ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে - সম্পূর্ণ গাইড

ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে- বাংলাদেশ থেকে যারা পড়াশোনা বা কাজের উদ্দেশ্যে ডেনমার্ক যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের প্রথমেই জেনে নেওয়া উচিত দেশটির সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত।

ডেনমার্ক-যেতে-কত-টাকা-লাগে

সেখানে কাজের সুযোগ গুলো কেমন, কোন ধরনের চাকরি পাওয়া যায় এবং পড়াশোনার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো। এসব বিষয়ে আগে থেকে জেনে নিলে আপনার প্রস্তুতি অনেক সহজে হয়ে যাবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে

ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কের যাওয়ার খরচ মূলত নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং যাত্রার উদ্দেশ্যের উপর। ভিসার প্রকার ফি পাশাপাশি কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা হচ্ছে এসবের ওপর খরচের পার্থক্য তৈরি হয়। যদি আপনি বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা তৈরি করেন তবে কিছুটা বেশি খরচ হবে। আর যদি নিজের ভিসা নিজে প্রসেসিং করতে পারেন তাহলে অনেক কম খরচে ডেনমার্ক যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কের যাওয়া খরচ পড়তে পারে .৬ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত।

অনেকে স্টুডেন্ট ভিসা বা টুরিস্ট ভিসা ব্যবহার করে তুলনামূলক কম খরচের যেতে চান তাদের জন্য খরচ সাধারণত দাঁড়ায় ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকার মধ্যে। তবে একদম নিশ্চিত হওয়া জরুরী ডেনমার্কের ভিসা প্রসেস সহজ নয় এজন্য ভিসা খরচ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়া সেখানে সহজে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ভিসার আগে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তৈরি করে নেওয়াই ভালো। যাতে দেশে পৌঁছে সহজে কাজের সুযোগ কাজে লাগানো যায়।

ডেনমার্ক যাওয়ার সহজ উপায়

ডেনমার্ক যেতে খরচ কত হবে সেটা মূলত নির্ভর করে আপনার ভিসার ধরন এবং উদ্দেশ্যের উপর। তবে বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্কের যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসা। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। যদি আপনি চান খুব সহজে এই ইউরোপীয় দেশে পাড়ি জমানো সম্ভব কেবল আপনাকে প্রথমে ডেনমার্কের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার প্রমাণ হিসেবে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। এটি হলো স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথম ধাপ। শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যথাযথভাবে ভাষার দক্ষতা থাকা পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা দেখাতে পারা। 
ডেনমার্ক-যাওয়ার-সহজ-উপায়
যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তবে অবশ্যই আগে একটি বৈধ পাসপোর্ট বা কাজের প্রস্তাব পেতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে কাজটি বৈধ কিনা তা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। আপনার জন্য একবার আপনার কাছে ইনভাইটেশন লেটার আসলে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন বা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করাতে পারবেন। দুই ক্ষেত্রেই প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পূর্ণ হলে ডেনমার্কের পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে। 

ডেনমার্ক এ যেতে কি কি লাগে

পৃথিবীর মানচিত্রে যদি কোন স্থানের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক খুঁজে বের করতে হয় তাহলে সেই চিহ্ন নিঃসন্দেহে হবে ডেনমার্ক। দেশটি রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল অপরাধমুক্ত এবং উন্নত জীবন যাত্রার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ডেনমার্ক শুধু পর্যটনের জন্য নয় বরং কাজের সুযোগ উচ্চশিক্ষা এবং স্বপ্নের জীবন গরার জন্য একটি আদর্শ দেশ। যারা ডেনমার্কে যেতে চান তাদের প্রথমে অবশ্যই জানা উচিত দেশটিতে কোন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। সেখানে বেতন কাঠামো কেমন এবং সেখানে যাত্রার জন্য প্রাথমিক খরচ কত হতে পারে। ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে।
এছাড়া ডেনমার্কে যাওয়ার আগে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষ কর্মীদের চাহিদা এবং কোন সেক্টরের চাকরির সুযোগ বেশি তা জেনে রাখার গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা আলাদা কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। যদিও ভিসার ধরন ও কাজের প্রকারভেদে কিছু কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে যে কাগজগুলো প্রয়োজন হয় তাহলো 
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • পূর্ণ ভিসা আবেদন ফরম
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • চাকরির অফার লেটার যদি কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়া হয় তাহলে এটা প্রয়োজন হবে।
  • কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • ভিসা আবেদন ফি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • আইএলটিএস বা টি ও ই এফ এল স্কোর যদি স্টাডি ভিসা হয় তাহলে প্রয়োজন হবে।
  • আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ অর্থাৎ ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির অফার লেটার শিক্ষার্থীদের জন্য এটি প্রয়োজন হয়।
  • ট্রাভেল রেকর্ড অর্থাৎ আপনি আগে কোন কোন দেশে ট্রাভেল করেছেন।
এই সমস্ত ডকুমেন্ট প্রস্তুত থাকলে ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয় এবং দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এছাড়া এই প্রক্রিয়ায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন যাতে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বাদ না পড়ে এবং আবেদনটি পুরোপুরি সঠিকভাবে জমা হয়। ডেনমার্কের ভিসা পাওয়ার কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তাই আগে থেকে সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

