কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব
গুগল এডসেন্স কি এবং কেন এটি প্রয়োজন?
গুগলের একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম হলো গুগল এডসেন্স, যা আপনাদের ব্লগ বা
ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার সুযোগ করে দেয়। এই কথা টা
আরো সুন্দর ভাবে বলতে গেলে যখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্সের বিজ্ঞাপন
দেখায় এবং কেউ সেই বিজ্ঞাপনের ভেতরে প্রবেশ করলে আপনি সেখান থেকে
টাকা আয় করতে পারেন। এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্লগার এবং অভিজ্ঞাতা পূর্ণ একটি
ব্লগার দুই জনের জন্যই খুবই উপকারী। আমাদের গুগল এডসেন্স ব্যাবহার করতে খুব বেশি
জটিলতার মুখে পরতে হয় না ।
তবে আপনাদের এর ভেতর কয়েকটি নিয়মকানুন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি
যদি এটি প্রথম বার ভেবে থাকেন, কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব প্রথমে
আপনাদের এডসেন্সের মূল ধারণা বুঝতে হবে। মূলত এডসেন্সে তিনটি ভিন্ন ধরণের
কন্টেন্ট সমর্থন করে থাকে। যেমন ,ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্লগ । আপনার
অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে যেসব কাজ করা প্রয়োজন আপনার কন্টেন্ট মানসম্মত
এবং তাদের নিয়ম অনুযায়ী হাওয়া দরকার তাহলে আপনি তারা তারি অনুমোদন পেয়ে
যাবেন। আবার অনেকে প্রথমে অনুমোদন না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে ।
তাই আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কিভাবে সঠিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় এবং কিভাবে
কন্টেন্ট সাজাতে হাবে। আপনি যদি মনে করেন যে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা
আয় করতে গেলে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন বসানো যথেষ্ট তাহলে আপনি ভুল ভাবসেন কারণ এখানে
নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড এবং ভিজিটরের দক্ষতা উন্নত করা প্রয়োজন। আপনারা
প্রথমবার যারা ভাবছেন কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব তাদের
জন্য এইটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি গাইড এটি। এডসেন্স ব্যবহার করার ফলে আপনি
আপনার ব্লগার একাউন্ট বা সাইটে যেকোনো একটি পেশাদার মানে উন্নত করতে
পারবেন।
এটি একটি আয় করার মাধ্যম নয় বরং এটি একটি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলের নীতিমালা
অনুযায়ী গুগলের কাছে আপনার ওয়েবসাইটি আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। এই পদ্ধতি যারা
প্রথম বার জানতে চাই কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট খুলব তাদের এই তথ্য
গুলো মিস করা উচিত নয় তাদের এইগুলো ভালো ভাবে দেখতে হবে।
এডসেন্সে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
আপনাদের গুগল এডসেন্সে আবেদন করার আগে আপনাকে ভালো ভাবে সব কিছু দেখতে হবে যে
কিছু ভুল আছে না কি এবং আপনি সব কিছু ঠিক মতো পূরণ করছেন নাকি। এখানে
আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার বয়স এইটা আপনি দেখে সুনে দিবেন। আর
আবেদনকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তাহলে হবে না । আপনাকে অবশ্যই ১৮
বছরের বেশি বয়স হতে হবে। তহলে আপনি এডসেন্সের আবেদন করতে পাবেন। যারা
নতুন ব্লগার তারা এই বিষয় টি ভুলে যান । তাই এই বিষয় টি আপনাকে প্রথমে জাচাই
করে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট টি অবশ্যই কার্যকর এবং সিক্রিয় হতে হবে
তা ছাড়া টাকা আয় করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ছবি বা ভিডিও লিষ্ক থাকা বা অন্যের
