পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় - ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কি সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে অনেকেই বিভিন্ন রকম কাজের জন্য নতুন ল্যাপটপ কেনার থেকে পুরনো ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন। আপনি যদি তারই মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সকল কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি জানতে হবে এবং সেরা দামে আপনি পুরাতন ল্যাপটপটি কিনতে পারবেন কিনা সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন থাকছে। আজকের এয়ার টিকেলে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয়
- পুরাতন ল্যাপটপ কেনার উপকারিতা
- পুরনো ল্যাপটপ কেনার আগে যে সকল বিষয়ে জানা খুবই জরুরী
- ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি পলিসির সার্ভিস সম্পর্কে জানুন
- পুরনো ল্যাপটপ কেনার অপকারিতা
- পুরনো ল্যাপটপ কি কেনা উচিত
- পুরনো ল্যাপটপ কারা কিনবেন এবং কারা কিনবেন না
- কোথায় থেকে কিনবেন পুরাতন ল্যাপটপ
- পুরাতন ল্যাপটপের আনুমানিক দাম
-
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার টিপস
-
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কোন ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে
- ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
- শেষ কথা
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার উপকারিতা
পুরাতন ল্যাপটপ কেন আরো বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি উপকারী হতে পারে নির্দিষ্ট
প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এবং বাজেট ও সচেতন থাকা ব্যক্তিদের জন্য। পুরাতন ল্যাপটপ
কেনার আগে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করা এবং সঠিকভাবে দেখে কেনা একটি স্মার্ট
ব্যক্তির লক্ষণ। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে জানানোর আগে প্রথমত
আপনাকে জানতে হবে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার উপকারিতা সম্পর্কে।
- মূল্য সাশ্রয়ঃ মার্কেটে নতুন ল্যাপটপ এর চেয়ে পুরাতন ল্যাপটপের দাম অনেক কম পাওয়া যায়। আপনার যদি বাজেট সীমিত থাকে তাহলে একটি বেশি দামে ল্যাপটপ কম দামে কেনা আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে। সাথে সাথে আপনার মূল্য অনেক সাশ্রয় হবে।
-
মডিফাই এর সুযোগঃ ুরাতন ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা কমে গেলে আপনি
সেটাকে মডিফাই করে নতুন র্যাম এবং নতুন এসএসডি যোগ করতে পারবেন। যাতে করে
ল্যাপটপের যদি কার্যক্ষমতা কমে যায় তাহলে মডিফাই করে নতুনের মত চালানো সম্ভব
হবে।
-
পরিবেশ সুরক্ষাঃ পুরাতন ডিভাইস টি পুনরায় আগের মত ব্যবহার করলে
ইলেকট্রিক বর্জ্য কমে যাবে। যাতে করে বজ্রপাতে কোন আঘাত ফেলতে পারবে না।
-
অপশন বেশি পাওয়া যায়ঃ পুরাতন ল্যাপটপে অর্থাৎ পুরাতন মডেলের
ল্যাপটপে পছন্দ মতো স্পেসিফিকেশন বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে। নির্দিষ্ট আকারে
করে ব্র্যান্ডে বা নতুন কোন ল্যাপটপে এসব মডেল পাওয়া যায় না। এগুলো সাধারণত
পুরাতন মার্কেটে পাওয়া যায়।
-
পরীক্ষিত পারফরমেন্সঃ পুরাতন ল্যাপটপের পারফরম্যান্স এবং রিভিউ
জানার অভিজ্ঞতা সম্ভব হয় ব্যবহারকারীদের থেকে। ফলে যে কোন ডিভাইসের
দীর্ঘমেয়াদি পারফরম্যান্স সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে জানা যায়।
-
অল্প খরচে শিক্ষার জন্য উপযুক্তঃ পুরাতন ল্যাপটপ যারা কিনবেন
অর্থাৎ যারা অনলাইন ক্লাস লেখালেখি বা শুধু ব্রাউজিং করবেন তাদের জন্য পুরাতন
ল্যাপটপই কেনা বেটার হবে। ব্যবসা শিক্ষার্থীদের কিছু শুরু করার আগে পুরাতন
ল্যাপটপে ভালো হবে।
-
প্রয়োজন মেটানোঃ আপনার যদি ভ্রমণের সময় বা এমনিতে মুভি দেখার
জন্য ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় তাহলে পুরাতনটাই আপনার জন্য ভালো হবে।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যে সকল বিষয়গুলো জানা জরুরি
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কি। আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ কিনেন তার আগে
আপনাকে দেখে নিতে হবে সেটি ভালোভাবে কাজ করছে কিনা। কারণ পুরাতন ল্যাপটপ যদিও বা
দামে কম হয় তার ভিতরের পারস্পতি গুলো ভালো নাও থাকতে পারে। তাই কেনার আগে
ভালোভাবে সেটি দেখে নেওয়া উচিত। পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে কিছুদিন পর তার পার্স পাতি
নষ্ট হয়ে গেলে আপনি যদি বিক্রি করতে যান তাহলে বিক্রির নাও হতে পারে। কম
দাম পেলে পুরাতন ল্যাপটপ অনেকেই কিনে ফেলেন তবে তবে ল্যাপটপ বিষয়ে আপনার যদি
সাধারণ কোন ধারণা না থাকে তাহলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হাওয়া লাগতে
পারে।
ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যদি বাহিরের দিক দেখেই কিনে ফেলেন তাহলে অনেক সমস্যায়
পড়তে পারেন। কারণ পুরাতন ল্যাপটপগুলো বাহির থেকে এমনভাবে সাজানো থাকে যা দেখে
বোঝা যায় না ভেতরে ভালো আছে না খারাপ বা ল্যাপটপটি কতদিন পুরনো কোন কিছুই বোঝা
যায় না। আপনার যদি ল্যাপটপ বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকে তাহলে পুরাতন ল্যাপটপ আপনি
যদি নিজেই কেনেন তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়তে পারেন। তাই কেনার আগে অভিজ্ঞ লোকের
সাথে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
এইজন্য পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ল্যাপটপ
কেনা জরুরী। ল্যাপটপের অবস্থা পরীক্ষা করুন।
- ডিসপ্লেঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে স্ক্রিনে কোন দাগ বা স্ক্রেস আছে কিনা। স্পেনের ওপর কোন ডেট পিক্সেল আছে কিনা তা ভালোভাবে পরীক্ষার করে নিতে হবে। যদি এসব ধরনের কোন সমস্যা থাকে তাহলে এই ধরনের ল্যাপটপ এড়িয়ে চলুন। কারণ স্ক্রিনের উপর ডাক যাবতীয় বা অন্যান্য কোন সমস্যা থাকলে আস্তে আস্তে এগুলো আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই কেনার আগে এগুলো বিষয় ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
