১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের এই আমার আর্টিকেলে। অল্প পুঁজিতে কিভাবে পাইকারি ব্যবসা শুরু করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আপনাদের জন্য।
আমাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা করতে আগ্রহী কিন্তু ব্যবসার সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। তাই আজকের আমার এই পোস্টটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেজ সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা
- গ্রামের ছোট ব্যবসা করার আইডিয়া
- শহরে গিয়ে ব্যবসা করার আইডিয়া
- বিনা পুঁজিতে ব্যবসা
- মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসার আইডিয়া
- বিনা পরিতে অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া
- কম টাকায় সবচাইতে ভালো ব্যবসা কোনটা
- কম পুজিতে লাভজনক ব্যবসা
- ছাত্রদের জন্য কম খরচের ব্যবসা
- বাংলাদেশে কোন ব্যবসা করলে দ্রুত টাকা আসে
- চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া
- লেখকের শেষ কথা
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে আমাদের দেশ বাংলাদেশে আপনি যদি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চান তাহলে
আপনাকে উদ্যোক্তা হতে হবে। আর যারা উদ্যোক্তা হতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই মনে
করেন ব্যবসা করতে গেলে অনেক পুঁজি দরকার হয় এবং এর থেকে অনেক ঝুঁকির মুখে পড়তে
হয় অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর লাভের জন্য।
কিন্তু এখন সময় ও বাস্তবতা দুটি বদলে গেছে। আপনি যদি অল্প পুঁজিতে পাইকারি
ব্যবসা করতে পারেন তাহলে ব্যবসাটি হবে ছোট কিন্তু লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এই
ব্যবসাতে ঝুঁকি কম তবে লাভ হয় বেশি। আপনাদের মধ্যে এসব কাজ করতে পারবে যেমন
ছাত্র, বেকার বসে থাকা যুবক, গৃহিণী, অথবা পেনশনের পর আয় করতে চাচ্ছেন এমন যে
কেউ এই আইডিয়াগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জীবন বদলাতে পারবেন। চলুন তাহলে সেসব
বিষয়ে জানা যাক
- আপনি রাস্তার পাশে বা লোকাল মার্কেট এর কাছে নাস্তার বা চায়ের দোকান খুলতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনি কম খরচে শুরু করতে পারবেন। তবে প্রতিদিন এ থেকে আপনি নগদ টাকা আয় করতে পারবেন।
-
গরম কালে ফ্রেশ জুস বা শরবত এর দোকানের চাহিদা বেশি থাকে। আপনি যদি কয়েক
ধরনের ফল সাথে ব্লেন্ডার নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করেন তাহলে অনেক টাকা আয় করতে
পারবেন। খরচ হিসেবে শুধু ব্লেন্ডার এবং কিছু ফলের পিছে খরচ করতে হবে তাহলে
আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।
-
আপনার বাড়ির পাশে গ্রাম বা মহল্লায় অথবা বাজারে বিকাশ নগদ ও মোবাইল রিচার্জ
এর মাধ্যমে ছোট ইস্টল দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি থেকে
দিনে ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব হয়।
-
আজকাল কসমেটিক্স এর চাহিদা মেয়েদের কাছে অনেক বেশি। আপনি যদি কিছু অল্প
মূল্যের কসমেটিকস নিয়ে খুচরা এবং পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন তাহলে এ
থেকে আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন।
-
আপনার হাতে যদি একটি মোবাইল থাকে তাহলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
ডিজাইনিং ক্যানভা দিয়ে করতে পারবেন। এতে কাজ হিসেবে লোগো পোস্টার ডিজাইনিং
করে ইনকাম করা সম্ভব।
-
আপনার আশেপাশের স্কুল কলেজ বা অফিসের আশেপাশে প্রিন্ট ও ফটোকপির ব্যবসা শুরু
করতে পারেন। এই ব্যবসাটি পুরাতন প্রিন্টার মেশিন দিয়ে শুরু করা যায়। অল্প
পুঁজিতে এই ব্যবসাটিও দারুন একটি ব্যবসা।
-
অল্প পুঁজিতে শুধুমাত্র একটি চুলা দিয়ে শুরু করা যায় পাপড় চানাচুর ফুচকা
বিক্রির ব্যবসা। এই ব্যবসাটি স্কুল কলেজ বা বাজারের পাশে ভালোভাবে বিক্রি
করতে পারবেন।
-
অনলাইনের মাধ্যমে পুরাতন জামাকাপড়ের রিসেলিং ব্যবসা করতে পারেন। এতে আপনার
নিজের অথবা পরিচয়ে তোদের পুরাতন ভালো কাপড় তুলনামূল্যে বিক্রি করে ভালো আয়
করা সম্ভব।
-
আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ইউটিউব অথবা ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ফেসবুক এবং ইউটিউবেও মার্কেটিং করা
যায়। এই সাইটটিতে আপনি ধীরে ধীরে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
-
আপনি চাইলে ড্রপ শিপিং বিজনেসটিও করতে পারেন। এই ব্যবসাটি হল আপনার নিজের কোন