এছাড়া উচ্চ শিক্ষা দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে দেশে পৌঁছে সঠিক চাকরি খুজে পাওয়া সহজ হয়। যারা কাজের ভিসা নিতে চান তাদের অবশ্যই বৈধ কাজের প্রস্তাব পেতে হবে এবং কাজটি বৈধ কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। ডেনমার্কে পৌঁছানোর পর যদি সবকিছু সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকে তবে নতুন জীবন শুরু করা এবং স্বপ্ন পূরণের পথে এখনো অনেক সহজ হয়ে যায়। দেশটি শুধু আর্থিক সুযোগ নয় বরং নিরাপদ পরিবেশ উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত।

বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ডেনমার্ক যেতে আগ্রহী হন। এর মধ্যে হতে পারে উচ্চ শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা বা পর্যটন। ইউরোপের এই দেশের যে শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে তা বিশ্বমানের উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের দ্বারা সমৃদ্ধ। এছাড়া ডেনমার্ক বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ ও সেক্টর রয়েছে। যেখানে দক্ষ কর্মী চাইলে সহজে চাকরি করা সম্ভব। ডেনমার্কে যাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা থাকা প্রয়োজন। আমার জানামতে ডেনমার্ক ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি ভিসা আবেদন করা যায়। আপনি চাইলে সেখানে গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারেন।

যদি আপনি বেসরকারি এজেন্সির সাহায্য নিতে চান তবে প্রথমে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই এজেন্সি গুলা আপনাকে ডেনমার্ক ভিসা প্রসেসিং এর সম্পূর্ণ ধাপ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন এ ধরনের এজেন্সির ফি সাধারণত কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। তাই সবসময় সতর্ক থাকুন এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন অগ্রিম টাকা প্রদান করবেন না। সঠিক প্রস্তুতি এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি বা নিজস্ব আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ডেনমারকে যাত্রা করা অনেক সহজ এবং ঝুঁকিমুক্ত হয়ে ওঠে।

ডেনমার্ক কাজের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ডেনমার্ক যেতে চান তবে সরাসরি যাত্রা করা অনেকটা সহজ নয়। ইউরোপের এই দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সুযোগ সীমিত। তাই আগ্রহীদের নিজ থেকে বা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সরাসরি আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনার কাছে ডেনমার্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও বৈধ চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। এই দুইটি না থাকলে আপনি কখনোই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে বিশ্বস্ত এজেন্সির সাহায্যে ভিসা প্রক্রিয়া করলে তারা আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং চাকরির অফার লেটার সংগ্রহ করতে সহায়তা করবে। 

উদাহরণস্বরূপ VSS GLOBAL এর মাধ্যমে অনলাইন ভিসা আবেদন করা সম্ভব। আপনি চাইলে সরাসরি নিজেও আবেদন করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে। এরপর নিজে নিজে বা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ডেনমার্কের কাজের জন্য আবেদন করতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো যেমন চাকরি অফার লেটার দক্ষতা সার্টিফিকেট আর্থিক প্রমাণ ইত্যাদি সংগ্রহ করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে এগুলো জমা দিয়ে ভিসা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে। সবশেষে দূতাবাস আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকে পাঠাবে যা সম্পন্ন হলে ভিসা প্রক্রিয়া শেষ হবে।

ডেনমার্ক কাজের বেতন কত

ডেনমার্ক যেতে কত খরচ হবে বা ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে তা জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভিসার আগে অবশ্যই জানা দরকার কাজের বেতন কাঠামো সম্পরকে। ডেনমার্কের কাজের বেতন সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে যেমন কাজের ধরন, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কোম্পানির ধরন, ভাষার দক্ষতা, এই সকল বিষয় মিলিয়ে বেতন নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশ থেকে যারা কাজের ভিসা নিয়ে ডেনমার্কে যেতে চান তাদের জন্য জানা প্রয়োজন কোন কাজের বেতন কত।
ডেনমার্ক-কাজের-বেতন-কত
বর্তমানে ডেনমার্কে সাধারণত কাজের বেতন প্রায় ১৮০০ ইউরো থেকে শুরু করে ৫০০০ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। যারা দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং ভাষার ক্ষেত্রে ভালো তাদের বেতন কোম্পানি থেকে আরও বেশি দেওয়া হয়। এছাড়া চাইলে ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ থাকে তখন বেতন আরও বাড়িয়ে দেয়। ডেনমারকে কাজ করার সময় প্রবাসীরা শুধু আর্থিক সুবিধা পান না বরং আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবা স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং উচ্চমানের সামাজিক নিরাপত্তা উপভোগ করতে পারেন।
এছাড়া দেশটি উচ্চ জীবন যাত্রা লিঙ্গ সমতা এবং বিভিন্ন কাজের সেক্টর প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নিরাপত্তা প্রদান করে। ডেনমারকে কাজ করতে গিয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে প্রবাসীরা প্রায় সহজেই নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগও পেতে পারেন। এই সমস্ত সুবিধা মিলিয়ে ডেনমার্ক প্রবাসীদের জন্য একটি স্বপ্নের দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

