২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার
২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল বিস্তারিত বিষয়বস্তু তুলে ধরব। সাথে সাথে আরো জানতে পারবেন ভিডিও এডিটিং কত প্রকার এবং তার বিস্তারিত তথ্য। আজকের এই আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য হলো কিভাবে আপনি এডিটিং সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করবেন সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার দক্ষতা ও অনেক বাড়বে। তাই প্রতিদিন এসব বিষয়গুলো মাথায় রেখে চর্চা করলে দক্ষতা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। তাই আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সহ তাদের ব্যবহারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো।
পেজ সূচিপত্রঃ ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার
- ২৫ টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং তাদের ব্যবহার
- ভিডিও এডিটিং কত প্রকার
- প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স
- ভিডিও এডিটিং করার ধাপগুলো কি কি
- ক্যারিয়ার হিসেবে ভিডিও এডিটিং
- ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করার উপায়
- ভিডিও এডিটিং শিখতে কতদিন লাগে
-
সেরা কিছু ভিডিও এডিটিং শেখার ফ্রী ও পেইড সফটওয়্যার
-
ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার
- মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয় অ্যাপ
-
হাই কোয়ালিটি ভিডিও বানাতে সফটওয়্যার বেছে নেবেন
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার
বর্তমান সময়ে ভিডিও কনডেন্টের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে সাথে সাথে ভিডিও কনটেন্ট
গুলোর এডিটিং এর গুরুত্ব অনেকটা বেড়ে গেছে। যারা প্রফেশনাল প্রজেক্ট গুলো নিয়ে
ভিডিও তৈরি করেন যেমন youtube facebook instagram তাদের জন্য ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। আজকের এই আমার আর্টিকেলের মধ্যে
আলোচনা করব ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে।
পাশাপাশি
আরও জানানোর চেষ্টা করব ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর প্রকারভেদ ক্যারিয়ার এবং
ধাপ এবং তা থেকে আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ২৫ টি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে।
এগুলো বর্তমান সময়ে দুই ধরনের ব্যবহারকারীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে।
সিরিয়াল নাম্বার | সফটওয়্যার নাম | ব্যাবহার |
---|---|---|
১ | Vediopad | হালকা এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি |
২ | Lumen5 | ব্লগ কন্টেন্ট থেকে ভীডিও তৈরি |
৩ | Movavi vedio editor | দ্রুত এডিটিং |
৪ | Clipchamp | সহজে শিখা যায় |
৫ | WeVideo | ক্লাউড বেসড ভিডিও এডিটিং |
৬ | Invedioe | অনলইরনে ভিডিও তৈরি |
৭ | Adobe After Effects | ভিএফেক্স ও মোশন গ্রাফিক্স |
৮ | Magix Movie Edit Pro | কালার এবং অডিও সাপোর্ট উন্নত |
৯ | Kdenlive | লিনাক্স ইউজারদের জন্য |
১০ | Shotcut | ওপেন সোর্স |
১১ | Pinnacale Studio | ইন্টারমিডিয়েট ইউজারদের জন্য |
১২ | Cyber LinkPowerDirector | হোম এডিটিং ও সোশ্যাল কনটেন্ট |
১৩ | Avid Media Composer | প্রফেশনাল ফিল্ম এডিটিং |
১৪ | VSDC Free Vedioe Editor | ফ্রিতে এবং হাল্কা সফটয়্যার |
১৫ | Blender | 3D ভিডিও এডিট করা যায় |
১৬ | Openshot | ওপেন সোর্স এবং ফ্রিতে ইউজ করা যায় |
১৭ | Imovie | আইওএস ও ম্যাক ইউজারদের জন্য |
১৮ | Camtasia | স্ক্রিন রেকডিং সহ এডিটিং |
১৯ | Filmora | শিক্ষানবিসদের জন্য আদর্শ |
২০ | Lightworks | ফাস্ট এডিটিং এবং প্রফেসনাল কাজ |
২১ | Hit Film Express | ফ্রি VFX এবং এডিটিং |
২২ | Sony Vegas PRO | ইউটিউবার ও মিডিয়া কর্মীদের পছন্দ |
২৩ | Davincl Resolve | কালার গ্রেডিং ও প্রফেশনাল এডিটিং |
২৪ | Final Cut Pro | ম্যাক ইউজারদের জন্য |
২৫ | Adobe Premire PRO | প্রফেশনাল গ্রেড ভিডিও এডিটিং |
এই ২৫ টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার বিভিন্ন রকম ইউজারদের
চাহিদা পূরণ করে থাকে। এখান থেকে আপনি যে প্রফেশনাল কাজে ইউজ করেন না কেন সেসব
সফটওয়্যারে নাম দেয়া রয়েছে। আপনার দরকার যেটা সেটা দিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে
পারেন।
ভিডিও এডিটিং কত প্রকার
ভিডিও এডিটিং এর অনেক রকম প্রকারভেদ রয়েছে। আপনি যদি পেশাদার এবং আকর্ষণীয়
ভিডিও তৈরি করে তার কারিগর প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ফুটেজকে কাটিং ছাড়া সংযোজন রং
ঠিক করা এবং প্রয়োজনীয় ভিজুয়াল ইফেক্ট এড করা এবং ভিডিওকে উন্নতমানের করে
তোলার জন্য ভিডিও এডিটিং এর সফটওয়্যার গুলোর প্রয়োজন হয়। এই ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার গুলোর নির্দিষ্ট প্রয়োগ ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বিভিন্ন প্রকারে
প্রকার ভেদে থাকতে পারে। আধুনিক যুগে সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য নন লিনিয়ার
এডিটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে বেশিরভাগ ডিজিটাল সফটওয়্যার এর প্রয়োগ করা হয়েছে।
তবে অন্যান্য এডিটিং সফটওয়্যার এর প্রক্রিয়াগুলো বিশেষ কারণ অনুযায়ী ব্যবহার
করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি একটি প্রাথমিক ভিডিও তৈরি করেন তাহলে অফলাইন এডিটিং করা
যেতে পারে যেখানে মূল ভিডিওর রেজুলেশন লো থাকবে এবং কপি ব্যবহার করে করতে পারবেন।
এরপরে হাই রেজুলেশন ফুটেজ নিখুঁতভাবে রং অডিও ইফেক্ট এড করার জন্য অনলাইন এডিটিং
ব্যবহার করা হয়। যাতে ভিডিও গুলোর এইচডি কোয়ালিটি এবং দেখতে তুলনামূলক ভালো
হয়। আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে ভিডিও এডিটিং কত প্রকার? ভিডিও এডিটিং এর প্রকার
অনেক রকম রয়েছে আপনি যদি গ্রাফিক্স ও স্পেশাল ইফেক্ট যোগ করতে চান তাহলে
কম্পোজিটিং বা বিএফএক্স software টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। প্রাচীন কালের
সেই লিনিয়ার এডিটিং বর্তমান সময়ে ব্যবহার না হলেও ইতিহাসে এর অবদান রয়েছে
অনেক। আপনি যদি সঠিক ভিডিও এডিটিং এবং এডিটিং এর ধরন বুঝে করতে পারেন তাহলে
ভিডিওর মান কোয়ালিটি এর প্রভাব অনেকগুণ বেড়ে যাবে। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।
ভিডিও এডিটিং এর প্রকারভেদঃ
- লিনিয়ার এডিটিং এটি হল সাধারণত পুরনো পদ্ধতি। ধারাবাহিকভাবে এই এডিটিং করার সময় ট্যাপে সিন এডিট করা হয়।
-
নন লিনিয়ার এডিটিং এই পদ্ধতিটি সাধারণভাবে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ভালোভাবে
করা যায়। আপনি যেমন ইচ্ছা তেমনভাবেই এই সফটওয়্যারটিতে এডিটিং করতে
পারবেন।
-
অফলাইন এডিটিং আপনি যদি রেজুলেশন কম অর্থাৎ রেজুলেশন বাড়াতে না চান তাহলে এই
সফটওয়্যার দিয়ে প্রাথমিক এডিটিং করা যায়।
- অনলাইন এডিটিং এ ভালোভাবে হাই রেজুলেশন ভিডিও এডিটিং করা যায়। যতটুকু রেজুলেশন আপনার ভিডিওতে মানাবে ঠিক ততটুকুই রেজুলেশন আপনি মন মত দিতে পারবেন এই সফটওয়্যারটিতে।
-
কম্পজটিং বা vfx এডিটিং গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং স্পেশাল ইফেক্ট গুলো এড করা
যায়। যা সিনেমাতে ব্যবহার করা হয়।
আপনি যদি আপনার ভিডিও বা প্রজেক্ট এর জন্য সঠিক ধরনের ভিডিও এডিটিং পদ্ধতি বেছে
নিতে পারেন তাহলে বুঝা যাবে আপনার এডিটের দক্ষতা কেমন এবং ভালো মানের এডিটিং
সফটওয়্যার এডিট করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এডিটিং এ যদি আপনি ভালো ফল পেতে
চান তাহলে প্রত্যেকটি সফটওয়্যার এর নিজস্ব ব্যবহার করার দিক রয়েছে সেগুলো
বুঝতে পারলে আপনি এর থেকে ভালো ফল পাবেন। ২৫ টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও
তাদের ব্যবহার সম্পর্কে আপনি যদি ভালোভাবে জানতে পারেন তাহলে ভিডিও এডিটিং কত
প্রকার তাও জানতে পারবেন।
প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং কোর্স
আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং শিখতে চান এবং ভিডিও এডিটিং থেকে ইনকাম করতে চান
তাহলে আপনাকে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর কোর্স করতে হবে এটি করা আপনার জন্য খুবই
দরকারি। কারণ আপনি যদি ইউটিউব দেখে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে ভিডিওর মাঝখানে
অনেক কিছুই দেখায় না। ভিডিও দেখে শিখতে গেলে আপনি ভালোভাবে তা শিখতে পারবেন না।
আপনি যদি একটি ভালো মানের কোর্সে ভর্তি হয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে
শিখতে পারবেন। কারণ প্রফেশনাল কোর্সগুলোতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ টু জেড তারা
