ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম এই সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানব। মূলত গ্রিন টি তে থাকা কেটেসিন এবং ক্যাফেইন এই দুই উপাদানই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে সক্রিয় রাখে।

ওজন-কমাতে-গ্রিন-টি-খাওয়ার-নিয়ম

নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শুধু ওজন কমে না বরং রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে মেটাবলিজম বাড়ে এবং খুদাও কম থাকে। কিন্তু সঠিক নিয়মে না খেলে উপকারের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে। তাই গ্রিন টি খাওয়ার কিছু নিয়ম জানা খুবই জরুরী।

পেজ সূচিপত্রঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম জানা থাকলে আপনি সহজেই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পারবেন। অনেকেই শুনেছেন যে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ওজন কমে কিন্তু সঠিকভাবে কিভাবে খেতে হয় তা অনেকে জানেন না। তাই আজ আমরা দেখাবো ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি কিভাবে সেবন করা উচিত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খাবার খেয়ে তারপরে গ্রিন টি পান করার সবচেয়ে ভালো। অনেকেই এক ভুল করে খালি পেটে গ্রিন টি পান করেন ধারণা করে এটি দ্রুত ফল দেবে। কিন্তু খালি পেটে গ্রিন টি খেলে পাকস্থলীর এসিডের মাত্রা বাড়তে পারে যা বমি অজীনতা বা আইরন শোষণ বাধা সৃষ্টি করে। সঠিক নিয়ম হচ্ছে সকালে হালকা নাস্তা খাওয়ার তিরিশ মিনিট পর গ্রিন টি পান করা।

এতে পাকস্থলীর ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না। একইসঙ্গে এটি শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করবে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ফ্যাট বার্নের প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখবে। যদি আপনি নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন এবং পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করেন তাহলে তুলনামূলক কম সময়ে ওজন কমানো সম্ভব হবে। এছাড়া আপনি চাইলে খাবারের পরে ব্যায়ামের আগে বা রাতের খাবারের পরেও গ্রিন টি পান করতে পারেন।

তবে মনে রাখতে হবে গ্রিনটিতে ক্যাফেইন থাকে তাই অতিরিক্ত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকার হতে পারে। দিনে সর্বোচ্চ তিন কাপের বেশি গ্রিন টি না খাওয়াই ভালো। ওজন কমাতে গ্রিন টির সাথে সুষম খাদ্য নিয়মিত ব্যায়াম পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা চিনি ও ফাস্টফুড এড়ানো এবং রাতে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইসব নিয়ম মেনে চললে খুব অল্প সময়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

গ্রিন টি বানানোর সঠিক নিয়ম

অনেকে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলেও অনেক সময় দেখা যায় ওজন কমার পরিবর্তে শরীরের অন্যান্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর কারণ হতে পারে গ্রিন টি সঠিকভাবে বানানো বা খাওয়া না হওয়া। অনেকেই গ্রিন টির স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে চিনি মধু বা অন্য মিষ্টি জাতীয় কিছু মিশিয়ে নেন. কিন্তু এর ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি হয।
গ্রিন-টি-বানানোর-সঠিক-নিয়ম
চিনি বা মিষ্টি জাতীয় উপাদানে থাকে সুক্রোজ যা প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট এবং ডাইস্যাকারাইড হিসেবে পরিচিত। এই উপাদানগুলো শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি বৃদ্ধি করে ওজন বাড়ায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রিন টি বানানোর সময় কোনো ধরনের চিনি বা মিষ্টি উপাদান ব্যবহার করা উচিত নয়।

গ্রিন টি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলঃ
  • এক চামচ গ্রিন টি পাতা বা একটি ব্যাগ
  • এক কাপ পানি
  • যদি স্বাদ বাড়াতে চান তাহলে লেবু দিতে পারেন
গ্রিন টি বানানোর সঠিক পদ্ধতি গুলা হলোঃ
  1. প্রথমে একটি পাতিলে এক কাপ পানি হালকা গরম করে নিতে হবে
  2. একটি কাপ বা মগে এক চামচ গ্রিন টি পাতা অথবা একটি ব্যাগ রাখুন
  3. পানি গরম হয়ে গেলে সেটি কাপের মধ্যে ঢেলে দিন
  4. পানি ঢালার পর গ্রিন টি পাতাগুলো দুই থেকে তিন মিনিট রেখে দিন। এরপর পাতাগুলো বা টি ব্যাগ তুলে ফেলুন।
  5. সাদ বাড়ানোর জন্য চাইলে লেবুর রস যোগ করতে পারেন তবে চিনি বা মধু ব্যবহার করবেন না।
এই পদ্ধতিতে বানানো গ্রিন টি পুরোপুরি কার্যকর ওজন কমানো এবং মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত। সঠিকভাবে বানালে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট বার্নের প্রক্রিয়া আরো কার্যকর হবে এবং কোন ক্ষতিকর প্রভাবও দেখা দেবে না। 