কাজের জন্য ডেনমার্ক দেশ কেমন

ইউরোপের মধ্যে ডেনমার্ক দেশটি একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। এখানে যখন প্রবাসীরা বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে আসে তারা উন্নত জীবনযাত্রা চাকরির সুযোগ এবং অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। ডেনমার্ক হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ এবং সেনজেন অঞ্চলভুক্ত একটি দেশ। তাই সেনজেন দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা পাওয়া যায়। ডেনমার্ক ইউরোপের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচিত। সব দিক বিবেচনা করলে কাজের জন্য এটি একটি আদর্শ দেশ। শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্ক বিশেষ সুযোগ প্রদান করে। এখানে উচ্চশিক্ষা বিনামূল্যে গ্রহণের সুযোগও রয়েছে। 

এছাড়া দেশটিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থাকায় প্রবাসীরা সুখে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে। ডেনমার্ক জুটল্যান্ড উপদ্বীপে অবস্থিত। দেশটি ছোট্ট হলেও প্রাকৃতিক সম্পদে ধনী এবং আধুনিক। এখানকার মানুষ সম্পদ ও প্রযুক্তি খুব দক্ষ ভাবে ব্যবহার করে। এই দেশের শান্তি সমৃদ্ধ এবং উন্নত জীবনযাত্রা প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ডেনমার্ক কাজের সুযোগ বিভিন্ন ধরনের যা বাংলাদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের উন্নত জীবন স্থায়ী নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। এটি নিশ্চিত করে যে যারা এখানে কাজের উদ্দেশ্যে যান তারা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দভাবে জীবন কাটাতে সক্ষম হন।

ডেনমার্ক কোন কাজের চাহিদা বেশি

যখন আপনি জানতে পারবেন ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে" তখন সঙ্গে সঙ্গে জানতে হবে ভিসা কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং কোন কাজে গেলে উচ্চমানের অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভিসার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ডেনমার্ক ইউরোপের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র যা অত্যন্ত আধুনিক এবং ধনী। এখানকার নাগরিকেরা উচ্চ জীবনযাত্রার মান উপভোগ করে। তাই যারা কাজের জন্য ডেনমার্ক যেতে চান তাদের জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা।
ডেনমার্ক-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি
অর্থাৎ কোন কাজের ভিসা নিয়ে ডেনমার্কে যেতে হলে আপনাকে বিশ্বস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। ডেনমার্ক উচ্চ আয়ের দেশ এবং এখানে অশিক্ষিত ব্যক্তির জন্য চাকরির সুযোগ সুবিধা থেকে আসা প্রবাসী কর্মীকে কাজে নিয়োগ দেয় না।

সকল প্রস্তুতির পর চলুন দেখে নেই ডেনমার্কের কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে
  • কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
  • সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
  • কনস্ট্রাকশন বা নির্মাণ কাজ
  • কৃষি কাজ
  • শিক্ষকতা
  • ড্রাইভিং
  • ইলেকট্রিক্যাল কাজ
  • ক্লিনার
এই সকল ক্ষেত্রের জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে ডেনমার্কে সহজে কাজের সুযোগ এবং ভালো বেতন পাওয়া সম্ভব হয়।

ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে যান তাদের মধ্যে ডেনমার্ক একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এই দেশে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসার খরচ এবং প্রক্রিয়া জানা। বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে যদি আপনি নিজে নিজে ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন তাহলে খরচ অনেক কমে আসে এবং ভিসার কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়।
যদি আপনি বিশ্বস্ত কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার কাজ সম্পন্ন করতে চান তবে খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে। ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য টিউশন ফি সাধারণত .৪০০ ইউরো থেকে ১০০০০ ইউরোপ পর্যন্ত হতে পারে। তারপর শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশোনা শুরু করতে পারে। অবশ্যই ডিপার্টমেন্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তাই আগে থেকে খোঁজখবর নেওয়ার জরুরি।

