সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে" সর্বপ্রথম বাংলাদেশীদের সাউথ কোরিয়ার সম্পর্কে
সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত। সাউথ কোরিয়ার সরকার প্রতিবছর নিয়মিতভাবে শ্রমিক নিয়োগ
করে। বাংলাদেশ থেকে যারা সরকারি পথে সাউথ কোরিয়া যেতে চান তারা মূলত শ্রমিক
হিসেবে আবেদন করতে পারেন। যেখানে চাকরির জন্য সাধারণত ভালো বেতন প্রদান করা হয়।
সাউথ কোরিয়া যাত্রার আগে জানা গুরুত্বপূর্ণ যে কিভাবে ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন
হয়। বাংলাদেশিরা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এই দেশে যান। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা,
টুরিস্ট ভিসা, বা কাজের ভিসা। তাই সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে তার একটি
স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। চলুন তবে জেনে নেই সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
পেজ সূচিপত্রঃ সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- সাউথ করিয়া যেতে কি কি লাগে
- সাউথ কোরিয়া যেতে বয়স কত লাগে
- সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
- সাউথ কোরিয়া কাজের বেতন কত
- সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
- সাউথ কোরিয়া ভিসার দাম কত
- সাউথ কোরিয়ার বেতন কত
- সাউথ কোরিয়ায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সাউথ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
- লেখকের শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
যখন আপনি ঠিক করবেন যে বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন তখন
প্রথমেই বুঝে নিতে হবে আপনার ভিসার ধরন। ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচের পরিমাণ
নির্ধারণ করা হয়। সরকারি পথে সাউথ কোরিয়ায় যাওয়া তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম খরচ
সাপেক্ষ হয়। তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে খরচ অনেক বেশি হতে
পারে।
বর্তমান প্রায় দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যাত্রার জন্য আনুমানিকভাবে
খরচ প্রায় ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ ক্ষেত্রে যদি
স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট ভিসা নেওয়া হয় তাহলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হতে পারে। খরচ
আরো কমানো সম্ভব হয় একজন নির্ভরযোগ্য প্রবাসী বা বাংলাদেশী কমিউনিটি থেকে
সাহায্য নিলে। আপনি সঠিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেতে পারেন সম্পন্ন দেশ
হিসেবে পরিচিত। তাই যাওয়ার আগে সঠিক পরিকল্পনা করা খুবই জরুরী।
সাউথ কোরিয়া যেতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ার দূরত্ব প্রায় ৩৮০০ কিলোমিটার। সরাসরি ফ্লাইট না
থাকায় বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ায় পৌঁছাতে সাধারণত সময় লাগে ১৮ থেকে ২৬
ঘন্টা। উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সংস্কৃতিক বৈচিত্র এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ
হিসেবে সাউথ কোরিয়ায় এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এই এশিয়ান দেশের শুধু পর্যটকরা
যায় না শিক্ষার্থী কর্মজীবী এবং ব্যবসায়ীরাও এখানে কাজের জন্য আগ্রহ। এদের কাছে
এটি এক ধরনের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
আপনার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা খরচ হতে
পারে তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা খুবই জরুরী। বিশেষ করে কাজের ভিসা নিয়ে গেলে
আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রমাণপত্র থাকা আবশ্যক। ভিসার ধরন অনুযায়ী
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কিছু পার্থক্য থাকতে পারে। তবে সাধারণভাবে যা যা লাগে তা
হলঃ
- বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ড
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র
- কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা সার্টিফিকেট
- কালার টেস্ট সার্টিফিকেট
এ সকল কিছু ঠিক থাকলে আপনার যাত্রা খুব সহজে হয়ে যাবে।
সাউথ কোরিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ায় যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ভিসার ধরন ও
খরচ সম্পর্কে। প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন ভিসার ক্যাটাগরিতে যাবেন।
সাধারণত দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য নূন্যতম বয়স.১৮ বছর। তবে ভিসার ধারণ
অনুযায়ী বয়স সীমায় পার্থক্য থাকতে পারে। স্টুডেন্ট ভিসা যদি আপনি যান তাহলে
শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনার জন্য বয়সের ন্যূনতম সীমা হবে ১৮
বছর।
আর পড়ুনঃ নেদারল্যান্ডস যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
আর যদি আপনি চাকরি বা কাজের ভিসা নিয়ে যান তাহলে তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৯ বছরের
মধ্যে হওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে লটারি বা সরকারের নির্বাচিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
কাজের ভিসা পেলে নির্বাচিত হয়। যাতে খরচ কমে আনুমানিক ৫ থেকে ৮ লক্ষ
টাকা।
সাউথ কোরিয়া যাওয়ার উপায়
দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হল বয়সেলের
আওতায় সরকারি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া। প্রতিবছর হাজার হাজার দক্ষ বাংলাদেশি
কর্মী এই পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ পেয়ে
থাকে। সাউথ কোরিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রায় ছয়টি ধাপ রয়েছে যা ধাপে ধাপে সম্পন্ন
করতে হয়। সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- প্রথম ধাপ হল বয়সেলের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন যা সাধারণত মারচ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে করা হয়।
- এই নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি লটারি পদ্ধতিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
- নির্বাচিত প্রার্থীদের কোরিয়ান ভাষার পরীক্ষা দিতে হয়।
- যেখানে মোট 200 নম্বরের মধ্যে রিডিং ১০০ এবং লিসেনিং ১০০ নম্বর থাকে।
- ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এরপর কাজের দক্ষতা ও বর্ণান্ধতা যাচাই করা হয়।
- চূড়ান্তভাবে প্রার্থীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সিভিল সার্জনের অফিসে এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করতে হয়।
এই সরকারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে
এবং ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সাউথ কোরিয়ায় কাজের বেতন কত
সাউথ কোরিয়াই কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশীদের জন্য জানা জরুরি সেখানে মাসিক বেতন
কত হতে পারে। ২০২৫ সালে দেখা গেছে প্রায় সব বাংলাদেশী কর্মীর ন্যূনতম মাসিক আয়
প্রায় ১.৮ লক্ষ টাকা। ওভারটাইম কাজ করলে মাসিক আয় তিন লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে
পারে। যদি কোম্পানি খাওয়া-দাওয়া খরচ বহন করে তবে প্রায় পুরো বেতন দেশের লিমিট
করা সম্ভব।
কোরিয়ায় কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
বোয়েসেল অনুমোদিত প্রায় .৪০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে যেখানে শুধুমাত্র
কোরিয়ান ভাষা শেখানো হয়। এছাড়াও অনলাইনে যেমন google বা
youtube ভাষা শেখার সুযোগ রয়েছে। ভাষার দক্ষতা থাকলে করিয়ায়
কাজের অভিজ্ঞতার সহজ হয়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাউথ কোরিয়া উন্নয়নশীল শক্তিশালী
ও সমৃদ্ধ। তাই এটিকে টাইগার অর্থনীতির দেশ বলা হয়। এখানে কাজ করলে বাংলাদেশী
কর্মীরা উচ্চ বেতনের এবং উচ্চমানের জীবনযাত্রা ও আর্থিক নিরাপত্তা উপভোগ করতে
পারেন।
সরকারিভাবে সাউথ করিয়া যাওয়ার উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়ায় যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ ও
কার্যকর উপায় হল বয়েসেল।
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস লিমিটেড এর মাধ্যমে
সরকারিভাবে বইয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বিদেশের সং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব
হয়।সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
সরকারিভাবে সাউথ কোরিয়া যেতে হলে যা যা করতে হবে
- প্রথমে বইয়ের ছেলের ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
- তারপরে নির্বাচিত প্রার্থীদের দুই মাসের মধ্যে কোরিয়ান ভাষা শেখার প্রস্তুতি নিতে হয় এবং দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার অংশগ্রহণ করতে হয়।
- পরীক্ষায় রিডিং ও লিসেনিং অংশের জন্য মোট ২০০ নম্বর থাকে।
- ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রার্থীদের জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয় এবং অপরাধমুক্ত প্রমাণ করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
- বয়েছেলের মাধ্যমে সরকারিভাবে যাওয়া মানে আপনার ভিসা প্রক্রিয়া কাজের সুযোগ এবং বিদেশে বসবাসের নিরাপত্তা সবগুলোই নিশ্চিত থাকে।
সাউথ করিয়া ভিশার দাম কত
সাউথ কোরিয়া উন্নত প্রযুক্তি সমৃদ্ধ অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের জন্য একটি
অত্যন্ত আকর্ষণীয় দেশ। বাংলাদেশ থেকে এদেশে যাওয়ার খরচ অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর
করে। এখানে ভিসার ধরণ মেয়াদ আবেদন প্রক্রিয়া এবং আপনার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। যদি আপনার উদ্দেশ্য পড়াশোনা হয় তবে সাউথ কোরিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা
নেওয়ার জন্য প্রায় ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এটা ভিসা আবেদন
প্রক্রিয়া এবং কিছু প্রশাসনিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্টুডেন্টদের জন্য
বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের ওপর নির্ভর করে ৪০০ ইউরো থেকে ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে
পারে।
পর্যটন বা অল্প সময়ের ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসার খরচ প্রায় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ
টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এতে বিমান ভাড়া ভিসা ফি প্রয়োজনে কাগজপত্র এবং কিছু
প্রশাসনিক খরচ অন্তর্ভুক্ত করা থাকে। কাজের ভিসা চাইলে সরকারিভাবে বয়েসেলের
মাধ্যমে আবেদন করা সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর একটি উপায়। বোয়েসেল হলো
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস লিমিটেড যা
বাংলাদেশের সরকারের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে আবেদন করলে খরচ প্রায় ৫ লাখ
থেকে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন
করলে খরচ বেশি হয় এবং প্রতারণা ঝুঁকি থাকে। তাই সরকারিভাবে বয়সেল মাধ্যমে
ব্যবহার করা সব সময় নিরাপদ হয়।
খরচের ওপর প্রভাব ফেলে ভিসার মেয়াদ আপনার অবস্থান এবং প্রক্রিয়া ধরন। দীর্ঘ
মিয়াদি ভিসার জন্য খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আবেদন করলে
খরচ কম হয়। এছাড়াও মেডিকেল সার্টিফিকেট পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশন ব্যাংক
স্টেটমেন্ট সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খরচ বারাতে পারে। সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে গেলে
সহজে সাউথ কোরিয়ায় ভিসা নেওয়া সম্ভব এবং নিজের স্বপ্ন পূরণ করা যায়।
স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট হিসেবে গেলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়। কাজের ভিসার
ক্ষেত্রে বয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করা নিরাপদ এবং খরচ শাস্ত্রই হয়। সব ধরনের
তথ্য আগে থেকে জানলে আপনি আরো সহজে এবং নিরাপদে সাউথ করিয়া যেতে পারবেন। সাউথ
কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
সাউথ কোরিয়ায় বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ায় যাওয়ার আগে জানা জরুরী আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে
সেখানে যাচ্ছেন। সাউথ কোরিয়ায় কাজের বেতন প্রায় সে কাজের ধরন দক্ষতা এবং
অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য
ন্যূনতম বেতন পাই .৫০০০০ থেকে 70 হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। যদি আপনি সাউথ
কোরিয়ায় আপনার দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেন তবে বেতন বাড়ানো সম্ভবনা অনেক বেশি
থাকে। দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের জন্য বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার
টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু তাই নয় যারা শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজ করতে যান তাদের বেতন সাধারণত আরো
বেশি হয়। এক্ষেত্রে বেতন প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০
হাজার টাকা পর্যন্ত পৌছায়।সাউথ কোরিয়া কাজের সুযোগ ও বেতন কাঠামো দেশের
অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোম্পানির ধরন আপনার ভাষাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর
করবে। দক্ষ ও শিক্ষিত কর্মীরা খুব তাড়াতাড়ি উন্নত বেতনের কাজে যোগ দিতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
এছাড়াও কাজের পাশাপাশি যদি ওভারটাইম করা হয় তবে মাসিক আয় আরো বৃদ্ধি পেতে
পারে। সাউথ কোরিয়ায় বেতন কাঠামো এত উন্নত হয় অনেক বাংলাদেশী প্রবাসী সেখানে
চলে গিয়ে স্বাবলম্বী হয় এবং পরিবারের জন্য রেমিটেন্স পাঠাতে সক্ষম হয়। দক্ষতা
অর্জন করে গেলে সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা ও উচ্চ মানের বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক
বেড়ে যায। তাই যারা সাউথ কোরিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য প্রস্তুতি দক্ষতা
এবং সঠিক ভিসা নির্বাচন করা খুবই জরুরী।
সাউথ করিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার আগে জানা খুবই জরুরী দেশটিতে কোন কাজের
