অ্যান্ড্রয়েডে সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইনস্টল করবেন


অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন এর সম্পূর্ণ গাইডে আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রয়োজনীয় রুট পারমিশন নেওয়া,ADB সেটাপ, সিস্টেম পার্টিশন রিড-রাইট মোডে মাউন্ট করা,APK ফাইল সঠিক ফোল্ডারে কপি করা এবং পারমিশন সেটিংস করার ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
থার্ড-পার্টি-অ্যাপ-কিভাবে-ইনস্টল-করবেন
এছাড়া আমরা দেখাবো কিভাবে ইন্সটলেশন সফল হয়েছে কিনা যাচাই করবেন আপডেট কিভাবে করবেন এবং সিস্টেম অ্যাপ অপসারণের ঝুঁকি ও করণীয় কি নিরাপত্তার দিক থেকেও প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং কিভাবে আপনার ফোনের পারফরমেন্স ও কাস্টমাইজেশন উন্নত করবেন তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। চলুন তবে এবার বিস্তারিত সকল কিছু সম্পর্কে জানা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন

সিস্টেম অ্যাপ ও থার্ড পার্টি অ্যাপ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এন্ড্রয়েড ফোনটি হলো একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। কারণ এটিতে রয়েছে ওপেন সোর্স এবং কাস্টমাইজ করার স্বাধীনতা। সাধারণত আমরা যখন গুগল প্লে স্টোর বা অন্য কোন সোর্স থেকে অ্যাপ ইন্সটল করে থাকি সেগুলো ইউজার অ্যাপ হিসেবে আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনের সিস্টেমে যুক্ত হয়। ইউজার অ্যাপের বৈশিষ্ট্য গুলো হলো এগুলো ব্যবহারকারী চাইলে সহজে আনইন্সটল করতে পারে এবং এগুলো সিস্টেমের মূল পার্টিশন সরাসরি সংরক্ষিত থাকে না। তবে সিস্টেম অ্যাপ হল সেই অ্যাপগুলো যা ডিভাইসের নির্মাতা বা এন্ড্রয়েড সিস্টেমের সঙ্গে বিল্ড ইন হয়ে আসে এবং এগুলো ডিরেক্ট সংরক্ষিত হয়ে যায়।

সিস্টেম অ্যাপ সাধারণত বিশেষ অনুমতি পায় যা ইউজার অ্যাপ কখনোই পায় না। যেমন নির্দিষ্ট সিস্টেম ফাইল এক্সেস ব্যাকগ্রাউন্ডে সব সময় কাজ করা বা বোধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চালু হওয়া। আমাদের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে কেন কেউ চায় থার্ড পার্টি অ্যাপকে সিস্টেমের অ্যাপে রূপান্তর করতে। এর বিভিন্ন কারণ আছে যেমন নির্দিষ্ট কোন অ্যাপ কে সর্বদা সংক্রীয় রাখা যায় না। সিকিউরিটি বা মনিটরিং অ্যাপ এর পারফরম্যান্স বাড়ানো বা রুট ছাড়া কিছু সিস্টেম লেভেল ফিচারস সংগ্রহ করা। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব অ্যান্ড্রয়েডে হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন ঝুঁকি টুলস ধাপ এবং নিরাপদে রোল ব্যাক ব্যাবহার করার পদ্ধতি পর্যন্ত।

কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ কে সিস্টেম অ্যাপ এ রূপান্তর করবেন

আমাদেরকে প্রথমেই বুঝতে হবে কেন এই এই কাজটি করতে চাইবে। সিস্টেম অ্যাপ এ রূপান্তর করার  পর এগুলো একটি সিস্টেমের অংশ হয়ে যায় ফলে এটি ডিভাইসের সিকিউরিটি পলিসি অনুসারে বিশেষভাবে সুবিধা পেতে পারে। আমরা যদি উদাহরণস্বরূপ চাই তাহলে কোন স্কিন রেকর্ডারের অ্যাপ কে সিস্টেম অ্যাপ এ বানালে এটি ব্যাকগ্রাউন্ড সীমাহীন ভাবে কাজ করতে পারবে। অথবা নোটিফিকেশন এক্সেস সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ডাটা নিতে পারবে।

