ম
মরিঙ্গা ক্যাপসুল সকালের এবং রাতের খাবারের পরে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এটি কখনোই খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। কারণ খালি পেটে গ্রহণ করলে পাকস্থলের অস্বস্তি বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি ক্যাপসুলটি পানি অথবা হালকা গরম দুধের সঙ্গে নিতে পারেন। বিশেষভাবে যদি দ্রুত এবং বেশি উপকার পাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে হালকা গরম দুধের সঙ্গে মরিঙ্গা ক্যাপসুল গ্রহণ করলে শরীরে এর প্রভাব দ্রুত এবং কার্যকর ভাবে অনুভূত হয়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী নারীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মরিঙ্গা ক্যাপসুল গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তচাপ থাইরয়েড বা কিডনি সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে আগে চিকিতসকদের সাথে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

সবশেষে বলা যায় সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার একই সময়ে মরিঙ্গা ক্যাপসুল গ্রহণ করা উত্তম। নিয়মিত এবং সঠিকভাবে সেবন করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি লম্বা হয়

মরিঙ্গা পাউডার খেলে লম্বা হওয়া যায় কিনা এটি অনেকের মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন। সহজ ভাবে বলতে গেলে মরিঙ্গা পাউডারের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সি ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে। যার শরীরের বৃদ্ধির হার গঠন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে এটি সরাসরি মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা পালন করে না। অর্থাৎ শুধু মরিঙ্গা পাউডার খেলে হঠাৎ করে লম্বা হওয়া সম্ভব নয়।

মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির মূলত নির্ভর করে বংশগত বা জেনেটিক গঠন হরমোনের সঠিক ব্যালেন্স এবং হারের বিকাশের ধরনের অপর। কোন ব্যক্তি লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে তার পিতামাতার উচ্চতার উপর। তাই শুধুমাত্র মরিঙ্গা পাউডারের সেবন উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট নয়। শরীরের উচ্চতা সাধারণত বৃদ্ধি পায় ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সের মধ্যে। এই সময়কাল হল হাড়ের বৃদ্ধির সবচেয়ে সক্রিয় সময়। যেখানে সঠিক পুষ্টি নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এই সময়ের মধ্যে যদি মরিঙ্গা পাটা নিয়মিত সেবন করা হয় তবে এটি শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে এবং হাড়ের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও অন্যান্য ভিটামিন সরবরাহ করে। অতএব বলা যায় ১৮ থেকে ২১ বছরের আগে মরিঙ্গা পাউডার নিয়মিত সেবন করলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা সম্ভব, যা হারের স্বাস্থ্য ও বিকাশকে সহায়তা করে। তবে এটি সরাসরি উচ্চতা বৃদ্ধিতে ক্যালকুলেটর বল বা নিশ্চিত প্রভাব হাড়ের বিকাশকে সহায়তা করা একটি পুষ্টিকর উপাদান। কিন্তু উচ্চতা বৃদ্ধির মূল নিয়ন্ত্রণে জেনেটিক্স এবং হরমোনের ওপরই নির্ভরশীল থাকে।

ত্বকের যত্নে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

ত্বকের যত্ন অনেক সময় আমরা শুধুমাত্র বাহিরের দিক যত্নের মাধ্যমে বুঝি। কিন্তু ত্বকের সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখার জন্য শুধু বাইরে থেকে যত্ন নেওয়া যথেষ্ট নয়। ত্বকের ভেতর পুষ্টি পূরণ করা ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে পাওয়া অনেক ফেসওয়াশ বা রূপচর্চার পন্যতে কেমিক্যাল থাকায় তা দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই তকে ভেতর থেকে সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্য প্রাকৃতিক পুষ্টি সরবরাহ করা অত্যন্ত জরুরী।

মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়ো এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ সি এবং ই ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে। ফলে ত্বক দেখতে সুন্দর উজ্জ্বল এবং দাগহিন থাকে। ত্বকের যত্নে মরিঙ্গা পাউডার সেবনের জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর নিয়ম হলো মরিঙ্গা চা বানানো ও পান করা।

প্রথমে একটি কাপ পরিমাণ পানি হালকা গরম করে নিতে হবে। গরম পানি খুব বেশি উগ্লানো নয় বরং মাঝারি তাপমাত্রার হওয়া উচিত যাতে পুষ্টি হার নাই। এরপর এই পানিতে দুই থেকে তিন চামচ মরিঙ্গা পাউডার ভালোভাবে মিশাতে হবে। সাদ বাড়াতে চাইলে এক চামচ মধু বা এক থেকে দুই ফোঁটা লেবুর রস যোগ করা যেতে পারে। তবে এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে চিনি বা চিনি জাতীয় কোন উপাদান একেবারে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ চিনি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমাতে পারে এবং দাগের সমস্যা বাড়াতে পারে।