স্টক না থাকলেও অন্যের স্টক বেঁচে কমিশন নেওয়া। এই ব্যবসাটির থেকে ও ভালো
পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়।
-
হাতে তৈরি করা গিফট বা কার্ড তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি
যদি ঘরে বসেই গিফট আইটেম তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি
করে ইনকাম করতে পারবেন।
-
গরমকালে সবচেয়ে লাভজনক এবং সহজ ব্যবসাটি হল ঠান্ডা পানির দোকান। ১০০০ থেকে
২০০০ টাকা খরচ করে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়।
-
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে অন্যতম একটি ব্যবসা হল বিউটি
পার্লার হোম সার্ভিস। প্রথম অবস্থায় পার্লারের অল্প কিছু সরঞ্জাম কিনে ঘরে
বসে থেকেই মেয়েদের পার্লারে সেবা দেওয়া যায়।
-
আপনি ইচ্ছা করলে বাইসাইকেল দিয়ে ডেলিভারির ব্যবসা করতে পারেন। ফুড পান্ডা বা
পাঠাওতে বাইসাইকেল দিয়ে ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করা যায়।
-
আপনি যদি ঘরে বসে থেকে কুকিজ অর্থাৎ কেক বানাতে পারেন তাহলে অনলাইন বা
পারামহল্লার ভিতরেও বিক্রি করতে পারবেন। এই ব্যবসাটির অর্থাৎ কুকিজ অথবা
কেকের চাহিদা সবসময়ই থাকে।
-
বিকেল বেলা বা রোজার মাসে ইফতারের সরঞ্জাম বিক্রিও করতে পারেন যেমন আলুর
চপ/বেগুনে/পেয়াজু/আরো অন্যান্য ধরনের আইটেম বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারেন ১০
হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে এটিও হতে পারে আপনার ইনকামের
সেরা পথ।
-
আপনি যদি চান অন্যদের কাছ থেকে পুরাতন বই কিনে শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে
ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
-
বাড়িতে বসে ইনকাম করতে চাইলে পাড়া বা বহল্লার শিশুদের প্রাইভেট পরিয়ে
ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন দুই থেকে তিন জন শিক্ষার্থী পড়ালেই আয় শুরু
হয়ে যাবে। প্রথম অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ ক্লাস ওয়ান টু
শিক্ষার্থীদের পড়ানো শুরু করুন।
-
আপনার যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রির মত অনলাইনে
কাজ করতে পারেন। আপনার হাতে যদি মোবাইল থাকে সেটি দিয়েও এ কাজটি অনায়াসে
করতে পারবেন। এই কাজটি করলে লাইন খুঁজে পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। এ থেকে
ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
-
আপনার বাড়ির মহিলা অর্থাৎ মা, দাদি যে কেউ ঘরোয়া আচার বানাতে পারে
সেগুলো দিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি যদি আমদানিকৃত মসলা বাজারে
বিক্রি করতে পারেন তাহলে এ থেকে ভালো পরিমান টাকা আয় করা যায়। এই ব্যবসাটি
অতি সহজে লাভবান হওয়া যায়।
-
আপনি যদি পাইকারি বাজার থেকে শিশুদের খেলনা ও শিক্ষামূলক আইটেম বিক্রি করতে
পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি ছোট থেকে বড় করতে পারবেন। নতুন অবস্থায় যারা মা
বাবা হন এসব জিনিসের চাহিদা তখন অনেক বেশি হয়ে যায় তাদের কাছে।
-
পাইকারি মার্কেট থেকে অল্প দামে ফোনের যন্ত্রাংশ কিনে বিক্রি করতে পারেন।
যেমন ফোনের কভার, ফোনের স্ক্রিন, ডিসপ্লে, টাচ, চার্জার ইত্যাদি আরও বিভিন্ন
রকম মালামাল আছে সেগুলো অল্প দামে কিনে পাইকারি হিসেবে আপনি বিক্রি করতে
পারেন। এই জিনিসগুলো চাহিদা মার্কেটে অনেক বেশি।
-
রাস্তার পাশে বা স্কুল কলেজের সামনে আপনি যদি ছোটখাটো ফুলের দোকান বা গাছের
চারা নিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে। এই
ব্যবসাটি অনলাইনের মাধ্যমেও করতে পারবেন বাড়িতে বসে থেকে।
-
বাড়িতে বসে অযথা সময় নষ্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি পাশ থেকে সাত
দিনের কোর্স করে ফাইবার আপ ওয়ার্ক এর মত ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন তাহলে
আপনি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় এখানে লোগো বিজনেস
কার্ড নিয়ে কাজ শুরু করলে আস্তে আস্তে আপনি বড় বড় কাজ পেতে পারেন।
-
আপনি যদি একটি ভ্যান এর মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন,আদা ইত্যাদি যেগুলো মানুষের
প্রতিনিয়ত প্রয়োজন সেসব সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন। এই জিনিসগুলো আপনি
পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে খুচরা কেজি ধরে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার apps 2024
উপরের এই ব্যবসা গুলো সীমিত বাজেটের মধ্যে। এই ব্যবসা গুলো আপনি অল্প টাকা
দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি বেকার বসে থেকে অযথা সময় নষ্ট করেন তাহলে