- বডিঃ পুরাতন ল্যাপটপের ক্যাসিনে বা ক্যাসিস এ বড় কোন ক্ষতি আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করতে হবে।
-
কিবোর্ড ও ট্র্যাক প্যাডঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে সব সময় মনে
রাখতে হবে এবং মনে করে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে কিবোর্ড ও ট্র্যাকপ্যাড ঠিক
আছে কিনা তা ভালোভাবে নজর দিতে হবে। ট্রাকপ্যাড ও কিবোর্ড সঠিকভাবে কাজ করছে
কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে ক্লিক করে ভালোভাবে
দেখবেন কাটসারটি ভালোভাবে কাজ করছে কিনা। এছাড়া প্রতিটি জিনিস ভালোভাবে কাজ
করছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। এ ধরনের পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে একাধিক
পরিমাণ কি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কেনার আগে ভালোভাবে যাচাই
করে নেওয়া খুবই জরুরী।
-
ইউএসবি এবং কানেক্টরঃ ল্যাপটপের যতগুলো জ্যাক আছে তা ভালোভাবে
চেক করে নিতে হবে। যেমন ইউএসবি ট্যাক হেডফোন জ্যাক এইচডিএমআই সার্চিং পোর্ট
ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিয়ে কিনতে হবে।
এরপর হার্ডওয়ার যাচাই করুন
- প্রসেসরঃ ল্যাপটপ কিনার পর আপনি কেমন ধরনের কাজ করবেন ভারি কোন কাজ করবেন কি না সে অনুযায়ী প্রসেসরের গতি ও ক্ষমতা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। তাহলে আপনার ল্যাপটপটি অনেক ভালো হবে এবং আপনি যে কোন কাজ করতে পারবেন।
-
Ram আপনি যদি সাধারণ কাজ করতে চান তাহলে ৪ জিবি থেকে ৮ জিবি ram
এর মধ্যে নিলে ভালো হবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো বেশি ভালোভাবে দেখে
নিতে হবে।
- স্টোরেজঃ সব সময় পুরাতন ল্যাপটপ কেনার পূর্বে কতটুকু স্টোরেজ ফাঁকা রয়েছে এবং আপনার কতটুকু দরকার এ বিষয়টি যেন খুবই জরুরী। ল্যাপটপের হার্ডওয়ার কেমন অবস্থায় আছে তার স্বাস্থ্য কতটুকু ভালো আছে এবং এর ভিতর কোনরকম ব্যাড সেক্টর রয়েছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। ল্যাপটপে যদি এসএসডি থাকে তাহলে তারপর পারফরমেন্স অনেকটা ভালো থাকবে। আর যদি এইচডিডি থাকে তাহলে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে সেটি ভালো আছে কিনা।
-
গ্রাফিক্স কার্ডঃ গেম খেলা ভিডিও এডিটিং করা এসব কাজের জন্য
ডেডিকেটেড কোন গ্রাফিক্স কার্ড এর প্রয়োজন আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করতে
হবে। এসব বিষয়গুলো ভালোভাবে জানলে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে
আপনার ধারণা থাকবে।
ব্যাটারি পরীক্ষা করাঃ পুরাতন ল্যাপটপটি কেনার আগে সব সময় খেয়াল
রাখতে হবে ব্যাটারি পারফরম্যান্স কেমন। চালানোর পরে চার্জ থাকবে কতক্ষণ তা
ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। ল্যাপটপটির ব্র্যান্ড অনুযায়ী ব্যাটারি
রিপ্লেসমেন্ট করা যাবে কিনা সেগুলো ভালোভাবে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। আপনি যদি চান
তাহলে ব্যাটারি হেল্প কেমন আছে তা চেক করে নিতে পারেন ব্যাটারি ইনফোভিউ এই
অ্যাপটি দিয়ে। ল্যাপটপটি কেনার সময় আপনাকে যে অ্যাডাপ্টার টি দিবে সেটা
ভালোভাবে কারেক্ট করে দেখে নিতে হবে। তারপর চার্জে দিয়ে আপনি দেখে নিবেন চার্জ
স্লো বা আসতে হচ্ছে কিনা সেটি ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখে নিতে হবে। অর্থাৎ
ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে যে সেটি চার্জ নিচ্ছে কিনা।
সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম যাচাই করাঃ ল্যাপটপের যে অপারেটিং
সিস্টেম আছে সেটির লাইসেন্স বৈধ আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
ল্যাপটপের সিস্টেমে কোন ম্যানুয়াল ভাইরাস আছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দ্বারা স্ক্যান করে নেওয়া খুবই জরুরী। ল্যাপটপে আপনার
প্রয়োজনীয় কোন অ্যাপস ইনস্টল করা যাবে কিনা সেসব বিষয় দিকেও লক্ষ্য রাখতে
হবে।
কুলিং সিস্টেম পরীক্ষাঃ ল্যাপটপটি চালানোর সময় অতিরিক্ত গরম হয়ে
যাচ্ছে কিনা সেটি ভালোভাবে দেখে নিবেন। ল্যাপটপের ফ্যান ভালোভাবে ঘুরছে কিনা সেটি
ভালোভাবে লক্ষ্য করে নিবেন। অতিরিক্ত তাপের কারণে পারফরম্যান্সে কোন উৎসাহ দেখা
যাচ্ছে কিনা সেটি ভালভাবে দেখে তারপর কিনতে হবে।
ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস হিস্টরি যাচাই করুনঃ ল্যাপটপের যদি কোন
সার্ভিসিং বা রিপিয়ার রেকর্ড থাকে সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। সাথে
সাথে ল্যাপটপটির ওয়ারেন্টি বৈধ আছে কিনা তাও ভালভাবে জেনে নিতে হবে। ল্যাপটপটি
কিনে নেওয়ার পরে কিছুদিন পর যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটি মেরামত করে
দিবে কিনা সেটি দোকানদারের সাথে ভালোভাবে কথা বলে জেনে নেওয়া দরকার।
বিক্রেতার রিভিউ চেক করাঃ আপনি যদি নিজে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে
ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে ল্যাপটপ বিক্রেতার রেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে
কিনতে হবে। অর্থাৎ বিক্রেতার রেটিং কেমন তা ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। আপনি
যদি এই লেপটিভ বাজারে থেকে কিনতে চান নিজে গিয়ে তাহলে দোকানদারের পরিচিত এবং তার
বাজারের খ্যাতি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে ক্রয় করতে আগ্রহী হন।
দরদাম করুনঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে তার দাম সম্পর্কে আগে থেকেই
ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। অর্থাৎ নতুন ল্যাপটপের দামের সাথে পুরাতন ল্যাপটপের দামের
তুলনা রাখতে হবে। দোকানদারের কাছ থেকে ল্যাপটপটির দাম জেনে তার সাথে দর দামাদামি.
