দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই সচেতন নন। যারা উচ্চ আয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং উন্নত জীবনযাত্রার স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য ইতালি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। দুবাই থেকে ইতালিতে যাত্রা করার সহজ ও কার্যকরী উপায় জানতে আপনার জন্য নিচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
ইতালি ইউরোপের অন্যতম সেরা দেশ। দেশটির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উন্নত জীবনমান এবং
কর্মসংস্থানের সুযোগ বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের কাছে আকর্ষণীয়। বিশেষ করে দুবাইতে
কর্মরত অনেক প্রবাসী ইতালিতে কাজ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আগ্রহী।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায়
- দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায়
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে যেসব কাগজপত্র লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- কেন দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাবেন
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত সময় লাগে
- বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় ২০২৫
- বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ইতালিতে সর্বোচ্চ বেতন কত
- দুবাই থেকে ইতালির ভিসা কত প্রকার
- ইটালি দেশটি কেমন
- লেখকের শেষ কথা
দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই google এ খোঁজাখুঁজি
করেন। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তবে দুবাই থেকে
ইতালিতে যাত্রা করা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন। দুবাই থেকে
ইউরোপের দেশ ইতালিতে যেতে গেলে আপনাকে তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।
এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত থাকলে ইউরোপের ভিজিট ভিসা পাওয়ার সহজ হয়ে যায়। যদিও
বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কিছুটা কঠিন হয়ে গেছে। তবে যদি আপনার প্রফেশন
ভালো হয় travel history থাকে এবং পর্যাপ্ত ব্যাংক ব্যালেন্স থাকে তাহলে খুব সহজে
ইউরোপের যে কোন দেশের ভিজিট ভিসা পেতে পারেন।
বর্তমানে দুবাই থেকে ইতালিতে যাত্রার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ভিজিট ভিসা। কাজের
ভিসা প্রক্রিয়া বর্তমানে সময় সাপেক্ষ এবং অনুমোদনের হার তুলনামূলকভাবে কম।
ভিজিট ভিসা পেতে হলে ট্রাভেল হিস্টোরি তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে
নির্বাচিত কিছু দেশের ভ্রমণ করতে হতে পারে।
এছাড়া বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজভাবে সম্পন্ন
করা সম্ভব। ভিসা আবেদন করার সময় আপনাকে ব্যাংক ব্যালেন্স দেখাতে হবে এবং নিয়মিত
লেনদেনের প্রমাণ দিতে হবে। পেশাদার প্রফেশন ভালো হলে ইতালির ভিজিট ভিসা পাওয়া
আরও সহজ হয়। সঠিক প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা থাকলে দুবাই থেকে ইতালিতে যাত্রা করা
খুবই সহজ এবং সুবিধার জনক হয়ে ওঠে।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে যেসব কাগজপত্র লাগে
দুবাই থেকে ইতালিতে কোন কাগজপত্র লাগবে তা অনেকেরই জানা নেই বা ধারণা কম থাকে। এই
আর্টিকেলটি পড়লে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন। সাধারণত
দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়া যায় দুই ধরনের ভিসার মাধ্যমে। সাধারণ ভিসা এবং সেনজেন
ভিসা। আপনি যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্রের তালিকা ভিন্ন হতে পারে।
দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে সাধারণত যা প্রয়োজন
- বৈধ পাসপোর্ট