আপনার কোন কাজে উন্নতি হবে না। অযথা সময় নষ্ট না করে অপরের যেকোনো একটি
বিষয়কে বেছে নিয়ে আপনার ইনকামের যাত্রা শুরু করুন। আপনি যদি যেকোন বিষয়
ফোকাস করে ছোট থেকে শুরু করেন তাহলে আস্তে আস্তে এই ব্যবসাটি বড় আকারে গড়ে
উঠবে। আপনার হাতে যদি কিছু সময় থাকে তাহলে একটি ফেসবুক পেজ এবং ১০ হাজার
টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে যেকোনো একটি নিয়ে শুরু করলে আপনি যে
কোন কিছু করতে পারবেন।
অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ব্যবসা করতে গেলে প্রথম অবস্থায় মনে আসে ব্যবসা মানে লাখ টাকা
ইনভেস্ট করা। আবার মনে আসে যদি আমি ব্যবসা করতে চাই তাহলে প্রথমে দোকান ভাড়া
গোদাম নেওয়া দোকানে কর্মচারী রাখা ইত্যাদিতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে। যার
কারণে ব্যবসার কথা মাথায় এলেও তা আমরা ভুলে যায়। বর্তমানে সময় পাল্টে গেছে
আপনি যদি চান এক হাজার টাকার ভিতরে আপনি আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
আস্তে আস্তে এই ব্যবসাটি ও একসময় বড় আকারে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
- আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে অল্প পুঁজি নিয়ে পাইকারি ভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। প্রথম অবস্থায় অল্প কিছু মালামাল কিনে ব্যবসা শুরু করা যাবে। তারপর ব্যবসার ভাব অনুযায়ী ক্রমাগত আপনি মালামাল বাড়াতে পারবেন কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী।
-
আস্তে আস্তে ব্যবসাটি বড় হলে আপনি রিসেলার বা সাব ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবেও
নিজেকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
-
আপনি যদি পাইকারি দোকান থেকে কলম চুরি হেয়ার ক্লিপ মোবাইল স্টিকার শিশুদের
খেলনা রান্না করার মসলা ইত্যাদি পণ্যগুলো কম দামে কিনে এনে পাড়ায় বা
মহল্লায় ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে আপনি
প্রত্যেকটি থেকে ২০ থেকে ৪০% লাভ করতে পারবেন।
-
আপনি ফেসবুকে রিসেলার হিসেবে এসব পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারেন। যেমন ধরেন
আপনার প্রোডাক্টগুলো স্টক না রেখে সেসব পণ্যগুলোর ছবি তুলে অর্ডার নিয়ে
সরবরাহ করে কমিশন আকারে লাভ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই মডেলটা অর্থাৎ
রিসেল ব্যবসা ফেসবুকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমান আমাদের এই ডিজিটাল যুগে এসে আপনি যদি বেকার বসে থাকেন তাহলে আপনি আর
কোন সময় ইনকাম করতে পারবেন কিনা সঠিক বলতে পারলাম না। কারণ বর্তমান সময়ে
হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা
সম্ভব হয়েছে। যেখানে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানা থাকলে
এই ব্যবসাটি বাস্তবে আপনার সফলতার সিঁড়ি হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি সত্যিই
কোন কিছু করতে চান তাহলে অল্প পুঁজিতে এই বাইকের ব্যবসা দিয়ে শুরু করায়
আমার মতে আপনার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। তাহলে বেকার বসে না
থেকে আজই শুরু করুন আপনার নতুন ব্যবসা। ব্যবসা শুধু টাকা নয় বরঞ্চ এটা হল
নিজের একটি আত্মবিশ্বাস।
গ্রামের ছোট ব্যবসা করার আইডিয়া
আমাদের এই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই গ্রামে বসবাস করে। গ্রামের প্রত্যেকটি
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত জীবন যুদ্ধে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে
ইনকাম করছে। কেউবা করছে মাঠে কাজ আবার কেউ বা ছোটখাটো ব্যবসা দার করিয়ে ইনকাম
করছে। গ্রামের মানুষগুলো কাজ ছাড়া কখনো বসে থাকে না অর্থাৎ কোন না কোন কাজের
মধ্যে তাদের দিন পার হয়ে যায়। আপনি যদি গ্রামের হয়ে থাকেন এবং কোন কাজ না
পেয়ে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভাবছেন কি ব্যবসা করবেন তাহলে এই আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে আপনি বুঝতে পারবেন ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে
যেকোনো একটি বেছে নিয়ে আপনার ইনকামের যাত্রা এখনই শুরু করুন।
আরো পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার উপায়
- অল্প পুজিতে গ্রামে বসে কৃষিভিত্তিক ব্যবসার শুরু করতে পারেন। যেমন শাকসবজি চাষ। ছোটখাটো একটি জায়গায় লাউ পালং শাক ধনেপাতা আরো বেশ কিছু চাষাবাদ করে গ্রামের বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এই কাজে খরচ কম এবং ফলনও দ্রুত আসে।