করে কিনতে হবে। এরপর ল্যাপটপের কাস্টমাইজেশন এবং আপডেট সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা
নেয়া উচিত। ল্যাপটপের র্যাম এসএসডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় টুলস গুলো. আপডেট
করা যাবে কিনা সেসব বিষয়ে ভালোভাবে জিজ্ঞাসা করে ধারণা নিতে হবে।
সরাসরি পরীক্ষা বা যাচাই করুনঃ আপনি যদি ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে
ল্যাপটপ কেনার সময় সরাসরি পরীক্ষা করে দেখার জন্য ল্যাপটপটি চালু করতে হবে।
এরপরে বুটিং টাইম অপশনে গিয়ে অপারেশন স্পিড নামক একটি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ভিডিও প্লে করা অন্যান্য কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা
ভালোভাবে তার যাচাই করে নিতে হবে। আপনি যদি সকল বিষয় না জানেন না বুঝেন তাহলে যে
জানে তাকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
রশিদ বা কেনার প্রমাণ পত্র নিনঃ সকল কিছু পরীক্ষার পরে আপনি যদি ল্যাপটপটি
পছন্দ হয়ে থাকে এবং তা কিনে নেন তাহলে দোকানদারের কাছ থেকে পুরাতন ল্যাপটপটি
কেনার একটি প্রমাণস্বরূপ রশিদ নিন। যাতে করে পরবর্তীতে সমস্যা হলে সে বলতে না
পারে যে এই ল্যাপটপটি আমার কাছ থেকে কেনা নয়। রশিদ টি এমন ভাবে নিতে হবে যেখানে
ল্যাপটপের দাম মডেল নাম্বার এবং দোকানের সকল তথ্য থাকে।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় এসব সকল বিষয়ে যদি মাথায় রেখে আপনি ল্যাপটপ
কিনতে পারেন তাহলে আপনার ল্যাপটপটি অনেক ভালো হবে। এসব করণীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নিলে একটি কার্যকর এবং সহজ টেকসইসহ পুরাতন ল্যাপটপ কিনে
আপনার কোন বিপদে পড়তে হবে না।
ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি পলিসি সার্ভিস সম্পর্কে জানুন
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে তার ওয়ারেন্টি এবং পলিসি সম্পর্কে ভালো মতো জানা খুবই
জরুরী। আপনি যদি কোন সময় এই প্রোডাক্টগুলো কিনেন অর্থাৎ পুরাতন কোন জিনিস কিনেন
তাহলে ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। আপনি যখন নতুন ল্যাপটপ
কিনবেন তখন কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।
যদি আপনি একটি নতুন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে ল্যাপটপটি কেনার পর ১ থেকে ৩ বছর তার
ওয়ারেন্টি সার্ভিস থাকে। এবং একই সাথে আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপ কিনেন তাহলে
কেনার আগে অবশ্যই ওয়ারেন্টি সার্ভিস চেক করে নিয়ে কিনতে হবে।
ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি পলিসি সার্ভিসগুলো অনলাইনের মাধ্যমে তার সিরিয়াল নাম্বার
দিয়ে চেক করা যায়। পুরাতন ল্যাপটপ গুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে
যায় কিন্তু আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে কিছু পরিমাণ টাকা ফি
দিয়ে পুনরায় মেরামত করে নিতে পারবেন। কিছু থার্ড পার্টি কোম্পানি আছে যেগুলো
পুরাতন ল্যাপটপ এর জন্য রিনিউ ওয়ারেন্টি অফার করে থাকে। ল্যাপটপ কেনার আগে
অবশ্যই ভালোভাবে চেক করে নেয়া উচিত। সকল কিছু চেক করার পরেও কিছু কিছু সমস্যা
হিডেন থাকে যেগুলো দোকানদার লুকিয়ে রাখে।
এজন্য আপনি যখন ল্যাপটপ কিনতে যাবেন কেনার সময় ওয়ারেন্টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা
নিয়ে যেতে হবে। যাতে করে আপনি যে কোন থার্ড পার্টি সার্ভিস সেন্টার থেকে
ওয়ারেন্টি দাবি করার আগে সেটি ব্র্যান্ড অথরাইজ আছে কিনা তা ভালোভাবে নিশ্চিত
করে নিতে হবে। সাধারণ সময়ে আমরা যেগুলো দেখি যে সার্ভিস ওয়ারেন্টি বা মেইন
সেক্সের ওয়ারেন্টি মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে টাকা খরচ করেই যেগুলো সমস্যা ধরা পড়ে
তার সমাধান করতে হয়। ভবিষ্যতে এসব ঝামেলা থেকে অর্থাৎ ঝামেলায় না পড়তে চাইলে
ল্যাপটপ কেনার সময় ওয়ারেন্টি কভারেজ বুঝে নেওয়া উচিত। যাতে আপনি ভবিষ্যতে কোন
ঝামেলা বা সমস্যায় না পড়েন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার অপকারিতা
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার অনেক অপকারিতা রয়েছে। সকল জিনিসের যেমন উপকারিতা থাকে সাথে
সাথে অপকারিতা ও থাকে। তেমনি ল্যাপটপের ও উপকারিতা অপকারিতা পাশাপাশি ঝুঁকিও
রয়েছে অনেক।
- আয়ুষ্কাল কমে যায়ঃ পুরনো ল্যাপটপ কিনলে হার্ডওয়ার এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ হার্ডওয়ার পুরাতন হয়ে গেলে আপনার ল্যাপটপটি খারাপের দিকে চলে যাবেন যাতে করে আপনার কাজ করতে অনেক অসুবিধার মধ্যে হতে পারে।
- ব্যাটারির ইস্যুঃ পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা সাধারণত অনেকটা কমে যায় যার ফলে আপনাকে বারবার সেটি চার্জে লাগাতে হয় অথবা ব্যাটারীটি পরিবর্তন করতে হয়।
- স্পেয়ার স্পোর্টসঃ পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে পরবর্তীতে যে কোন কিছু নষ্ট হয়ে গেলে তার পার্টস পার্টি পাওয়া নেওয়া যেতে পারে।
-
ওয়ারেন্টি ও সাপোর্টঃ বেশিরভাগ পুরাতন ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি ম্যানুফ্যাকচার
শেষ হয়ে যায়। আর ওয়ারেন্টি যদি না থাকে তাহলে যে কোন জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে
বাড়তি খরচ করে সেগুলো মেকার দ্বারা সারাতে হয়।
-
সফটওয়্যার আপডেটঃ পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে নতুন নতুন ফিচার বা অপারেটিং
সিস্টেমগুলো ও অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রাম গুলো সাপোর্ট নাও করতে পারে। তখন
দেখা যাবে নতুন সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন চালানোর ফলে আপনার ল্যাপটপটি স্লো
হয়ে কাজ করবেন।
-
পোর্ট এবং কানেক্টিভিটিঃ পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে ইউএসবি নতুন ওয়াইফাই
স্ট্যান্ডারগুলো সাপোর্ট নাও করতে পারে।
-
তাপমাত্রার সমস্যার ঝুঁকিঃ ল্যাপটপ গুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে তার