ডেনমার্ক যেতে কত বছর বয়স লাগে

ডেনমারকে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই। সাধারণভাবে আপনি ইচ্ছে করলে যে কোন বয়সে যে কোন সময় দেশটিতে যেতে পারেন। তবে যদি আপনি কাজের ভিসা নিয়ে আবেদন করতে চান তখন বয়স অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত কাজের বয়স ভিসার জন্য আবেদনকারীর ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এই সময়সীমায় আবেদন করলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ এই বয়সে কাজ করার জন্য ধৈর্য উত্তম ও দক্ষতা সর্বোচ্চ থাকে। তাই কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে ২১ বছরের পরে আবেদন করা উত্তম।
ডেনমার্ক-যেতে-কত-বছর-বয়স-লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ডেনমারকে যেতে চান। সেখানে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তারা কিছু সময় কাজও করেন এতে তাদের আর্থিক সফলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ডেনমার্কের উন্নত পরিবেশ এবং উন্নত জীবনমান প্রবাসীদের বসবাসকেউ স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে। ডেনমার্ক যেতে কত টাকা লাগে।

FAQS প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃবাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক যেতে কত সময় লাগে?

উত্তরঃবাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক বিমান পথে যেতে সময় লাগে প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা। এটি নির্ভর করে সংযোগের ধরন ও স্টপ ওভার এর ওপর।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে ডেনমার্ক বিমান ভাড়া কত?

উত্তরঃ সরাসরি বা সংযুক্ত ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া প্রায় ৯৫০০০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্নঃ ডেনমার্ক যেতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কত পয়েন্ট লাগে?

উত্তরঃ যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত নূন্যতম IELTS স্কোর ৫.৫ থেকে ৬.৫ চাইবে কিছু ক্ষেত্রে TOEFL গ্রহণযোগ্য হয়।

প্রশ্নঃ ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসা করতে কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে?

উত্তরঃ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রয়োজন প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত যাতে দেশের ব্যয়বহন করা যায়।

প্রশ্নঃ ডেনমারকে কাজের ভিসা পেতে কি ধরনের আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন?

উত্তরঃ ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসার জন্য সাধারণত ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয় যেখানে প্রমাণ থাকে যে আপনি প্রাথমিক সময়ের জন্য নিজের খরচ চালাতে সক্ষম হবেন।

প্রশ্নঃ ডেনমার্ক কত খরচে বসবাস সম্ভব?

উত্তরঃ ডেনমারকে মাসিক জীবন যাত্রার খরচ প্রায় ৮০০ থেকে ১৫০০ ইউরো যা ভাড়া খাবার পরিবহন ও অন্যান্য খরচের ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্নঃ ডেনমারকে স্টুডেন্টরা কত ঘন্টা কাজ করতে পারবে?

উত্তরঃ স্টুডেন্ট ভিসায় সাধারণত শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। ছুটির দিনে পুরো সময় কাজের সুযোগ থাকে।

প্রশ্নঃ ডেনমারকে কাজের বেতন কত?

উত্তরঃ প্রাথমিক বা দক্ষতা কম থাকলে বেতন প্রায় ১৮০০ ইউরো থেকে .৫০০০ ইউরো পর্যন্ত এবং দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতন আরও বেশি হতে পারে।

প্রশ্নঃ ডেনমার্কের বয়স্করা কাজ করতে পারবে কি?

উত্তরঃ ডেনমার্কের কাজের জন্য বয়সসীমা সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ বছর। তবে বয়স্কদের জন্য অভিজ্ঞতা থাকলে আবেদন করা সম্ভব হবে।

লেখক এর শেষ কথা

আপনি যদি ডেনমার্ক যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়ে থাকেন তবে সেটাই আপনার জন্য আনন্দের। তবে মনে রাখবেন ইউরোপের এই উন্নত দেশ ডেনমার্কে যেতে চাইলে শিক্ষিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অশিক্ষিত ব্যক্তিকে তারা সাধারণত কাজে অন্তর্ভুক্ত করেনা। তাই আগে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিজেকে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তৈরি করুন।

প্রবাসে যাওয়ার সময় সততার সঙ্গে এবং প্রফুল্ল মনোভাব নিয়ে কাজ করুন। দেশের বাইরে অর্থ উপার্জন করে বাংলাদেশের রেমিটেন্স পাঠানোর মানে আপনি নিজের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করেছেন। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে অনেক প্রবাসী ডেনমার্ক কাজের জন্য যান অথবা সেখানে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তারা যেই রেমিটেন্স পাঠান তা দেশের জন সবথেকে শক্তিশালী করে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ বৃদ্ধি করে।

ডেনমার্কের যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে বৈধ সুসা তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়া করেন তবে অবশ্যই যাচাই করে নিন যে এজেন্সীটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা। কেবল সরকারি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা তৈরি করলে সম্ভব হয়। সঠিক পথে ভিসা নিয়ে আপনি সহজে কম খরচে এবং নিরাপদ ভাবে ডেনমার্ক যেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url