ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান - ১০০% কার্যকারি ঘরোয়া উপায়

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটা হবে এগুলো নিয়ে আমরা সবসময় ভাবতে থাকি। কোন সাবানটি কিনলে আমাদের ত্বক ফর্সা থাকবে এবং ভালো থাকবে এটা নিয়ে অনেকে চিন্তা থাকে। আমরা সকলেই পৃথিবীতে এসেছি কেউ ফর্সা কেউ কালো আবার কেউ শ্যামলা প্রত্যেকের মধ্যেই তার নিজস্ব সৌন্দর্যতা রয়েছে।

ফর্সা-হওয়ার-সবচেয়ে-ভালো-সাবান

তাই আজকে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে কার্যকারী হয় এমন কিছু সাবানের কথা বলব এই আর্টিকেলের মধ্যে এই সাবানটি আপনাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলবে। তাই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোপুরি পড়তে হবে। তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি হবে।

পেজ  সূচিপত্রঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান

প্রাকৃতিকভাবে আমরা যদি ফর্সা হতে চাই তাহলে ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান নিয়ে জানার আগে আমাদের সকলের জানতে হবে এই সাবানগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ কোন ধরনের সাবান আমাদের ত্বকের বা স্কিনের জন্য উপকারী সেটা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তাই সর্বপ্রথমে নিজের ত্বকের ধরন জানতে হবে সে অনুযায়ী আপনাকে একটি সাবান বেছে নিতে হবে। আপনার ত্বকে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে আপনাকে এক ধরনের সাবান ব্যবহার করতে হবে।

আবার যদি আপনার ত্বকে শুষ্ক ভাব থাকে তাহলে আপনাকে আরেক ধরনের সাবান ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনার শরীর বা ত্বক আপনি ভালোভাবে নির্বাচন করে সাবানটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ত্বকের জন্য কোন সাবানটি উপকারী। আপনার ত্বকের জন্য শুধু সাবান ব্যবহার করলে হবে না সাবানের সাথে প্রাকৃতিক কিছু পরিচর্যা করতে হবে আপনার ত্বক বা শরীরের ধরন অনুযায়ী।

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যে সাবান গুলো তৈরি করা হয় সাধারণত সেই সাবান গুলোতে শুধু আপনার ত্বকে লাবণ্যতায় ফিরে নিয়ে আসে না ত্বককে অনেকটা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আপনি যদি ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জানতে চান এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এগুলো সাবানের মধ্যে প্রথমত একটি সাবান হল লেবু সাবান। কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য অনেক কার্যকারী একটি উপাদ।
তবে এটা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায় না এতে ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতি হয়। লেবু সাবান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি সাবান। লেবু সাবান যদি আপনি স্কিনের উপর ব্যবহার করেন তাহলে ধীরে ধীরে স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে আপনাকে ফর্সা দেখাবে এবং ত্বক ধীরে ধীরে লাবণ্যতা ফিরে ত্বকের দাগ মুক্ত করে দেবে। ত্বক ফর্সা করার জন্য নিচে কিছু সাবানের নাম দেয়া হলোঃ
  • জাফরান সাবানঃ এই সাবানটি ত্বকের জন্য অনেক কার্যকারী প্রাকৃতিক একটি উপাদান। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা এই সাবানটির জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক। জাফরন সাবান ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই এই সাবানের গুনাগুন ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী।
  • লেবু সাবানঃ এই সাবানটি ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ত্বকের দাগ মুক্ত হতেও সাহায্য করে। কারণ লেবুতে থাকা ভিটামিন- সি থাকার কারণে ত্বকের জন্য খুব ভালো এবং দাগ মুক্ত করতে অনেক সাহায্য করে।
  • মধুমুক্ত সাবানঃ ত্বকের জন্য এই সাবানটি খুবই ভালো। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা এই সাবানটি ত্বকে লাগালে ত্বককে ফরসা হওয়ার জন্য বেশ উপকার বলে মনে করা হয়।
  • মুলতানি মাটি দিয়ে তৈরি করা সাবানঃ মুলতানি মাটি হল ত্বক ফর্সা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণে একটি কার্যকারী উপাদান। এই সাবান ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব থাকলে তার ত্বক থেকে দূর করে দেয়। সেজন্য সাবানটি অনেক কার্যকরী।