-
আপনার যদি হাতের কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে গ্রামে বসে ছোটখাটো হস্তশিল্প
যেমন কাঁথা সেলায় বা হাতে তৈরি ঘর সাজানো জিনিসপত্র। এগুলো বানিয়ে
আপনি বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এই কাজটি যদি আপনি আপনার পরিবারসহ সকলে
মিলে করতে পারেন তাহলে ব্যবসাটি আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করবে। বাড়ির
উঠোনে বারান্দা অথবা খোলা কোন জায়গায় আপনি তৈরি করতে পারেন আপনার ছোট
একটি কারখানা। যেখানে প্রতিদিন সকালে মিলে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র বানিয়ে
অনলাইন এর মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারবেন।
-
এসব পণ্যগুলো নিজের হাতে বানিয়ে ছবি তুলে ফেসবুক পেজ লোকাল অনলাইন
মার্কেটপ্লেস বা হোয়াটসঅ্যাপে ছবি তুলে আপলোড করে বিক্রি শুরু করতে
পারবেন।
-
বাড়িতে হাঁস-মুরগ ি কোয়েল পাখি কিংবা ছাগল পুষেও ইনকাম করতে পারেন। আপনার
যদি বাড়িতে ডিম্বাটুর না থাকে তাহলে গ্রামের অন্যদের কাছ থেকে কিনে এগুলো
বিক্রি করে আপনার আয়ের নতুন যাত্রা নিজেই শুরু করতে পারেন।
এসব ধরনের ছোটখাট ব্যবসা আপনাকে শুধু আই দিবেনা বরং আপনার পরিবার প্রতিবেশী
এমনকি এলাকার মানুষদের ও কাজের নতুন সুযোগ এনে দিতে পারেন। এক সময় আপনি এই
কাজ থেকেই বড় কাজ শুরু করতে পারবেন। একজন গ্রামের মানুষ এসব ধরনের কাজ করে
এবং অন্যকে কাজের সুবিধা করে দিতে পারলে গ্রামের মধ্যে তার সম্মান অনেকটা
বেড়ে যায়। তাহলে এই কাজ করে আপনিও হতে পারেন গ্রামের সেই মানুষ।
শহরে গিয়ে ব্যবসা করার আইডিয়া
শহর মানেই হলো ব্যস্ততা, প্রতিযোগিতা এবং নিত্যনতুন চাহিদা পূরণ করা। শহর
অঞ্চলের প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি মহল্লায় লুকিয়ে আছে ছোট ছোট অসংখ্য ব্যবসার
সম্ভাবনা। আপনার মনে যদি চিন্তা থাকে আপনি যদি চিন্তাশীল হন বাস্তবতাকে
ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন তাহলে শহর আপনার জন্য হয়ে উঠবে এক বিশাল
বাণিজ্যিক খনি। শহরে ব্যবসা করার আইডিয়া আসলেই যে দোকান খোলা তা কিন্তু নয়।
বর্তমানে শহরে প্রায় সব কিছুরই দোকান বা স্ট্রল রয়েছে। আপনি যদি ব্যবসা করতে
চান তাহলে আপনাকে তৈরি করতে হবে নিত্যনতুন কিছু জিনিস অর্থাৎ প্রতিনিয়ত
মানুষের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে যারা ফ্রিল্যান্সিং
সম্বন্ধে কিছু জানে না তারা এখন ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে
যেকোনো একটি বেছে নিয়ে নিজের ব্যবসা করতে পারেন।
- শহরে গিয়ে আপনি ব্যস্ত মানুষদের জন্য অর্থাৎ চাকরিজীবীদের জন্য খাবারের হোম ডেলিভারি কাজ শুরু করতে পারেন।
-
শহর অঞ্চলে যারা চাকরিজীবী তাদেরকে বলা হয় অফিস পারা। এই অফিস পাড়ায়
আপনি লাঞ্চ বক্স সরবরাহের কাজ করতে পারেন।
-
এই অফিস পাড়ায় আপনি দশ হাজার টাকা খরচ করে একটি চায়ের দোকান দিতে পারেন।
যেখান থেকে আপনার প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচশ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
-
শহরের মানুষগুলো অনলাইনে বেশি আকৃষ্ট থাকে। আপনি যদি ফেসবুকে পেজ খুলে
বিভিন্ন ধরনের বুটিক পোশাক কসমেটিক্স মোবাইলের যাত্রাংশ ইত্যাদি পণ্যগুলো
অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা শুরু করতে পারেন।
- আবার আপনি যদি ঘরে বসে কেক তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে সেল করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম অনেকটা বেড়ে যাবে। বর্তমান সময়ে শহরের মানুষ অনলাইনে সব কিছু অর্ডার করে থাকেন। এসব ছোটখাটো ধরনের আইডিয়া অনেক মানুষকে লাখপতি করে তুলেছেন।
-
আপনি যদি ডিজিটাল যুগের স্কেলের সাথে পারদর্শী হন যেমন ডিজাইন করা ভিডিও
এডিটিং করা এসইও বা ফেসবুক অ্যাড রান করতে পারেন তাহলে লাইনগুলো আপনার
ঠিকানা নিজেই খুঁজে নিবে। আপনি যদি এসব বিষয়ে পারদর্শী থাকেন তাহলে ফাইবার
বা আপওয়ারকের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপনি চাইলেও
শহরের ভিতরে পাড়া মহল্লার দোকানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেবা দিতে পারবেন।
যা সহ অঞ্চলে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
আপনি যদি শহরে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে স্থানীয়
বাজারগুলোর চাহিদা বুঝে নিতে পারেন তাহলে আপনি অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা
শুরু করতে পারবেন। একবার বুঝে গেলে আপনার জন্য যে কোন ব্যবসা দার করা কোন