প্রসেসর ও সিপিএড এর কুলিং সিস্টেম অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় । যা তাপ বেশি
উৎপন্ন হলে ল্যাপটপ হ্যাং বা বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- ফিজিক্যাল ড্যামেজঃ ল্যাপটপের স্ক্রিনে স্ক্র্যাচ বা ডিসপ্লেতে কোন ড্যামেজ বা কিবোর্ড এর কোন সমস্যা থাকলে এই ল্যাপটপটি চালালে অনেক ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে ল্যাপটপ কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্য ল্যাপটপ পছন্দ করে কিনতে হবে।
-
ডাটা সিকিউরিটিঃ পুরাতন ল্যাপটপ কিনলে এই ল্যাপটপটি আগে যে ব্যবহার করেছে তার
যে কোনো রকম ডাটা থাকতে পারে। যা পরবর্তীতে মেলুয়ার বা ভাইরাস দিয়ে নষ্ট
হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কেনার সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
দিয়ে. চেক দিয়ে নেওয়া উচিত। পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে হাইড্রাইবে ডাটা চুরি
করাবা ডাটা লিক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে
-
গোপন সমস্যাঃ পুরাতন ডিভাইজে হিডেন অনেক সমস্যা থাকে যা কেনার সময় ভালোভাবে
চেক করার পরেও ধরা পড়ে না। দোকানদাররা এই সমস্যাগুলোর লুকিয়ে লুকিয়ে রাখে
এবং কম সময়ের জন্য কাজ করার মত অবস্থায় কোন কাস্টমার আসলে তার কাছে বিক্রি
করে দেয়। এজন্য পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য বিশ্বস্ত দোকানদারের কাছ থেকে
কেনা উচিত।
পুরনো ল্যাপটপ কি কেনা উচিত ?
অনেকেই ল্যাপটপ কেনার আগে প্রশ্ন করে থাকেন পুরনো ল্যাপটপ কেনা উচিত কিনা।
সাধারণত একটি নতুন ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। নতুন
ল্যাপটপগুলোর দাম অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। তাই অনেকের আর্থিক কিছু সংকটের কারণে
নতুন ল্যাপটপ কেনা হয় না তারা পুরাতন ল্যাপটপ কিনার আগ্রহী বেশি হয়ে যায়।
একসময় এই ল্যাপটপ ছিল বিলাসিতার পণ্য বর্তমান সময়ে হাতের মোবাইল ফোনের মত
ল্যাপটপ ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয়। প্রায় 80% লোক প্রতিদিন ল্যাপটপ
ব্যবহার করে। বর্তমান সময়ে ল্যাপটপটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অফিসের
বিভিন্ন রকম কাজে এই ল্যাপটপটি ব্যবহার হয়।
এগুলো সহজে বহন করার সুবিধা থাকে এবং অন্যতম প্রযুক্তির কারণে নানা ধরনের ফিচার
থাকে এই ল্যাপটপের ভিতরে তাই অনেকেরই খুবই পছন্দের। সেজন্য আপনি যদি একটি ভালো
মানের ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে সর্বনিম্ন আপনাকে গুনতে হবে ৩০ হাজার টাকার মত।
অনেকের কাছে এই ল্যাপটপ কেনার হয়ে ওঠে না তাই তারা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য
আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পুরাতন ল্যাপটপ কিনা কি উচিত কিনা তা সব সময় নির্ভর করে আপনার
ওপর। আপনি কেমন বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনবেন এবং ডিভাইসটিক কোন কি অবস্থায় আছে
সেসব বিষয় বিবেচনা করে আপনার উপর।
কোন কোন সময় পুরাতন ল্যাপটপ কিনলেও আপনার জন্য অনেক ভালো উপকারে আসবে তবে কেনার
আগে অবশ্যই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয় সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে কিনতে
হবে। যদি আপনি ভালোভাবে যাচাই করে সঠিক করণীয় গুলো জেনে ল্যাপটপ কিনতে পারেন এবং
সীমিত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত একটি ভালো ল্যাপটপ কিনতে পারেন তাহলে পুরনো ল্যাপটপ
ভালো অপশন হবে আপনার জন্য। যদি আপনি অনেকদিন ব্যবহার করতে চান তাহলে আমার মতে
নতুন ল্যাপটপ কেন আপনার জন্য ভালো হবে।
পুরাতন ল্যাপটপ করা কিনবেন করা কিনবেন না
এখন বর্তমান সময়ের এর যোগটি হল ডিজিটাল যুগ। তাই এই সময়ে ল্যাপটপ এবং
কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন অনেক বেড়ে চলেছে। যারা চাকরি করেন তাদের তো আগে
থেকেই এই ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয় বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরাও ল্যাপটপ ব্যবহার
করার চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির শিক্ষার্থীরা আছে তাদের
জন্য একটু এই ল্যাপটপ কিনা কষ্টকর হয়ে গেছে। তাই তারা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময়
অনেকেই বিলম্বনার শিকার হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে না এবং সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত
নিতে পারে না যে পুরাতন ল্যাপটপ কারা কিনবেন এবং কারা কিনবেন না।
যারা কিনবেন
যারা অল্প বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ খুঁজছেন এবং হালকা কাজের জন্য ল্যাপটপ প্রয়োজন
হবে তাদের জন্য মূলত পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করা একটি কার্যকর পদ্ধতি। যাদের উচ্চ
কাজের কোন পারফরমেন্সের প্রয়োজন নেই তারা কম বাজেটের এই পুরাতন ল্যাপটপটি কিনতে
পারবেন। যদি কম বাজেটের মধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো হবে
নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরাঃ যারা শুধু পড়ালেখার জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান
তারা পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। যেমন তাদের প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং
করা ইবুক পড়া অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা অনলাইনে ক্লাস বা মিটিং করা ইত্যাদির জন্য
শিক্ষার্থীদের পুরনো ল্যাপটপ হলে চলবে। তাই শিক্ষার্থীদের অনেক সময় নতুন
ল্যাপটপকে না শুধু ব্যবহার হিসেবেই ধরা যায়। তাই তাদের জন্য পুরাতন ল্যাপটপকে না
অনেক সাশ্রয় হবে।
ফ্রিল্যান্সাররাঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে চাহিদা অনেক
বেড়ে চলেছে। প্রায় অধিকাংশ লোকই ফ্রিল্যান্সিং করতে চায়। যারা নতুন
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এবং কম বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ কিনতে চান তাদের জন্য