আবার কিছু অটোমেশন অ্যাপ আছে যেমন টাকচার বা ম্যাক্রো ড্ররিড সিস্টেম অ্যাপ হলে কিছু অতিরিক্ত অ্যাকসেস করতে পারে যা ইউজার অ্যাপ হিসেবে কোন সময় সম্ভব হবে না। এছাড়া অনেক কাস্টম রুম ব্যবহারকারী চায় কিছু পছন্দের থার্ড পার্টি অ্যাপ যেমন কাস্টম লাঞ্চার বা ফায়ারওয়াল অ্যাপ সব সময় বুটে চালু হোক এবং সিস্টেমের মতো স্থায়ী থাকুক। আরেকটি বড় কারণ হলো  যেখানে সাধারণ ইউজার অ্যাপ সহজে মুছে যায় কিভাবে। এইসব কারণে অনেক উন্নত ব্যবহার করে জানতে চান কিভাবে ইন্সটল করবেন এবং সেটি সঠিকভাবে কিভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড ও সিস্টেম অ্যাপের ঝুঁকি ও সর্তকতা

আমাদের সকলের যে কোন সিস্টেম লেভেল পরিবর্তনের আগে ঝুঁকি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভুল ভাবে সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করলে আমাদের ডিভাইসটি বুট লুকিয়ে চলে যেতে পারে। ফলে আমরা রিকভারি বা রিস্টোর না করলে ফোন চালু হবে না। এছাড়া থার্ড পার্টি অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ হলে সেটা আরো বেশি পারমিশন পাবে যা নিরাপত্তার জন্য হুমকির মুখে যেতে পারে। যদি এটি ক্ষতিকারক হয় অনেক সময় আমাদের সিস্টেম পার্টি শোন red only হয়ে থাকে এবং সেটির রিড রাইড করার আগে সতর্ক থাকতে হয়।
অ্যান্ড্রয়েড-ও-সিস্টেম-অ্যাপের-ঝুঁকি-ও-সর্তকতা
কারণ একটি ভুল কমান্ডে আমাদের পুরো সিস্টেমই ক্র্যাশ হয়ে যেতে পারে তাছাড়া কিছু অ্যাপ সিস্টেম অ্যাপ হয়ে গেলে তা সাধারণ উপায়ে আনইন্সটল করা যাবে না যার ফলে রুম ফ্লাশ বা রিকভারি মোড ম্যানুয়ালি মুছে ফেলতে হয়। তাই এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে একটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে ব্যাকআপ রাখা খুবই প্রয়োজন। যাতে আমাদের যখন প্রয়োজন হবে তার পূর্বের অবস্থায় আমরা ফিরতে পারি। আশা করি সকল কিছু আপনি বুঝতে পেরেছেন। 

প্রয়োজনীয় টুলস এবং প্রাথমিক প্রস্তুতি

আমাদের ফোনে প্রথমেই যা লাগবে তা হল একটি রুট করা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যাতে আমরা সিস্টেম পার্টিশনে পরিবর্তন করতে পারি। রুট এক্সেস পেতে ম্যাজিক বা সুপার এসইও ব্যবহার করতে পারব। এছাড়া আমাদের লাগবে একটি কম্পিউটার যাতে এন্ড্রয়েড বিভাগ ব্রিজ এবং ফাস্ট বোর্ড ইনস্টল করা রয়েছে। আমাদের যদি কাস্টম রিকভারি আগে থেকে করা থাকে তাহলে অনেক ভালো হবে। এরপরে আমাদের অবশ্যই কাঙ্খিত একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ এর এফেক্ট ফাইল হাতে রাখতে হবে।

অ্যাপটি সর্বশেষ এবং নিরাপদ ভার্সন আমরা যদি নিশ্চিত করে করতে না পারি তাহলে সিস্টেম এক হয়ে গেলে সহজে আপডেট করা কঠিন হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হল ডিভাইসের বুটলোডার আনলক করা। অনেক ফোনে এটি বাধ্যতামূলক না হলেও সিস্টেম পার্টিশনে লেখার অনুমতি পাওয়া যায় না। এই দিকগুলো আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সকল কিছু প্রস্তুত করে সক্ষম হতে পারব।

সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও সফটওয়্যার

আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনের সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য আমাদের কিছু নির্দিষ্ট টুলস ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে। সাধারণভাবে আমরা সিস্টেম অ্যাপ পরিবর্তন বা নতুন অ্যাপযুক্ত করতে গেলে ডিভাইসের সিস্টেমে পার্টিশন এক্সেস পাওয়া জরুরি হবে। এর জন্য প্রথমেই দরকার একটি ভালো মানের রুট এক্সপ্লোরার অ্যাপ বা ফাইল ম্যানেজার জা রুট একসেপ্ট করতে আমাদের সাহায্য করবে বা সাপোর্ট করবে। এই ধরনের কাজের জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে রুট এক্সপ্লোরার বা ইএস ফাইল এক্সপ্লোরার। এরপর দরকার হবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কারণ অনেক সময় আমাদের শুধুমাত্র ফোন দিয়ে কাজ করা গেলেও কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করলে ডেটা কাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

আমাদের কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ ব্রেক ড্রাইভারটি আগে থেকে ইন্সটল করে রাখতে হবে, যাতে ফোন ও কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এছাড়া একটি ভালো usb ডেটা কেবল থাকা খুবই জরুরী যাতে ডেটা ট্রান্সফার করতে সাপোর্ট করে। সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য অ্যাপের ফাইল অবশ্যই বিশ্বস্ত সোর্স থেকে ডাউনলোড করা উচিত। তাছাড়া সিকিউরিটির সময় ঝুঁকি সম্পন্ন তৈরি করতে পারে। রুট করা ডিভাইসের জন্য আমাদের দরকার হবে ম্যাজিক বা সুপার এস ইউ এর মত সুপার ইউজার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ইন্সটল করা খুবই দরকার। যা আমাদের সিস্টেম পার্টিশনে পরিবর্তন করার অনুমতি দেবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ফোনের ব্যাকআপ বা সম্পূর্ণ সিস্টেম ব্যাকআপ নিয়ে রাখা উচিত। যাতে কোন সমস্যা হলে আগের অবস্থায় আমরা ফিরে আসতে পারি। যদি ফোনে রুট করা না থাকে তাহলে কাস্টুম রিকভারি করা দরকার হতে পারে। সংক্ষেপে আমরা বলতে পারি সঠিক টুলস ছাড়া এই কাজ করা উচিত নয়। কারণ এখানে একটি ছোট আকারে ভুল ও আমাদের পুরো সিস্টেম নষ্ট করে দিতে পারে। যারা জানতে চান এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন তাদের জন্য এই টুলস গুলো যানা খুবই দরকারি।

রুট পারমিশন কেন জরুরী এবং কিভাবে নিবেন

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন সেটার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল রুট পারমিশন পাওয়া। কারণ সিস্টেম পাল্টিশনে পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের রুড এক্সেস ছাড়া কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে। রুড পেলে আপনি আপনার ফোনের ফাইল সিস্টেমের মূল অংশে প্রবেশ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনিয় ফাইল কপি বা পরিবর্তন করতে পারবেন। আর যদি রুট করা না থাকে তাহলে সিস্টেম পার্টিশনে কোন কিছু লেখা যাবে না তবে রুট নেওয়ার আগে বুঝে নিতে হবে। এটি ফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল করে দিতে পারে এবং ভুল করলে ফোন ব্রিক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সিস্টেম রুট করার জন্য  অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার ও পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ম্যাজিক বা সুপার এস ইউ এগুলো ব্যবহার করে আপনি নিরাপদে রুট করতে পারবেন।





তবে ফোনের মডেল ভার্সন এর ওপর ভিত্তি করে রুট করার পদ্ধতি চেঞ্জ হতে পারে। রুট নেয়ার সময় অবশ্যই পুরো ফোনের ব্যাকআপ নিতে হবে কারণ এই প্রক্রিয়ার সময় আপনার ফোনে থাকা ডাটা লস হয়ে যেতে পারে। রুট নেওয়ার পর ম্যাজিক ম্যানেজার বা সুপার এস ইউ অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনি যেকোন থার্ড পার্টি অ্যাপকে সিস্টেমে যুক্ত করার অনুমতি দিতে পারেন। আর এভাবে আপনি জানতে পারবেন এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন। তবে আপনাকে সকল ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। রুট অ্যাপ ব্যবহার করার পরে সিকিউরিটির অনেক ঝুঁকি থাকে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ টুল আমাদের ব্যবহার করতে হবে।