গ্রিন টি নাকি কফি ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর

ওজন কমাতে গ্রিন টি এবং কফি দুটোই জনপ্রিয় পানীয় তবে এদের কার্যকারিতা একটু প্রভাব ভিন্ন। গ্রিন টিতে থাকে কেটেচীন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এটি চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে বিশেষ করে পেটের ভ্যাট কমাতে কার্যকর। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি খেলে ক্যালরি বাড়নের হার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। গ্রিন টি খোদা দমন করে অতিরিক্ত খাবার রোধ করে এবং হালকা ক্যাফেইনের কারণে শরীরে প্রাকৃতিক এনার্জি তৈরি করে। এছাড়া গ্রিন টি প্রাকৃতিক দীপক হিসেবে কাজ করে। যদিও গ্রিন টি ধিরে কাজ করে তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমায়।

কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের স্নায়ুতন্ত্র কে উত্তেজিত করে এবং শক্তি বাড়ায়। এটি মোটাবলিজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে এবং ফ্যাট বার্নিংকে সহায়তা করে। বিশেষ করে ওয়ার্কআউট বা শরীর চর্চার আগে কফি ক্ষণিকের জন্য খোদা কমায় এবং ক্যালরি গ্রহণ কমাতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা উদ্যোগের কারণ হতে পারে। তাই কফি ওজন কমাতে কার্যকর হলেও পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
সংক্ষেপে বলা যায় গ্রিন টি এবং কফি দুটোই ওজন কমাতে সাহায্য করে। কফির ফ্যাট বার্নিং ক্ষমতা কিছুটা বেশি কিন্তু এতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকার কারণে কিছু মানুষের জন্য সমস্যা হতে পারে। গ্রিন টি ধীরে ধীরে কাজ করে তবে নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদে উপকার দেয়।

যাদের হালকা এবং সহনীয় পানিও প্রয়োজন তাদের জন্য গ্রিন টি উপযুক্ত। যারা দ্রুত এনার্জি চান এবং শরীরের সাথে ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কফি কার্যকর হতে পারে। সর্বোপরি আপনার শরীর শারীরিক অবস্থা সহ্য শক্তি এবং জীবন যাপনের ধরন অনুযায়ী নির্বাচন করা উচিত। তবে কফির তুলনায় গ্রিন টি সেবনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি পান করা সাধারণত নিরাপদ ও ভালো একটি সিদ্ধান্ত। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় ও ডায়েট

ওজন কমাতে গ্রিন টি পান করা এক ধরনের সহায়ক পদক্ষেপ। কিন্তু এটি সঠিকভাবে এবং সঠিক সময় খেলে ফল আরো কার্যকর হয়।তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে। শুধু গ্রীন টি খাওয়া যথেষ্ট নয় এর সঙ্গে সুষম ডায়েট নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পানও অত্যন্ত জরুরী। সঠিকভাবে গ্রিন টি খাওয়া এবং খাদ্য তালিকা মেনে চলে শরীরে মেটাবলিজম বাড়ে অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন হয় এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে ডিটক্স হয়।

সকালে দিনের শুরুতে গ্রিন টিঃ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। প্রথমে হালকা নাস্তা খাওয়া উত্তম। হালকা নাস্তা হিসেবে একটি কলা কিছু বাদাম বা দই খেতে পারেন। নাস্তার ত্রিশ মিনিট পর এক কাপ গ্রিন টি পান করা ভালো। এই সময় গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম সংক্রিয় করতে সাহায্য করে। 

মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে দিনের শুরুতে ক্যালরি বার্ন হওয়া শুরু হয়। এছাড়াও সকালে গ্রিন টি পান করলে শরীরের প্রাকৃতিক এনার্জি তৈরি হয় যা দিনের বিভিন্ন কাজের জন্য সহায়ক। সকালে গ্রিন টি শরীরকে সাথে রাখে এবং অতিরিক্ত খোদা কমায়। নিয়মিত সকালবেলা গ্রিন টি পান করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