পুরাতন ল্যাপটপে কেনা ভালো হবে। অর্থাৎ নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং করবেন তাদের
প্রয়োজন হবে হালকা কাজের জন্য যেমন কনটেন্ট রাইটিং গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশি
কাজ তারা পুরাতন ল্যাপটপ দিয়েই করতে পারবে। এজন্য কেনার আগে পুরাতন ল্যাপটপ
ভালোভাবে দেখেশুনে নিতে হবে।
অফিস বা ব্যবসার মালিকঃ যেসব ছোট ব্যবসার মালিক যারা আছেন হালকা
কাজের জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান তাহলে তারা নতুন ল্যাপটপ কেনার থেকে পুরাতন
ল্যাপটপকে নাই অনেক ভালো হবে। কারণ তাদের কাজ হবে ইমেইল ইনভেন্টরি ট্র্যাকিং ইন
ভয়েস তৈরি করা। এসব কাজের জন্য আপনার পুরাতন ল্যাপটপে নাই সাশ্রয়ী হবে বলে আমার
মনে হয়।
ছোট বাচ্চাদের জন্যঃ যেসব বাবা মা আছেন তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য
অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন তাদের জন্য স্বল্পমূল্যে পুরাতন ল্যাপটপ কেনা ভালো
হবে। এটি ছোট শিশুদের বা বাচ্চাদের জন্য সাধারণ অনলাইন ক্লাসের উপযুক্ত হবে। তবে
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় গুলো ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
কারা পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন নাঃ যাদের উচ্চমানের এবং দ্রুত কাজ করার
জন্য পারফরম্যান্স ভালো লাগবে তাদের জন্য পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করা উপযুক্ত
নয়। এবং যারা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সমর্থিত ডিভাইড চান বা দীর্ঘ সময় ধরে
ব্যবহার করতে চান তাহলে তাদের জন্য পুরাতন ল্যাপটপ ব্যবহার করা উচিত নয় নতুন
ল্যাপটপ ব্যবহার করাই তাদের জন্য ভালো হবে।
গেমাররাঃ গেম খেলার জন্য উচ্চমানের ল্যাপটপ এর প্রয়োজন হয় যাতে
গেমিংয়ের গ্রাফিক্স ভালো প্রসেসর এবং দ্রুত প্রসেসিং পাওয়ার জন্য নতুন
ল্যাপটপে তাদের জন্য ভালো। পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে গেমিং এর জন্য প্রয়োজনীয়
উচ্চমানের প্রসেসর এবং ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড থাকে না যার জন্য পুরাতন
ল্যাপটপ তাদের জন্য ভালো নাও হতে পারে। তারা যদি পুরাতন ল্যাপটপ দিয়ে গেম খেলতে
যায় তাহলে তাদের সন্তোষজনক নাও হতে পারে। তাই তাদের জন্য নতুন ল্যাপটপে ভালো
হবে।
ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক ডিজাইনারঃ আপনি যদি ভিডিও এডিটিং থ্রিডি
মডেলিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মত ভারী কাজ করেন তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ভালো
মানের শক্তিশালী হার্ডওয়্যার যার নতুন ল্যাপটপের মধ্যে থাকে। পুরাতন ল্যাপটপে এ
সকল কোন ফিউচার পাবেন না। যেমন নতুন ল্যাপটপে থাকে শক্তিশালী প্রসেসর এবং ভালো
মানের গ্রাফিক্স কার্ড সাথে সাথে অনেক বেশি রেম যা আপনার এসব কাজের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। তবে পুরাতন ল্যাপটপে সকল শক্তিশালী ক্ষমতা গুলো থাকবে না।
প্রফেশনাল সফটওয়্যার ব্যবহারকারীঃ যারা অনেক ভারী কাজ করেন বা বড়
বড় কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করেন তাদের জন্য ক্যাডমাটলার বা অন্যান্য
পায়েল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফেয়ার যারা ব্যবহার করেন তাদের জন্য নতুন ল্যাপটপে
ভালো হবে। কারণ এই সমস্ত ভারী কাজ করতে গেলে ল্যাপটপের মান উন্নত লাগে এবং
ল্যাপটপের উন্নত প্রসেসর এবং যাবতীয় যত্রাংশগুলো ভালো মানের হতে হয়। যার ফলে
আপনার কাজ করতে সুবিধা হয় এবং কাজে কোন বিঘ্ন ঘটে না। তাই আপনাকে ভালো
প্রসেসর এবং ভালো মানের পার্টস পাওয়ার জন্য নতুন ল্যাপটপই কিনতে হবে। পুরাতন
ল্যাপটপ কিনলে আপনি ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন না এবং সকল যত্রাংশ গুলোভালো পাবেন
না।
দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারিঃ ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মত
কাজ যদি করেন তাহলে আপনার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির প্রয়োজন হবে যা পুরাতন
ল্যাপটপে আপনি সঠিকভাবে পাবেন না। পুরাতন ল্যাপটপে ব্যাটারি কম থাকতে পারে।
আপনাদের মধ্যে যারা সারাদিন এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে চান এটি তাদের জন্য
উপযুক্ত নয়। তাদের জন্য নতুন ল্যাপটপে কেনা ভালো হবে।
নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজনঃ বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির জন্য আপনার
ব্যবহার করা লাগতে পারে ইউএসবি -সি পোর্ট, ফোরকে ডিসপ্লে ওয়াইফাই ৬ সমর্থন
যেগুলো আপনি পুরাতন ল্যাপটপে নাও পেতে পারেন। বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির সুবিধা
আপনি পুরাতন ল্যাপটপ থেকে কখনোই পাবেন না। তাই আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে
আপনি কি কাজ করবেন সে বিষয়ে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিনতে হবে। আমার মতে
এসব কাজের জন্য নতুন ল্যাপটপটি ভালো হবে।
পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় থেকে কিনবেন
আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে পুরাতন ল্যাপটপ কোথায় থেকে কেনা যায়। এবং
কোথায় থেকে কিনলে ভালো হয়। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করেন নিও এসব সম্পর্কে
আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি। তবে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার জন্য অনেক রকম
পদ্ধতি রয়েছে। তবে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে আপনি একটি ভালো
মানের এবং নির্ভরযোগ্য ল্যাপটপ কিনতে পারবেন কোথা থেকে। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে
পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। এখানে আমি কয়েকটি জায়গা ও পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা
করলাম।