- ট্রাভেল হিস্ট্রি যেখানে আপনি ভ্রমণ করেছেন তার রেকর্ড
- ই ভিসা
- ব্যাংক ব্যালেন্স প্রমাণ
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
যদি আপনি দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত কাগজগুলো অবশ্যই
প্রস্তুত রাখতে হবে। যাত্রার আগে সব ডকুমেন্ট সঠিকভাবে সংগ্রহ করে রাখলে
পরবর্তীতে ঝামেলা কম হবে। এই কাগজপত্রগুলো সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভিসা আবেদন সহজ
এবং দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হবে। এছাড়া দুবাইয়ের কোন কাজে চাহিদা বেশি
এবং কোন সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো জেনে নিলে আপনার পরিকল্পনা আরো কার্যকর
হবে।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
যদি আপনি দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে চান তবে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। যাত্রা
শুরু করার আগে ভিসার প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ব্যাংক ব্যালেন্স
নিশ্চিত করতে হয়। এই কারণে খরচের পরিমাণ অনেকের কাছে বেশি মনে হতে পারে। তবে যদি
আপনি কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পান তাহলে তুলানামূলকভাবে কম খরচে ইউরোপের
দেশ ইতালিতে যাওয়া সম্ভব হবে।
বর্তমানে দুবাইতে অনেক এজেন্সি এবং দালাল রয়েছেন যারা ভিসার জন্য বিভিন্ন পরিমাণ
টাকা নেন। কেউ হয়তো কম খরচের প্রক্রিয়া করান আবার কেউ বেশি। এ কারণেই বলা সম্ভব
নয় যে দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়া ঠিক কত টাকা খরচ হবে। খরচের পরিমাণ নির্ভর করে
আপনি কোন ধরনের ভিসা নিচ্ছেন কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেছেন আপনার ট্রাভেল
হিস্টরি এবং ব্যাংক ব্যালেন্সের ওপর।
তবে আনুমানিক ধারণা দিতে গেলে বর্তমান দুবাই থেকে ইতালিতে যাত্রার খরচ হতে পারে
১০ লক্ষ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। রয়েছে এখানে বিমান ভাড়া ভিসা ফি এজেন্সি
চার্জ এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া যদি
নিজে নিজে করা হয় অর্থাৎ সরাসরি ইতালির কনসুলেট আবেদন করা হয় তাহলে কিছু খরচ
কমানো সম্ভব। তবে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ এবং জটিল হতে পারে। অন্যদিকে বিশ্বস্ত কোন
এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে সুবিধার পাশাপাশি খরচও বেশি হতে পারে।
আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স যথেষ্ট থাকলে এবং আপনার পেশা বা প্রফেশন ভালো হলে
ভিসা পাওয়া আরও সহজ হয়। এছাড়া ইতালিতে যাওয়ার আগে কিছু নির্বাচিত দেশের
ট্রাভেল হিস্টোরি থাকলে ভিসা অনুমোদন সম্ভাবনা বাড়ে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার খরচ নির্ভর করে ভিসা ধরন আবেদন
প্রক্রিয়া ব্যাংক ব্যালেন্স এবং ট্রাভেল হিস্টোরির ওপর। তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং
প্রস্তুতি থাকলে স্বপ্নের দেশে ইতালিতে যাত্রা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সুবিধাজনক
হয়ে ওঠে।
কেন দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাবেন
দুবাইতে অনেক প্রবাসী ভাই এবং বোনেরা রয়েছেন যারা ইতিমধ্যেই উচ্চ বেতন এবং উন্নত
জীবন-যাপন উপভোগ করছেন। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে এত কিছু সুবিধা থাকা সত্বেও
আমি কেন ইতালিতে যাব? আপনার এই প্রশ্নটি একদম যুক্তিসংগত যদি আপনি দুবাইতে ভালো
সুযোগ সুবিধা এবং পর্যাপ্ত বেতন পান তবে সত্যিই ইতালিতে যাওয়া বাধ্যতামূলক
নয়।
তবে যদি আপনার লক্ষ্য হয় আরো উন্নত জীবন যাপন উচ্চ বেতন এবং নতুন অভিজ্ঞতা তাহলে
দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়া একটি যুক্তি সঙ্গত লাভজনক সিদ্ধান্ত।