দুপুরে খাওয়ার আগে বা পরেঃ দুপুরে খাবারের ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে বা পরে গ্রিন টি খেলে হজমে সাহায্য করে। খাবারের আগে গ্রিন টি খেলে ক্ষুধা কিছুটা কমে থাকে ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া রোদ হয়। খাবারের পরে খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায় এবং শরীরকে ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়া সক্রিয় করে।

দুপুরে গ্রিন টি খাওয়া মানে শুধু হজম সাহায্য নয় এটি শরীরকে ভারী খাবারের পরও হালকা রাখে এবং দুপুরের নিদ্রা কমায়। এর ফলে দিনের দ্বিতীয় ভাগে কাজ করার সময় মনোযোগ এবং শান্তি বজায় থাকে।

ব্যায়ামের আগেঃ ওয়ার্ক আউট বা শরীরচর্চা ৩০ মিনিট আগে গ্রিন টি পান করলে ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াও আরো কার্যকর হয়। হালকা ক্যাফেইনের কারণে শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের সময় শক্তি ও স্থায়িত্ব বাড়ে। যদি আপনি হালকা কার্ডিওযোগের বা জিমে ওয়ার্কআউট করছেন গ্রিন টি খাওয়া আপনার ক্যালরি বার্ন কে আরো দ্রুততম করে। নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে গ্রিন টি গ্রহণ করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।

রাতে ঘুমের আগেঃ রাতে ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে গ্রিন টি সেবন করা যায়। তবে ঘুমের ঠিক আগে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। এতে থাকা ক্যাফেইনের ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে এবং শরীরের বিশ্রাম প্রক্রিয়া বাধ্যগ্রস্থ হয়। রাতের সময় হালকা গ্রিন টি পান করলে হজম প্রক্রিয়ার সাহায্য হয় এবং শরীর হালকা থাকে। এটি রাতে অতিরিক্ত খাওয়ায় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং পরিপাক ব্যবস্থাকে নিয়মিত রাখেন।

দৈনিক গ্রিন টি খাওয়ার পরিমাণঃ প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি খাওয়া যথেষ্ট। বেশি গ্রিন টি খেলে হজম সমস্যা উদ্যোগ বা ঘুমের ব্যাঘাত দিতে পারে। সঠিক পরিমাণে এবং সময় মত গ্রিন টি খাওয়া হলে এটি ধীরে কিন্তু স্থায়ী শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি খাওয়ার সময়সূচিঃ
  1. সকাল আটটা থেকে নয়টা হালকা নাস্তার তিরিশ মিনিট পর এক কাপ গ্রিন টি খেলে মেটাবলিজম  দিনের শুরুতেই ক্যালরি হতে থাকে।
  2. দুপুর ১ একটা থেকে ১ঃ৩০ মিনিট অর্থাৎ খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক কাপ গ্রিন টি খেলে খুদা কমায় অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে।
  3. দুপুর ১ টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে অর্থাৎ ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে এক কাপ গ্রিন টি খেলে ফ্যাট বার্নিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং এনার্জি বাড়ায়।
  4. রাত ৮ টা থেকে ৯ টা অথবা ঘুমের দুই ঘন্টা আগে এক কাপ গ্রিন টি খেলে হজমে সাহায্য করে এবং শরীর হালকা রাখে।
ওজন কমানোর জন্য কিছু কার্যকারী ডায়েটঃ ওজন কমাতে গ্রিন টি পান করা শুধুমাত্র সহায়ক সুষম এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের সঙ্গে মিলিয়ে চললে ফল দ্রুত এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হয়। যেমন

  • সকালেঃ ওটস একটি সেদ্ধ ডিম একটি কলা বেশি ফাইবার এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার। প্রোটিন এবং ফাইবার দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং দিনের শুরুতে শক্তি দেয়।
  • দুপুরেঃ ব্রাউন রাইস সেদ্ধ সবজি চিকেন বা ডাল কম ক্যালরি এবং হালকা প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ভরপুর অনুভূতি দেয় ও অতিরিক্ত খাবার রোধ করে।
  • বিকেলেঃ এক কাপ গ্রিন টি প্লাস বাদাম বা ফল এবং হালকা স্নাক্স। বিকেলটিতে হালকা খাবার শরীরকে স্থিতিশীল রাখে এবং রাতে অতিরিক্ত খাবার রোধ করে।
  • রাতেঃ স্যুপ বা সালাদ প্লাস -১ স্লাইড গ্রাউন ব্রেড হজম সহজ হয় এমন খাবার খেতে হবে। হালকা রাতের খাবার রাতের ঘুমের মান উন্নত করে এবং ক্যালরি কম রাখে।
  • দিনে প্রায় আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীরকে হাইড্রেট রাখে ডিটক্স প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
ডায়েটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস সমূহ
  • বেশি প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
  • ভাজা তেলযুক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • সবুজ শাকসবজি ফলমূল এবং হালকা স্নাক্স খাদ্য তালিকায় রাখুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর করে।
  • গ্রিন টি এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট একসাথে মেনে চললে ফল দ্রুত এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হয়।

খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া ঠিক কিনা

অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে খালি পেটে গ্রিন টি পান করেন। ধারণা করা হয় খালি পেটে গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজমকে দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং ফ্যাট বার্ন এর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। তবে এটি সব ধরনের মানুষের জন্য সমানভাবে উপকারী নয়। বিশেষ করে যাদের পেট সংবেদনশীল তাদের জন্য খালি পেটে গ্রিন টি পান করা সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ এতে পাকস্থলীর এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে এবং টেনিং উপাদান জা গ্রিন টিতে থাকে তা পাকস্থলীর দেয়ালে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
খালি-পেটে-গ্রিন-টি-খাওয়া-ঠিক-কিনা
এর ফলে অনেকেই মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব বা পেট ফাঁপার মতো অস্বস্তি অনুভব করেন। শুধু খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়াই নই বরং হালকা নাস্তার পর গ্রিন টি পান করাই স্বাস্থ্যকর। সকালে একটি কলা কিছু বাদাম অথবা হালকা একটি বিস্কুট খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর গ্রিন টি পান করলে শরীর এটি সহজে গ্রহণ করতে পারে এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয় না। এতে শরীর প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স হয় এবং মোটা বলে সক্রিয় হয়।

হালকা খাবারের পরে গ্রিন টি খেলে দিনের শুরুটা স্বদেশ ভাবে হয় কাজের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং হজমের প্রক্রিয়া সহজে হয়। সারসংক্ষেপে বলা যায় খালি পেটে গ্রিন টি পান করা সবার জন্য নিরাপদ নয়। হালকা খাবারের পরে গ্রিন টি খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমানো মেটাবলিজম বৃদ্ধি এবং হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। দিনের শুরুটা শক্তিশালী এবং সতেজ ভাবে শুরু করার জন্য এটি সেরা পদ্ধতি।

কাদের গ্রিন টি সেবন করা উচিত নয়

গ্রিন টি সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর হতে পারে কিন্তু কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এটি সেবন করা নিরাপদ নয়। প্রথমেই বলা যায় যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গ্রিন টি পান করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গ্রিনটিতে থাকা ট্রেনিন উপাদান পাকস্থলীর এসিড বাড়িয়ে দিতে সক্ষম ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে যদি কেউ খালি পেটে গ্রিন টি পান করে তাহলে বমি বমি ভাব এবং বুক জ্বালা বা অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গ্রিন টি এড়ানো উত্তম। এতে থাকা হালকা ক্যাফেইন ঘুমের প্রক্রিয়াকে ব্যবহৃত করতে পারে। বিশেষ করে রাতে গ্রিন টি খেলে ঘুমের মান কমে যেতে পারে এবং শরীরের স্বাভাবিক বিশ্রাম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে গ্রিন টি খাওয়ার সময় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত গ্রিন টি গ্রহণ করলে শরীর থেকে আয়রন শোষণ কমে যেতে পারে যা গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাছাড়া যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে তাদের জন্য গ্রিন টি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি রক্তচাপ আরো কমিয়ে দিতে পারে ফলে শারীরিক অসুস্থ সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস রোগীরা গ্রিন টি খাওয়ার আগে বিশেষভাবে সতর্কতা থাকা উচিত। কারণ কিছু ওষুধের সঙ্গে গ্রিন টি পারস্পারিক প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে গ্রিন টি সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া উচিত।

আমার মতে বলা যায় গ্রিন টি সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ হলেও যাদের পাকস্থলী সমস্যা ঘুমের অসুবিধার ঘর ব্যবস্থা স্তন্যদান কম রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি সীমিত বা পরামর্শ ক্রমে সেবন করা সবচেয়ে ভালো। এই সতর্কতা মেনে চললে গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