ত্বক ফর্সা রাখার জন্য জনপ্রিয় সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করে ত্বক কিভাবে ভালো রাখা যায়। আপনি যদি নিজেকে সুন্দর রাখতে চান তাহলে প্রথমে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। আপনার ত্বককে ক্ষতিকার ক সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। এর জন্য আপনি কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেতে পারেন এবং কিছু সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

পাশাপাশি আপনার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে। উজ্জ্বলতা যখন আপনার বেড়ে যাবে তখন আপনাকে অনেকটা ফর্সা দেখাবে এবং আপনার ত্বক লাবণ্যময় করে তুলবে। আমি মনে করি সৌন্দর্য যখন বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের নিজের প্রতি আস্থা অনেকটা বেড়ে যায়। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এর মধ্যে অনেক জনপ্রিয় সাবান রয়েছে তা নিচে কিছু সাবানের নাম বলা হলো।

  • জাফরান হানি সোপ
  • ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি সাবান কোজি কেয়ার
  • তরল সাবান বাম জেল
  • ভেষজ ঔষধিযুক্ত সাবান
  • মেডিকেটেড সাবান
  • গন্ধনাশক সাবান
  • ডি ওডরেন্ট সাবান
  • গ্লিসারিন যুক্ত সাবান
  • মোশ্চারাইজার সাবান
  • নিষ্কাশনকারী সাবান
  • ডোনার যুক্ত সাবান
  • প্রতিরোধই সাবান
  • হাইড্রেটিং সাবান ভিটামিন সি যুক্ত সাবান

ত্বকে উজ্জ্বলতা আনার জন্য অ্যালোভেরা যুক্ত সাবান নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে এমন একটি উপাদান যাকে প্রাকৃতিক হাইলাইটার বলা হয়। এই সাবানটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রনের দাগ থাকলে তা দূর হয়ে যায়। এলোভেরাতে রয়েছে এন্টিফামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ নিরাময় করতে খুবই সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত এলোভেরাযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বক লাবণ্যময়ী করার জন্য যথেষ্ট সম্ভাবনা হয়ে উঠবে। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে জানার পর আপনি যদি ত্বকে উজ্জ্বলতা ভাবানোর জন্য এলোভেরাযুক্ত সাবান ব্যবহার করেন তাহলে আপনার এই সাবানটি ব্যবহারের জন্য সৌন্দর্যের দিকে অনেক টুকু এগিয়ে যাবেন। 

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা সাবান

সবসময় নিজেকে সুন্দর রাখা প্রত্যেকটি মানুষের একটি স্বপ্ন হয়ে থাকে। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে এবং নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য প্রথমেই মনে হয় একটি সাবানের কথা। তাই ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান হলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা সাবান। কারণ আমরা সকলেই প্রাকৃতির ওপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে বেঁচে আছি। তাই আমার মতে সবচেয়ে ভালো উপাদান হলো প্রাকৃতিক উপাদান।
প্রাকৃতিক-উপাদান-দিয়ে-তৈরি-করা-সাবান
আপনি যদি নিজে ঘরে তৈরি করা সাবান নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক এর উজ্জ্বলতা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। ধীরে ধীরে প্রতিদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বক এবং আপনি নিজেই সৌন্দর্য এবং লাবণ্যময় হয়ে উঠবেন। সৌন্দর্যের কল্পনাকে ঘিরে রূপকাঠির মত পরিবর্তন আসবে আপনার নিজের মধ্যও। তাই আপনি নিজেই প্রাকৃতিক উপায়ে ঝটপট ঘরে বসে তৈরি করে নিন সাবান।
পাতি লেবু দুধ ও শশা দিয়ে তৈরিকিত সাবানঃ প্রথমে কাঁচাদুধ শসা আলু ব্লেন্ডারের মধ্যে বেটে নিতে হবে। তারপর ভালোভাবে সেটা পুরোটা মিক্সিং করে নিতে হবে। নতুন করে নিতে হবে। ভালোভাবে মিক্সিং করা হয়ে গেলে পরিষ্কার ছাকনি দিয়ে ছেকে নিতে হবে। এরপরে পাতি লেবুর রস অল্প পরিমাণে মিশিয়ে দিতে হবে। লেবুর রসে থাকা ব্লিচিং আমাদের শরীর বা মুখের ময়লাগুলো দূর করতে সাহায্য করে তাই অল্প পরিমাণে লেবুর রস এর মধ্যে দিতে হবে। 