লেখা কপি করা অনুমোদনের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতেকটি পোস্টে অনন্য লেখা থাকা দরকার
এবং যে পরবে তার জন্য তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয় হতে হবে তাহলে সে বুঝতে পারবে। এবং
একটি ওয়েবসাইটে ৩০-৩৫ টি ভালো ভালো পোস্ট থাকা দরকার তাহলে ভালো হয়। একটি
ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কন্টেন্ট আপলোড দিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট টি
ভালো থাকবে।
ওয়েবসাইটের বিষয়বস্ত ভাষা অনুযায়ী মানসম্পন্ন হতে হবে । বাংলা বা ইংরেজি যে কোনো
ভাষা হইতে পারে। তবে কন্টেন্ট অবশ্যই যে পরবে সে যেন খুব সহজ ভাবে
পরতে পারে এবং ভালো ভাবে বুঝতে পারে। এবং কন্টেন্ট অবশ্যই তথ্য পূর্ণ হতে
হবে। এই সব করে থাকলে খুব সহজে গুগলে এডসেন্স চলে আসবে। তার জন্য আপনাকে উপরে
দেওয়া কাজ গুলো নিয়মিত পালন করতে হবে। এবং যারা নতুন গুগল এডসেন্সের অ্যকাউন্ট খুলে থাকে তাদের এই কাজ গুলো অবশ্যই পালন করতে হবে তাহলে সে তার অ্যকাউন্ট এডসেন্স আবেদন করতে পারবে ।
কিভাবে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন
গুগল এডসেন্সে সাইন আপ করার জন্য একটি গুগল অ্যকাউন্ট থাকা দরকার । যদি
আপনার কাছে অ্যাকাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে আপনি এখনি একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি
করেন এবং তার পরে আপনি গুগল এডসেন্টের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন ।
আপনাকে গুগল অ্যাকাউন্ট খুলার জন্য সবার আগে যে সকল কাজ করা লগবে তা হলো গুগলে
ঢুকতে হবে তার পরে ওখানে নাম ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ভালো ভাবে দিতে হবে । ভুল তথ্য
দিবেন না কারণ ভুল তথ্য দিলে অনুমোদন করতে সমস্যা হবে । তার পরে আপনি নিরাপর্তার
জন্য ফোন নম্বর এড করতে পারেন।
যারা ভাবেন কিভাবে গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলব তাদের জন্য এটি প্রথম ধাপ
এবং এটি অনেক গূরুত্বপূর্ণ ধাপ অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য এবং তার পরের ধাপ
গুলো অনেক সহজ হয়ে যায়। একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করা মানে শুধু এডসেন্সে
লগইন করা নয় । এটি করার ফলে আপনি গুগল ডকস, ড্রাইভ, অন্যান্য গুগল সার্ভিসও
ব্যবহার করতে পারবেন তাই আপনাদের পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক ভাবে এই গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি
করা উচিত । তার ফলে আপনি গুগলের অনেক ভালো ভালো সার্ভিস ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন
।
আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় ভালো ভাবে দেখে নিবেন যে আপনার ইমেইল ঠিকানা
সঠিক আছে কি না এবং আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করছেন কি না । যদি ভুল ইমেইল দেন
তাহলে গুগল এডসেন্সের সকল নোটিফিকেশন মিস হতে পারে । এবং আপনাদের নতুন অ্যাকাউন্ট
নিরাপত্তা সেটিংস ঠিক করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট
নিরাপদে থাকবে। গুগল এডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলার এইটা একটি সহজ
ধাপ সঠিকভাবে আপনি আপনার তথ্য গুলো দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার আবেদন
প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হবে।
ওয়েবসাইট প্রস্তুত করার সহজ ধাপ
গুগল এডসেন্সে আবেদন করার আগে আপনাকে ভালো ভাবে দেখতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইট বা
ব্লগ পুরোপুরি তৈরি আছে কি না যদি না থাকে তাহলে আপনাকে আগে সঠিক ভাবে তৈরি করে
নিতে হবে। এবং একটি ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত মানসম্মত পোস্ট থাকা দরকার। খুব