ইউএসবি ডিবাগিং ও এডিবি সেটআপ

এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন তা যদি জানতে চান তাহলে আপনাকে usb ডিবাগিং এবং adb সেটআপ করা খুবই জরুরী। কারণ usb ডিবাগিং যদি আপনি চালু করতে চান তাহলে প্রথমে ফোনের সেটিংস থেকে ডেভেলপার অপশন চালু করতে হবে। এজন্য বিল্ড নাম্বারে কয়েকবার টাইপ করতে হবে এরপর ডেভেলপার অপশন এ গিয়ে ইউএসবি বিভাগে অন করতে হবে। এডিবি  হল একটি কমান্ড লাইন টুল যা কম্পিউটারও এন্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দিবে। এটির সাহায্যে আপনি ডিভাইসে সরাসরি কমান্ড পাঠাতে পারবেন এবং ফাইল ম্যানেজ করতে পারবেন। এডিবি ব্যবহার করে আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপকে সিস্টেমে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ফাইল কপি করার পারমিশন সেটিংস অন করার সুযোগ পাবেন।


সেটাপ করার জন্য কম্পিউটারে এডিবি ড্রাইভার ইন্সটল করে রাখা খুবই প্রয়োজনীয়। এরপরে আপনাকে ইউএসবি ক্যাবল দিয়ে হোম যুক্ত করে কমেন্ট অপশনে এডিবি ডিভাইস টাইপ করে ডিভাইসে কানেক্ট আছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে। যদি সফল হয় তবে আপনি প্রস্তুত সিস্টেমে অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য সময় পাবেন। সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য এই পুরো প্রক্রিয়ায় ইউএসবি ডিবাগে ও এবিডি এর গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম থাকে। কারণ এর মধ্যে আপনি এন্ড্রয়েড সিস্টেম  অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন তার সকল কিছু জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সময় তা প্রয়োগ করতে পারবেন। 

সিস্টেম পার্টিশন রিড-রাইট মোডে মাউন্ট করা

অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন এর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সিস্টেম পার্টিশনকে রিড্রাইট মুডে মাউন্ট করা। কারণ ডিফল্টের ভাবে সিস্টেম পার্টিশন রিড অনলি থাকে তাই এখানে কোন ফাইল লিখতে গেলে লেখা যায় না। রুট এক্সেস পেলে আপনি মাউন্ট কমান্ট ব্যবহার করে এটিকে রিড রাইট মোডে আনতে সক্ষম হবেন। সাধারণত এডিবি সেল থেকে নিচের কমান্ড ডি ব্যবহার করা হয়। এই কমান্ড চালানোর পর আপনি সিস্টেম ফোল্ডারের নতুন অ্যাপ এর ফাইল কপি করতে পারবেন।

তবে ফোনের মডেল ও এন্ড্রয়েড ভার্সনের উপর ভিত্তি করে এই কমান্ড ভিন্ন হতে পারে। কখনো কখনো আপনাকে পার্টিশনের সঠিক পথ দিয়ে মাউন্ট করতে হতে পারে এবং সঠিকভাবে মাউন্ট করা না হলে সিস্টেম বুটলোড হতে পারে। তাই সবসময় আমাদেরকে কোন কাজ করার আগে সতর্ক থাকা উচিত। এই স্টেপটি সফল হলে আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপ কে সিস্টেমে কপি করতে পারবেন এবং পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া বুঝে গেলে আপনি অনেকটা জানবেন  এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন।