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস অ্যামাজনঃ অ্যামাজন মার্কেট প্লেসে আপনি অনেক ধরনের পুরাতন ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। যেখানে বিশ্বাসযোগ্য সাইট থেকে ক্রয় করতে পারেন যাতে আপনি গ্যারান্টি ও বা রিটার্ন পলিসিপন। বর্তমানে এমাজনে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ অনেক রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারেন।
-
ওএলএক্সঃ যদি আপনি কোন রকম স্থানীয়ভাবে ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে
এই ধরনের সাই ট এগিয়ে কিনতে পারেন। তবে কেনার আগে অবশ্যই সরাসরি সেলারের
সাথে যোগাযোগ করে যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
-
রিফারবেস্ট ল্যাপটপ শপঃ অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো রিফার্বিস্ট
করে ল্যাপটপ বিক্রি করে। রিফারবেস্ট মানে হলো পুরাতন ল্যাপটপগুলো
মেরামত করে নতুন করে বিক্রি করা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আপনি ভালো মানের
ল্যাপটপ অনেক পেয়ে থাকবেন। আবার এর মধ্যে কিছু ল্যাপটপ আছে যেগুলো
গ্যারান্টি সহকারে তারা বিক্রি করে থাকে। এর মধ্যে কিছু পরিচিত সাইট আছে যেমন
RefurbishedLaptopstore.com BackMarket.com
-
স্থানীয় ইলেকট্রনিক্সের দোকানঃ বর্তমান সময় বাজারের অনেক
দোকানে পুরাতন ল্যাপটপ বিক্রি করা হয়। এ অবস্থায় আপনি সেই সব দোকানে গিয়ে
দেখে ভালোভাবে এবং কিছু মেরামত করতে চাইলেও আপডেট করে নিতে পারবেন। তবে
ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই সময় করে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চাইলে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে ভালোভাবে
ধারণা নিয়ে কিনতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি বাজারে গিয়ে ভালোভাবে দেখেশুনে
কিনতে পারবেন। অথবা অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভালোভাবে তা দোকানদারের সাথে
যোগাযোগ করে যাচাই করে নিতে হবে।
পুরাতন ল্যাপটপের আনুমানিক দাম
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন পুরাতন ল্যাপটপের দাম জিজ্ঞাসা করে থাকেন। অনেকেই জানে
না পুরাতন ল্যাপটপ এর দাম কেমন হতে পারে। পুরাতন ল্যাপটপের দাম অনেক রকম হয়ে
থাকে। যেমন ল্যাপটপে ব্র্যান্ড অনুযায়ী দাম হতে পারে। ল্যাপটপের বয়স কত দিন
ব্র্যান্ড মডেল কন্ডিশন এগুলোর উপর নির্ভর করে পুরাতন ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ
করা হয়। বর্তমান সময়ে নতুন ল্যাপটপের চেয়ে পুরাতন ল্যাপটপের দাম অনেক কম।
তাই বেশিরভাগ মানুষই পুরাতন ল্যাপটপের দিকেই ঢুকে যায় বেশি। তবে পুরাতন
ল্যাপটপের দাম সাশ্রয় নির্ভর করে কিছু বিশেষ বিষয়ের উপর তা আমরা নিচে আলোচনা
করব।
ব্রান্ড
- অ্যাপেল স্কয়ার বুকগুলি দেশ অনেক দামি হয়ে থাকে। এমনকি এগুলো পুরাতন হলেও ভালো দাম থাকে। একটি পুরাতন ম্যাকবুক ও ম্যাকবুক প্রো ২০১৬-২০১৮ এর মধ্যে থাকলে দাম হবে প্রায় 30 হাজার থেকে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে পাঁচ বছর থেকে বা তার বেশি হলে পুরাতন মডেল গুলোর দাম অনেকটা কমে যায়। তখন এই ল্যাপটপ গুলির দাম হতে পারে 20 হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
-
ল্যাপটপের মধ্যে অনেক ব্র্যান্ড আছে যেগুলোর দাম অনেক কম হয়। যেমন ডিল
এইচপি লেনোভো এই ল্যাপটপ গুলোর দাম অনেক কমে যায়। ডিল এবং lenovo এর
পুরাতন ল্যাপটপ গুলো ১৫ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে এর মডেল যদি কোর আই ফাইভ আই সেভেন হয় তাহলে এর দামটাও অনেকটা কমে
যায়। কিছু ক্ষেত্রে এর দাম নির্ভর করে কন্ডিশন এবং পেপসিফিকেশন এর উপর।
মডেল ও স্পেসিফিকেশন
- কোর আই থ্রি যদি পাঁচ থেকে সাত বছরের পুরাতন মডেল হয় তবে তার দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যেতে পারে
-
কোর আই ফাইভ এই মডেলের ল্যাপটপগুলো সাধারণত ১৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার
টাকা পর্যন্ত কিংবা একটু কম হলেও পাওয়া যায়।
- ল্যাপটপের মধ্যে এই মডেলটিও যদি বা পাঁচ থেকে সাত বছরের পুরাতন হয়ে যায় তাহলে এর দাম ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত কোর আই সেভেন মডেলটি ল্যাপটপের মধ্যে যদি থাকে তাহলে এমন দাম হতে পারে।
র্যামঃ পুরাতন ল্যাপটপে ৪ জিবি রেম এর ল্যাপটপটি সস্তা হয়ে থাকে। তবে সেই
ল্যাপটপে যদি 8gb রমের বেশি থাকে তাহলে তার দাম আরেকটু বেশি হতে পারে।
এইচডিডি/এসএসডিঃ পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে যদি এসএসডি সলিড স্টেপ ড্রাইভ থাকে তবে
তার দাম অনেকটা বেশি হতে পারে। এসএসডি ড্রাইভ বেশি কার্যকারী এবং ল্যাপটপকে
দ্রুত রান করতে সাহায্য করে। এজন্য এগুলো দাম অনেকটা বেশি হয়ে থাকে।
কন্ডিশনঃ আপনি যদি পুরাতন ল্যাপটপে কন্ডিশন যদি ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখেন যে
তার স্ক্রিন ব্যাটারি কিবোর্ড হার্ডওয়ার্ড ভালো আছে কিনা। সেগুলো যদি ভাল থাকে
তাহলে ল্যাপটপের দামটি একটু বেশি হবে। পুরাতন ল্যাপটপের স্ক্রিনের উপর দাগ
থাকতে পারে যদি দাগ থাকে তাহলে দাম কম হবে। এবং যদি কোন রকম সমস্যা না থাকে
তাহলে এর দাম একটু বেশিই হবে। সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপগুলো নতুন ল্যাপটপগুলোর
থেকে অনেকটা দাম কম হলেও পুরাতন ল্যাপটপ গুলো ভালো কন্ডিশনে পাওয়া যায়। এসব
ল্যাপটপের দাম সাধারণত 20000 থেকে 40000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এইসব দামি
ল্যাপটপের গ্যারান্টি পাওয়া যায়।
বয়সঃ
- এই ল্যাপটপগুলো যদি তিন থেকে চার বছরের বেশি পুরাতন হয় কিন্তু ল্যাপটপ গুলো তাদের কার্যক্ষমতায় অনেকটা ভালো থাকে তাহলে তাদের দাম 20000 টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে।
-
যদি ল্যাপটপগুলো পাঁচ থেকে সাত বছরের পুরাতন হয়। তাহলে এর দাম আনুমানিক ১০
হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।
-
এক বছরের বেশি যদি পুরাতন হয় তাহলে এই ল্যাপটপ গুলোর মূল্য অনেকটা কমে
যায়। তখন আপনি এগুলো ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে
পেতে পারেন।
অপারেটিং সিস্টেমঃ কিছু কিছু পুরাতন ল্যাপটপ এর মধ্যে আপনি যদি উ উইন্ডোজ ৭/৮
অপারেটিং সিস্টেম দেখেন তাহলে সেই ল্যাপটপটির দাম অনেক কমে পাবেন। আর যেগুলো
ল্যাপটপের মধ্যে উইন্ডোজ ১০ বা ১১ থাকে তাহলে সেই ল্যাপটপগুলো তুলনামূলক দাম
অনেক হতে পারে।
অফার এবং ডিসকাউন্টঃ এসব ল্যাপটপ এর অনেক সময় ডিসকাউন্ট চলে তখন আপনি যদি
চিনতে কিনতে পারেন তাহলে দামে অনেক কম পাবেন। সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপগুলো
দোকানে অনেক সময় অফার চলে যেখান থেকে আপনি কিনে অনেক সস্তায় পেতে পারেন।
পুরাতন ল্যাপটপ এর দাম তাদের মডেল এবং কন্ডিশন অনুযায়ী বাজারে সাপ্লাই করার পর
দাম পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত আপনি যদি ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে
ভাল পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারবেন। তবে কেনার সময় মাথায় রাখবেন যে ভালোভাবে
দেখেশুনে অর্থাৎ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রেখে
দাম যাচাই করে কেনা উচিৎ।
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার টিপস
বর্তমান সময়ে অনেকেই কম বাজেটে অল্প কাজ চালানোর জন্য পুরাতন বা সেকেন্ড
হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে খুবই আগ্রহী হন। তবে সঠিকভাবে যাচাই না করে পুরাতন
ল্যাপটপ কিনলে পরবর্তীতে অনেক ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই পুরাতন
ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখা খুবই জরুরী। নিচে কয়েকটি কার্যকর
টিপস দেওয়া হল...
- পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় সব সময় আপনাকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে হবে। প্রথমেই ভাবুন আপনি কি ধরনের কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করার জন্য পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ আপনি কি পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করবেন না অফিসের কাজে গ্রাফিক ডিজাইন নাকি গেমিং। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসেসর এবং ram ও স্তরেজ বেছে নিলে পরবর্তীতে আপনাকে কোনরকম সমস্যায় পড়তে হবে না।
- পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের অবস্থা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। । ল্যাপটপ চালু করে দেখতে হবে স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কিনা। কেসিং স্ক্রিন ও কিবোর্ড ভালোভাবে বা ভালো অবস্থায় আছে কিনা তা খেয়াল করে দেখে নিতে হবে।
-
মেন যে কাজটি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারি হেল্প চেক করতে হবে।
এদিকেও খেয়াল রেখে কিনতে হবে যে ব্যাটারি চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে
কিনা ব্যাটারি ফুলে গেছে কিনা তাও ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।
-
হার্ডওয়ার কনফিগারেশন ও ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। ল্যাপটপের প্রসেসর
র্যাম হাইড্রাইভ এসএসডি গ্রাফিক্স কার্ড ভালোভাবে কাজ করছে কিনা দেখে
নিতে হবে। আপনি যদি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে কেনেন তাহলে বিজ্ঞাপনের সাথে
মিলিয়ে দেখবেন সবকিছু একই আছে কিনা।
-
পোর্ট ও কানেক্টিভিটি চেক করার সময় ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে ইউএসবি
wi-fi bluetooth ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা ইনস্ট্যান্ট চেক করে দেখতে হবে।
অনেক সময় এগুলো নষ্ট থাকলেও বাইরে থেকে ভালোভাবে বোঝা যায় না।
-
ল্যাপটপ অন করার কিছুক্ষণ পর খেয়াল করবেন দেখবেন যে ল্যাপটপটি গরম হয়ে
যাচ্ছে কিনা। কিছুক্ষণ ল্যাপটপ চালিয়ে বোঝা যাবে এটি অস্বাভাবিকভাবে গরম
হলে। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গরম হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে সমস্যা
হতে পারে।
-
আপনি যেখান থেকে কিনবেন সেই বিক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে হবে।
অনলাইনে মাধ্যমে কিনলে তার রেটিং সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে।
অপরিচিত বা অবিস্বাস্থ্য লোক থেকে ল্যাপটপ কখনোই কিনবেন না। পরিচিত দোকান
বা বিশ্বস্ত অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে জানাই সবচেয়ে ভালো হবে।
-
ওয়ারেন্টি বা সার্ভিস হিস্ট্রি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। সাধারণত পুরাতন
ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি থাকলে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। আরো আগে কোন বড়
সমস্যা হয়েছিল কিনা সেটাও দোকানদারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
এসব বিষয় যদি আপনি মাথায় রেখে ল্যাপটপ কিনতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো মানের
একটি ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারবেন।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কোন ভুল গুলো এড়িয়ে চলবেন
আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা কম দামে ল্যাপটপ পাওয়ার লোভে পুরাতন বা
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনে ফেলেন। তবে একটু অসতর্ক তো হলে এই ল্যাপটপগুলোতে
নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কেনার আগে সাধারণ কিছু ভুলগুলো এড়িয়ে
চলা খুবই জরুরী। নিচে সেই ভুলগুলো ভালোভাবে উল্লেখ করা হলো।
- পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে. শুধু বাহিরের দিক খেয়াল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। অনেক ল্যাপটপের বাহিরের চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে কিনে ফেলেন। কিন্তু ভেতরের ও পারফরম্যান্স ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করেন না। যদি যাচাই না করে কিনেন তাহলে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে পারে। তাই সবসময় ভেতরের অবস্থা খুবই জরুরী