লেবুর রস মিশানোর পর কিছু পরিমাণ চালের গুঁড়ো ও ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর আপনি যখন এটা মুখে লাগাবেন বা আপনার শরীরের যেকোন অংশে লাগাবেন তখন দেখবেন যে এটি ফেনা আকার ধারণ করেছে। সাধারণত লেবুর রস মিশানোর কারণে এই ফেনা আকার ধারণ করে। এই ফেনা আকার ধারণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার সাবান তৈরি হয়ে গেছে। এইভাবে আপনি সকল কিছু মিশিয়ে ঘরে বসেই ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান নিজেই তৈরি করতে পারবেন।

ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা রাখার উপায় ও নিয়ম

আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখার জন্য বাজারে অনেক প্রকার বিশেষভাবে তৈরি করা ফর্সা হওয়ার সাবান পাওয়া যায় আপনি সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত আপনি ব্যবহার করতে পারেন ময়শ্চারাইজার ক্রিম এবং সানস্ক্রিম। যা আপনার ত্বককে আরো সুন্দর করে তুলবে। তবে এগুলো সব সময় ব্যবহার করার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে সাবান ব্যবহার কিভাবে করা যায় তার পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ত্বক ফর্সা রাখা যায়। 

  • ঘরোয়া ত্বক ফর্সা করার কিছু উপায়ঃ
  • নিয়ম মেনে ফেস্টমার্ক ব্যবহার করা
  • মানসিক চাপ মুক্ত থাকা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
  • প্রতিদিন পরিমাণ ভাবে ত্বকে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা
  • স্বাস্থ্যকর সবুজ শাকসবজি খাওয়া
  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • নিয়মিত ত্ব পরিষ্কার রাখা
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
বাঙ্গালীদের কথায় বলা যায় ঘরে বসে ত্বকের পরিচর্যা মানে রূপচর্চা করা। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ঘরে বসে যদি আমরা ত্বকের পরিচর্যা করতে পারি তাহলে আমাদের মন ভালো থাকবে শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে মন বসবে। আরেকটি কথা খুবই জানা দরকার পিএইচ নামে একটি স্তর রয়েছে আমাদের ত্বকে। এই পি এইচ নামক স্তরটি বাহির থেকে বোঝা যায় না। সাবানের রয়েছে এইপিএইচ ধরন 9 থেকে 11 এর মধ্যে। সাবানের মধ্যেও এটি বোঝা খুবই কষ্টকর। আমার মতে সাবানকে এভয়েট করে ঘরে তৈরি করা সাবান ব্যবহার করা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান সম্পর্কে।

রূপচর্চা করার জন্য কাঁচা হলুদের সাবান

ব্লিচিং বলে একটি উপাদান রয়েছে কাঁচা হলুদের মধ্যে। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করতে কাঁচা হলুদের ভূমিকা রয়েছে অনেক। কাঁচা হলুদের সাথে মধু জেল এলোভেরা এবং একটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভালো ভাবে মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর আপনাকে টেম্পারেচারের পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে মুখটা সুন্দরভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে আপনি প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিতভাবে ব্যবহার করার ফলে ধীরে ধীরে আপনার চেহারায় অনেক উজ্জ্বলতা দেখা দিবে।
যখন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি নিজেকে অনেকটা বয়স কমিয়ে রাখা সম্ভব হয়ে উঠবে। কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার ফলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তখন  আপনার ত্বকটি দেখতে সুন্দর মসৃণ এবং কোমল হয়ে উঠবে। ত্বকের সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে হলুদ একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এ থেকে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারলেন যে ত্বকের পরিচর্যায় কাঁচা হলুদ কত বড় অবদান রাখে। আপনার মুখে যদি ব্রণ থাকে তাহলে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার পরে মুখের ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এর মধ্যে কাঁচা হলুদের সাবান অনেকটা ভূমিকা রাখে।