বেশি না হলে ও ৩০ টি পোস্ট থাকা দরকার এবং এই পোস্ট গুলোতে যেন তথ্য থাকে ।
প্রতিটি পোস্টে মান সম্মত লেখা এবং মান সম্মত ছবি ব্যবহার করা প্রয়োজন । যাতে
পাঠক পরে মজা পায় এবং বুঝতে কোনো অশুবিধা না হয় । যে সে পড়ে ভালো ভাবে
বুঝতে পারে।
ওয়েসাইটের নেভিগেশন সহজ রাখতে হবে । এবং লডিং স্পিড দ্রুত হতে হবে। যাতে খুব
সহজেই সাইটে প্রবেশ করা যায়। এবং ওয়েবসাইটে মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন থাকা
দরকার কারণ বেশি ভিজিটর মোবাইল ব্যবহার করে থাকে তার জন্য । তারা মোবাইল ব্যবহার
করে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে। এবং যদি ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয় তখন গুগল
অনুমোদন দিতে সমস্যা করতে পারে তাই আগে থেকেই সাবধান হয়ে থাকা ভালো । এবং আপনাদের
খেয়াল রাখতে হবে যে পাঠক তার প্রজনিয়তা খুজে পাচ্ছে কি না
আপনাদের ওয়েবসাইটে কোনো ধরনের স্কাম বা কোনো ধরনের অশ্লীল বা কপিকৃত কন্টেন্ট
থাকা যাবে না এই সব থাকলে গুগল সমস্যা করতে পারে তার জন্য এই সব রাখা যাবে
না । পাঠক যেন পোরে মজা পায় এবং তথ্য পায় এবং মানসম্মত পোস্ট করতে হবে
আপনাদের। এবং পাঠক যেন খুব সহজেই বুঝতে পারে । যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোনো ভিডিও
থাকে তাহলে আপনাকে দেখতে হবে যে তাদের লডিং স্পিড ঠিক আছি কি না । মাঝে মধ্যে
এইগুলোর লডিং স্পিড ধীর হয়ে যায় তাই আপনাকে ভালো ভাবে দেখতে হবে যে সব কিছু ঠিক
আছে কি না ।
গুগল এডসেন্সে প্রথমবার সাইন আপ করার নিয়ম
ওয়েবসাইট পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে আপনার পরবর্তি ধাপ হলো গুগল এডসেন্সে প্রথমবার
সাইন আপ করা । তারপর তৈরি করা গুগল অ্যাকাউন্টে সিলেক্ট করুন। তার পর সাইন
আপ করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করুন । নাম, ঠিকানা, শহর , পোস্টাল কোড এবং
ফোন নম্বর সঠিকভাবে দিতে হবে । ভুল তথ্য দিলে এডসেন্সে অনুমোদন দিতে
দেরি হতে পারে। এবং বাতিল ও হয়ে যেতে পারে। যারা নতুন ভাবছেন যে
কিভাবে গুগল এডসেন্সে একাউন্ট খুলব তাদের এই কথা গুলো মেনে চলতে হবে
তাহলে তাদের জন্য আরো সহজ হয়ে যাবে।
এবং গুগল এডসেন্সে সাইন আপ করার সময় আপনাদের ওয়েবসাইটের ভাষা বা কন্টেন্ট ধরন ঠিক
রাখতে হবে ।এবং মূল্য লক্ষ্য অডিয়েন্স ঠিক ভাবে উল্লেখ করা দরকার তাহলে বুঝতে
সুবিধা হবে । এবং এতে গুগল আপনার সাইট খুব সহজেই যাচাই করতে পারবে। এবং
প্রয়োজন পরলে ব্যাংক বা পেপাল অ্যাকউন্টের তথ্যও সঠিকভাবে দিন , যার ফলে
পেমেন্ট কোনো সমস্যা করতে না পারে। আপনার প্রথমবার এর মতো সাইন আপ
প্রক্রিয়া সহজ মনে হলেও ধৈর্য থাকা অনেক প্রয়োজন । আপনার করা অনুমোদন কখোনো
কখোনো কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে ।
আপনি যদি চান যে আপনি সাইন আপ করার পরপরই বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করতে পারবেন তহলে
কোড কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে বসানো যাবে। যারা নতুন একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তাদের
জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এটি । এবং তাদের সাইন আপ প্রক্রিয়াটি ভালো
ভাবে বোঝা দরকার। এবং সঠিক ভাবে সাইন আপ করতে পরবর্তী ধাপগুলো যেমন অনুমোদন,
বিজ্ঞাপন স্থাপন এবং আঢ ট্র্যাক করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া গুগল
অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সব কিছু যু্ক্ত থাকলে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে । এবং এর ফলে
আপনার একাউন্ট নিরাপদে থাকবে।
যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার উপায়