ইতালি ইউরোপের অন্যতম উন্নত দেশ। এখানে গিয়ে আপনি শুধু উচ্চ বেতনই পাবেন না বরং
উন্নত স্বাস্থ্যসেবা আধুনিক জীবনযাত্রা সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং কর্মসংস্থানের ভালো
সুযোগও উপভোগ করতে পারবেন।
ইতালিতে যাত্রা শুধু অর্থনৈতিক সুবিধা নয় বরং এটি আপনার জীবন যাত্রার মান
অভিজ্ঞতা এবং ক্যারিয়ারের বিকাশ ঘটানোর জন্য এক বড় সুযোগ হতে পারে।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত সময় লাগে
দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার সময়সীমা অনেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যারা
দুবাই থেকে ইতালিতে যাচ্ছেন তারা জানতে চাইবেন বা ভ্রমণের জন্য কত ঘন্টা লাগবে।
সাধারণত ভাবে বলা যায় দুবাই থেকে ইতালির প্রধান শহরগুলোতে সরাসরি ফ্লাইটের সময়
প্রায় ছয় থেকে সাত ঘন্টা লাগে। তবে এটি ফ্লাইট এর ধরন রোড এবং ইয়ার লাইনের উপর
নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
যদি সরাসরি ফ্লাইট না থাকে এবং কোন ট্রানজিটের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হয় তাহলে সময়
কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে। ট্রানজিটের সময় এবং বিমানবন্দর পরিবর্তনের কারণে দুবাই
থেকে ইতালি পৌঁছাতে মোট আট থেকে 12 ঘন্ট পর্যন্ত সময় লাগে। ফ্লাইটের সময়সীমা
এবং খরচের দিক দিয়ে পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভ্রমণ শুরুর আগে ফ্লাইট
বুকিং ট্রানজিট পয়েন্ট এবং আনুষাঙ্গিক সময় গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
সংক্ষেপে .৬ থেকে সাত ঘন্টা এবং ট্রানজিট ফ্লাইটের প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘন্টা সময়
লাগতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে দুবাই থেকে ইতালিতে যাত্রা তুলনামূলকভাবে
সুবিধা জনক হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ থেকে ডুবাই যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার খরচ অনেকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ
যাত্রার আগে ঠিকভাবে জানা থাকলে পরিকল্পনা অনেক সহজ হয়। সাধারণভাবে
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে হলে মূলত ফ্লাইট খরচ ভিসা আনুষাঙ্গিক খরচ এই তিনটি দিক
খেয়াল রাখতে হয়। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি দুবাইয়ের ফ্লাইট খরচ নির্ভর করে
এয়ারলাইন বুকিং সময় সিজন এবং সিট ক্লাস এর ওপর। আনুমানিক বলা যায় 40 হাজার
থেকে ৭০ হাজার টাকা হতে পারে। যদি অফার পাওয়া যায় তবে খরচ কিছু টাকা কামানো
সম্ভব।
ফ্লাইট এর খরচ ছাড়াও ভিসা ফি ট্রাভেল এজেন্সির চার্জ বিমানবন্দর ও স্থানীয়
পরিবহন খরচও মাথায় রাখতে হবে। সবমিলিয়ে পুরো যাত্রার বাজেট আনুমানিক ৫০ হাজার
থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। পরিকল্পনা করলে এবং আগে থেকে বুকিং করলে
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এছাড়া ভ্রমণের
জন্য উপযুক্ত সময় এবং সঠিক এয়ারলাইন নির্বাচন করাও খরচ কমাতে সাহায্য করে।
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় ২০২৫
দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়া অনেকের স্বপ্ন বিশেষ করে যারা উচ্চ বেতন উন্নত
জীবনযাত্রা এবং নতুন অভিজ্ঞতার খোঁজে রয়েছেন। ২০২৫ সালে দুবাই থেকে ইউরোপে
যাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায় হল ভিজিট ভিসা। যদিও কিছু ক্ষেত্রে কাজের
ভিসা পাওয়া সম্ভব কিন্তু বর্তমানে কাজের হিসাব প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ এবং
অনুমোদনের হার তুলনামূলকভাবে কম। তাই প্রথমবারের জন্য ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে
ভিজিট ভিসা সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ উপায়।