মুলতানি মাটি দিয়ে বানানো ফর্সা হওয়ার সাবান

ত্বকে থাকা তেল ভাব ত্বক সুষ্ক থাকা থেকে দূর করতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা হয়। মুলতানি মাটি ত্বকের তেল শোষণ করার জন্য খুব একটি উপকারী উপাদান। যা মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে মুখ সৌন্দর্য এবং শুষ্ক ভাব দূর করে লাবণ্যময়ী মসৃণ করে তোলে। মুলতানি মাটি ব্যবহার করার ফলে তকে থাকা কোন দাগ অর্থাৎ মুখে কালো দাগ ব্রণ থাকলে অথবা ব্রণের দাগ থাকলে তাও তুলে ফেলতে সাহায্য করে এই মুলতানা মাটি। 

এছাড়াও মুখের মরে যাওয়া মৃত কোষগুলো দূর করে দেয়। সাবধানতা বজায় রেখে তোকে মুলতানি মাটি ব্যবহার করা উচিত অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আরেকটি কথা সবসময় মাথায় রাখা উচিত যে মুলতানি মাটি ব্যবহার করার পরে সেগুলো ধরে ফেলার পর ময়শ্চারাইজার ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।

টমেটো বেসন ও মুলতানি মাটি দিয়ে তৈরি করা সাবানঃ জনপ্রিয় উপাদানের মধ্যে একটি হলো মুলতানি মাটি। আমাদের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য মুলতানি মাটি দিয়ে সাবান তৈরি করা যায় ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এর মধ্যে একটি হলো মুলতানি মাটি সাবান। মুলতানি মাটি মধু বেসন ও টমেটো এবং সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে ঘরোয়া উপায়ে একটি ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান তৈরি হয়ে গেছে। ব্যবহার করার ফলে ধীরে ধীরে আপনি খেয়াল করবেন যে আপনার মুখ সৌন্দর্য এবং লাবণ্যময় হয়ে উঠেছে। এই সাবানটি ব্যবহার করার পরে উজ্জ্বলতায় ভরপুর হবে আপনার সুন্দর মুখখানি। 
মুলতানি-মাটি-দিয়ে-বানানো-ফর্সা-হওয়ার-সাবান
মুলতানি মাটি, গোলাপজল, দুধ, টক দই দিয়ে তৈরি করা সাবানঃ মুলতানি মাটি, গোলাপ জল, টক দই দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনি যে সাবানটি তৈরি করবেন এটি আপনার মুখের বা শরীরের তৈলাক্ত ভাব থাকলে তা দূর করতে সাহায্য করে। সাধারণত তৈলাক্ত ত্বক বা মুখের জন্য মুলতানি মাটি হলো একটি উপকারী উপাদান। টক দই দুধ দিয়ে মুলতানি মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে যদি একটি সাবান তৈরি করা যায় যা ত্বকে ব্যবহার করার ফলে সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বকে লাবণ্যময়ী করে তোলে।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া বেসন দিয়ে তৈরি করা সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান বেসন দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা যায়। মুখে বেসন ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল মসৃণ হয়ে থাকে। তাই আমরা যদি ত্বকের যত্ন নিতে চাই তাহলে প্রাকৃতিকভাবে বেসন ব্যবহার করে খুব সহজেই ফর্সা হওয়ার সাবান তৈরি করতে পারব। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিকভাবে ঘরে বসেই খুব সহজেই এই বেসন দিয়ে সাবান তৈরি করে ফর্সা উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বকের অধিকারী হওয়া যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কোম্পানির সাবান পাওয়া যায় যাতে অনেক ক্ষারের পরিমাণ থাকে। তবে বাড়িতে তৈরি করা সাবানে কোনরকম ক্ষার থাকে না বললেই চলে। এতে করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো সাবানটি ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও তুলতুলে ভাব এনে দেয়।
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান ব্যবহার করা ত্বকের জন্য খুবই জরুরী। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সাবান বানানোর জন্য বেসনের সাথে কাচা দুধ ও অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। পেস্ট তৈরি হওয়ার পরে তা এক সপ্তাহ সময় নিয়ে বাহিরের রোদে রেখে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে এটি শুকিয়ে গেলে তা সাবানের মত করে ব্যবহার করা যাবে। এটি ব্যবহার করার পরে ধীরে ধীরে আপনার ত্বক টানটান ভাব হবে এবং ত্বককে সুন্দর কমল দেখাবেন। প্রতিদিন মুখে বেসন দিলে কি কি উপকার হয় সে বিষয়ে নিচে জানানো হলোঃ
  • মুখে থাকা কালো দাগ দূর হয়ে যাবে
  • মুখের তৈলাক্ত ভাব থাকলে তাও দূর হয়ে যাবে
  • ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখা যাবে
  • ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে যাবে
  • মৃত কোষগুলো এক্স-ফলিয়েট করে তুলবে
  • রৌদ্রে পুরা দেন অপসারণ করে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিম পাতার সাবান