শিখিয়ে থাকেন যাতে করে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী পড়ে এর থেকে ইনকাম শুরু করতে
পারবেন।
প্রফেশনাল এডিটিং করছে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে আপনি ভিডিও এডিট করবেন ভিডিও
কেটে সংশোধন করা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কিভাবে যোগ করবেন ভিডিওর রং কি ভাবে দিবেন
এবং ভিডিওতে কিভাবে সুন্দর উপস্থাপন করবেন সেসব বিষয়ে সকল ধারণা দিয়ে থাকে
অর্থাৎ হাতে-কলমে শিখিয়ে থাকে এসব প্রফেশনাল এডিটিং কোর্সে।আপনি যদি কোর্স
করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি অনেকগুলো সফটওয়্যার এর এডিটিং শিখতে পারবেন। অনেক
জনপ্রিয় সফটওয়্যার আছে যেগুলোতে প্রশিক্ষকরা কোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি
সফটওয়্যার এ কিভাবে এডিটিং করতে হয় সবকিছু শিখিয়ে থাকেন।
সাধারণত আপনি ইউটিউবে দেখে এডিটিং করতে গেলে কিভাবে স্পেশাল ইফেক্ট যুক্ত করা হয়
সেগুলো জানতে পারবেন না কারণ তারা ভিডিও স্ক্রিপ্ট করে বানিয়ে থাকেন। আর আপনি
যদি একটি প্রফেশনাল এডিটিং কোর্স করেন তাহলে প্রত্যেকটি বিষয় আপনি ভালোভাবে
শিখতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক অনলাইন কোর্স আছে যেখানে ভিডিও এডিটিং এর কাজ
শেখানো হয়। যেমন উডেমি, কোর্স সেরা, স্কিল শেয়ার আরো অনেক কোর্স আছে
যেগুলোতে আপনি ঘরে বসে থেকেই অনলাইন মাধ্যমে এডিটিং শিখতে পারবেন। অনেক সময় আপনি
দেখবেন যে লোকাল কিছু ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখানে যদি আপনি ভর্তি হন তাহলে আপনি
তেমন কিছু শিখতে পারবেন না।
আপনি যদি সেরা একটি কোর্স করতে পারেন তাহলে নিজের চ্যানেলের ভিডিও এডিট করতে
পারবেন আবার আপনি যদি চান ফ্রিল্যান্সিং বা চাকরির মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন।
তাই আপনাকে ভালো একটি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করছে যুক্ত হয়ে কাজ শিখতে হবে।
ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করলে এর থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ২৫টি সেরা ভিডিও
এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার। ভিডিও এডিটিং কত প্রকার তা জানতে হলেও পুরোটি
পড়তে থাকুন।
ভিডিও এডিটিং করার ধাপগুলো কি কি
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে চান বা শিখতে চান তাহলে প্রথম অবস্থায় আপনাকে জানতে
হবে ভিডিও এডিটিং করার ধাপগুলো কি কি। যদি আপনি ভিডিও এডিটিং করার ধাপগুলো
সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন তাহলে ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের
ব্যবহার সম্পর্কেও জানতে পারবেন। আপনি যেকোন ভিডিও বানানোর আগে কিছু পদ্ধতি
অনুসরণ করলে খুব সহজে মানসম্মত একটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। কারণ প্রত্যেকটি সফল
এবং ভালো ভিডিও তৈরি করার পিছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সেগুলো
আপনাকে ভালোভাবে নিয়ম মেনে করতে হবে।
- ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহঃ প্রথমে আপনাকে যে কোন ভিডিও তৈরি করার আগে বা প্রজেক্ট এর আগে প্রয়োজনীয় ভিডিওর ক্লিপ ধারণ করতে হবে ভিডিওর সাথে সাথে ছবি এবং অডিও সকল ফাইল সংগ্রহ করতে হবে।
-
ভিডিও ইমপোর্ট করাঃ আপনি যে সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান
সেসব ছপটারের মধ্যে ভিডিও গুলো আগে ইমপোর্ট করতে নিতে হবে। তারপর আপনি
ভালোভাবে এডিট করতে পারবেন।
-
কাটিং ও ট্রিমিংঃ ভিডিওর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় অপশন অর্থাৎ যেগুলো আপনার
দরকার হবে না সেগুলো কেটে ফেলতে হবে। এবং যেগুলো আপনার লাগবে সেগুলো ভালোভাবে
সাজাতে হবে। ভালোভাবে সাজানো হলো ভিডিওর একটি মূল অংশ।
-
ট্রানজেকশন ও ইফেক্ট যোগ করাঃ ভিডিওকে ভালোভাবে আকর্ষণীয় করে তোলার
জন্য ট্রানজেকশন ও ইফেক্ট ভালো ভালো জায়গায় ভিডিওর মধ্যে যোগ করতে হবে। এতে
করে ভিউয়ার্সরা ভিডিওটি দেখে ইনজয় করতে পারে।
-
কালার কারেকশনঃ প্রাকৃতিক ও প্রফেশনাল ভিডিও দেখানোর জন্য ভিডিওর
কালার এডিটিং করা।
-
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও ভয়েজ যোগ করাঃ ভিডিওর মান উন্নত করার জন্য
ভিডিওতে voice background music যোগ করা। যাতে ভিডিওর কোয়ালিটি অনেক এবং