আপনাদের একটি কথা সব সময় মনে রাথতে হবে যে গুগল এডসেন্সে আবেদন করার সময় সঠিক
যোগাযোগ তথ্য দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । যেমন , নাম ঠিকানা শহর ,
পোস্টাল কোড, ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য
দিলে অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি করতে পারে এবং কি এটা বাতিল ও হয়ে যেতে পারে। তাই
আপনার উচিত সঠিক এবং র্নিভুল তথ্য দেওয়া । তাহলে আপনার অনুমোদন করতে সুবিধা
হবে । এবং আপনি আপনার অনুমোদন অতি তারা তারি পেয়ে যাবেন ।
কিন্তু নতুন ব্লগার রা এই বিষয় টা ভুল করে থাকে । তাই আপনাদের উচিত সঠিক
ভাবে এই সকল কাজ গুলো করা । আবার আপনার ব্যাংক বা পেপাল অ্যাকাউন্টের তথ্য সঠিক
ভাবে দিতে হবে তাহলে আপনি আপনার পেমেন্ট সফল ভাবে পেয়ে যাবেন। যারা নতুন তারা এই
বিষয় গুলো ও ভালো ভাবে সঠিক ভাবে পূরর্ণ করে না তাই তাদের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে ।
তাই আপনার এই গুলো সব সঠিক ভাবে দিয়েছেন কি না তা ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে। এবং
আপনাকে অবশ্যই এই সকল কিছু ভালো ভাবে দিতে হবে।
আপনি যদি ঠিকনা পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে তা এডসেন্স আপডেট করতে
হবে েএবং গুগল থেকে যে কোনো নোটিফিকেশন বা পেমেন্ট সংক্রান্ত বার্তা পেতে
আপনার ইমেইল সক্রিয় থাকতে পারে। এবং আপনাকে আপনার ইমেইল নিয়মিত
চেক করতে হবে যে পেমেন্ট এর কোনো বার্তা আসছে কি না এবং যদি আপনি
কোনো বার্তা মিস করেন তাহলে আপনার পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে তার জন্য আপনাকে সব
সময় ভালো ভাবে ইমেইল চেক দিতে হবে। যারা নতুন তাদের জন্য এটি আরো
একটি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ তারা যেনো কোনো ভুল না করে।
ওয়েবসাইট যাচাই করা এবং HTML কোড বসানো
আপনি যখন গুগল এডসেন্সে আবেদন করবেন তখন আপনার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো যে
তার ওয়েবসাইটটি যাচাই করা এবং ভালো ভাবে দেখা এই টা আপনার প্রথম ধাপ। এবং তারপর
এডসেন্সে নিশ্চিত করতে চায় যে আপনি আপনার একাউন্ট বা ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে আছে এবং
সমস্ত নিয়ম পূরণ করেছে। তারপরে আপনার ওয়েবসাইট যাচাই করার জন্য আপনাকে একটি
HTLM কোড ব্যবহার করতে হবে। এবং এই কোড টি আপনি আপনার হেড সেকশনে
বসাতে হবে। তহলে আপনার একাউন্ট টি সম্পূর্ণ হবে।
HTLM কোড বসানো মানে হলো ওয়েবসাইটে একটি ছোট লাইন কোড যোগ করা, যাতে
গুগল যাচাই করতে পারে সাইটটি সত্যিই আপনার । যারা প্রথমবার ভাবছেন যে কিভাবে গুগল
এডসেন্স একাউন্ট খুলব তাদের জন্য এই কথা গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তারা এই কথা গুলো
মেনে চললে তারা গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পাবেন । এবং আপনাদের জন্য আরো একটি
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো যে আপনি যদি আপনার একাউন্টে কোড বসান তাহলে আপনার গুগল
অনুমোদন পেতে এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায় । তাই আপনারা কোড
বসাবেন
আপনার ওয়েবসাইট যাচাই করার আগে নিশ্চিত করুন আপনার সাইটে সকল পেজ সক্রিয় আছে কিনা
এবং আপনার ওয়েবসাইটের লডিং স্পিড দ্রুত আছে কি না এই সব ভালো ভাবে আপনাকে
দেখতে হবে। এবং আপনার কোড বসানোর সময় কোনো ভুল বা অপ্রয়োজনিয় পরিবর্তন করবেন না
কারণ এতে অনেক সমস্যা করতে পারে। সঠিক স্থানে কোড বসানো হলে গুগল
স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচািই শুরু করে দেয়। এবং তার ফলে আপনার একাউন্ট স্বক্রিয় করে
দেয়। এবং আপনার ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ হলে আপনি বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি করতে