কোন ধরনের গ্রিন টি ওজন কমাতে সবচেয়ে কার্যকর

ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো ম্যাচা গ্রিন টি। সাধারণ গ্রিন টি এর সঙ্গে এর পার্থক্য হল ম্যাচা তৈরিতে পুরো চা পাতার গুড়া ব্যবহার করা হয় তাই এতে উপস্থিত পুষ্টিগণ অনেক বেশি। ম্যাচা গ্রিন টিতে উচ্চ মাত্রার কেটেচিন থাকে বিশেষ করে EGCG যা শরীরের চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং মেটাবলিজম কে সক্রিয় রাখে। এর ফলে শরীরের ক্যালরি বার্ণের হার বৃদ্ধি পায় এবং অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
কোন-গ্রিন-টি-ওজন-কমাতে-কার্যকর
ম্যাচা গ্রিন টি তে থাকা ক্যাফিন একসাথে কাজ করে শরীর এবং মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি কর্ম ক্ষমতা বাড়ায় ব্যায়ামের সময় এনার্জি যোগ করে এবং ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর করে। এছাড়াও ম্যাচা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সাধারণ গ্রিন টিতে শুধু চায়ের রস পান করা হয় কিন্তু ম্যাচা গ্রিন টি পুরো পাতার গুড়ো গ্রহন করা হয় তাই এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তবে দিনে এক বা দুই কাপের বেশি ম্যাচা গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত খেলে এটি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে মিলিয়ে ম্যাচা গ্রিন টি সেবন করলে এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর হয়।

আসল ও নকল গ্রিন টি চেনার সহজ উপায়

গ্রিন টি বাজারের প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে সব ধরনের গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর বা আসল নয়। তাই ওজন কমানোর বা শরীরের জন্য উপকারী গ্রিন টি শনাক্ত করায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসল ও নকল গ্রিন টি চেনার কিছু সহজ উপায় আছে যা আপনাকে সঠিক পণ্য নির্বাচন করতে সাহায্য করবে।

প্রথমে রং দেখে বোঝা যায় আসল গ্রিন টি এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য। আসল গ্রিন টি সাধারণত হালকা চোখ ঝকঝকে প্রাকৃতিক সবুজ রঙের হয় যা দেখতে সতেজ এবং চোখের আরামদায়ক লাগে। অন্যদিকে নকল গ্রিন টি অনেক সময় ঘন সবুজ বাদামী রঙের হয়ে থাকে যা প্রাকৃতিক মনে হয় না।

গ্রিন টি এর ঘ্রান দেখেও আসল এবং নকল চিহ্নিত করা যায়। আসল গ্রিন টিতে থাকে হালকা মাটির ঘ্রাণের মতো প্রাকৃতিক গন্ধ জা পান করার সময় সতেজতা দেয়। কিন্তু নকল গ্রিন টি তে কৃত্রিম পারফিউমের গন্ধ বা তীব্র অস্বাভাবিক ঘ্রাণ থাকতে পারে যা স্বাভাবিক চায়ের মত নয়।

সাদেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় আসল গ্রিন টি হালকা তেতো ও সাথে সাথে হয়। এটি পান করার পর মুখে প্রাকৃতিক তেতো ভাব থাকে এবং গলার সাথে মানিয়ে যায়। নকল গ্রিন টি সাধারণত অতিরিক্ত তেতো ঝাঁজালো বা কৃত্রিম ঝালের হয় যা অনেক সময় খেলে অস্বস্তি বা বমি ভাব সৃষ্টি করতে পারে।

গ্রিন টি এর পাতা দেখলে অনেকটা ধারণা পাওয়া যায় আসলে গ্রিন টি এর পাতাগুলো সাধারণত আসমান ঘূর্ণানো এবং শুকনো থাকে। কিন্তু নকল গ্রিন টি এর পাতাগুলো অনেক সময় ভাঙ্গা গরু বা ধুলোবালি-ময় হয়ে থাকে।

পানিতে গ্রিন টি ফেলা হলে আচরণেও পার্থক্য বোঝা যায়। আসল গ্রিন টি ধীরে ধীরে রং ছড়ায় এবং পাতাগুলো ধীরে ধীরে ফেঁপে ওঠে। নকল গ্রিন টি পানিতে ফেলে সঙ্গে সঙ্গে কারোর রং ছেড়ে দেয় এবং পাতায় ফেনার মত প্রভাব দেখা দিতে পারে যা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মেলেনা।
প্যাকেটে তথ্য আসল বা নকল চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। আসল গ্রীনটিতে সাধারণত পরিষ্কার ব্যান্ডের নাম উৎপাদন তারিখ এবং মেয়াদ উল্লেখ থাকে। নকল গ্রিন টিতে স্পষ্ট নয় বা কোনো তথ্য অনুপস্থিত থাকতে পারে।