ভিডিওটি কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়।
-
টেক্সট ও সাবটাইটেলঃ আপনি যে ধরনের ভিডিও বানাবেন সে বিষয় নিয়ে
ভিডিওর টাইটেল দিতে পারেন। ভিডিওতে টাইটেল এবং টেক্সট যোগ করলে ভিডিওর মান
আরো বেড়ে যায়।
-
ফাইনাল রিভিউঃ আপনার ভিডিও এডিটিং করা শেষ হয়ে গেলে সবকিছু ভালোভাবে
ঠিক আছে কিনা তা খুঁটিয়ে দেখতে হবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ভিডিওটি
নির্দিষ্ট একটি ফরমেটে চূড়ান্ত আকারে এক্সপোর্ট করে সংরক্ষণ করা হয় যাতে
বিয়ের গুনাগুন এবং মান উন্নত থাকে। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও
তাদের ব্যবহার সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে।
এই ধাপগুলো ভালোভাবে ফলো করে আপনি যদি এডিটিং করতে পারেন তাহলে আপনার ভিডিওটি
প্রফেশনাল এবং উন্নত মানের হবে। যা পাবলিক বা ভিউয়ার্সরা দেখলে লাইক কমেন্ট
করতে আগ্রহী হয়।
ভিডিও এডিটিং ক্যারিয়ার
বর্তমান আমাদের এই ডিজিটাল সময়ে ভিডিও কনটেন্টের এবং ভিডিও এডিটিং এর মান দিন
দিন বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড হচ্ছে টিক টক ফেসবুক
ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম অনেক প্লাটফর্মে। আর এসব ভিডিওর পেছনে কাজ করে চলেছে অনেক
দক্ষ ভিডিও এডিটররা। তাই আমাদের এই সময়ে এখন ভিডিও এডিটিং এ ক্যারিয়ার গড়া
সহজ হয়ে উঠে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখে ক্যারিয়ার করতে চান তাহলে আপনাকে
ভালোভাবে দক্ষতা অনুযায়ী ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে। আজকাল বর্তমান সময়ে
অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ভিডিও এডিটিং এর কোর্স পাওয়া যায়। এগুলোতে আপনি
ভিডিও এডিটিং এর কোর্স করতে পারেন।
একবার আপনি ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং করা শিখে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এ যোগ দিতে
পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে যোগ দিয়ে আপনি
প্রতিদিন ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন fibar, upwork,
www.freelancer.com এর মতো ওয়েবসাইটে
গিয়ে প্রতিদিন কাজ করতে পারবেন। আবার যদি আপনি ইচ্ছে করেন তাহলে youtube
চ্যানেল বিজ্ঞাপন সংস্থা বিজ্ঞাপন কোম্পানির সাথে এডিটিং এর চাকরি করতে পারেন।
আপনি শুধু ভিডিও এডিটিং শিখলে পেশাদার ভিডিও এডিটর হবেন না বরঞ্চ আপনার দক্ষতা
এবং গ্রাফিক্স ট্রানজেকশনের উপর দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। ২৫টি সেরা ভিডিও
এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার।
দক্ষতা অনুযায়ী ভিডিও এডিটিং শিখলে এক সময় আপনাকে দক্ষ প্রফেশনাল মিডিয়া
হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। বর্তমানে অনেক জন ইউটিউব ও ফেসবুক এর ভিডিও
এডিটিং করে ইনকাম করছেন। আবার কেউ কেউ নিজেদের ইউটিউব বা ফেসবুকের ভিডিও এডিট
করে তাদের নিজস্ব চ্যানেলে আপলোড করে ইনকাম করছেন। তাই ভিডিও এডিটিং স্কিল নয়
বরং এটি ক্যারিয়ার গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং
দক্ষতা অনুযায়ী শেখার কথা ভাবেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার হতে পারে জীবনের
শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত।
ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করার উপায়
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে থেকে ইনকাম করা খুব সহজ হয়ে উঠেছে। যদি আপনার হাতের
স্কিল থাকে তাহলে আপনার জন্য সেরা কাজ হবে ভিডিও এডিটিং করা। এই ভিডিও এডিটিং
করে প্রতি মাসে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকাল বর্তমান সময়ে ছোট বড়
প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ইউটিউব ফেসবুক মালিকের ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন হয়।
আপনি যদি দক্ষতা অনুযায়ী করতে পারেন তাহলে এদের সাথে মিশে প্রতি মাসে অনেক
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে আবার ঘরে বসে থেকেই এডিটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং
কাজ করে চলেছে। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে ও কাজ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার অনেক সাইট রয়েছে যেমন fiver. upwork.