পারবেন। এবং এটি ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অবশ্যক।
এডসেন্স অনুমোদনের জন্য অপেক্ষার সময় ও ধৈর্য
আপনার গুগল এডসেন্সে আবেদন করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো অনুমোদন
পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা কারণ এটি কিছুক্ষণ বা একদিনের কাজ নয় বরং তার
জন্য আপনার অপেক্ষা করা টা হলো প্রথম ধাপ । আপনার অনুমোদন না আসা পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে। যারা নতুন গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন তাদের
জন্য এটি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তারা এই সব ধাপ গুলো মন দিয়ে অনুসরণ করবেন।
আবার অনুমোদনের সময় অনেক রকমের ফ্যাক্টর বিবেচনা করা হয়। ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট
মানসম্মত কি না সকল পেজ ঠিক আছে কি না ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি কি না
এগুলো যাচাই করা হয়।
আবার অনেক মানুষ আছে যারা এই সময় অতিরিক্ত উদ্দীপিত হয়ে বারবার লগইন করে অথবা কোড
পরিবর্তন করে থাকেন । তাদের জন্য এটি । অতিরিক্ত এই সব কাজ করার ফলে আপনার
অনুমোদন ব্যার্থ হতে পারে এবং তারা এটি বাতিল করে দিতে পারে। তাই সাবধান
থাকুন । এই কাজ গুলো করবেন তাতে আপনার ওয়েবসাইট ভালো থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইট
সহজেই অনুমোদন পেয়ে যাবে। এবং এই সময় আপনি আপনান কন্টেন্ট আরো উন্নত করতে
চেষ্টা করবেন তাহলে আরো তারা তারি অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এই সময়ে আরো নতুন নতুন কন্টেন্ট এড করতে পারেন এবং
চেষ্টা করবেন কন্টেন্ট যেন মানসম্মত হয় । এবং পাঠক যেন আপনার কন্টেন্ট পরে খুশি
হয় । পোস্টে কোনো অর্শিলতা থাকা যাবে না সব সময় ভালো ভালো কন্টেন্ট আপলোড
করতে হবে। যাতে পাঠক পাঠ করে মজা পায়। এছাড়া এই সময় আপনার ওয়েবসাইটের ট্রফিক
বাড়ানোও শুরু করতে হবে। ভিজিটর সংখ্যা বেশি হলে অনুমোদন সম্ভবনা অনেক টা বেড়ে
যায়। যারা নতুন খুলতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষণীয় বিষয়।
বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি ও কোড বসানোর সহজ কৌশল
আপনি যদি গুগল এডসেন্সে অনুমোদন পেয়ে যান তাহলে আপনার তার পরের কাজ হবে বিজ্ঞাপন
ইউনিট তৈরি করা। এটি হলো একটি প্রক্রিয়া যেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট সাইজে বিভিন্ন
ধরণের বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হবে।
নতুন ব্লগারদের জন্য । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এবং বিজ্ঞাপন ইউনিট তৈরি
করতে প্রথমে এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে লগইন করুন। যে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপনে ইউনিট
তৈরি করতে পারবেন যেমন টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও বা রেসপনসিভ আপনার যেটা ভালো লাগে
আপনি বানাতে পারেন।
কিন্তু আপনি চাইলে রেসপনসিভ উইনিটটি ব্যবহার করতে পারেন কারন
এটি একটি ভালো ইউনিট তাই এটি ব্যবহার করা ভালো । ইউনিটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ডিভাইস অনুযায়ী আকার পরিবর্তন করে এবং ভিজিটরের জন্য অভিজ্ঞতা উন্নত করে থাকে।
তার জন্য এটি অনেক ভালো একটি ইউনিট তাই বেশির ভাগ মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকে।
এছাড়াও , রেসপনসিভ ইউনিট ক্লিক রেটও বাড়ায় । তার জন্য সবাই এটি ব্যবহার করে
থাকে। আরো একটি ধাপ হলো বিজ্ঞাপন কোড কপি করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা
দরকার আপনাদের।