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান ব্যবহার করতে চাইলে সর্বপ্রথম মনে আসে নিম পাতার সাবান এর কথা। বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য নিম পাতার ভেতর রয়েছে এন্টিব্যাকটরিয়াল এবং এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়ে থাকে। নিয়মিত তোকে যদি আপনি নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ক্ষতিকারক সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে তোলে ও তক হয় উজ্জ্বল ও কোমল।
ত্বকের-উজ্জ্বলতা-বৃদ্ধি-করতে-নিম-পাতার-সাবান
নিম পাতার সাবান বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ ভালোভাবে বেটে নিতে হবে তারপরে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে। তারপরে একটি ময়শ্চারাইজার সাবান কেটে এর সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে জাল দিয়ে গলিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি একটি পাত্র ঢেলে নিয়ে অপেক্ষা করলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা নিমপাতার সাবান। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা প্রাচীনকাল থেকে এই উপাদানটি ব্যবহার করে আসছেন।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে এই উপাদানটির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক এন্টিফাঙ্গাল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফ্লামেটরি যা ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও সৌন্দর্য আকার ধারণ করে তোলে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি ত্বকের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির একটি ঘরোয়া উপায়। এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সংক্রমণ রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। প্রতিদিন গোসলের সময় নিয়মিতভাবে এই সাবানটি ব্যবহার করার ফলে শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াল পদার্থগুলো এবং ত্বকের সৌন্দর্য কোমল ও নরম করে তোলে। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এর মধ্যে একটি হলো ঘরোয়া উপায়ে নিম পাতার সাবান।

এলোভেরা জেল ব্যবহার করার নিয়ম

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান বলতে আমাদের সকলের মনে হয় এলোভেরা জেল দিয়ে ব্যবহার করা যায় সে সাবান এর কথা। অনেকে তকে সরাসরি এলোভেরা জেল সহ্য হয় না। যাদের শরীরে এলার্জি জাতীয় সমস্যা আছে তারা সরাসরি অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেনা। যাদের এই এলার্জি সমস্যা নেই তারা অনায়সে এই জেল বা সাবানটি ব্যবহার করতে পারবে। এই অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে বের করে তার সাথে আলাদাভাবে মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে আপনি ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। 
এলোভেরা-জেল-ব্যবহার-করার-নিয়ম
শুধু লেবু নয় তার সাথে আপনি নারকেল তেল ও লেবু একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের রোদে পরা দাগ যদি থাকে তাও মুছে যেতে সক্ষম হবে। আপনি যদি নিয়মিত এই সাবানটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার ত্বকে সুন্দর মসৃণ এবং উজ্জ্বলতা ভাব অনুভব করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত এটি ব্যবহার করলে তোকে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ভাবে। নিয়মিতভাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার ফলে ত্বক থেকে আপনার বয়সের ছাপ ধীরে ধীরে দূর হতে থাকবে।

আপনার মুখে থাকা ব্রনের দাগ দূর হয়ে যাবে। এলোভেরা দিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফামেটরি যা মুখের ব্রণ তাড়াতাড়ি দূর করতে সাহায্য করে। আপনার মুখে যদি আগে থেকে ব্রণ বের হয়ে থাকে তাহলে আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান এলোভেরা জেল এর মধ্যে আলাদাভাবে একটি সাবান রয়েছে । কারণ অ্যালোভেরা জেলের সাথে আপনি যদি একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন এবং মুখে লাগানোর পরে ভালোভাবে ঘষে ডোলে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার মুখের দাগ কতটুকু মুছে গেছে আশা করি উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