থার্ড পার্টি অ্যাপের ফাইল সঠিক স্থানে কপি করা

সিস্টেম অ্যাপ ইন্সটল করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল থার্ড পার্টি অ্যাপ এর ফাইল সঠিক ফোল্ডারে কপি করা। সাধারণত এটি সিস্টেম অ্যাপ বা প্রাইভেট ফোল্ডারে থাকে। পার্থক্য হল প্রাইভেট অ্যাপ ফোল্ডারে থাকা অ্যাপ গুলো অতিরিক্ত পারমিশন পায়। তাই যেসব অ্যাপ বিশেষ প্রিভিলেজার প্রয়োজন সেগুলো প্রাইভেট ফোল্ডারে রাখতে হবে। এপেক ফাইল কপি করার আগে অবশ্যই আমাদেরকে সিস্টেম পার্টিশন রাখতে হবে। তারপর ফোল্ডার তৈরি করে ফাইলকে সেখানে কপি করতে হবে। কপি করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে রুট এক্সপ্লোরার অথবা এডিবি পোস্ট ব্যবহার করতে হবে।

কপি করার পর ফাইল এর পারমিশন সেট করতে হবে। সাধারণত ৬৬৪ ওয়ার্ড পর্যন্ত মালিক লেখা পড়া করতে পারবে অন্যরাও পড়তে পারবে। এছাড়া ফোল্ডারের পারমিশন ৭৫৫ করা উচিত ভুল কমান্ড দিয়ে থাকলে এই অ্যাপগুলো কাজ করবে না। এই কাজের সময় ভুল হলে ফোন বুটলুপ বা সিস্টেমের অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই ফাইল কপি ও পারমিশন আমাদেরকে ঠিকভাবে দিতে হবে। সঠিকভাবে কাজ করলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন  একটি এন্ড্রয়েড সিস্টেম হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন।

সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে ইন্সটল হওয়া অ্যাপের পরীক্ষা ও যাচাই

অ্যাপের ফাইল সঠিক জায়গায় কপি করার পরে ডিভাইস রিপোর্ট দিতে হয় যাতে পরবর্তীতে এগুলো পরিবর্তন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডিভাইস রিপোর্ট দেওয়ার পরে সেটিংস অ্যাপসে গিয়ে আপনার অ্যাপটি সিস্টেম হিসেবে দেখা যাবে। কিছু ফোনের ক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ এর আনইন্সটল করা অপশনটি বন্ধ করে থাকে। এছাড়া এডিবি কমান্ডের মাধ্যমে পিএম লিস্ট প্যাকেজেস রান করলে সিস্টেম অ্যাপ এর তালিকা দেখা যায় যেখানে আপনার অ্যাপের নাম থাকবে। যদি এটি কাজ না করে বা দেখা না যায় তাহলে আপনি বুঝবেন যে  পারমিশন বা ফাইল লোকেশন এ আপনি ভুল করেছেন।

আবার কখনো সিস্টেমের ক্র্যাশ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে রিকভারি মোড় থেকে ক্যাশে ওয়াইফ করা প্রয়োজন হতে পারে। এভাবে পরীক্ষা করে নিলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন। সফলভাবে বুঝবেন এবং এবং এটি সকল ভাবে প্রয়োগ হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারবেন।

অ্যাপ আপডেটের পদ্ধতি ও সমস্যার সমাধান 

যখন আপনি সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল করবেন তখন অ্যাপের আপডেট দেয়া কিছুটা ভিন্ন দেখাবে। সাধারণ ইউজার অ্যাপের মতো প্লে স্টোর থেকে আপডেট নাও আসতে পারে। তাই আপনাকে নিজে অ্যাপেক ডাউনলোড করে আবার একই ফোল্ডারের রিপ্লেস করে দিতে হবে। রিপ্লেস করা হয়ে গেলে আগের নিয়মে আবার আপনাকে পারমিশন ঠিকমতো সেট করে রিবুট দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ভুল হলে অ্যাপ ঠিকমতো কাজ করবে না বা আপনার সিস্টেম ক্র্যাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

তাই আপডেট দেয়ার সময় সাবধানতা ভাবে দিতে হবে। সঠিকভাবে আপডেট করলে আপনার থার্ড পার্টি অ্যাপ সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে এবং নতুন নতুন ফিচারও পাবেন। এ সকল বিষয়গুলো আপনি যদি ঠিকমতো করেন তাহলে বুঝতে পারবেন এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন এবং তা কিভাবে সেটআপ করবেন। শুধু প্রথমবার নয় বরং আপডেটেও আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আশা করি বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সিস্টেম অ্যাপ অপসারণের ঝুঁকি ও করণীয়

সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে যুক্ত করা থার্ড পার্টি অ্যাপ কখনো সময় হয়ে গেলে মুছে ফেলতে হবে। কিন্তু সাধারণ অ্যাপ এর মত সহজে আনইন্সটল করা যায় না। এটি সিস্টেম থেকে সরাতে হলে আপনাকে রুট এক্সপ্লোরার বা আইডিবি দিয়ে এপেক্স ফাইলগুলো মুছে দিতে হবে। যদি ভুল ফাইল মুছে ফেলেন বা অপর্যাপ্ত ভাবে অপসারণ করেন তাহলে ডিফেন্সে সমস্যা থেকে যেতে পারে এবং ফোনটি বুট লুটে চলে যেতে পারে। তাই অপসারণের আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যাকআপ রাখা উচিত। অপসারণের পর ডিভাইস রিপোর্ট দিয়ে পরীক্ষা করবেন যদি কোন সমস্যা হয় তবে ব্যাকআপ থেকে রিস্টার করে নিবেন। এই কারণে ভালোভাবে জানার জরুরী  এন্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন এবং প্রয়োজনমতো নিরাপদে ব্যবহার করবেন।

নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতার দিক বিবেচনা

থার্ড পার্টি অ্যাপ কে সিস্টেম অ্যাপে আমরা যখন রূপান্তর করি সেটি ফোনে সিকিউরিটি লেভেল উচ্চ স্থানীয় জায়গায় অনুমতি দেয়। সিকিউরিটি লেভেলে অবশ্য স্থানীয় জায়গায় যদি অনুমতি পায় তাহলে অ্যাপসটির রান সংখ্যা এবং পারফেক্টলি ভালোভাবে এডজাস্ট করতে পারে। এর ফলে অ্যাপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে অপরিচিত বা অবিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ যদি আপনার সিস্টেমের মধ্যে থাকে তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো চুরি করে নিতে পারে। তাই ম্যানুয়াল সংক্রমণ বা ডিভাইস হ্যাকের ঝুঁকি বাড়তে থাকেন।
নিরাপত্তা-ও-বিশ্বাসযোগ্যতার-দিক-বিবেচনা
সুতরাং যে কোনো থার্ড পার্টি হিসেবে ইনস্টল করার আগে বিশ্বস্ত সোর্স থেকে ডাউনলোড করা উচিত। এবং সেটার কোড বা পারমিশন ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। এছাড়া নিয়মিত এন্টিভাইরাস বা সিকিউরিটি অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করা উচিত। এ সকল পদ্ধতি গুলো মাথায় রাখলে আপনি নিজেই আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন এবং নিরাপদ ও দক্ষতার সাথে সকল কাজ করতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা সঠিকভাবে কাজ করলে সফলতা নিশ্চিত

আর্টিকেলে শেষ পর্যায়ে বলা যায় এন্ড্রয়েডে থার্ড পার্টি অ্যাপকে সিস্টেম অ্যাপ হিসেবে ইন্সটল করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে সঠিক প্রস্তুতি বা পারমিশন ও টুলস থাকলে আমরা খুব সহজেই সঠিকভাবে করতে পারব। সিস্টেমের রুট নেওয়া সিস্টেম পার্টিশনে রাইট মোডে মাউন্ট করা অ্যাপের ফাইল সঠিক স্থানে কপি করা পারমিশন সেট করা এবং ডিভাইস রিপোর্ট করায় হল মূলভাব মেনে চললে সফলভাবে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। এবং বিশেষ করে এন্ড্রয়েড হিসেবে থার্ড পার্টি অ্যাপ কিভাবে ইন্সটল করবেন তাও জানতে পারবেন।

তবে সব সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এসব কাজে ভুল করলে ফোন ব্রিক হয়ে যেতে পারে। তাই কাজ করার আগে অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যাকআপ আমাদের নিয়ে রাখা উচিত। এছাড়া সিকিউরিটির ঝুঁকি এড়াতে আমাদেরকে বিশ্বস্ত অ্যাপ ও সফটওয়্যারের ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কাজ করলে আপনার ডিভাইসের প্রয়োজন মত কাস্টমাইজেশন ও ফোনের পারফরম্যান্স উন্নত করতে পারবেন। আশা করি সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। http://

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এডভেঞ্চার আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url