এবং কোড টি সঠিক জায়গাতে বসানো দরকার যেমন হেডার বা বডি সেকশনে বসান তাহলে ভালো
হয়। এবং যদি ভুল জায়গায় বসানো হয় তাহলে বিজ্ঞাপন ঠিকভাবে প্রদর্শিত হবে না এবং
আপনি আপনার অনুমোদন প্রক্রিয়া সমস্যা হতে পারে তার জন্য যারা নতুন তারা এমন ভুল
থেকে দুরে থাকবেন। যারা নতুন তাদের জন্য এটি আরো একটি নতুন ধাপ । এবং
আপনাদের বিজ্ঞাপন ইউনিটের সংখ্যা খুব বেশি না রাখয় ভালো হবে। কারণ খুব বেশি হয়ে
গেলে আবার সমস্যা হতে পারে তাই আপনারা খুব বেশি রাখবেন না ।
বিজ্ঞাপন স্থাপনের সঠিক জায়গা ও কৌশল
গুগল এডসেন্সে থেকে আয় বাড়াতে বিজ্ঞাপন সঠিক স্থানে বসানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইটে এমন জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে ভিজিটর চোখ সহজে পড়তে পারে। সাধারণত
হেডার, কন্টেন্ট মধ্যে এবং সাইডবার ভালো জায়গা । নতুন ব্লগারদের জন্য এটি আরো
একটি বড় ধাপ হলো এটি। তাই এটি সবাই মেনে চলার চেষ্টা করবেন। ওয়েবসাইট বেশি
ওভারলোড করা ঠিক নয় । তাই আপনারা বেশি অতিরিক্ত ওভারলোড করবেন না। এবং সব সময়
ওয়েবসাইট ভালো এবং মানসম্মত পোস্ট করার চেষ্ট করবেন আর সুন্দর পোস্ট করার
চেষ্ট করবেন।
আপনারা সবাই চেষ্ট করবেন যেনো রেসপনসিভ বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে । কারণ এটি একটি
খুব ভালো বিজ্ঞাপন । এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইস অনুযায়ী আকার
পরিবর্তন করে এবং ভিজিটরের জন্য এটি একটি অভিজ্ঞাতা উন্নত করে থাকে। এছাড়া
রেসপনসিভ ইউনিট ক্লিক রেটও বাড়ায়। তার কারণে সবাই এই বিজ্ঞাপন টি ব্যবহার করে
থাকে। প্রথমবারের ব্লগাররা প্রায়ই কন্টেন্ট শুরুতেই বা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশে
বিজ্ঞাপন বসায়। এটি ভিজিটরের নজরে আসে এবং ক্লিক রেট বাড়ায়। তবে বিজ্ঞাপন
কখনো পাঠকের অভিজ্ঞতা ব্যাহত করে না
আপনি যদি সঠিক স্থানে বিজ্ঞাপন বসালে ভিজিটর খুশি থাকে এবং আপনার আয় বৃদ্ধি পায়
ফলে আপনি টাকা বেশি আয় করতে পারবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড
বেশি থাকা দরকার কারণ লোডিং স্পিড বেশি থাকলে পাঠক তারা তারি আপনার ওয়েবসাইটে
ঢুকতে পারবে। এবং আপনার মনে রাখা দরকার ছবি বা ভিডিও সম্বলিত বিজ্ঞাপন ওভারলোড
করা ঠিক না কারণ এতে আপনার একাউন্টে সমস্য হতে পারে। যারা নতুন
ভাবছেন যে কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবো তাদের জন্য এটি একটি অনেক বড় ধাপ
।
নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেট ও পাঠক আকর্ষণ
গুগল এডসেন্সে আয় বাড়াতে এবং অনুমোদন পেতে ওয়েবসাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেট করা
খুর গুরুত্বপূর্ণ । নতুন পোস্ট যোগ করলে ভিজিটরের আগ্রহ বাড়ে এবং তারা
বারবার সাইটে ফিরে আসে যারা প্রথমবার ভাবছেন যে নতুন একাউন্ট খুলবেন তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রতিটি পোস্ট অনন্য এবং তথ্যবহুল লেখা থাকা দরকার। কেবল ছবি বা নকল লেখা থাকলে ওয়েবসাইটের মান কমে যায় এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া ধীর হয়। তাই মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরিতে মন দিন।নিয়মিত আপডেট করলে গুগলও আপনার সাইটকে প্রাধান্য দেয়।
সার্চ র্যাংকিং ভালো হয় এবং নতুন ভিজিটর আসতে থাকে। এছাড়া, নিয়মিত পোস্ট করা পাঠককে ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের পোস্ট যোগ করুন। যেমন টিউটোরিয়াল, তথ্যবহুল আর্টিকেল, ভিডিও বা ইমেজ সম্বলিত কন্টেন্ট। এটি ভিজিটরকে আকর্ষণ করে এবং ক্লিক রেট বদ্ধি করে। তার জন্য যারা নতুন ভাবছেন গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলবেন তাদের জন্য এটি একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তাই তাদের এটি ভালো ভাবে দেখতে হবে। তাদের জন্য নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেট একটি সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল।