ব্যাপারই হবে না। আপনি তখন নিজেই অসম্ভব বলে কিছু মনে করবেন না।
বিনা পুঁজিতে ব্যবসা
আপনি যদি বিনা টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে এই সময়ে এটি হলো একটি সম্ভাবনা
উপায়। এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে কোনরকম পরো আকারে পুঁজি বা অফিসের
প্রয়োজন হবে না। আপনার যদি কোন রকম দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি করতে
পারবেন। দক্ষতা যেমন কন্টেন্ট রাইটিং ডিজাইন করা ভিডিও এডিটিং এসব বিষয়গুলোতে
যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঘরে বসে থেকেই কাজ শুরু করতে পারবেন।
এছাড়াও রয়েছে বর্তমান সময়ে ড্রপ শিপিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা ফেসবুক
লাইভে এসে সেল করা। এই ব্যবসা গুলো বিনা পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব।
- কনটেন্ট রাইটিংঃ আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করতে চান তাহলে ফেসবুক ফাইবার বা upwork কাজ শুরু করতে পারবেন।
-
ডিজাইন/ভিডিও এডিটিংঃ আপনি যদি এসব কাজগুলোতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে
ক্লাইন্টেকে ই ঘরে বসে থেকেই সার্ভিস দিতে পারবেন।
-
ড্রপ শিপিংঃ আপনার যদি কোন রকম প্রোডাক্ট না থাকে তাহলে আপনি গ্রাহকদের
কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনার যদি কোনরকম প্রোডাক্ট নাই থাকে তাহলে আপনি
অন্য কারো প্রোডাক্ট রেকমেন্ড করে কমিশন লাভ করতে পারবেন। এতে আপনি বিনা
পুঁজিতে ব্যবসা করতে পারবেন।
ফেসবুক লাইভ সেলঃ অন্য কোন ব্যবসায়ীদের প্রোডাক্টগুলো আপনি যদি নিয়ে লাইভ
করেন বা পোস্ট করেন তা থেকে যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি হয় সেগুলো থেকে আপনি
কমিশন পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি আপনার সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত কিছু
সময় দিতে পারেন তাহলে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এগুলোর মধ্যে
যেকোনো একটি ব্যবসা অন্তত আপনার জন্য কাজ করবে।
মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি ঘরে এমন অসংখ্য মহিলা রয়েছে যারা অনেক
প্রতিভাবান এবং অনেক দক্ষ। সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারণে অথবা বাইরে যেতে না পারার
কারণে তাদের নিজেদের কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারছেন না। তবে বর্তমান সময়ে ঘরে
বসে থেকে এখন প্রতিটি নারী বা মহিলারা নির্ভয়ে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করে তাদের নিজেদের পরিবারে অবদান রাখতে পারবেন। যদি
তাদের মধ্যে কোনরকম একটু ইচ্ছা আর পরিকল্পনা থাকে হলে তারা ঘরে বসে থেকে
অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাই ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৫
- আপনাদের মধ্যে যদি কেউ হাতের কাজ পারেন তাহলে গহনা গুটি পোশাক পোষণ কভার হ্যান্ড মেড আর টেবিল ম্যাড ঘর সাজানোর জিনিসপত্র বানিয়ে ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সব কিছুর ছবি তুলে বা সব কিছু পণ্যের ভিডিও করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়। এই পণ্যগুলো অনেকেই পছন্দ করে আপনার কাছে অর্ডার দিবে যার পরে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
-
আপনি যদি রান্নায় পারদর্শী বা দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ঘরে বসে থেকেই
বিভিন্ন ধরনের কেক পিঠা আচারের অর্ডার নিতে পারেন।
-
আজ আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে ব্যস্ত তার দিন পার করে। আপনি চাইলে সেই
পরিবারগুলোর চাহিদা পূরণ করে ইনকাম করতে পারেন।
-
ঘরে বসে থেকেই খুব সহজে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল বা
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর আপনি খুব সহজে ঘরে বসে থেকেই বিভিন্ন
রকম বুকিং বা বিউটি টিপস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
-
মহিলাদের মধ্যে যারা ডিজিটাল স্কিনে পারদর্শী আছেন যেমন ডিজাইন করা ভিডিও
এডিট করা ডিজিটাল মার্কেটিং এ পারদর্শী তাদের জন্য ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম
এ অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি যদি আপনার
একটি প্রোফাইল খোলেন এবং সেখানে আপনি যা যা পারেন সেগুলো একটি নির্দেশনা
দিয়ে থাকেন। তাহলে বিভিন্ন রকম বাহিরের ক্লাইন্ট দের কাজ আপনি করে দিতে
পারবেন ঘরে বসে থেকে।
কাজের মধ্যে যদি আপনি কিছু না পারেন তাহলে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি
ব্যবসার আইডিয়া বা অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করার সকল আইডিয়া
সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। এসব বিষয়ে ধারণা রাখলে আপনি যেখানে
দাঁড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার পরিবর্তন নিজেই ঘটাতে পারবেন। তাই মহিলাদের
জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার এখন সবচেয়ে কার্যকর এবং উপযোগী হিসেবে বিবেচিত
হয়েছে।
বিনা পুঁজিতে অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া
আপনি যদি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে অনলাইনে ব্যবসা
শুরু করা একেবারে সম্ভব হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ের যদি আপনার হাতে একটি
স্মার্টফোন থাকে তাহলে সেটি দিয়েই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার
জন্য একটি সাধারণ স্কেলের প্রয়োজন হবে এবং সাথে সাথে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা
থাকতে হবে। তাহলে আপনি সহজে ঘরে বসে থেকে অনলাইনে ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে
যাবেন। আজকাল অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে
হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। এই কাজ শুরু করার জন্য কোনরকম বিনিয়োগ বা টাকা
খরচ করা লাগেনা। আপনিও শুরু করতে পারেন এই ছোট কাজ থেকে এক বড় হওয়ার গল্প।
শুধুমাত্র কাজের আগ্রহী এবং মনোযোগী হওয়া দরকার।
- ইউটিউব চ্যানেলঃ এই প্ল্যাটফর্মে আপনাকে রান্না ব্লগ প্রোডাক্ট রিভিউ বা এডভাইস দিয়ে ইনকাম শুরু করা।
-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ ফেসবুক পেজ বা ব্লগে প্রোডাক্ট প্রমোট করে কমিশন
লাভ করা।
- ফ্রিল্যান্সিংঃ ফাইবার আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার এসব সাইডে গিয়ে লেখালেখি ডিজাইন ভিডিও এডিটিং ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ পাওয়া। যা থেকে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
-
ড্রপ শিপিংঃ এই ওয়েবসাইটে আপনি কোন রকম স্টক ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন।
অর্থাৎ এমন পণ্য বেছে নেওয়া যেগুলো প্রতিনিয়ত মানুষের দরকার হয় সেগুলো
পণ্যের ছবি তুলে আপলোড করা এবং অর্ডার আসলে সেই পণ্যগুলো দোকান থেকে সংগ্রহ
করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
-
ফ্রি রেজিস্ট্রেশনঃ সাইবার আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার প্ল্যাটফর্ম গুলোতে
ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করে রাখা এবং আপনার প্রোফাইলটি খুব সুন্দর ভাবে
সাজিয়ে রাখা যাতে ক্লায়েন্ট এসে আপনাকে এসব কাজের উপর ভিত্তি করে আপনাকে
কাজ দেয়। এই কাজগুলো করে প্রতি মাসে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
-
ধৈর্য এবং পরিশ্রমঃ যেকোনো কাজ ছোট থেকে শুরু করে ধৈর্য সহকারে করতে হবে।
প্রথম অবস্থায় যেকোনো কাজ থেকে অর্থাৎ যে কোন ব্যবসা থেকে ইনকাম কম আসলো
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ইনকামের সুযোগ বেড়ে যায়। যার কারণে এসব কাজগুলোতে
ধৈর্য ধরে করতে হবে।, ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করা শেখা এবং শেয়ার করলে
ব্যবসা সফল হতে পারে।
আপনি যদি যেকোনো ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ব্যবসাটির শুরুটা ছোট হোক তাতে
কোন সমস্যা নেই। তবে প্রতিদিন আপনাকে নিয়মিতভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং
নতুন নতুন কাজ শিখতে হবে সাথে সাথে সকল কাজ শেয়ার করতে হবে। ইনশাল্লাহ
কিছুদিন পরে আপনি দেখবেন অনলাইনে আপনার ব্যবসা কেবলমাত্র একটি নামই নয় এটি
একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।
কম টাকায় সবচেয়ে ভালো ব্যবসা কোনটা?
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এখন অনেকেই ব্যবসার দিকে চলে গেছে। তবে প্রথম সমস্যা
আসে পুঁজির জায়গায়। সবাই ভাবে ব্যবসা মানে অনেক টাকা লাগবে। বাস্তবে কিন্তু
বিষয়টা পুরোটাই আলাদা। এখন এমন অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো মাত্র ৫ থেকে ১০০০০
টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব এবং ধীরে ধীরে বড় করা যায়। উদাহরণস্বরূপে অনলাইনে
কাপড় বিক্রি করে চায়ের দোকান পাসপোর্ট ইনস্টল হোমমেড ফুড বিক্রি মোবাইল
এক্সেসরি সব ইত্যাদি এগুলোতে খুব বেশি পুঁজি লাগে না। সবচেয়ে ভালো ব্যবসা
নির্ভর করে মূলত আপনার লোকেশন বাজারে চাহিদা এবং আপনার দক্ষতার উপর।