ভিজিট ভিসা পেতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন আপনার
ব্যাংক ব্যালেন্স যথেষ্ট আছে কিনা আপনার পেশা বা প্রফেশন ভালো কিনা এবং আপনার
ট্রাভেল হিস্ট্রি আছে কিনা। এই তিনটি বিষয় ঠিক থাকলে ইউরোপের যে কোন দেশের ভিজিট
ভিসা পাওয়ার সহজ হয়। এছাড়া বিশ্বস্ত কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নিলে আবেদন
প্রক্রিয়ার দ্রুত এবং ঝামেলা মুক্ত হয়।
দুবাই থেকে ইউরোপের ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় ফ্লাইট এর ধরন গুরুত্বপূর্ণ।
সরাসরি ফ্লাইট নিলে যাত্রার সময় কমে আসে এবং যাত্রা তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক
হয়। অন্যদিকে ট্রানজিট ফ্লাইট নিলে সময় কিছুটা বেশি লাগে, তবে খরচের কমানোর
সুযোগ থাকে। এজন্য ফ্লাইট বুকিং করার সময় ভ্রমণ সময় খরচ এবং এয়ার লাইনের
সুবিধা সব মিলিয়ে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা জরুরী।
ভিজিট ভিসা পাওয়ার পাশাপাশি ইউরও ভ্রমণের সময় আপনার কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত
রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পাসপোর্ট ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ট্রাভেল হিস্ট্রি
এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এগুলো ঠিক থাকলে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত
হয় এবং অনুমোদনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
সংক্ষেপে ২০২৫ সালে দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সঠিক
কাগজপত্র রেখে পর্যাপ্ত ব্যাংক ব্যালেন্স এবং ভালো ট্রাভেল হিস্ট্রি সহ ভিজিট
ভিসা নেওয়া সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ইউরোপ ভ্রমণ সহজ নিরাপদ এবং সুবিধাজনক হয়ে
ওঠে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চাইলে অনেকেই প্রথমে খরচ নিয়ে চিন্তিত হন। আসলে ২০২৫
সালে খরচ অনেক কিছুতে নির্ভর করে যেমন আপনি কোন এয়ারলাইন ব্যবহার করবেন ফ্লাইট
সরাসরি নাকি ট্রানজিট হবে বুকিং কখন করবেন এবং আপনি কোন ধরনের ভিসা নিবেন। ঢাকা
থেকে সরাসরি ফ্ল্যাটে রুম বা মিলান পৌঁছাতে সাধারণত কিছুটা বেশি খরচ হয়।
উদাহরণস্বরূপ আরাবিয়া বা ইথিওপেন এয়ারলাইন্স ব্যবহার করলে খরচ প্রায় ৩৩ হাজার
টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে।
আবার আপনি যদি তুর্কিস এয়ারলাইন্স ব্যবহার করেন তাহলে রিটার্ন টিকিটের দাম
প্রায় ৬৭ হাজার টাকার কাছাকাছি হতে পারে। সিজন বা ট্রানজিট থাকলে খরচ একটু
বাড়তে বা কমতে পারে। ফ্লাইটের সঙ্গে সঙ্গে ভিসার খরচও ভাবতে হয়। সেনজেন বা
ভিজিট ভিসা চাইলে বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে হলে ফি প্রায় ৯২০০ টাকা এবং সার্ভিস
আরো প্রায় ৪ হাজার ৫৬০টাকা। কাজের জন্য ওয়ার্ক ভিসা চাইলে খরচ কিছুটা বেশি হয়
প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে।
সব মিলিয়ে ফ্লাইট এবং ভিসা খরচ একসাথে করলে আনুমানিক 47 থেকে 98 হাজার টাকার
মধ্যে খরচ আসে। তবে খরচ কেবল এটুকুই নয় ইতালিতে যাওয়ার পর থাকার খরচ আছে বড়
শহরে যেমন রুম বা মিলান আবাসন তুলনামূলকভাবে বেশি। আর খাদ্য ও পরিবহন খরচ দিয়ে
দিনে প্রায় তিন হাজার থেকে 5000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যদি সম্পূর্ণ প্যাকেজের
মাধ্যমে যান তবে চারদিনের জন্য খরচক্রাই ৮৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যেতে পারে।
সব শেষে বলা যায় ভ্রমণ পরিকল্পনা আগে থেকে ঠিক করে নিলে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়। যদি ভিজিট ভিসা নেওয়া যায় যাত্রা অনেক সহজ এবং নিরাপদ হয়। ওয়ার্ক ভিসা
চাইলে প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে তবে বেতন এবং কর্মসংস্থানে সুবিধা বেশি তাই