ত্বক ফর্সা রাখার জন্য ঘরোয়া সাবান এবং বাজারের সাবানের পার্থক্য

বাজারের সাবানঃ বাজারে নানা ধরনের সাবান পাওয়া যায় ত্বক ফর্সা রাখার জন্য। এগুলোর মধ্যে কিছু সাবান রয়েছে যা ত্বক দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তোলে। বিশেষ করে বাজারের সাবানের মধ্যে রয়েছে ফেয়ারনেস যা ব্যবহার করার ফলে শুরুতেই আপনাকে ত্বক ফর্সা দেখাতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় এসব সাবানের মধ্যে ব্লিসিং কেমিক্যাল থাকে যা আপনার ত্বক শুষ্ক  কিংবা কালচে দাগ করে দিতে পারে। বাজারের সাবানে বেশিরভাগ সাইড ইফেক্ট দেখা যায়। যা ত্বকে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বাজারের সব ধরনের ফর্সা করার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান ব্যবহার করার জন্য বাজারের সাবানি জরুরী তা কিন্তু নয়। তুলনামূলকভাবে বাজারের সাবানের মধ্যে এমন কয়েকটি সমান আছে যেমন চন্দন এলোভেরা ত্বক পরিষ্কার করে পাশাপাশি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে অনেকটা সাহায্য করে।
ঘরোয়া-সাবান-এবং-বাজারের-সাবানের-পার্থক্য
ঘরোয়া সাবানঃ ঘরোয়া উপাদান ত্বকের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। যেমন দুধ দই মধু শসা লেবু বা হলুদ ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার হয় এবং প্রাকৃতিক উজ্জলতা ফিরে আসে। এগুলোতে কোন কেমিক্যাল নেই তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয়ও থাকে না। তবে নিয়মিত যত্ন ছাড়া শুধু সাবান বা ঘরোয়া উৎপাদন দিয়ে ফর্সা হওয়া সম্ভব হয় না। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো হারবাল সাবান দিয়ে প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং সপ্তাহে কয়েকদিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করা। এতে ত্বক সুন্দর এবং দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখতে অনেকটা সাহায্য করে।

সাবান ব্যবহারের সময় যেসব ভুল এড়িয়ে চলা উচিত

আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে বেশি বেশি সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আরো বেশি পরিষ্কার ও ফর্সা হয়। কিন্তু আসলে সাবান বেশি ব্যবহার করলে টক শুষ্ক হয়ে যায় চীর প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয় এবং উল্টো ত্বক কালচে দাগ হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা দিনে কয়েকবার সাবান ব্যবহার করেন তারা দ্রুত ত্বকের ক্ষতি ডেকে আনেন। সবার জন্য একই সাবান ব্যবহার করা। অর্থাৎ বাড়িতে একই সাবান সকলেই ব্যবহার করছেন যার ফলে তোকে আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব ভুলগুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। 

ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান ব্যবহার করতে চাইলে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করি তো সাবান ব্যবহার করতে হবে।আপনাদের যাদের ত্বকের মধ্যে সমস্যা আছে অর্থাৎ ফেনসিটিভ কোন ইস্যু আছে তারা যদি কেমিক্যাল যুক্ত সাবান ব্যবহার করেন তবে তাকে লালচে দাগ চুলকানি বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সব সময় ত্বকের জন্য অর্থাৎ তোকে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে তাহলে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করা ভালো। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য মরশ্চারাইজার যুক্ত সাবান ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন।

আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভুল যেটা আমরা করে থাকি সাবান লাগানোর পর ঠিকমতো পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুই না। ভালোভাবে মুখ না ধুলে সাবানের কেমিক্যাল ত্বকে থেকে যায় এবং ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সাবান বেছে নেওয়ার আগে ত্বকের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচন করা এবং ব্যবহার শেষ ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলা খুবই জরুরী।