ক্ষেত্রে সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে। সাউথ কোরিয়া সর্বপ্রথম কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির
ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা শিল্পায়ন বাণিজ্য এবং রপ্তানি মুখী
কৌশল ব্যবহার করে তাদের অবকাঠামো উন্নত করেছে। স্বল্পমজুরির শ্রম শক্তিকে কাজে
লাগিয়ে তারা শিল্প ও আর্থিক সেবার মাধ্যমে ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে ধারাবাহিকভাবে
উচ্চ জিডিপি বৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
শিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে তারা ইলেকট্রনিক্স
রোবটিক্স এবং সফটওয়্যার সেক্টরকে শক্তিশালী করেছে। দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত
হয়ে সম্মিলিত হয়েছে এবং প্রবাসী কর্মীদের নিয়োগের মাধ্যমে কাজের প্রসারতা
বৃদ্ধি পেয়েছ। শ্রমবাজারের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে। সফটওয়্যার
ডেভলপার সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং ডাটা সাইন্টিস্টদের জন্য কাজে চাহিদা
তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক্স এবং মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা উল্লেখযোগ্য রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে
ড্রাইভিং লেবার ক্লিনার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট চাকরি এবং নির্মাণ শ্রমিকদের চাহিদা
অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক বেশ। যারা কাজ করতে চান তাদের জন্য এই কাজের চাহিদা
অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। দক্ষতা থাকলে
তারা ভালো বেতন ও সুযোগ পেতে সক্ষম হবেন এবং প্রবাসে স্বাবলম্বী হয়ে উন্নত জীবন
যাপন করতে পারবেন।
সাউথ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা খরচ
বাংলাদেশ তুলনায় সাউথ কোরিয়াতে রয়েছে অনেক উন্নত উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা।
এই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার ছাত্র-ছাত্রীদের আকৃষ্ট করে সেখানে পড়াশোনা করার
জন্য। শুধু কাজের উদ্দেশ্য নয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে ও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সাউথ
কোরিয়ায় যায়। সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেখানে যাওয়া
আবশ্যক। যদি শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সাউথ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা নিতে চান তবে
অনেক সময় শিক্ষার্থীরা নিজে প্রক্রিয়া বুঝে উঠতে পারে না। এ অবস্থায় একজন
বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া করলে সময় ও খরচ দুইটাই কমানো সম্ভব
হয়।
আর পড়ুনঃ সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
সাধারণভাবে দেখা যায় সাউথ কোরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা করতে খরচ পরে আনুমানিক
৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। স্টুডেন্ট ভিসার খরচের পাশাপাশি মনে রাখতে
হবে সাউথ কোরিয়ায় পড়াশোনা করতে গেলে করিয়ান ভাষা সম্পর্কে ধারণা থাকা
প্রয়োজন এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা অবশ্যই জরুরী। এ যোগ্যতা থাকলে
শিক্ষার্থীর সহজে ভিসা পেতে সক্ষম হয় এবং সেখানে শিক্ষা জীবন আরও সফলভাবে
সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
লেখকের শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়া যাওয়ার খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর। যেমন
ভিসার ক্যাটাগরি বিমান সংস্থা ও এজেন্সি ধরন। এই বিষয়গুলো অনুসরণ করে খরচের
পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। তবে বাস্তবে দেখলে নিজেকে বেকার রাখার পরিবর্তে
দক্ষতা অর্জন করে কাজ করা অত্যন্ত লাভজনক। সেখানে কাজের মাধ্যমে আপনি নিজের
আর্থিক অবস্থাকে উন্নত করতে পারবেন এবং বাংলাদেশের রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে
সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করতে পারবেন।
প্রগতিশীল চিন্তা এবং পরিকল্পনা আপনাকে উচ্চ মানের জীবনধারার দিকে এগিয়ে নিয়ে
যাবে। বাংলাদেশ থেকে সাউথ কোরিয়ায় সরকারিভাবে শ্রমিক প্রেরণের ব্যবস্থা
থাকায় কম খরচে সঠিকভাবে বিদেশে যাওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে যাওয়া হলে কাজের
সুযোগ্য নিরাপদ এবং সহজলভ্য হয়। বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকায় জীবনের মান উন্নত
হয় এবং কোনরকম অসুবিধা বা ঝুঁকি ছাড়া উন্নত মানের জীবনধারা গড়ে তোলা সম্ভব
হয়। আশা করি বুজতে পেরেছেন সাউথ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগে।





এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url