খরচের হিসাব আগে থেকে ভালো করে জেনে রাখলে আপনার ইতালি ভ্রমণ সুন্দর নিরাপদ এবং
সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার আগে ভিসার প্রক্রিয়া বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
ভিসা ছাড়া ইতালিতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। বর্তমানে দুবাই থেকে ইতালির ভিজিট ভিসা
বা কাজের ভিসা পাওয়া প্রক্রিয়া কিছুটা সময় সাপেক্ষ। কিন্তু যদি ধাপে ধাপে
ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় তাহলে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজে হয়ে যায়।
প্রথমেই আপনার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে কোন ধরনের ভিসা চাইছেন। সাধারণত দুবাই
থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য দুই ধরনের ভিসা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। একটি হলো
শর্ট টাইম বা সেনজেন ভিসা আর দ্বিতীয় টি হল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। ভিসা ধরন
অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে
আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত থাকতে হবে। যেমন আপনার বৈধ পাসপোর্ট
ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স প্রমাণপত্র পূর্ববর্তী ট্রাভেল হিস্ট্রি মেডিকেল সার্টিফিকেট
শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র এবং পেশাগত প্রমাণ পত্র।
এইসব কাগজপত্র ঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত এবং
ঝামেলা হীন হয়। ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে প্রথমে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ
করতে হবে। ফরম পূরণের সময় ব্যক্তিগত তথ্য যোগাযোগের ঠিকানা ভ্রমণের তারিখ এবং
স্থানের তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে যা ভিসা
ভিন্ন হয়। পরিশোধ করার পরে আপনাকে একটি অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং
নির্দিষ্ট দিন কনসুলেট বা ভিসা সেন্টারের সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
সাক্ষাৎকারের সময় আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে
যেতে হবে। সাক্ষাৎকার সফলভাবে সম্পন্ন হলে এবং সমস্ত ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে আপনার
ভিসা অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট ভিসা
স্ট্যান্ড করা হয়। এরপর আপনি ইতালি যাত্রা করতে পারবেন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার ভিসা প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সম্পন্ন
করতে হয়। সঠিক কাগজপত্র প্রস্তুত করা আবেদন ফরম পূরণ করা বা পরিশোধ করা এবং
অ্যাপয়েন্টমেন্ট অর্থাৎ সাক্ষাৎকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। এই প্রক্রিয়া ঠিকভাবে
পালন করলে ভিসা পাওয়া অনেক সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত হয়ে যায়।
ইতালিতে কোন কাজে চাহিদা বেশি
ইতালিতে যাওয়ার আগে যেসব কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারন আপনি যদি আগে থেকে এই শাড়িটা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে সেখানে কাজ
পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায় এবং বেতনও তুলনামূলকভাবে ভালো হয়। বর্তমানে ইতালিতে
বেশ কিছু কাজের উপর চাহিদা বেশি। যেমন
- রেস্টুরেন্ট ও হোটেলের কাজ করার জন্য কর্মীর চাহিদা খুব বেশি কারণ পর্যটনের কারণে রেস্টুরেন্ট ও হোটেলগুলোতে কর্মী নিয়োগের সুযোগ সবসময় থাকে।
- নির্মাণ শ্রমিক এবং প্লাম্বার বা ইলেকট্রিশিয়ান কাজের ক্ষেত্রেও চাহিদা অনেক। যারা এই ধরনের কাজের দক্ষতা রাখেন তারা খুব দ্রুত কাজ পেয়ে যান।