যেমন শহরে থাকলে হতে পারে অনলাইনে ব্যবসা ফাস্টফুড কসমেটিক্স বা মোবাইল
এক্সেসরিজ সবচেয়ে ভালো হতে পারে। আবার গ্রামে থাকলে হাঁস মুরগি পালন চা
স্ন্যাকসের দোকান কৃষি পণ্য বিক্রি এগুলো বেশি লাভজনক হয়। এছাড়া ভালো ব্যবসা
মানে শুধু লাভ করা নাই বরং টেকসই হওয়াটা জরুরী। এমন ব্যবসা বেছে নিতে হবে যেটা
নিয়মিত বিক্রি হয় প্রতিদিন কিছু না কিছু ইনকাম হয় এবং বাজারে যেটার চাহিদা
সবসময় বেশি থাকে। তাই কম টাকায় সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হলো যেটা আপনার এলাকায়
সহজে চালানো যায় এবং ঝুঁকি কম থাকে।
কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
বর্তমান অনেকেই বলে থাকেন ব্যবসা করতে হলে বড় পুঁজি দরকার। কিন্তু বর্তমান
সময়ে অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো পুঁজিবিহীন বা খুব কম টাকায় শুরু করা যায়।
পুজিবিহীন মানে একেবারে টাকা লাগে না তা কিন্তু নয় বরং শুরুতে অনেক কম টাকায়
শুরু করা যায়পরে ধীরে ধীরে বড় করা যায়। যেমন ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন
কন্টিনেশন ইউটিউব বা ফেসবুক পেজ চালানো ব্লগিং ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস
ইত্যাদি এগুলোতে শুরুতে বেশি টাকা লাগে না বরং আপনার দক্ষতা ও সময় সবচেয়ে বড়
পুঁজি।
এছাড়া অল্প টাকায় হোমমেড খাবার বিক্রি কসমেটিক্স গিফট আইটেম মোবাইল এক্সেসরিজ
বা অনলাইন কাপড় বিক্রিসহ বেশ লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন আপনি। পুঁজিবিহীন
ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে ঝুঁকি কম থাকে। যদি ব্যবসা না চলে তবুও
ক্ষতি অনেক কম হয় আবার সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ছোট ব্যবসায় একসময় বড়
ব্যবসাতে পরিবর্তন হতন। সঠিক পরিকল্পনা ধৈর্য আর নিয়মিত প্রচেষ্টার ফলে এসব
ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।, তাই চাকরিজীবী ছাত্র কিংবা গৃহিণী যে কেউ
চাইলে কম টাকাই নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে।
ছাত্রদের জন্য কম খরচের ব্যবসা
আমাদের বাংলাদেশে অনেক ছাত্র আছে যারা পড়াশোনা পাশাপাশি কিছু ইনকাম করতে চায়।
কিন্তু মূল সমস্যা হলো পুঁজি। তবে বর্তমান সময়ে এমন অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো
ছাত্ররা অল্প খরচাই শুরু করতে পারে। যেমন টিউশনি, অনলাইনে পড়ানো,
ফ্রিল্যান্সিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং ইউটিউব চ্যানেল চালানো ফেসবুক
পেজে প্রোডাক্ট বিক্রি করা। এগুলো শুরু করতে খুব বেশি টাকা লাগে না বরং
ইন্টারনেট কানেকশন আর মোবাইল বা ল্যাপটপ থাকলেই চলে।
এছাড়া ছাত্ররা চাইলে হোমমেড ফুড হস্তশিল্প বা বই বিক্রি করতেও পারে। স্কুল বা
কলেজের ক্যাম্পাসে বা তার আশেপাশের বাজারে ছোট কফি শপ, ফটোকপি, ফ্রেন্ড সার্ভিস
বাস স্টেশনারি ব্যবসা ছাত্রদের জন্য খুবই ভালো। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সময়
অনুযায়ী করা যায় মানে ক্লাস বা পড়াশোনার ক্ষতি হয় না। আবার অভিজ্ঞতা
বার্রার সাথে সাথে ছাত্ররা চাইলে এসব ব্যবসা বড় করতেও পারে। তাি ছাত্রদের জন্য
কম খরচে ব্যবসা হলো পড়াশোনা পাশাপাশি আয় করা সেরা উপায়।
বাংলাদেশে কোন ব্যবসা করলে দ্রুত টাকা আসে
অনেকে জানতে চান কোন ব্যবসা করলে দ্রুত টাকা আসে। আসলে দ্রুত টাকা মানে হলো এমন
ব্যবসা যেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় এবং সাথে সাথে ক্যাশ আসে। যেমন চায়ের দোকান
ফাস্টফুডের দোকান ফলের জুস ফুচকা চটপটির ঝালমুড়ি ব্যবসা এগুলোতে প্রতিদিন
গ্রাহক থাকে ফলে প্রতিদিন টাকা পাওয়া যায়। অনলাইনে কাপড় কসমেটিক্স ব্যাগ বা
গিফট আইটেম বিক্রি করলেও দ্রুত ইনকাম দেয় যদি সঠিকভাবে মার্কেটিং করা যায়।
এছাড়া কৃষি পণ্য ব্যবসা যেমন শাকসবজি বা ফল বিক্রি করে দ্রুত টাকা ব্যবসা করা
যায়। কারণ এগুলো সব সময় মানুষ কেনে। তবে দ্রুত টাকা পেলে সেটা সবসময় ভালো
ব্যবসা হবে এমনটা নয়। কিন্তু একই সাথে মান বজায় রাখতে হবে।এসব ব্যবসা করে মনে
রাখতে হবে যে দ্রুত টাকা পেলে সেটা লাভজনক হবে এমনটা নয়। যেসব ব্যবসায়ী দ্রুত
ইনকাম আসে সেগুলোতে প্রতিযোগিতা বেশি থাকে।
ফলে গ্রাহক ধরে রাখার জন্য মান বজায় রাখা খুব জরুরী। যদি খাবার ভালো না হয় বা
প্রোডাক্ট এর মান খারাপ হয় তাহলে প্রথম হয়তো টাকা আসবে কিন্তু পরে ব্যবসা
টিকবে না। তাই দ্রুত সময়ে যারা টাকা ইনকাম করা করতে চান তাদের উচিত ছোটসহ
গ্রাহক কিছু দিয়ে শুরু করা। প্রতিদিন বিক্রি হয় এমন কিছু বেছে নিন যেমন চা