ত্বক ফর্সা করার জন্য সঠিক সাবান কিভাবে বাছাই করবেন

ত্বক ফর্সা করার জন্য সাবান বেছে নেওয়ার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাবানের উপাদান গুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া। অনেকে শুধু বিজ্ঞাপন দেখে সাবান কিনে ফেলেন কিন্তু এতে ক্ষতিকারক সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফর্সা ভাব আনতে চাইলে এমন সাবান বেছে নিতে হবে যেটিতে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন চন্দন হলুদ এলোভেরা দুধ বা নিম রয়েছে। এসব উপাদান ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে। তাছাড়া ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান বেছে নেওয়া জরুরী যেমন তৈলাক্ত ভাবের জন্য এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বা নিম সাবান ভালো। 

শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং সাবান কার্যকর আর সেনসিটিভ ত্বক এর জন্য হারবাল সাবান সবচেয়ে নিরাপদ। খুব বেশি কেমিক্যাল ব্যবহার করলে ত্বকে ফর্সা ভাব আসলেও দীর্ঘমেয়াদি ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক সাবান বেছে নেওয়ার মূল নিয়ম হল প্রাকৃতিক ও হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করা এবং নিজের ত্বকের ধরন বুঝে সাবান নির্বাচন করা। এতে তো শুধু ফর্সা নয় বরং সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকতেও সাহায্য করবে এই সাবানগুলো।

ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা রাখার জন্য সাবানের পাশাপাশি যা যা করণীয়

শুধু সাবান ব্যবহার করলেই যে ত্বক স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল হবে তা কিন্তু নয়। সাবানের মূল কাজ হলো ত্বকের উপরিভাগের ময়লা ঘাম ও অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করা। তাই ত্ব উজ্জ্বল করতে চাইলে এবং স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য সাবানের পাশাপাশি কিছু অভ্যাস মেনে চলা খুবই জরুরী।
ত্বক-ফর্সা-রাখাতে-সাবানের-পাশাপাশি-করণীয়
  • দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পানি ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং ভেতর থেকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফল সবজি বাদাম ও প্রোটিন ত্বকের জন্য উপকারী।
  • রোদে বের হওয়ার আগে ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুবই জরুরী। কারণ সূর্যের অতিরিক্ত তাপ ত্বকের কালচে দাগ এবং ফাইনাল দাগ বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া আমাদের সপ্তাহে একবার দুইবার ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করা খুবই দরকারী। যেমন দই হলুদ মধু বা শসার পেস্ট ত্বকে মসৃণ উজ্জ্বল রাখ। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোস সরানো যায় ফলে ত্বক দেখা নতুন এবং উজ্জ্বল। সব শেষে পর্যাপ্ত ঘুমও ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঘুম কম হলে ত্বক ক্লান্ত ওর ডার্ক সার্কেল দেখা যায়। তাই ত্বক উজ্জ্বল রাখতে শুধু সাবান নয় পানি সুষম খাদ্য সানস্ক্রিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথাঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান

আপনি যদি খুব দ্রুত সময়ে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে এ সম্পর্কে সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যকর সুন্দর জীবনধারা গড়ে তুলতে চাইলে সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনার ত্বককে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তুলতে পারবেন। নিয়মিত আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও সুন্দর ও সুস্থ থাকার জন্য প্রতিনিয়ত ভালোভাবে ঘুমাতে হবে।সাবান বানানোর জন্য প্রাকৃতিক উপাদান যেমন নিমপাতা কাঁচা হলুদ দুধ লেবু ভিটামিন ই ক্যাপসুল এগুলো ভালোভাবে তার সাথে মিশিয়ে একটা পাত্রে বাল ঢেলে জমিয়ে নিতে হবে। তাহলে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে নিজেই সাবান তৈরি করতে পারবেন। প্রতিদিন এই সাবানটি আপনি নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সব ধরনের সাবান ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করতে হবে। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট নেই।

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ঘরে বসে প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চা করার জন্য কিভাবে সাবান তৈরি করবেন এবং কিভাবে তা ব্যবহার করবেন কতটুকু পরিমানে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে আপনার এখন ভালো ধারণা হয়ে গেছে। এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার কোনরকম উপকার হয়ে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। আর লেখার মধ্যে যদি কোন রকম ভুল হয়ে থাকে তাহলে সমাধানের জন্য অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url