-
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারির অবস্থা না দেখে অনেকেই কিনে ফেলেন।
যার কারণে পরবর্তীতে ব্যাটারি সমস্যা দেখা দেয়। পুরাতন ল্যাপটপের সবচেয়ে
বেশি সমস্যা হয় ব্যাটারীতে। যদি ব্যাটারি চার্জ ভালো ভাবে ধরে না রাখে
তবে বারবার চার্জারে লাগিয়ে কাজ করতে হয়। কেনার আগে অবশ্যই ব্যাটারি
হেল্প ভালো ভাবে চেক করে নিয়ে কিনতে হবে।
-
হার্ড ড্রাইভ ভ এসএসডি ভালোভাবে টেস্ট না করে কিনে ফেলা। হার্ড ড্রাইভ
খারাপ হলে ল্যাপটপ খুব ধীরে চলবে বা বারবার হ্যাং হয়ে যাবে। তাই
সফটওয়্যার দিয়ে আর ড্রাইভ এসএসদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে ল্যাপটপ কিনা
ঠিক হবে না।
-
ওভারেটিং সমস্যা না দেখে ল্যাপটপ কিনা উচিত নয়। অনেক পুরাতন ল্যাপটপ আছে
যেগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে কিছুক্ষন চালিয়ে
দেখতে হবে ল্যাপটপ অস্বাভাবিকভাবে গরম হয়ে যাচ্ছে কিনা।
-
ইউএসবি এইচডিএমআই অডিও জ্যাক ওয়াইফাই ব্লুটুথ সবকিছু ঠিক আছে কিনা
তা না দেখে কিনলে পরে ঝামেলা হতে পারে। তাই কেনার আগে অবশ্যই সব ফটো
কানেক্টিভিটি চেক করে নিতে হবে।
-
ওয়ারেন্টি বা সার্ভিসিং হিস্ট্রি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। পুরাতন ল্যাপটপ
কতদিন ব্যবহার হয়েছে বা আগে কোন বড় সমস্যা হয়েছিল কিনা এগুলো না জেনে
কিনলে অনেক ক্ষতির ঝুঁকি হতে পারে।
-
অবিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে ল্যাপটপ কিনলে প্রতারণা শিকার হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। সবসময় পরিচিত দোকান ভাড়া অযোগ্য শর্ট থেকে ল্যাপটপ কেনা
উচিত।
-
ল্যাপটপ কেনার সময় টেস্ট না করে তাড়াহুড়ো করে কিনে ফেলা। সবশেষে অনেকেই
সময় বাঁচাতে কোনরকম টেস্ট না করে ল্যাপটপ কিনে ফেলে। এটা তাদের বড় ভুল
ল্যাপটপ হাতে পেয়ে অত্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যবহার করে দেখা উচিত।
পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি চেক করা লাগবে?
উত্তরঃ পুরাতন ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় আছে যেগুলো চেক করা খুবই জরুরী।
যেমন ল্যাপটপ কি অবস্থায় আছে তা ভালোভাবে দেখা লাগবে। হার্ডওয়ার ব্যাটারির
অবস্থা স্ক্রিন ও কিবোর্ড সিস্টেম পারফরমেন্স কানেক্টিভিটি ওয়ারেন্টি এবং
রিটার্ন কোন পলিসি আছে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। এগুলো ভালোভাবে
যাচাই করার পরে আপনি যদি নিশ্চিত হন তাহলে কেনা যাবে।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপটি ভালো হবে?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো কিছু ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ
বৈশিষ্ট্য হলো পুরাতন ল্যাপটপগুলোতে প্রসেসর intel i5 এবং i7 আছে কিনা তা দেখতে
হবে। সাথে সাথে আপনাকে চেক করতে হবে রেম ৪ থেকে ১৬ জিবি রেম আছে কিনা তা দেখে
নিতে হবে। এস এসডি ভালো আছে কি না ও ২৫৬ জিবি আছে কিনা বা তার বেশি আছে কিনা
ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। এরপর তিন থেকে চার ঘন্টা ব্যাটারি লাইফ থাকবে
কিনা তাও দেখে নিতে হবে। বর্তমান সময়ের সকল প্রসেস গুলো আছে কিনা সেটিও
ভালোভাবে দেখে শুনে নিতে হবে। এরপর আপনাকে ওয়াইফাই ফাইভ অথবা সিক্স ইউএসবি আছে
কিনা এ সকল বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য উপযুক্ত ল্যাপটপ
পাবেন আশা করছি।
প্রশ্নঃ ভালো মানে ল্যাপটপের দাম কেমন হবে?
উত্তরঃ একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে গেলে তার দাম নির্ভর করে ল্যাপটপের
মডেল এবং তার পারফরম্যান্স অনুযায়ী। একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনার জন্য আপনার
সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
প্রশ্নঃ ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায়?
উত্তরঃ বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা যেকোনো ধরনের ডকুমেন্ট
তৈরি করতে পারি। গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং গেমিং আরও বিভিন্ন রকম কাজ
করে থাকি।
প্রশ্নঃ পুরাতন ল্যাপটপের দাম কেমন হতে পারে?
উত্তরঃ পুরাতন ল্যাপটপ গুলো তার ব্র্যান্ড এবং কনফিগারেশন এর ওপর নির্ভর করে
দাম হতে পারে। আপনি যদি আশেপাশের কোন বাজারে থেকে ল্যাপটপ কিনতে পারেন
তাহলে ১৫ হাজার থেকে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে।
পুরাতন ল্যাপটপ কিনা নিয়ে লেখা হয়ে শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে জানানোর চেষ্টা করেছি পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে
করনীয় বিষয়গুলি কি কি। আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনি নিশ্চয়
বুঝতে পেরেছেন পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যা যা জানতে হবে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার
উপকারিতা এবং পুরাতন ল্যাপটপ কেনার অপকারিতা এছাড়াও ওয়ারেন্টি পলিসি সার্ভিস
পুরনো ল্যাপটপ কারা কিনবেন কারা কিনবেন না আসলেই পুরনো ল্যাপটপ কিনা উচিত কিনা
সে সকল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি সেটি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে
পেরেছেন। এই আর্টিকেলে আরো তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে পুরনো ল্যাপটপের দাম
আনুমানিক কত হতে পারে।
সবশেষে একটা কথা বলা যায় যে আপনি যদি আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়দের কাছ
থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে যান সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার জন্য অবশ্যই কিছুদিন
আগে ব্যবহার করে দেখতে হবে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তবে আপনি এই ল্যাপটপটি
কিনতে পারবেন। এতে করে আপনার হয়রানি কম হবে এবং কোনরকম পরবর্তীতে ঝামেলার
সৃষ্টি হবে না। আশা করছি উপরোক্ত বিষয়টি ভালোভাবে পড়ে পুরাতন ল্যাপটপ
কেনার আগে অবশ্যই বিশেষ নজর রেখে তারপরে ল্যাপটপ কিনবেন। ধন্যবাদ
nc