পাসপোর্ট অনলাইনে কাপড় বা কসমেটিকস। এরপর ধীরে ধীরে মান ও মার্কেটিং বাড়িয়ে
ব্যবসা কে বড় করতে হবে। সংক্ষেপে বলা যায় বাংলাদেশের দ্রুত টাকা ইনকাম করার
ব্যবসা হল যেগুলো দৈনন্দিন চাহিদা পণ্য বা সেবা নিয়ে কাজ করে। অর্থাৎ আপনাকে
ভালোভাবে জানতে হবে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। তাহলে
আপনি বুঝতে পারবেন অল্প খরচে দ্রুততম টাকা আপনি কিভাবে ইনকাম করতে
পারবেন।
চাকরির পাশাপাশি পার্টটাইম ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশের বর্তমানে অনেক চাকরিজীবী একটি সমস্যায় ভুগছেন। চাকরির বেতন দিয়ে
সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যায়। তাই অনেকেই চান চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের
ব্যবস্থা করতে। কিন্তু সবাই ফুলটাইম ব্যবসা করতে পারে না কারণ সময় ও ঝুঁকির
বিষয় থাকে। সেজন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো পার্টটাইম ব্যবসা এতে চাকরি থেকে
ইনকাম থাকবে আবার ব্যবসা থেকেও অতিরিক্ত টাকা আসবে। সবচেয়ে জনপ্রিয় পার্টটাইম
ব্যবসা গুলোর মধ্যে হলো অনলাইন শপ অন্যতম। এখন ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বা
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাপড় কসমেটিক্স ব্যাগ জুতা গিফট আইটেম বিক্রি করা যায়।
এগুলো করতে খুব বেশি সময় লাগে না। অফিসে বা ছুটির দিনগুলোতে সহজে ম্যানেজ করা
যায়। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন সার্ভিস দেওয়া হয়। চাকরিজীবীদের জন্য
দারুন সুযোগ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন এমনিকে চাকরির পাশাপাশি হোম
ডেলিভারি ফুড সার্ভিস চালু করেন। ঘরে রান্না করা খাবার অনলাইনে প্রচার করে
ডেলিভারি দেওয়া যায়। এতে বিনিয়োগ কম লাগে আবার লাভও ভালো হয়। একইভাবে ফাস্ট
ফুড বা ছোট কফি শপও অফিস টাইম শেষে চালানো সম্ভব। যাদের বাসায় ফাঁকা ফ্লাট বা
রুম আছে তারা সেটি ভাড়া দিয়ে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। শহরে এটি খুব জনপ্রিয়
হয়ে উঠেছে।
পার্টটাইম ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে ঝুঁকি অনেক কম থাকে। কারণ আপনার
মূল ইনকাম চাকরি থেকে আসে তাই ব্যবসা শুরুতে খুব চাপ সৃষ্টি করে না। আবার যদি
ব্যবসা ভালো চলে ভবিষ্যতে এটাকে ফুলটাইম ব্যবসায়ী রূপ দেওয়া যায়। তবে মনে
রাখতে হবে পার্টটাইম ব্যবসার সব সময় ম্যানেজমেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে কাজ
ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যবসায় সমস্যা করতে পারেন। তাই এমন ব্যবসা বেছে নেওয়া উচিত
যেটা আপনার অবসর সময়ে সহজে চালানো যায়. সংক্ষেপে বলতে গেলে চাকরির পাশাপাশি
অনলাইন কিংবা ভাড়া ব্যবসা এসব হতে পারে সেরা। পার্ট টাইম ব্যবসার আইডিয়া
এগুলো শুধু বাড়তি ইনকাম দেবে না বরং ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা ও তৈরি করে
দেবে। তাই আপনাকে ধারণা রাখতে হবে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
সম্পর্কে।
লেখকের শেষ কথা
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বিনা পুঁজিতে
অর্থাৎ অল্প পুজিতেও ব্যবসা শুরু করা যায়। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার
আইডিয়া এরমধ্যে যেকোনো একটি আপনার ব্যবসার অন্যতম একটি পথ হতে পারে। আশা করি
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার
আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে ছোট
থেকে কিভাবে ব্যবসা বড় করতে হবে সেসব বিষয়ে ও ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
উপরোক্ত আলোচনায় যদি কোন কিছু ভুল থাকে অথবা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোন
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আজকের
আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধু এবং পরিবারদের মাঝে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। সকলকে এই বিস্তারিত তথ্য গুলো জানানোর চেষ্টা করবেন।
আরো বিভিন্ন রকম তথ্য যেমন ঘরে বসে থেকে অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন, স্বাস্থ্য
এবং চিকিৎসা, সকল কিছুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ইসলামিক বিষয়ে গাইডলাইন দিয়ে
থাকি যদি আপনার কোন কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইব
বাটনটি চাপ দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে সুবিধা
হবে। ধন্যবাদ 👍
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url