Freelancer.com pepoleperhour এসব
সাইডে শুধু স্কিল থাকলে ভিডিও এডিটিং এর কাজ পাওয়া যায়। একজন দক্ষ ভালো
এডিটিং স্কিল থাকলে প্রতিমাসে এই প্লাটফর্ম থেকে ১০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলারের
উপরে ইনকাম করতে পারে একটি এডিটর। এ ছাড়া এখন ইউটিউব প্লাটফর্মের জন্য ভিডিও
এডিট করে ইনকাম করা খুবই সহজ। আপনার যদি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে
প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করে ভালোভাবে এডিট করে মনিটাইজেশন অন হলে গুগল এডসেন্স
এর মাধ্যমে এখান থেকেউ ইনকাম করতে পারবেন।আবার আপনি অন্য ইউটিউবারদের ভিডিও
এডিট করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
শুধু তাই নয় আরো বিভিন্ন রকম সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রয়েছে যেখানে আপনি
ভিডিও এডিটরের হিসেবে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের বাংলাদেশ বিভিন্ন রকম
কোম্পানি আছে যারা ভিডিও এডিটিং অর্থাৎ এডিটরদের ভালো পরিমাণে বেতন দিয়ে চাকরি
দিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে সে সব কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনার স্কিল দেখিয়ে
তাদের সাথে কাজ করতে পারেন। ২৫টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার
আপনার স্কিল অনুযায়ী আপনি ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি সঠিকভাবে এই কাজটি শিখতে
পারেন তাহলে ধৈর্য ধরে ভিডিও এডিটিং করে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। এটি
শুধু গল্প নয় এটি বাস্তব এবং টেকসই একটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ। এটি হতে পারে
আপনার অনলাইন ইনকামের একটি সেরা পদ।
ভিডিও এডিটিং শিখতে কতদিন লাগে
ভিডিও এডিটিং শিখতে কতদিন লাগবে তা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার উপর। কারণ আপনার
ভিডিও এডিটিং শিখতে চাওয়ার আগ্রহ কতটুকু আছে এবং আপনি কত দিনে শিখতে পারবেন
তার ওপর সবকিছু নির্ভর করে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কোন রকম ধারণা না
থাকে তাহলে সর্বনিম্ন আপনার তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। যদি আপনি খুব
তাড়াতাড়ি শিখতে চান তাহলে এর পিছনে সময় দিতে হবে আর তাহলে আপনার শেখার সময়
কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রথম এক মাসঃ আপনি যে ভিডিও এডিটিং করবেন সেগুলোর সফটওয়্যার সম্পর্কে
ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে হবে। কিভাবে ভিডিও কাটিং করা হয় ভিডিওটি টেক্সট যোগ
করা হয় এবং ভিডিওর বেসিক কিছু ধারনা শিখতে পারবেন। এগুলো শিখতে আপনার কিছুটা
সময় লাগতে পারে। প্রথম মাসে এগুলো শেখা হয়ে গেলে আপনি ছোটখাটো ভিডিও অনায়াসে
করতে পারবেন।
দুই থেকে তিন মাসঃ আপনার এডিটিং শেখার বয়স দুই থেকে তিন মাস হয়ে
গেলে আপনি এডিটিং এর বিভিন্ন রকম ধারণা পেয়ে যাবেন। এ থেকে আপনি অনেক কিছু
শিখতে পারবেন যেমন কালার এডিটিং করা গ্রাফিক্স ডিজাইন করা অডিও মিক্সিং করা এবং
বিএফএক্স এর ধারণা অনেকটা হয়ে যাবে। এ পর্যায়ে আসার পরে আপনি অনেক পেশাদার
ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
ছয় মাস বা তারও বেশিঃ আপনি যদি একটি প্রফেশনাল এডিটিং শিখতে চান
তাহলে আপনাকে সময় ছয় মাসের থেকে একটু বেশিও দিতে হতে পারে। কারণ প্রফেশনাল
এডিটিং শিখতে অনেকটা সময় লাগে। আর আপনি যদি শেখার পাশাপাশি প্রতিদিন এক থেকে
দুই ঘন্টা সময় দিয়ে কাজ করতে থাকেন তাহলে ৬ মাসের থেকে কম সময়ে আপনার এডিটিং