- ইতালিতে ডেলিভারি ম্যান এবং ড্রাইভার ক্লিনিং সেক্টরের কাজের চাহিদা আছে। এই ধরনের কাজের জন্য সাধারণত বেশি অভিজ্ঞতা বা উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। তবে দক্ষতা থাকলে বেতন ভালো পাওয়া যায়।
সংক্ষেপেই বলতে গেলে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে রেস্টুরেন্ট হোটেল
কর্মী নির্মাণ শ্রমিক প্লামবার্গ ইলেক্ট্রিশিয়ান ডেলিভারি ম্যান এবং ক্লিনার
এর মত কাজগুলোতে। এই কাজগুলোর জন্য আগে থেকে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ইতালিতে
পৌঁছানোর পর আপনি খুব সহজেই উপার্জন শুরু করতে পারবেন এবং ভালো জীবন যাপন করতে
পারবেন।
ইতালিতে সর্বোচ্চ বেতন কত
ইতালিতে বেতন অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় মোটামুটি ভালো। তবে এটি নির্ভর করে
আপনি কোন সেক্টরে কাজ করছেন, আপনার অভিজ্ঞতা কত এবং আপনার দক্ষতা কেমন।
উদাহরণস্বরূপ আইটি ব্যাংকিং স্বাস্থ্যসেবা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ব্যবস্থাপনার
সেক্টরে কাজ করলে বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়।
সাধারণভাবে ইতালিতে একজন উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রফেশনাল বা বিশেষজ্ঞ গরে প্রায়
৪৫ হাজার থেকে ৬০০০০ পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। বড় শহর যেমন রম মিলান বা টুরিন
এর বেতন একটু বেশি থাকে কারণ সেখানে জীবন যাত্রার খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।
নিম্ন বা সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে যেমন রেস্টুরেন্ট কর্মী হোটেল কর্মী নির্মাণ
শ্রমিক বা ডেলিভারি ম্যান মাসিক বেতন প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ এর মধ্যে থাকে।
যদি এই বেতন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। যারা বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে
যান তারা অল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ বেতনে উপার্জন করতে পারেন। ইতালিতে সর্বোচ্চ
বেতন নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ওপর। উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ
প্রফেশনালরা বছরে ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত উপার্জন করেন। আর সাধারন কাজের
ক্ষেত্রে মাসিক বেতন ১৫০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
দুবাই থেকে ইতালির ভিসা কত প্রকার
দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য মূলত দুই ধরনের ভিসার ব্যবস্থাই সবচেয়ে বেশি
ব্যবহার হয়। প্রথমটি হল শর্ট টার্ম ভিজিট বা সেনজেন ভিসা। আর দ্বিতীয়টি হল
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে এই দুইটি ভিসার মধ্যেও আরো বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি
রয়েছে যা আপনার ভ্রমন বা কাজের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী প্রযোজ্য।
শর্ট টার্ম ভিজিট ভিসা সাধারণত পর্যটন ব্যবসা বা বন্ধ ও পরিবারের সাথে দেখা করার
জন্য নেওয়া হয়। এটি সাধারণত ৯০ দিনের জন্য অনুমোদিত হয় এবং সেনজেন জনের জন্য
যে কোন দেশে ব্যবহার করা যায়। এই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে
রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট ব্যাংক স্টেটমেন্ট ট্রাভেল হিস্টরি আবাসনের প্রমাণ এবং
অন্যান্য আনুষঙ্গিক ডকুমেন্ট।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মূলত ইতালিতে কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পেশাগত
প্রয়োজনীয় অনুযায়ী দেওয়া হয় এবং সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়। ওয়ার্ক পারমিট
ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ। কারণ আবেদন কর্তার
যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং পেশাগত প্রমাণপত্র যাচাই করা হয়। দুবাই থেকে ইতালিতে