সংক্ষেপে বলা যায় আসল গ্রিন টি সনাক্ত করার জন্য রং জ্ঞান পাতার অবস্থা পানিতে রং ছরানো এবং প্যাকেটের তথ্য ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত। এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল গুলো মেনে চললে আপনি বাজার থেকে সহজে স্বাস্থ্যকর এবং আসল গ্রিন টি বাছাই করতে পারবেন। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

ওজন কমানোর কিছু কার্যকারী ব্যায়াম

শুধু বসে বসে গ্রিন টি পান করলে ওজন কমবে না। ওজন কমাতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিন টি ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে যখন গ্রিন টি সেবনের সঙ্গে সুসুম গাইড এবং নিয়মিত ব্যায়াম মিলিয়ে করা হয় তখন শরীরের অতিরিক্ত চর্বি অনেক দ্রুত কমতে শুরু করে। দিনে কিছু সময় ব্যয় করে হালকা বা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম এর প্রভাব কে আরো কার্যকর করে তোলে। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সকালে বা বিকেলে সময়মতো জগিং করা হাটা বা দড়ি লাফানো শরীরকে সক্রিয় রাখে এবং ক্যালরি বার্ন করায়। যোগিং চলার সময় ধীরে ধীরে হার্ট রেট বৃদ্ধি পায় জা ফ্যাট বার্নিং এর সহায়ক skip কার্যকারী। এটি শুধু পায়ে ও পেশিতে নয় পুরো শরীরকে শক্তিশালী রাখে এবং হার্টের কার্যকারিতা বাড়ায়। শরীরের স্থায়িত্ব এবং এনার্জি বৃদ্ধি পায় ফলে দিনের অন্যান্য কাজের সহজ হয়।
ওজন-কমানোর-কিছু-কার্যকারী-ব্যায়াম
বারপি স্কোয়াট প্ল্যাঙ্ক এবং লাঙ্গেসের মত ব্যায়াম ও শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। বাড়তি সম্পূর্ণ শরীরের ব্যায়াম যা ফ্যাট কমাতে মেটাবলিজম বাড়াতে এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। squad এবং লাঙ্গবেশ পায়ের বেশি শক্ত করে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্লাঙ্ক পেট ও কোমরের বেশি টনিং এ বিশেষ কার্যকর।

মাউন্টেন ক্লাইম্বার এবং বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেও ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো শরীরের মূল পেশিকে সক্রিয় রাখে ক্যালরি বার্ন বাড়ায় এবং পেটের ফ্যাট কমাতে সহায়ক। হারিনিস বা হাই কিক এর মত ব্যায়ামগুলো পায়ের বেশি শক্ত করতে এবং শরীরের মোট এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ অ্যাপস শুধু বাহ নয় পুরো শরীরের শক্তি ও টনিক বৃদ্ধি করে। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে।

সব শেষে বলা যায় ওজন কমাতে গ্রিনটি সহ শোষণ ডায়েটের সঙ্গে এই ধরনের ব্যায়াম নিয়মিত করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে শুরু করে। মেয়েটাবলিজম সংক্রীয় থাকে এবং শরীর সুস্থ ও ফিট থাকে।

লেখক এর শেষ কথা

ওজন কমাতে গ্রিন টি কার্যকর হতে পারে। তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে সঠিক নিয়ম না মানলে ফল পাওয়ার কঠিন। সকালে হালকা নাস্তার বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট পর এক কাপ গ্রিন টি দুপুরের খাবারের আগে বা পরে এবং ব্যায়ামের আগে খাওয়া উচিত। রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে গ্রিনটি না খাওয়াই ভালো। দিনে দুই থেকে তিনবার কাপের বেশি না খাওয়াই উত্তম।

গ্রিন টি এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েট নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করলে ওজন কমানো সহজ প্রশ্ন হয়। সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে গ্রিন টি শরীরকে ডিটক্স করে মেটাবলিজম এবং ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনার যাত্রা নিরাপদ এবং কার্যকর হবে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url