শেখা কমপ্লিট হয়ে যাবে। আপনি বাড়িতে যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন তত তাড়াতাড়ি
এডিটিং শেখা কমপ্লিট হবে।
এছাড়াও আপনি যদি আপনার স্কিল আরো উন্নত করতে চান তাহলে অনলাইন কোর্স ইউটিউব
ভিডিও বা আশেপাশের স্থানীয় ট্রেনিং সেন্টার গুলোর মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে
পারবেন। প্রতিদিন বাড়তি সময় বের করে এক থেকে দুই ঘন্টা প্র্যাকটিস করতে হবে
তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি প্রফেশনাল এডিটিং শিখে নিতে পারবেন। যত প্র্যাকটিস
করবেন তত দ্রুত আপনি পারদর্শী হয়ে উঠবেন। আপনি যদি নিয়মিত ভিডিও এডিটিং শিখতে
চান তাহলে আপনার দক্ষতা অনেকটা বেড়ে যাবে। বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসে
দক্ষতার দাম সবচেয়ে বেশি। নিয়মিত প্র্যাকটিস করা ফলে আপনি টুলস গুলোর সঙ্গে
ভালোভাবে মিল হতে পারবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি পেশাদার ভিডিও এডিটর হয়ে
উঠতে পারবেন। তাই সব সময় মনে রাখবেন চেষ্টা এবং সময় আপনার সাফল্যের মূল
চাবিকাঠি।
ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা কিছু ফ্রি ও পেইড সফটওয়্যার
ভিডিও এডিটিং শেখার ক্ষেত্রে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক সফটওয়্যার বেছে নেওয়া।
নতুনরা সাধারণত বিভ্রান্ত হয়ে যায় কোন সফটওয়্যার দিয়ে শুরু করলে শেখা খুব
সহজ হবে। কথাটি আসলেই বাস্তব এখন বাজারে এমন অনেক ফ্রি এবং পেইড
সফটওয়্যার আছে যেগুলো দিয়ে একজন একেবারে শূন্য থেকে ভিডিও এডিটিং শেখা শুরু
করতে পারেন। ফ্রি সফটওয়্যার এর মধ্যে হলো ওপেন শট, লাইটওয়ার্কস, আরো বেশ
কয়েকটি খুবই জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি সিরফ সি ভার্সন হলেও
এতে সিনেমা লেভেলের কালার এবং প্রফেশনাল টুলস ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন যারা
শিখতে চান তাদের জন্য এগুলো আদর্শ কারন এতে কোন টাকা খরচ করতে হয় না এবং সহজে
ইন্টারফেস থাকে যার কারণে খুব দ্রুত সময়ে শেখা যায়।
অন্যদিকে পেট সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে হলো এডোবি প্রিমিয়ার প্রো, ফিনাল কার্ড
প্রো, ফিলমোরা এসব সফটওয়্যার গুলো খুবই জনপ্রিয়। এগুলোতে ভিডিও এডিটিং করার
জন্য বিভিন্ন রকম প্রিমিয়ার ফিউচার পাবেন যেমন advance কালার correction multi
ক্যামেরা এডিটিং অ্যানিমেশন ইফেক্টস এবং অডিও মিক্সিং এর বিশেষ সুবিধা। ফলে
যারা ফ্রিল্যান্সিং বা প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে চান তাদের জন্য এগুলো শেখা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় প্রথম অবস্থায় শেখার শুরুতে ফ্রি সফটওয়্যার
গুলো নিয়ে ব্যবহার করাই ভালো আমার মতে আর এক্সপার্ট হলে প্রফেশনাল কাজের জন্য
পেইড সফটওয়্যার গুলো খুবই জরুরী এবং কার্যকারী উপায়।
নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ভিডিও এডিটিং যদি নিজে নিজে শিখতে চান তাহলে কোন অ্যাপ
গুলো আপনার জন্য প্রথমে দরকার হবে। এসব থেকে অর্থাৎ ভিডিও এডিটিং শিখে আপনি
অনলাইনে মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। তাই ঘরে বসে থেকে
অযথা সময় নষ্ট না করে youtube থেকে ভিডিও দেখে এডিটিং শিখতে পারেন। অথবা
আশেপাশের কোন ভালো সেরা এডিটিং কোর্স করে আপনি এই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন।
তাহলে আপনি আগেই শুরু করুন আপনার ক্যারিয়ারের নতুন যাত্রা।
ইউটিউব বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
বর্তমানে আজকের এই ডিজিটাল যুগে ইউটিউবার ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটর শর্ট