পাঠকের প্রশ্ন বা কমেন্টের উত্তর দেওয়া এবং ইন্টারঅ্যাকশন বজায় রাখা আরও ভিজিটর ধরে রাখে।পুরনো পোস্টও মাঝে মাঝে আপডেট করুন। নতুন তথ্য যোগ করা বা ভুল সংশোধন করা ওয়েবসাইটকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে। নিয়মিত কন্টেন্ট আপডেট করা ভিজিটর ও গুগল জন্য সাইটকে প্রাধান্য দেয়। এভাবে নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি ও আপডেট করলে ওয়েবসাইটের মান বৃদ্ধি পায়। পাঠক আকৃষ্ট হয় এবং এডসেন্স থেকে আয়ও বৃদ্ধি পায়। তার ফলে আপনি এটি বুজতে পারবেন। যারা নতুন তাদের জন্য একটি ভালো ধাপ এটি।
গুগল এডসেন্সে আয় ট্রাক ও বিশ্লেষণ
গুগল এডসেন্স থেকে আয় বাড়ানোর জন্য আয়ের নিয়মিত ট্র্যাক রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এডসেন্স ড্যাশবোর্ডে লগইন করলে আপনি প্রতিদিন , প্রতি সপ্তাহ বা প্রতি মাসের আয়ের বিস্তারিত দেখতে পারবেন নতুন ব্লগাদের জন্য যারা ভাবছেন তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এবং ভালো একটি উপায়। ড্যাশবোর্ডে দেখানো রিপোর্ট থেকে বোঝা যায় কোন পোস্ট বা পেজ সবচেয়ে বেশি ক্লিক পাচ্ছে। কোন বিজ্ঞাপন ভালো কাজ করছে , কোনটি কম ক্লিক পাচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করে আপনি ভবিষ্যতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
নতুন ব্লাগাররা প্রায়ই আয় বাড়ানোর জন্য শুধু বেশি পোস্ট তৈরি করেন। কিন্তু পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ না করলে সঠিক কৌশল বের করলে কঠিন । নিয়মিত রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলে আয় বৃদ্ধি করতে সহজ হয়। এডসেন্স রিপোর্ট দেখে পাঠকের পছন্দ বোঝা যায়। কোন ধরনের পোস্টে বেশি ভিজিটর আগ্রহী, কোন কন্টেন্ট বেশি দেখছে এগুলো দেখে কন্টেন্ট পরিকল্পনা উন্নত করা যায়। নিয়মিত বিশ্লেষণ ও ট্র্যাকিং করলে বিজ্ঞাপন স্থাপনের কৌশল পরবর্তন করা সহজ হয়। সঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে আয় বৃদ্ধি হয়। এবং ওয়েবসাইট আরও সফল হয়।
এভাবে আয় ট্র্যাক এবং বিশ্লেষণ করা নতুন ব্লগারদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । যারা ভাছেন যে নতুন একাউন্ট খুলবেন তাদের জন্য এটি একটি অনেক ভলো ধাপ হবে। আপনারা সবাই এই ধাপ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন। আপনাদের এখানে সব কিছু নিয়মিত নিয়মিত বিশ্লেষণ করুন। এতে বুঝতে পারবেন কোন স্থানে বিজ্ঞাপন বসানো সবচেয়ে লাভজনক। তাই আপনারা সব সময় এটি মেনে চলবেন। তাহলে আপনাদের আয় অনেক টা বেড়ে যাবে। তবে আপনাদের এটি ভালো ভাবে মানতে হবে। তার পরে আপনার আয় বাড়বে।
পেমেন্ট সেটিংস ও ব্যাংক একাউন্ট সংযোগ
গুগল এডসেন্সে আয় শুরু করার পর পেমেন্ট সেটিংস ঠিকভাবে করা খুব গুরুত্বপূর্ণ । পেমেন্ট সেটিংসের মাধ্যমে আপনি আপনার আয় সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা অন্যান্য পেমেন্ট মাধ্যমের মাধ্যমে পেতে পারেন। নতুন ব্লগারদের জন্য যারা ভাবছেন: কিভবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব তাদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রথমে এডসেন্সে ড্যাশবোর্ডে লগইন করে পেমেন্ট সেকশনে যান। এখানে পেমেন্ট প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। পেমেন্ট প্রোফাইলে আপনার নাম, ঠিকানা ব্যাংকের তথ্য ঠিকভাবে দিতে হবে। ভুল তথ্য দিলে পেমেন্ট আটক
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url