যাওয়ার জন্য মূলত দুই ধরনের ভিসা।
প্রথমটি হল শর্ট টার্ম ভিজিট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে এই দুটির মধ্যেও
বিশেষ ধরনের ভিসার ধরন এবং সময়কাল আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং
ঝামেলা মুক্ত হয়। তাই দুবাই থেকে ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আগে
থেকে জানা থাকলে যাত্রা শুভ এবং কোন ঝামেলা থাকে না। অর্থাৎ পরবর্তী সময়ে কোন
ঝামেলাইয় পড়তে হয় না।
ইতালি দেশটি কেমন
ইতালি হলো ইউরোপের একটি অন্যতম দেশ যা ইতিহাস সংস্কৃত শিল্প খাদ্য এবং আধুনিক
জীবনযাত্রার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। যারা উন্নত জীবনযাপন উচ্চ বেতন এবং
স্বপ্নের কাজের সুযোগ খুঁজছেন তাদের জন্য ইতালি একেবারে আদর্শ। শুধু শহর নয়
গ্রামের সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য অসাধারণ। ইতালি প্রদীপ প্রবাসীর আকর্ষণ
মূলত এই সমৃদ্ধ পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার কারণে দেশটির বড় শহর যেমন রং এগুলো
আধুনিক পরিষ্কার এবং সুবিধা সমৃদ্ধ।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভালো হাসপাতাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং সেক্টর
আধুনিকমানের এখানে জীবন যাত্রার মান অনেক বেশি। তাই যারা স্বাচ্ছন্দ এবং উন্নত
জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখেন তারা এখানে তা সহজে পেতে পারেন। ইতালি শুধু উন্নত শহর
নয় এখানকার খাবার কফি সংস্কৃত ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং বিশ্ব বিখ্যাত আর্ট গ্যালারি
দেশটিকে বিশেষ করে তোলে। এছাড়া পর্যটন শিল্প খুবই শক্তিশালী। প্রায় রেস্টুরেন্ট
হোটেল গাইডিং এবং বিভিন্ন সেবা খাতে কাজের সুযোগও অনেক।
কৃষি নির্মাণ হোটেল রেস্টুরেন্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রযুক্তি এসব খাতে দক্ষতা ও
অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন ভালো পাওয়া যায়। কাজের ক্ষেত্রে ইতালি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ
মানুষদের মূল্যায়ন করে। বিশেষ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে
ভালো বেতন এবং উপযুক্ত কাজ পাওয়া যায়। সাধারণ কাজের ক্ষেত্রেও বেতন
তুলনামূলকভাবে অন্য দেশ থেকে ভালো। আর যারা এখানে প্রথমবার যাচ্ছেন তাদের জন্য
ছোটখাটো কাজও ভালো অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজ করে।
জীবন যাপন উচ্চ বেতন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিবেশ একসাথে
মিলে যারা উন্নত জীবন যাপন কাজের সুযোগ এবং স্বপ্নের অভিজ্ঞতা করছেন তাদের জন্য
ইতালি একেবারে উপযুক্ত দেশ।
লেখকের শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন যে দুবাই থেকে ইউরোপের দেশে ইতালি
যেতে কত টাকা লাগে। কিভাবে যাবেন কোন কাগজপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে কত টাকা খরচ
হতে পারে এবং দুবাই থেকে ইতালি কেন যাওয়া উচিত। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়েছেন এবং সহজভাবে বুঝতে পেরেছেন।
যদি আপনার লক্ষ্য আর উন্নত জীবন যাপন উচ্চ আই এবং আরও বড় কাজের সুযোগ তাহলে
ইউরোপের দেশে ইতালিতে যাওয়া আপনার জন্য এক ভালো বিকল্প হতে পারে। ইতালি এমন একটি
দেশ যেখানে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা আধুনিক জীবনযাত্রা ভালো কাজের সুযোগ এবং
পর্যাপ্ত বেতন পাওয়া সম্ভব। তবে যদি আপনি দুবাইয়ের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ
করছেন তাহলে ইটালিতে যাওয়া সব সময় প্রয়োজনীয় নয়। সব শেষে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ
আপনার উপর নির্ভর করে।
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url