ভিডিও যারা করেন বা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আছেন তাদের জন্য ভিডিও
এডিটিং সফটওয়্যার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একটি ভিডিওর মান কেবলমাত্র
ভালো ক্যামেরায় ধারণ করে না শুধু তবে ভিডিও এডিটিং এর উপরেও নির্ভর করে।
এডিটিং যত ভালো হবে ভিডিওর মান তত আকর্ষণীয় রূপ ধারণ করবে। ইউটিউবার ও কনটেন্ট
ক্রিয়েটরদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার এবং সবচেয়ে বেশি
ব্যবহার করে এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এই সফটওয়্যারটি। এটি দিয়ে পেশাদার ভিডিও
থেকে শুরু করে সাধারণ ব্লগ সবকিছু সুন্দরভাবে এডিট করতে পারবেন।
এছাড়া ফাইনাল কাটপ্রো ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য দারুন জনপ্রিয় কারণ হতে
পারে। কারণ এটিতে থাকে সিনেমাটিক ভিজুয়াল ও হাই কোয়ালিটি আউটপুট পাওয়া যায়।
আবার মূলত কালার গ্রেডিং এর জন্য বিখ্যাত হলেও এখন এটি সম্পূর্ণ ভিডিও এডিটিং
টুলস হয়ে উঠেছে। আপনি চাইলে এগুলো অ্যাপ ব্যবহার করে খুবই উন্নত মানের ভিডিও
এডিটিং করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব ফেসবুক মেকার রা তাদের ভিডিও এসব
সফটওয়্যার দ্বারা এডিট করে আসছেন। অন্যদিকে যারা সহজে উপায়ে দ্রুত ভিডিও
বানাতে চান তারা ফিল্মোরা ক্যাব কার্ড কাইনমাস্টার এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার
করতে পারেন। এগুলোতে সহজ টেমপ্লেট ইফেক্স ট্রানজেকশন এবং অডিও মিক্সিং এর
সুবিধা আছে যা নতুনদের জন্য একেবারে ভালো হবে।
ফলে বলা যায় ইউটিউবার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সঠিক সফটওয়্যার নির্বাচন
মানে হলো তাদের ভিডিওর মান এবং জনপ্রিয়তা দুটিকে ভালোভাবে প্রকাশ করা এবং
কয়েক ধাপ এগিয়ে নেওয়া। আপনি যদি জনপ্রিয় ইউটিউবার হন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে
পারবেন কোন এপ্সটি বা কোন সফটওয়্যারটি আপনার ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে ভালো
হবে। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর অনেকগুলো অ্যাপস রয়েছে যেগুলো দ্বারা আপনি
ভিডিও এডিটিং করে ইউটিউব বা ফেসবুকে গিয়ে আপলোড করতে পারবেন। ভিডিওর মান যত
ভালো হবে তত বেশি ফলোয়ার পাবেন। আশা করি সকল বিষয়টি আপনি ভালোভাবে বুঝতে
পেরেছেন। নিশ্চয়ই এটিও বুঝতে পেরেছেন কোন অ্যাপটি আপনার দরকার হবে।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ
বর্তমানে অনেকেই পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার না করে কেবল মোবাইল দিয়ে ভিডিও
বানিয়ে থাকেন। বিশেষ করে টিকটক ইনস্টাগ্রাম রিয়ালস বা ইউটিউব শট এর মত শর্ট
ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে মোবাইল এডিটিং অ্যাপ গুলো খুবই জনপ্রিয়। সবচেয়ে
ব্যবহার করা কিছু অ্যাপ হল ক্যাপ কারট কাইনমাস্টার ইন্সার্ট ভি এন্ড ভিডিও
এডিটর এগুলো দিয়ে মোবাইল এ ভিডিও এডিটিং করা যায়। ক্যাপ কার্ড এখন বিশ্বজুড়ে
ট্রেন্ডিং করছে কারণ এতে ফ্রি টেমপ্লেট মিউজিক লাইব্রেরীটা ট্রানজিসন কালার
ফিল্টার অ্যানিমেশন এবং এ আই ভিত্তিক ফিচার পাওয়া যায়। কেবল অ্যাপ্লিকেশন
শর্ট ভিডিও বানানো সম্ভব হওয়ার নতুন ক্রিয়েটরের জন্য এটি একটি দারুণ অ্যাপস।
নতুন নতুন ফিল্টার এই ক্যাপক্যাড এর ভিতরে পাওয়া যায় যা ভিডিও এডিটিং করতে
অনেক সুবিধা হয়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য ক্যাপ কার্ড দিয়ে এডিট
করলে আমার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হয়।