এই মরিঙ্গা চা সকাল বা বিকেল সময়ে খাবারের পরে পান করা সবচেয়ে উপযুক্ত। এতে শরীর পুষ্টি গ্রহণ করতে সক্ষম হয় এবং ত্বকের জন্য কার্যকর প্রভাব তৈরি হয়। নিয়মিত এই চা দুই থেকে তিন মাস পান করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা লক্ষ্যযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

যদি চা ষেবনের সময় কোন ধরনের অস্বস্তি বা সমস্যা দেখা দেয় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে শরীর ও ত্বকের জন্য ঝুঁকি এড়ানো যায় এবং মরিঙ্গার পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

মরিঙ্গা পাউডার দাম কত টাকা

মরিঙ্গা পাউডার বর্তমানে বিভিন্ন বড় দোকান সুপার শপ এবং অনলাইনে সহজে পাওয়া যায়। তবে সাধারণভাবে দেখা যায় অনলাইনে বিক্রিতের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ এখানে পণ্যের মান যাচাই এবং ডেলিভারি খরচ যুক্ত থাকে।

১০০ গ্রাম রোহিঙ্গা পাউডার কিনতে সাধারণত আপনাকে ৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। এটি নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর যেমন ব্র্যান্ড প্রস্তুত প্রক্রিয়া পণ্যের মান।
  1. নতুন বা কম পরিচিত ব্যান্ডের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে যেখানে নামই ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের দাম অনেক বেশি নির্ধারিত হয়।
  2. যদি পাউডারটি অর্গানিকভাবে বা হালকা প্রক্রিয়াজাত ভাবে তৈরি হয় তবে দাম কিছুটা বেশি হয়।
  3. অর্গানিক খাঁটি এবং প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যাল বিহীন পাউডার সাধারণত বেশি দামি হয়।
তবে শুধু দাম দেখে মরিঙ্গা পাউডার কেনা ঠিক নয়। সর্বদা লক্ষ রাখতে হবে যে আপনি যে পাউডারটি কিনছেন সেটি খাঁটি ও অর্গানিক কিনা। কারণ বর্তমান বাজারে কিছু অসাধক বিক্রেতা তাদের পণ্যকে আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভ মিশিয়ে রাখে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

অনলাইনে কিনলে অবশ্যই সেই সেন্টারে রিভিউ এবং গ্রাহক প্রক্রিয়া ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। বাজার থেকে কিনলে প্যাকেটের উপর উল্লেখিত উপাদান সমূহ পরীক্ষা করতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে যে এতে কোন ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা নেই। তবে দাম দেখে মরিঙ্গা পাউডার কেনার আগে সর্বদা পণ্যের মান ও অর্গানিক কথা যাচাই করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ম মেনে চললে আপনি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর মরিঙ্গা পাউডার সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারবেন।

বাড়িতে মহিঙ্গা পাউডার বানানোর উপায়

আমরা ইতিমধ্যে জানি মরিঙ্গা হল সজনে গাছের পাতা। বাজারে যা মরিঙ্গা পাউডার হিসেবে পাওয়া যায় তা মূলত এই পাতাকে প্রক্রিয়াজাত করে গুরু করে প্যাকেট করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়। তবে আপনি চাইলে বাড়িতে উচ্চ মানের ভেজালমুক্ত মরিঙ্গা পাউডার তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়িতে বানানোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে এটি সম্পূর্ণ অর্গানিক এবং কোন কেমিক্যাল বা প্রিজারভেটিভ মিশ্রিত নয়।

কারণ বাজারের বা অনলাইনের অনেক মরিঙ্গা পাউডার কে আকর্ষণীয় দেখাতে বিভিন্ন কেমিক্যাল বা ভেজাল ব্যবহার করা থাকে। বাড়িতে মরিঙ্গা পাউডার বানানোর জন্য প্রথমে প্রয়োজন পরিমাণ মতো সজনে গাছের পাতা সংগ্রহ করা। চেষ্টা করুন দেশি গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করতে কারণ দেশি সজনে পাতায় পুষ্টিগুণ হাইব্রিড বা বিদেশি গাছের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। এরপর এই পাতাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন যাতে ময়লা বা ধুলা গুলো পুরোপুরি দূর হয়।
মরিঙ্গা-খাওয়ার-নিয়ম
পরবর্তী ধাপ হলো পাতা শুকানো। রোদে শুকানো সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কারণ এতে পাতার পুষ্টি কম হয় না। অনেকে মাইক্রো ওভেনে শুকানোর চেষ্টা করেন তবে এতে কিছু পুষ্টি হারিয়ে যেতে পারে। রোদে পাতাগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে এগুলোকে ব্লেন্ডার বা মিক্সারে ভালোভাবে গু্রা করতে হবে। গুরা করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন ডানা বা বড় অংশের বাকি না থাকে।

এইভাবে প্রস্তুত করা মরিঙ্গা গুঁড়ো বা পাউডার আপনি পরিষ্কার এয়ারটাইট কন্টেইনারের সংরক্ষণ করতে পারেন। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য থাকবে এবং প্রতিবার ভেজাল মুক্ত অর্গানিক মরিঙ্গা সেবন করতে নিশ্চিত হবে। বাড়িতে বানানো মরিঙ্গা পাউডার খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি অনেক কম থাকে এবং আপনি এর সমস্ত পুষ্টিগণ পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করতে পারবেন।

মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি হয়

মরিঙ্গা পাউডার সজনে পাতার গুঁড়া হল এক ধরনের প্রাকৃতিক সুপারফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন থাকে যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মরিঙ্গা পাউডার নিয়মিত সেবন করলে শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া সক্রিয় হয় এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।
  1. মরিঙ্গা পাউডার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন এ সি ই এবং আয়রন ও ক্যালসিয়াম শরীরে ই্মিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ফলে শরীর সংক্রমণ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্লান্তি কমে যায়।
  2. মরিঙ্গা পাউডার হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী কারণ এটি রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  3. মরিঙ্গা পাউডার ত্বক ও চুলের যত্নে কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের অভ্যন্তরীণও প্রদাহ কমায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল স্বাস্থ্যকর এবং দাগ মুক্ত থাকে। চুলের ক্ষেত্রে এটি চুল পড়া কমায় ও চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  4. মরিঙ্গা পাউডার হজম শক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ প্রতিরোধ সহায়ক। এটি গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কমায় এবং খাদ্য পচনের সহায়তা করে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য মরিঙ্গা পাউডার খুব কার্যকর। কারণ এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চর্বি জমার প্রক্রিয়াকে কমায়।
এছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার শরীরের ডিটেক্স প্রক্রিয়া সহায়তা করে। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মরিঙ্গা পাউডার সেবন করলে শরীরে অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের দিকে স্বাস্থ্য দুইটাই উন্নত হয়।

সংক্ষেপে বলা যায় মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া মানে হল শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ শক্তিশালী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মুক্ত রাখা। নিয়মিত এবং সঠিকভাবে সেবন করলে এর সমস্ত পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করে।

মরিঙ্গা ট্যাবলেট এর কাজ

মরিঙ্গা ট্যাবলেট হলো মরিঙ্গা পাউডারের একটি সহজ সেবনের রোগ যেখানে পাউডারের সমস্ত পুষ্টিগণকে একটি ক্যাপসুল বা ট্যাবলেটে আকারে সংক্ষেপ করা হয়। যাতে তা সহজে খাওয়া যায় এবং স্বাদ নিয়ে ঝামেলার হয় না। এই ট্যাবলেট নিয়মিত সেবন করলে শরীরের জন্য যে সুবিধা গুলো পাওয়া যায় তা মূলত মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণের উপর নির্ভর করে। যেমন
মরিঙ্গা-ট্যাবলেট-এর-কাজ
  • প্রথমত মরিঙ্গা ট্যাবলেট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন এ সি ই আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শরীরে ইউনিয়ন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত সেবনে শরীরের সংক্রমণ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে তোলে।
  • এটি শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল বা প্রোটিন থাকে না। মরিঙ্গা ট্যাবলেট এই ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরকে সঠিক ভাবে কার্যকর রাখে।
  • মরিঙ্গা ট্যাবলেট হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তনালীকে সুস্থ রাখে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুব উপকারী।
  • অন্যদিকে এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। মরিঙ্গা ট্যাবলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বকের কোসগুলোকে পুনর্গঠন করে দাগ ও ফুসকুড়ি কমায় এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং চুলের পড়াও কমে যায়।
  • মরিংগা ট্যাবলেট হজম প্রক্রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং খাদ্য হজমেও সাহায্য করে।
মরিঙ্গা ট্যাবলেটের সেবন করার সুবিধা হল এটি সহজে নেওয়া যায় এবং দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত সেবনের জন্য সুবিধা জনক। তবে সর্বদা লক্ষ রাখতে হবে দৈনিক পরিমাণের ওপর সাধারণত ১ থেকে ২ টি ট্যাবলেটই দিনের যথেষ্ট এবং কখনোই খালি পেটে না খাওয়াই উত্তম। সকালে বা রাতের খাবারের পরে পানি বা গরম দুধের সঙ্গে নেওয়া ভালো। 

পরিশেষে বলা যায় মরিঙ্গা ট্যাবলেট খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় হজম প্রক্রিয়ার সহজ হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 

লেখকের শেষ কথা 

মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা  উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেমন মরিঙ্গা পাউডারের যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাই সর্বদা সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। ওপরে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি নিজে সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে কখন এবং কত পরিমানে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া উচিত।

অনেকের জন্য পাউডারের স্বাদ গ্রহণ করা কঠিন হয়ে থাকে সেই কারণে আমরা মরিঙ্গা ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম নিয়েও আলোচনা করেছি। ক্যাপসুল এর মাধ্যমে সহজে মরিঙ্গার সমস্ত পুষ্টিগুণ গ্রহণ করা সম্ভব এবং সাদ নিয়ে ঝামেলা হয় না। তাই যাদের পাউডার খেতে সমস্যা হয় তারা সহজে মরিংগা ক্যাপসুল এর মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url