কাইনমাস্টার অনেক পুরনো অ্যাপ যা মোবাইল এডিটিং অ্যাপ দিয়ে মাল্টিলেয়ার ভিডিও
এডিট অডিও মিক্সিং ট্রানজেকশন এবং ক্রোমা কি ব্যবহার করা যায়। আবার ইনসাট ও
ভিএন্ড এডিটর অ্যাপ গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যারা instagram এ
রিলস ভিডিও এবং কনটেন্ট তৈরি করেন তাদের কাছে এই অ্যাপগুলো খুবই ব্যবহার করা
হয়। এই অ্যাপগুলো সবচেয়ে ভালো দিক হলো ব্যবহার সহজ এবং ফ্রী ভার্সনে অনেক
ফিচার পাওয়া যায় এবং যে কোন মোবাইল ব্যবহারকারী কয়েক মিনিটে ভিডিও এডিট করতে
সক্ষম হবে। তাই মোবাইল ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য এগুলো সেরা অ্যাপ হিসেবে আপনার
পছন্দ হতে পারে। মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং এখন বর্তমানে অনেকেই করে আসেন। তারা
হয়তোবা জানেন ভিডিও এডিটিং করতে কোন অ্যাপস সবচাইতে বেশি পারফরম্যান্স ভালো
দেয়। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
হাই কোয়ালিটি ভিডিও বানাতে কোন এডিটিং সফটওয়্যার বেছে নেবেন
অনেকেই শুধু ভিডিও বানানোর জন্য নয় বরং হাই কোয়ালিটি ও প্রফেশনাল আউটপুটের
জন্য সফটওয়্যার খোঁজেন। কারণ ভালো ভিডিও দর্শকের কাছে সব সময় আলাদা আকর্ষণ
তৈরি করে। যদি শুধু সাধারণ ভিডিও এডিট করতে চান তবে ফিল্ম মোরা বা মুভি এর মত
সফটওয়্যার যথেষ্ট। এগুলোতে বেসিক কাটিং ট্রানজিশন টেক্সট ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
যোগ করা যায় খুব সহজে। কিন্তু যদি সিনেমাটিক লোক বা প্রফেশনাল কাজ করতে চান
তাহলে দরকার হবে অ্যাডোব প্রিমিয়ার প্রো দাভিনিছি রিসল্ব বা ফাইনাল
কার্ড প্রো।
প্রিমিয়ার প্রো মূলত ইন্ডাস্ট্রির সফটওয়্যার যেটি দিয়ে টেলিভিশন শো সিনেমা
মিউজিক ভিডিও এসব এডিট করা হয়। অন্যদিকে ফাইনাল কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য
সেরা। কারণ এতে কোয়ালিটি 4K/8K ভিডিও এডিটিং করা যায়। মাল্টি ক্যামেরা
এডিট এবং ফাস্ট রেন্ডারিং সুবিধা আছে। আর ডাবিং এর জন্য অতুলনীয় যা ভিডিওকে
সিনেমাটি করে তোলে। লক্ষ্য যদি হয় হাই কোয়ালিটি আউটপুট তাহলে অবশ্যই এই
প্রফেশনাল সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা উচিত। এতে ভিডিও শুধু আকর্ষণীয় হয় না
বরং দর্শকের কাছে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন ২৫ টি সেরা ভিডিও
এডিটিং সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আজকে এই
আর্টিকেলের মধ্যে আমি তুলে ধরে ছি কিভাবে এডিটিং শিখতে হবে এবং এডিটিং শিখে
অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন সেসব বিষয়ে ভালোভাবে ধারণা দেয়ার চেষ্টা
করেছি। আপনি এতক্ষণ পুরো বিষয়টি পড়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে কাজ করতে
গেলে স্কিল এর প্রয়োজন হয়। আপনার যতটুকু স্কিল এবং দক্ষতা থাকবে তাহলে আপনি
ততটুকু ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন জগত থেকে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন প্রশ্ন বা গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের
জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। লেখার মাঝে
যদি কোন রকম ভুল থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কোথায় ভুল আছে সেগুলো তুলে
ধরে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার বন্ধুদের এবং
পরিবারদের সাথে শেয়ার করেন তাহলে তারাও জানতে পারবে সেরা ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে। তাদেরকেও এসব বিষয়ে জানার সুযোগ করে
দিন।
ধন্যবাদ
এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url